তখন আমাদের বাসায় মাত্রই নতুন গান শোনার যন্ত্র আনা হয়েছে, বয়স অল্প, সেটাকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ ছিলনা, তখন সিডির চল ছিলনা, ক্যাসেট চলতো| যন্ত্র তো কেনা হলো, কিন্তু তাকে সরব তো করতে হবে| ক্যাসেট আনা হলো বেশ কিছু| আমি সারাদিন এই বোতাম সেই বোতাম টিপে নানা কারিগরী করি| একদিন বাবা নিয়ে আসলেন একটা ক্যাসেট, উপরে লেখা ছিলো "আমি এক যাযাবর"| কৌতূহল বশত সাথে সাথেই চালালাম সেটা, জানিনা হয়তো গায়কের সম্মোহনী সুরেই হোক বা অসাধারণ লাইন গুলোর কারণেই হোক, সেদিন পুরো ১০ টা গানের একটাও বাদ রাখিনি| পর পর শুনেছিলাম, আর অজস্র বার শুনেছিলাম সেই একটা কালজয়ী গান-
আজ ৪ঠা নভেম্বর, ২০১১-- আমার নানা আশরাফ আলী মণ্ডলের পঞ্চদশতম মৃত্যুবার্ষিকী। মন সকাল থেকেই চঞ্চল হয়ে আছে, কাজের ফাঁকে ফাঁকে নস্টালজিয়া হানা দিচ্ছে আজ প্রবল ভাবে, এলোমেলো চিন্তার পালকেরা ঘুরপাক খাচ্ছে প্রতিটি নিউরনে, উচাটন ভাবনার থই পাচ্ছি না কোন।
[justify]
সীমান্তের সন্ধ্যা
তারা দুইজন বসে আছেন মুখোমুখি, একটা প্রায় শুকনো খালের উপরের কালভার্টে।
চারপাশ ঘন সবুজ। অশ্বথ আর পিপুল গাছের উঁচু বেষ্টনী চারপাশে, পশ্চিমাকাশের সূর্যের আলো সেটা ভেদ করে ঢুঁকতেও পারছে না ঠিকমত। অসহ্য গরম। এই তপ্ত আবহাওয়ায় ঘন ছায়ার মাঝে বসে থাকলে অবসন্ন লাগাটা স্বাভাবিক। আমীর-উল ইসলামের সেটি লাগছেও।
এই লোকটার সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল আশির দশকের শেষের দিকে।
সেই দশকটা ছিল আমার কৈশোরের দশক।
২৬ জুলাই, ১৯৫৩। নিজ দেশের স্বৈরশাসক সেনাবাহিনী প্রধান বাতিস্তার নির্মম শাসনের বিরুদ্ধে বিপ্লবের অগ্নিশপথ নিয়ে মোনকাদা নামের এক সেনাব্যারাকে আক্রমণ করলেন একদল বিপ্লবী, নেতৃত্বে ফিদেল কাস্ত্রো নামের এক তরুণ আইনজীবি। দেশমাতৃকার উপর চলমান দমন পীড়নের বিরুদ্ধে হাতের অতি অপ্রতুল সম্পদ নিয়েই ছোট ভাই রাউল ও অন্যান্য বন্ধুদের মন দ্রোহের মন্ত্রে উদ্দীপ্ত করেই সেই আক্রমণ থেকে বার্তা পৌছাতে চাইলেন শাসক গোষ্
প্রশান্ত মহাসাগরের সুনীল জলরাশি, যে দিকেই তাকানো যায় না কেন থৈ থৈ অতল নীল জল দিগন্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। এই উথাল-পাথাল ঢেউ-এর মাঝেই গাছের গুড়ি দিয়ে তৈরি ক্ষুদ্রাকৃতির নেহাৎ পলকা দর্শন এক ভেলা বিপুল জলসীমানা চিরে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে আপন গন্তব্যে, ছয় জন দুঃসাহসী নাবিক এর সওয়ার, তাদের মধ্যমণি হয়ে আছেন প্রাতঃস্মরণীয় এক নরওয়েজিয়ান, স্ক্যান্ডিনেভিয়ার পুরাণকথার হাতুড়ির আঘাতে বজ্রপাত ঘটানো দেব
সবকটা জানালা খুলে দাওনা .. ‘জানালা’ খুলে দেবার বিষয়টা আমাদের গদ্যে,পদ্যে বিভিন্নভাবে বলা হয়েছে, বলা হচ্ছে, আরো বলা হবে। কিন্তু এই শব্দগুলো একসাথে শুনলে যে গানের কথা আমাদের মনে পড়ে তার সাথে আমাদের নিরাকার বোধ জড়িত। এই জানলা খুলে দেয়ার সাথে একটা দেশের কতটা আবেগ জড়িত হয়ে যাবে তাকি জানতেন প্রয়াত নজরুল ইসলাম বাবু যখন তিনি অক্ষরে অক্ষরে গেঁথেছিলেন এই অবিনাশী গান; কতটা বুঝেছিলেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল যখন তিনি ভেতরের সবটুকু আবেগ নিয়ে জল ছাপিয়ে যাওয়া দু’চোখে প্রথমবার সুরে গেঁথেছেন, কিংবা সাবিনা ইয়াসমিন, তিনি যখন প্রথম তার কিন্নর কণ্ঠে গানটা তুলেছিলেন। আমাদের ভাগ্য ভালো এখনো এই গানটির ফিউশন করার চেষ্টা কেউ করেনি।
উই মেক এন্ড স্পিন দ্য ড্রিমস,
এ্যান্ড, উই মুভ উইদিন দ্য স্পিনস অব আওয়ার ড্রিমস।
- গৌতম রাজধ্যক্ষ (১৯৫০-২০১১)