আব্বু-ম্মু, এক আত্মা হলেও মানুষ তো দুইজন। একজনকে তো আরেকজনের চে' কম ভালবাসিনা। তাই দু'জনের একজন অডিটোরিয়াম-এ প্রবশাধিকার পাবে আরেকজন পাবে না, কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলাম না। কার্ড নেবার সময় জিজ্ঞেস করছিলাম, উপযুক্ত কোন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলে আরেকটা কার্ড পাবো? জানলাম এমন কোনো পক্ষের কথা কারও জানা নাই। হতাশ হলাম। ওদিকে সৃষ্টিকর্তা বোধহয় স্মিতহাস্যে মজা দেখছিলেন, আর বলেছি...
তখন ১৯৮৭ সাল, সবে রাজশাহী গভঃ ল্যাবে ভর্তি হয়েছি চতুর্থ শ্রেনীতে। এমনি ভর্তি পরীক্ষা হয় না, সেবার কিছু স্থান বাড়ানোর সুবাদে আমি ভর্তি হয়েছি। এলাকার সেরা স্কুল, ভাবসাবই আলাদা। গর্বে আর মাটিতে পা পড়ে না আমার। নতুন স্কুলে গিয়ে নতুন বন্ধু হবে, তবে নতুন হিসাবে কিছু জটিলতার মাঝে দিয়ে যাবার পরেই না বন্ধু পাওয়া যাবে। নতুন হিসাবে কোন ভুলচুক করলেই সবাই আমকে নিয়ে হাসাহাসি করে, লজ...
পর্যটক হিসাবে সুন্দরবনে গিয়ে বাঘের দেখা পেয়েছেন তেমন লোক হাতে গোনা যাবে। আর খপ্পরে পড়েছেন?
নভেম্বরের তিন, সাল দু'হাজার আট। সকাল থেকে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে সারা বিশ্ববিদ্যালয় (আই ইউ টি) জুড়ে। আবাসিক হলের ঘরে ঘরে অনেক অচেনা মানুষের আনাগোনা। কারো কারো চেহারার আদলই বলে দিচ্ছে তাঁরা কার অভিভাবক। অপ্রচলিত রঙের একটা গাউন পরে তাঁদের সন্তানেরা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের দেখছে। কারো কারো মুখে পরিষ্কার অসন্তোষ, টুপিটা মাথায় ঠিকমত আটছে না। পাশ থেকে অভিভাবক নিজের অভিজ্ঞতা থেকে ...
'বোটানিক্যাল গার্ডেন' - এর বাংলা কি হওয়া উচিৎ? আর যাই হোক, নন্দন কানন নিশ্চয়ই নয়, কারণ যতদূর মনে পড়ে, বোটানিক্যাল গার্ডেনের সৃষ্টি বৈজ্ঞানিক গবেষণার অভিপ্রায় থেকে। সেই হিসেবে এর মানে হওয়া উচিৎ উদ্ভিদ বিদ্যার্থক কানন বা এজাতীয় কিছু, কারও যদি সঠিক বাংলা শব্দটা জানা থাকে তাহলে কৃতার্থ থাকব। এই লেখার মূল উদ্দেশ্য অবশ্য বোটানিক্যাল গা্র্ডেন এর বাংলা কি তা না, বরং মূল প্রসঙ্গে যাবার আগ...
এখানে যারা যারা প্রবাসি আছেন, হাত তুলেন দেখিঃ কার কার বাসায় সিদ্দিকা কবীরের “রান্না খাদ্য পুষ্টি” বইটা আছে? কোথায় যেন পড়েছিলাম (হয় তো জাফর ইকবালের লেখা) যে প্রবাসি বাংলাদেশিদের বাসায় কোরান শরীফ না থাকলেও একটা “রান্না খাদ্য পুষ্টি” আছে।
এই বইএর সাথে আমার পরিচ্য় বেশ ছোট বেলায়। আমার মার একটা কপি আছে, প্রথম দিক কার মুদ্রণ, গা...
আমার যখন দেড় বছর বয়স তখন একজন ভদ্রমহিলা তার ছ'বছরের মেয়ের হাত ধরে আমাদের মফস্বল শহরের টিনের-চালা বাংলো বাড়িতে কাজ করতে এলেন। গ্রামের গৃহস্থ বাড়ির বউ ছিলেন, বাচ্চা হবার সময় শহরে বাবার কাছে এসেছিলেন, তার স্বামী নিচ্ছি-নেব করে আর বাড়ি ফিরিয়ে নিলেন না। ছোটো মেয়েটাকে নিয়ে কাজ খুঁজতে খুঁজতে আমাদের জীবনে চলে এলেন। রাতারাতি 'আদরে বাঁদর' করার মতো দু'টা মানুষ পেয়ে গেলাম আমি! আমার যত আব্দার ...
স্কুলে 'সপ্তর্ষি' অর্থাত্ আমরা সাত বিচ্ছু ছিলাম অতি কুখ্যাত ! পড়াশুনোয় মন্দ ছিলাম না , এক থেকে দশেই আটকে থাকতো সবার রোল নাম্বার...সেকারনেই অনেকবার মরতে মরতেও বেঁচে গেছি | ক্লাস নাইনে তখন , সময়টা ২০০১...টিচাররাও মোটামুটি হাল ছেড়ে দিয়েছেন এই ভেবে --চলেই তো যাচ্ছে মেয়েগুলো ; আর তো মাত্র কটা দিন !! মাধ্যমিকে ঐচ্ছিক বিষয় ছিলো কম্পিউটার; জিনিষটার কিছুই বুঝি না তবু ফাঁক পেলেই ঘাঁটাঘাঁটি করি .....
[justify]
তোমায় নিয়ে অনেকদিন হাঁটা হয় না। সেই যে মনে আছে, কার্জন হলের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের নিচে বসে তুমি অপেক্ষা করতে। আমি বাসে করে এসে হাইকোর্টের সামনে নেমে রুদ্ধশ্বাসে আসতাম। এসে দেখতাম রোদের আলো থেকে বাঁচার জন্য তুমি ওড়না মাথায় দিয়ে বসে আছো। কতদিন তোমার ওড়নার গন্ধ নেয়া হয় না।
তারপর সেখান থেকে উঠে সুইমিং পুলের পাশের ফুটপাত ধরে হেঁটে যাওয়া। ঐ যে, ঐখানে একটা কোক-ফান্টার গাড়ী সবসম...
সকালেই ফিরে এলাম চট্টগ্রাম থেকে। চট্টগ্রাম। আমার জন্মভূমি। আমার প্রিয় শহর। তেইশ বছরের জীবন, যার বাইশখানাই কেঁটেছে সেই সমুদ্রের কোল ঘেঁষে। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই যে জন্ম নিয়েছিলাম চট্টগ্রাম সামরিক হাসপাতালে, এখনো বয়ে বেড়াচ্ছি চট্টগ্রামের স্মৃতি, যদিও অবসরপ্রাপ্ত বাবার সুবাদেই এখন আমাদের বর্তমান ঠিকানা রাজধানী ঢাকা। বাইশ বছরের আনন্দময় জীবন আজ স্মৃতি হয়ে চোখ দুটো শ...