নারী দিবস। মাতৃ দিবস। আমার মা-এর কাছে এই দিবসগুলি কোন বিশেষ বার্তা আনে না। তা বলে বার্তাগুলি থেকে তিনি দূরে থাকেন না। নিয়মিত খবরের কাগজ পড়েন। খবরের সাথে নিজেকে সংপৃক্ত রাখেন। বস্তুতঃ সেই পাঠ-ই তাঁকে সচল রেখেছে। কিন্তু তাঁর চারপাশের দুনিয়ায় তিনি অপ্রয়োজনীয় হয়ে গিয়েছেন। তাঁর মানসিক আর শারীরিক সক্ষমতার যতটা অবশিষ্ট আছে, তাতে উন্নত দেশের বাসিন্দা হলে তিনি এখন-ও সক্রিয় জীবনযাপন করতেন। কিন্তু নিজের দেশে, সন্তানের সংসারে শিশুপালনের ভূমিকা পার হয়ে গেলে নিজের জনেদের মধ্যে থেকেও অনেক কাল-ই তিনি তাঁদের চলমান, ঘটমান জীবন প্রবাহ হতে বিচ্ছিন্ন। তাঁর মত, তাঁর বয়সীরা আরও অনেকই। সেখানে সেটাই রীতি।
বাসায় নারী জাগরণের ভুতটা প্রথম আনলো মা।
অক্ষমের অপারগতার স্বীকারোক্তি:
এই লেখাটা ঠিক নারী সপ্তাহ কে উদ্দেশ করেই নয়। সচলে বাল্যবিবাহঃ বাবামায়েরা কি জানেন তারা কী করছেন? লেখাটি পড়ে মনে এলো, এই ধরণের ঘটনা যে সকল কিশোরীর জীবনে ঘটেছে অথচ যারা লিখতে-পড়তে জানেনা, এরকম কত-শত কিশোরী/বালিকার মনঃপীড়ার কথা আমরা কোনদিনই জানবোনা।
আমার দেখা/জানা এমনই এক কিশোরীর জীবনের কিছু কথা:
ঘটনা ১-
ছোটবেলায় আব্বুর সাথে বাজারে যেতে বেশ ভালোবাসতাম। বাজারে গিয়ে বিবেচকের মতো সবজি পরখ করে দেখতাম। একবার টিপে টমেটো গেলে ফেলাতে ঐ মাতুব্বরিতে ভাঁটা পরে।
একদিন খবর পেলাম ছোট ফুপা মৌলবাদী হয়ে গেছেন। খবরটা শুনে হাসব না কাঁদব বুঝতে পারলাম না। কারণ আমার সেই সুদূর অতীতের কথা মনে পড়ে গেল।
অনেক অনেক দিন আগের কথা। তখন আরবের লোকেরা গুহায় বাস করতো, গণি মিয়া ছিলো একজন গরিব কৃষক। সেই প্রাগৈতিহাসিক সময়ে ফেসবুক বলে কোন জিনিস ছিলো না। সেই সময় আমাদের যতরকম গিয়ানজাম করার জায়গা ছিল এই সচলায়তন। হেন কিছু নেই যেইটা নিয়ে আমরা একটা ব্লগ লিখে ফেলতাম না।
১
"বাবু! বাবু! ওঠো! ভূমিকম্প, বাবু! ওঠো!"
হ্যাঁচকা টানে ঘুম ভেঙে যায়। ঘুটঘুটে অন্ধকার। সে কোথায়, কী করছে মনে করতে পারে না। ঘুম ছুটতে ছুটতে ভাবতে থাকে। রাতে বাবা খেলা দেখছিলো। বাবু আর মা আগে আগে শুয়ে পড়েছিলো। তারপর?
যদি আজকেই প্রকাশিত হয় তাহলে চৈত্র সংক্রান্তির শুভেচ্ছা
আর নইলে একটি কামারুজ্জামানমুক্ত নতুন বছরের শুভেচ্ছা