ছোটবেলা থেকেই একটা কথা শুনি,‘দেশের বাড়ি’ ।
কিছু ভাবনার উপরও কী অভিকর্ষের প্রভাব আছে? উপড়ে ছুঁড়ে দিলেও ফিরে আসে কেন? ছায়ার মত পোষা কোন কুকুর হয়ে পিছু পিছু আসে। পোড়া কোন দাগের মত চামড়ার উপর শুয়ে থাকে সমস্ত দিন-রাত! ডুব সাঁতারুর মত মনের তলানি থেকে খুঁজে নিয়ে আসতে চায় ডুবে যাওয়া জাহাজের স্মৃতি চিহ্ন। সেবার সমুদ্রের আঁচলে পা রেখে আমিতো শুধু ওর ভাবনাটুকু রেখে আসছে চেয়েছিলাম, সমুদ্র কেন ফিরিয়ে দিল ওসব?
জার্মানি থেকে গাড়ী চালিয়ে বেলজিয়ামের দিকে যাচ্ছি, পথে মধ্যাহ্ন ভোজনের জন্য থামা হল গাছপালা ঘেরা, পাখির ডাক ভেসে আসা এক নির্জন মেঠো জায়গায়, যেখানে আমাদের মত ভবঘুরেদের যাত্রাপথে পেটপূজার সুবিধার্থে গোটা কয়েক কাঠের বেঞ্চি বসানো আছে। সেখানে বাক্স-পেঁটরা খুলে রুটির উপড়ে পুরু করে জ্যাম লাগাতে লাগাতে পরবর্তী গন্তব্যের সুলুক সন্ধানে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। যদিও ঠিক করাই আছে সীমানার ঠিক কাছেই ত্রিয়ের শ
ভারী আওয়াজ তুলে সাঁজোয়া গাড়ির বহরটা তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর দিকে আসছে, গাড়ির উপরে বসানো মেশিনগান আর সেনাদের বন্দুকের চকচকে বেয়নেটগুলো আলো-আঁধারীতে এক নারকীয় আবহ তৈরী করছে| নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের লাশের উপর দিয়ে ক্ষমতা কায়েম করার এক পৈশাচিক আনন্দে তখন পাকিস্তানি সামরিক জান্তার চোখ হায়েনার মতো জ্বলন্ত| বাঙালি জাতিকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে দিতে বদ্ধ পরিকর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী তাদের চূড়ান্ত পরি