ছেলেবেলার একটা দিনের কথা মনে হলেই চোখের সামনে অনেক কিছু ভেসে উঠে। একটা সময় ছিল যখন ঈদ মানে ছিল অন্যরকম কিছু একটা। সকালে ঘুম ভাঙ্গতো বাসার পাশের মসজিদ থেকে মোয়াজ্জেমের মাইকিং শুনে। অস্থির হয়ে ঘুম থেকে উঠতাম... চারপাশ দেখতাম। সবকিছুই কেমন যেন নতুন মনে হত। অন্যদিনের আকাশ থেকে সেদিনের আকাশটাকেও একটু অন্যরকম লাগতো। চারপাশ কেউ যেন একটু অন্যরকম করে সাজিয়ে দিয়ে যেত। ছোট-বড় সবাই মনের আ...
[justify]পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে তৈরি হয়ে নিলাম, যেতে হবে বার্ড কলেজ নামের এক কলেজে, জঙ্গলের ভিতরে জনমনুষ্যহীন এক জায়গায়। কোন বাস বা ট্রেনও বলে যায়। তবে প্রাকৃতিক দৃশ্য খুব সুন্দর, আর সেই সৌন্দর্যের কবলে পড়ে নাকি সেখানের ছাত্ররা বছরের পর বছর এক নাম্বার স্থান পেয়ে আসছে। আপনারা হয়ত ভাবছেন, সেখানের পড়াশুনা এত ভালো হলে আপনারা নাম শুনেননি কেন? আপনাদের সন্দেহ অমূলক নয়, এরা প্রথম স্থান অধিক...
কথাটি আমার নয়, এক বাল্যবন্ধুর। তার সাথে অষ্টম শ্রেনতে প্রথম দেখা। আমার চেয়ে তার বয়স ছিলো ৫ বছর বেশি। এই বেশির কারণটি নিশ্চয় বুঝতে পারছেন! তবে বিষয়টি আমি নিজেই তখন বুঝিনি। অষ্টম শ্রেনীতেই মোটা গোঁফ; কিঞ্চিত কৌতুহলবশত তাকে প্রশ্ন করতেই একরকম গড়গড় করে বলেছিলো, পঞ্চম শ্রেণীতে দুই বার, আর সপ্তম শ্রেণীতে দুইবার ডাব্বুমেরে এখন এখানে।
কি ভয়ংকর রে বাবা! ডাব্বুমারার গল্প এতো হাশিখুশিভ...
শক্তিকে বড় মনে পড়ছে, এই যে সামনে পড়ে বাংলাদেশ আর তার নদীগুলি ঠিক যেন হাতের আঙ্গুল লিখে চলেছে ক্রমাগত, সমুদ্র অগ্নি ও চাঁদ। হলুদ বালিতে লুটাচ্ছে শালটা, কাঙাল গান ভাঙছে কক্সেসবাজারের ঢেউ।
আমি লিখছি শক্তির জন্য। আকুলতা ছড়ানো আছে বকুল মালতিফুলে। ফুলগুলি দুলছে, শিশিরে ভিজছে, চমকে উপরে তাকিয়ে দেখছে জ্বলন্ত চাঁদ।
আমি মাতাল হতে পারি না, শক্তি মাতা...
আমার ছোট ছোট চোখ দুটি যদি হয় শোকেজের তাক, তাহলে আমার ছোট বেলার প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি দিন সেই শোকেজের তাকে সারি সারি করে সাজানো একেকটা মহা মূল্যবান শো পিস। আমার বুকের ভেতরের শ্বাস-প্রশ্বাসের যন্ত্রটা যদি হয় পৃথিবীর বৃহত্তম গুদাম, তাহলে সেখানে সারি সারি ভাবে পণ্যের বস্তার মত সাজানো আছে আমার ছেলেবেলার মধুর দিন গুলি, আনন্দঘন মুহূর্ত গুলি। আমি ভুলতে চাইলেও ভুলতে পারি না। ছোট বেল...
[justify]
কোন গান নিয়েই দু'কলম লেখার মত এলেম আমার নেই। যদিও আমি গান শুনি এবং তা হাতে গোনাই কিছু। একই গান বারবার শোনার বদভ্যাসটা তীব্র মাত্রায় বিদ্যমান। নতুন গান বের হলে কখনই নিজে থেকে শুনি না। কেউ যদি ভালো বলে তবেই শোনা হয়। বুঝতেই পারছেন গান শোনার দিক থেকে আমি বোধহয় অধিকাংশের চেয়েই অনেক পিছিয়ে। তবু আজকের বগরবগরের খানিকটা এই গান নিয়েই।
ইন্টার পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুদিন আগের কথা। পরী...
বাসের জন্যে দাড়িয়ে আছি, বাসের নাম্বার কিউ ৪৬, এটা নিউ হাইড পার্ক থেকে কিউ গার্ডেন পর্যন্ত সারা দিন-রাত যাতায়াত করে, ১৫ মিনিট পরপর। আমি থাকি ২৬৬ স্ট্রিটে, আর পাতাল রেলের স্টেশন ১১২ স্ট্রিটে, ১৪৪ ব্লক বাসে যেতে লাগত প্রায় ৪৫ মিনিট, মহা বিরক্তিকর। বাস আসছে না, এদিকে 'ইটালিয়ান আইসেস' নামে সামনে একটা আইস্ক্রিমের দোকান দেখে এগিয়ে গেলাম মেনু দেখতে। একটা নাম দেখে হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে...
তখন কতো আর বয়স। হাঁটতে পারি, কথা বলতে পারি, এই। স্কুলে পড়ি কি না মনে করতে পারি না। একমাত্র বড় ভাই পড়ালেখা করতেন দূর নগর সিলেটে। শীতে বাড়িতে আসতেন। ভাই বাড়ি আসা মানেই গ্রাম ভরে উঠবে খেলাধূলার ঢেউয়ে।
হয়তো কিছুটা শীত নেমেছে বা অনেকটাই। অনেক সকাল ডুবে থাকে কুহেলিকায়। মন চাইতো আরেকটু ঘুমাই, মা'কে জড়িয়ে থাকি। কিন্তু ঘুমাতে পারি না। ভাই এসে নিঃশব্দে ডাকছে, যাতে মা- সে শব্দ শুনতে না পারে। ...
বাবা, তোমাকে নিয়ে লিখবো প্রায়ই ভাবি... কলমে কিংবা কিবোর্ডে, ভেবে পাইনা কি করে শব্দগুলো সাজিয়ে নেওয়া যায়! জানি, "অন্ধকারে সিগারেট" অথবা "আব্বুকে মনে পড়ে"-- অমন মায়াজাগানিয়া পোস্ট লেখা আমার সাধ্যের বাইরে, কিন্তু হিজিবিজি হলেও কিছু লিখতে ভীষণ মন চাইছে যে.... মেয়েরা নাকি বাপঘেঁষা হয়, আমিও হয়তো হতাম-- সবাই তো বলে আমাদের মুখের আদল এক, স্বভাবেও হয়েছি অনেকখানি একই... তবু পুরোপুরি ত...
(.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
)
কবেকার কোন বৈশাখী মেলা থেকে একটা লাল
ডুরে শাড়ি কিনে এনে দিইনি বলে সে
আমার থেকে দূরে সরে সরে থাকে শুধু।
ব্যস্ত দুপুরের কোন একদিন একটা কাঠি
লজেন্স অথবা হাওয়াই মিঠাই এর আবদার আমার
মন ভুলে গিয়েছিলো হয়ত, সেই
থেকে, অভিমানী মেয়ে গাল ফুলিয়ে কেবলই
ছলছল চোখে চেয়ে দেখে আমাকে, কাছে আসে না।
বিকেলের ভেজা আলোয় আজ মনে পড়লে এক হাত...