Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

সাহিত্য

রবিবার এবং কফি – ৬

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২৫/০১/২০১৫ - ১:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার গল্প চার, বালিকা বিদ্যালয়ে পড়ি। মোটামুটি স্বাধীনতার স্বাদ নিয়ে বেড়ে উঠছি, এটাই মনে হতো তখন। সারাদিন খেলাধূলো, নতুন নতুন বন্ধু... জীবন অনেক পূর্ণ ছিল।


অচলপত্র প্রসঙ্গে যৎকিঞ্চিৎ-২

দিগন্ত চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন দিগন্ত চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২১/০১/২০১৫ - ৮:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আগের কিস্তি


অচলপত্রের একটি প্রচ্ছদ : রবীন্দ্র-হতবার্ষিকী


মায়াহরিণ

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বুধ, ২১/০১/২০১৫ - ৬:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাঘদুপুরের ফড়িংডানা-রোদ্দুরে আস্তে আস্তে মিশে যায় তোমার জাফরানি ওড়নার রঙ। দিঘির পাশের নারকেলগাছগুলোর নিচ দিয়ে যে পথটুকু চলেছে আলোয় ছায়ায়, সেই পথের নাম ছায়াবিতান । এখন ঘুঘুর ঘুমেলা ডাকে ভরে আছে এই রাস্তা। আর একটু পরে এই পথ দিয়ে তুমি আসবে।


সুখে অসুখে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৯/০১/২০১৫ - ১২:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
আমার বাবার মানসিক সমস্যা দেখা দেয় মা চলে যাওয়ার পর।

সবার মত পালিয়ে যাওয়া কথাটা বলতে আমার ভীষণ সংকোচ লাগে। যাই করুক না তিনি, আমার মা তো! অথচ কেউ বুঝতেই পারে না আমার কষ্টটা। কেউ যখন ও প্রসঙ্গ তোলে আমি চুপ করে থাকি। এর থেকে বেশি আর কিই বা করতে পারি?

বাবা আমাদের গ্রামের শিক্ষিত মানুষদের একজন ছিলেন। একমাত্র বাবাই নিজের চেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন। বাকিরা তো কেউ মেট্রিকই পাস করে নি। বাবা নাকি ওদের না পড়ার জন্য বেশ মারধর করতেন, দাদাজান এ নিয়ে বাবাকে কথা শোনালে বাবা ওদের নাকি পড়ার কথা আর কিছুই বলেননি। এ জন্য ওদের অবশ্য পরের দিকে যে অনুশোচনা হয়েছিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।


আমার আর্টিস্ট না হওয়া এবং মানিক ভাই

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৫/১২/২০১৪ - ৬:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি একদম আঁকতে পারি না এখন, অথচ হয়তো আমার খ্যাতি এখন দেশজুড়েও হতে পারত !

ছেলেবেলা থেকেই অবশ্য আর্টের প্রতি তীব্র অনুরাগ ছিল। সবাই বলত, বাহ সামিনের তো খুব ভাল আঁকে! অন্য বাচ্চারা যখন কম্পিউটারে ভিডিও গেমস, বাইরে খেলাধুলা করত, আমি একমনে এঁকে যেতাম। আর্টের যে কোন কম্পিটিশনে আমি যে ফার্স্ট হব এটা যেন নিয়মই হয়ে গিয়েছিল। আমি গ্রামের দৃশ্য আঁকতাম, কলসি নিয়ে গ্রামের বঁধু যাচ্ছে এটা ছিল আমার প্রিয় সাবজেক্ট। এছাড়া মাঝি নৌকা চালাচ্ছে, কৃষক ক্ষেতে কাজ করছে, বাচ্চারা গাছে উঠছে এগুলো আমি অনায়াসে এঁকে ফেলতাম। পেন্সিল কালার, প্যাস্টেল কালারে আমি ভাল হলেও জলরংটা একেবারেই পারতাম না। একদম ছ্যাঁড়াবেড়া করে ফেলে আর্টের মুডটা উঠে যেত, আর বসতেই ইচ্ছে করত না।


পরিচয়

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৯/১১/২০১৪ - ৩:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]আমি প্রথমে গেটের সামনে এসে থমকে গেলাম।


বাঁশি

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: সোম, ১০/১১/২০১৪ - ৬:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই ঘর, ওই ঘর, বাগান, উঠান, কুয়াতলার নিম হাওয়া, পুকুরঘাটের নারিকেলছায়ায় কয়েক দন্ড, এইসব ঘোরাঘুরিতেই বেলা কেটে যায়। ব্যস্ত সকাল গড়িয়ে কখন দুপুরে মিশে যায়, ঘুঘুর ডাকে নির্জন হয়ে আসে। কাজের মাঝে তখন একটুখানি বিশ্রামের নিভৃতি।


পরজীবী

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৬/১১/২০১৪ - ৬:৪৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পর্দা করা ফাতেমার ধাঁতে নেই। নদীতে অর্ধউলঙ্গ হয়ে গোসল করে। ঘাটেই কাপড় পাল্টায়। পরপুরুষ হলে কী হবে, বাপের বাড়ির লোক বলে কথা। কেউ বেগানা নয়। কিন্তু এখন থেকে ওসব আর চলবে না।
অবশেষে মৌলভি রাজি হয়। বাদ-যোহর পড়াবে। তবে সম্মানীটা একটু বেশি দিতে হবে। জনপ্রতি মাসিক দুশো টাকা। মেয়েছেলেরা রাজি হয়। এ যুগে দুশো টাকা খুব বেশি নয়।

পরদিন থেকেই মৌলভির ক্লাস বসে। ফাতেমার ঘরের দাওয়ায় চাটাই পেতে। মৌলভি সুর করে, ‘পড়ে আলিফ জবর আ, বে জবর বা...’। পড়াশেষে আধঘন্টা দীন ইসলামের বয়ান। ফাউ। শ্বশুর-শাশুড়ি, স্বামী, বাবা-মার সাথে কী আচরণ করতে হবে তার তালিম দেয় মৌলভি। স্বামীর পায়ের নীচে স্ত্রীর বেহেস্ত--এ কথাটা বার বার মনে করিয়ে দেয়।


নীলাভ উড়ান

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বুধ, ০৬/০৮/২০১৪ - ৩:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছোট্টো সেই খাতা, প্রত্যেকটা পাতা হাতের পাতায় ধরে যায়।আর সেই কলমটি, ছিপছিপে পাতলা গাঢ় নীল রঙের কলম, গলার কাছে এক চিলতে সোনালীর ঝিকমিক।

কমলালেবুগন্ধী শীত-দুপুরের রোদে পা মেলে দিয়ে সাবধানে খুলি খাতা। পাতাগুলো জীর্ণ, পুরানো, ঝুরঝুরে। কতকাল কেটে গেল ঐ শৈশবের খেলাখেলা লেখাগুলোর পরে? কতবার সূর্যপ্রদক্ষিণ করে এলো পৃথিবী তার অন্তহীন পরিব্রজনের পথে?