পকেটের আরামী খুপরীতে মোবাইলখানা নড়ে চড়ে উঠল, বুঝলাম কেউ একজন মোবাইল হাতে নিয়ে ওপাশে অপেক্ষায় আছে। মোবাইল স্ক্রীনে কোন নম্বর নেই। কানের কাছে ধরে বললাম - “হ্যালো”...
ম্যাটেরিয়ালিস্টিক সময়ের ঈদের নতুন সংযোজন “অপেন হাউস”। ক্যানবেরার বাঙ্গালীরা ওয়েবসাইটে ঈদের দিন(বা ঈদের তিন দিনের মধ্যে) তাদের বাসায় বেড়াতে আসার জন্য নির্দিষ্ট দুই ঘন্টা সময় দিয়ে দেন। একেক পরিবার সুবিধাজনক দুই ঘন...
আমি তখনও স্কুলে পড়ি, কোন ক্লাশে সঠিক মনে নেই। দিনটি ছিল সিলেটের প্রধান কবি- দিলওয়ার এর জন্মদিন। কবির ভার্থখলার বাড়িতে জমাটি আড্ডা হচ্ছে। সিলেটের গণসঙ্গীত শিল্পী ভবতোষ চৌধুরী গান ধরেছেন আর সবাই যে যার মতো করে গলা মেলাচ্ছে । সিলেটের সাহিত্য-সংস্কৃতি কর্মীদের অনেকেই সেখানে উপস্থিত। এর মধ্যে লুঙ্গি- পাঞ্জাবী পরা, ধুলোমাখা পা নিয়ে ছিপছিপে গড়নের লম্বা এক লোক ঢুকলো বৈঠকখানায়। আমি...
[justify]
সুকুমার রায় আরো অনেকের মতো আমার শৈশবের একটা অংশ দখল করে বসে আছেন। শৈশব উত্তীর্ণ হবার পর একমাত্র বেরসিকরাই সেই দখলের পাট্টা ওপড়ানোর সামর্থ্য রাখেন। আমি পারিনি।
আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত লাল ডিমাই সাইজের (নাকি ডাবল ডিমাই?) সেই সমগ্র শিশু সাহিত্য আমার হাতে পড়ে মাজার জোর হারিয়ে খণ্ডবিখণ্ড হয়েছে কয়েকবার। শেষবারের মতো গুঁড়ো গুঁড়ো করার পর আমার ভাই রেগেমেগে একটা হার্ড কাভ...
গরীব
সাউথ কোরিয়া
----------------------------------------------------------------------
আমরা বাংলাদেশের মানুষ, সুনাম আমদের সবদিক থেকেই আছে, সেটা একসময়ের ধন দৌলতের জন্য আবার মীরজাফরের বেঈমানীর জন্য, আধুনিক কালে এসে দুর্নীতিতে সেরা হবার জন্য হোক , সুনাম আমাদের সব সময়ই ছিল। দেশ ভাগ হয়েছে কিন্তু আজ এ বাংলার মানুষ ও বাংলার জন্য কাঁদে, ও বাংলার মানুষেরাও কষ্টে উদাস হয়। কি হতে কি হয়ে গেল আমরা জানি না কিন্তু ইতিহাস বলে এ উপমহাদেশ...
[ড. সিতারা পারভীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ বিভাগের সাবেক অধ্যাপক; সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের কন্যা।]
আজ ২ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক সিতারা পারভীনের জন্মদিন।
যখন 'চারপাশে সব মুখস্থ মানুষ দেখি', ভণ্ডামি আর শঠতায় ভরা সম্পর্ক দেখি, তখনই মনে পড়ে সিতারা আপার কথা। আজকের সমাজে ক্ষমতার মোহ আর ক্ষমতার অপপ্রয়োগ যখন সমাজকে কলুষিত করে চলেছে, তখন সিতারা পারভীন অনুকরণীয় ...
উৎসর্গ- দিলারা সুলতানা মেরী
আয়নামুখে এক নির্জন মানুষ দেখি;
তার চোখে শাপলার ঝিল, কবেকার
বর্ষার মেঘগুলোর বধ্যভূমি;
নাকি দলাপাকানো থুথু!
চাঁদের আদুরে বৈঠকে জানালায় মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরে
যত পুতুলগুলো। এঘর ওঘর ছুটে একসময় ঘুমায় ভুতগুলোও;
রূপকথার গল্পের বই থেকে এক পাখাওয়ালা ইউনিকর্ণ আমাকে
কাঁধে চাপিয়ে নিয়ে যায় দূর এক জাদুময় অরণ্যে; সব যুদ্ধ জিতে
আমি তোমার মার্বেল প্রাসাদে...
১৫ ই অগাস্ট ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর অন্নদাশংকর রায়ের প্রতিক্রিয়া- 'কাঁদো, প্রিয় দেশ' যা প্রকাশের পরপর ভারতে নিষিদ্ধ হয়েছিল--
[ কাঁদো, প্রিয় দেশ-অন্নদাশংকর রায় ]
শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়ের শ্রদ্ধাঞ্জলিঃ এর চেয়ে নিখুঁতভাবে হয়তো আর বলা যায় না...
[ [url=http://www.mediafire.com/?jnhj2gjhk3j]বঙ্গবন্ধু- রথীন্দ্রনাথ র...
.
তাঁকে হত্যা করার আগে
একটুও কেঁপে উঠেনি ওদের হৃদয়
কেনো না ওরা তো মানুষ নয়
মানুষ ছিলো না কোনোদিন।
তাঁর ভালোবাসায় উপচে পড়া বুকে
বুলেটের নির্দয় নগ্নতাকে তাক করার আগে
দ্বিধান্বিত হয়নি একবারও তাদের হিংস্র নখর
কারণ, ওরা মানুষ ছিলো না কখনোই
মানুষের কোনো নখর থাকে না,
মানুষের গর্বিত আঙুলে জড়ানো থাকে মোহন স্নিগ্ধতা।
ঘাতকেরা মানুষ হয় না কখনো
ঘাতকের কোনো জাতিসত্তা নেই।
(১৫/০৮/১৯৯৬)
একটি বিকেল একটি মঞ্চ একটি বিশাল মাঠ
একটি আঙুল একটি স্বপ্ন একটি কবিতা পাঠ
একটি শপথ একটি লক্ষ্য একটি উথাল সাত
একটি আঘাত একটি আদেশ একটি ভয়াল রাত
একটি লড়াই একটি স্লোগান একটি বারুদ-ঘর
একটি শকুন একটি বুলেট একটি ডিসেম্বর
একটি পতাকা একটি স্বদেশ একটি পিতার লাশ
একটি মানুষ একটি জাতির রক্তের ইতিহাস!
তখন আমার বয়স কতই বা হবে, ক্লাস সেভেনে পড়ি। আমার বাবার দেয়া লাল ডাইরীটা সামনে ধরে বৃষ্টি দেখছি। বৃষ্টির ফোটাগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে দেখে লিখে ফেললাম একটা কবিতা। সম্ভবত ঐ কবিতাটাই প্রথম লেখা কবিতা। তারপর মাস খানেকের মধ্য লিখে ফেললাম আরো গোটা দশেক কবিতা। ডাইরীর শেষ কবিতাটা ছিল একটা ফুল নিয়ে, কবিতার নাম "কৃষ্ণকমল"। কবিতার মূল ঘটনা ছিল- একটা ফুল যেটা নাকি প্রতি ১০০০ বছরে একবার ফুটে, ওটা ...