‘আমি নিগ্রো। যে-বাড়িটায় থাকি তা হার্লেমে- শহরের ভেতরে আর একটা, আমেরিকান নিগ্রো মহানগরীতে।‘- এভাবেই লেখক শুরু করেন তাঁর গল্প। লেখক মানে বিশ্বখ্যাত মনিষী, নব জাগরণের সঙ্গীতের পথিকৃৎ, অভিনেতা, মানবাধিকার কর্মী, হার্লেম রেনেসাঁর অন্যতম পুরোধা পল রোবসন।
সে এক বিশাল ইতিহাস, বিশ্ব জুড়ে প্রবল জনপ্রিয় লেখক আর্নেষ্ট হেমিংওয়ে তখন ফ্লোরিডার ‘কী ওয়েস্টে’ তাঁর ২য় স্ত্রী Pauline Pfeiffer এর সাথে ছিলেন। এবং যে চমৎকার বাড়িতে প্রায় ১০ বছর তারা ছিলেন, যা এখন হেমিওংয়ে জাদুঘর হিসেবে বিখ্যাত, তা মূলত ছিল পাওলিনের ধনবান চাচার বাড়ি। সেই আংকেল গাস আবার ভাতিজির জামাই বিদ্যান হেমিংওয়েকে খুব পছন্দ করতেন, এমনকি তাদের নিয়ে আফ্রিকা ভ্রমণে সমস্ত ব্যয়ভার বহন করেছিলেন, যা
অণুগল্প বা ফ্ল্যাশ-ফিকশন অধুনা সাহিত্যের জনপ্রিয় শাখা হয়ে উঠছে। গত বেশ ক'বছর ধরে ব্রিটেনে ন্যাশনাল ফ্ল্যাশ-ফিকশন ডে উদযাপিত হয়। অণুগল্পে বেঁধে দেওয়া কোন আকার না থাকলেও কেউ কেউ মনে করেন এটি ১০০ শব্দের মধ্যে শেষ হওয়া চাই, আবার কেউ হাজার শব্দের নীচে যে কোন গল্প কে অণুগল্প বলে মনে করেন।
‘সত্যজিৎ আর ঋত্বিকের মধ্যে তফাতের কথা সবাই বলেন কিন্তু এদের মধ্যে কতটা যে মিল সেটা কেউ বলেন না। ওঁরা একই জেনারেশনে বিলং করতেন, একই ধরনের আশাবাদ, একই মানবিকতায় বিশ্বাসী। সত্যজিৎ-ঋত্বিকের প্রতিটি ছবিই শেষ হয় আশাবাদে।‘
২৯ দিন একটানা কানাডার কারাগারে থাকতে হল সিলেটের হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গে জন্ম নেওয়া, ও বেড়ে ওঠা ভূ-পর্যটক রামনাথ বিশ্বাসকে (যিনি রমানাথ নামেও পরিচিত), কারণ ইমিগ্রেশনের অদ্ভুতুড়ে আইন- সেই সাথে সালটা ১৯৩২, ভারতবর্ষের অধিবাসীদের জন্য দুয়ার খোলা নেই কোথাওই!
'বাংলা দেশের রং যে নীল তা এই সব যাত্রায় খুব টের পাওয়া যেত- আকাশ নীল, বাতাস নীল,প্যাডলের আঘাতে ফেনিল জলটুকু ছাড়া পুরো মেঘনা কালচে নীল, তীরের পাটখেত নীল, সুপুরি-নারকেল বন নীল, গ্রামের গাছগাছালি নীল, ধূ ধূ জলের দূরের তীরও শুধু একটা হালকা নীল রঙের রেখা। এই নীল জীবনানন্দ আরো অনেক বেশি দেখেছিলেন :
অশ্বত্থে সন্ধ্যার হাওয়া যখন লেগেছে নীল বাংলার বনে
(১৯৭৩ এর ২৩ সেপ্টেম্বর পাবলো নেরুদা চিলিতে মারা যান বা হয়তো খুন হন। তার দেড় মাসের মধ্যেই ১৯৭৩ সালের নভেম্বরে ‘বিনোদন’ পত্রিকায় শামসুর রাহমানের এই লেখাটি প্রকাশিত হয়, যা সাধারণত কোথাও দেখি না। সম্প্রতি পত্রিকাটি হাতে আসায় ভাবলাম এই লেখাটি ব্লগে থাকুক। আর ভারতীয় কূটনীতিক জনাব মুচকুন্দ দুবের একটা কথা মনে পড়ল, উনি শামসুর রাহমানের কবিতা নিয়ে বলেছিলেন যে “বিশ্ব সাহিত্য নিয়ে আমার যে লেখাপড়া তাতে সত্যি বল
পাবলো নেরুদা একই সাথে বাঙালি সমাজে চরম জনপ্রিয় অথচ প্রায় অপরিচিত। মানে কবি হিসেবে তাঁর সুনাম পাঠক মাত্রই জানেন, তাঁর সৃষ্ট কিছু গনগনে অবাক স্তবক সকলেরই মুখে শোভা পায় কিন্তু এক জীবনে যে প্রায় অসম্ভব সাড়ে তিন হাজার পৃষ্ঠা কবিতা তিনি পৃথিবীকে দিয়ে গেছেন, এবং যে পাবলো নেরুদার নির্বাচিত কবিতার সাম্প্রতিক প্রকাশিত সংকলনটি ১৫০০ পাতার ( পৃথিবীর আর কোন কবির নির্বাচিত কবিতা হাজার পাতা পেরিয়েছে বলে জানা নেই!