[justify]শেষ পর্যন্ত বুয়েট জীবনের তিন-চতুর্থাংশ পার হয়ে গেল। গতকাল ছিলো লেভেল - ৩ এর শেষ ক্লাস। এমন সময়ে প্রিয় কিছু চেনা মুখকে বিদায় দিতে হচ্ছে, সেজন্য মন যেমন ভারী; তেমনি নিজেদেরকে ক্যাম্পাসে সবার বড় অবস্থানে দেখে কেমন যেন একটা অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে। বুড়িয়ে যাচ্ছি নাতো?
২০০৬ সালের ২৮ জানুয়ারী এ যাত্রা শুরু হয়েছিলো। না না... যাত্রা শুরু আরো আগে, সেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবার পর থেকে ...
দাদার হৃদয়-দৌর্বল্য যখন বিপজ্জনক সীমানা পেরোল, কলকাতার সব ডাক্তারেরা পরামর্শ দিলেন, বাইপাসটা করিয়ে নাও। কিন্তু, কলকাতায় বাইপাস করাতে দাদার ভীষণ আপত্তি। আমাকে বলল, 'পিজির ডাক্তারেরা বছরে চারটে কেস পায়, তার মধ্যে দুটো টেবিলেই অক্কা পায়, ডাক্তারেরা আইন বাঁচাতে ICCU-তে নিয়ে গিয়ে অফিসিয়ালি মারে, একটা ICCU অবধি পৌঁছিয়ে সেখানে পটল তোলে, আর যেটা যমের অরুচি, ডাক্তারেরা শত চেষ্টা করেও কিছু করত...
এই পর্ব লিখিতে বসিয়া আমি যেন দীর্ঘকালের আটকাইয়া রাখা দীর্ঘশ্বাস ছাড়িলাম, আর আশা করিতেছি, আমার প্রিয় সচলের পাঠকগন ও ছাড়িলেন, কারন তাও খুবই স্বাভাবিক, ৫নং মানে আপাতত এই সিরিজের ইতি, যদি না আবার কোন মামার নেক নজরে পড়িয়া যাই, তাহার পর আবার আসিয়া সচলে ইনাইয়া বিনাইয়া সেই গল্প ফাঁদিয়া বসি। যদিও মনস্থির করিয়াছি, যথেষ্ট সংযত হইয়া গাড়ী চালাইব যাতে করিয়া এরূপ না ঘটে, তবে কিছ...
২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট আমার কাছে ভীষণ মন খারাপের সকাল। আমার সে সময়কার অফিস দীর্ঘদিন ম্যানেজারহীন হয়ে থাকার পরে আমাদের কলিগদের মাঝে যে ‘টীম ওয়ার্ক’ গড়ে ওঠেছিলো তা ‘শ্যাষ’ হয়ে যাবে সেদিন। শুনেছি ইউএনডিপি-তে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে নেপাল থেকে আসছে নতুন ম্যানেজার। তাই আমরা অনুমান করে নিই - রুমের এক কোণায় একজন বয়স্ক ম্যানেজার বসে থাকবে। আর হৈ-হল্লা করা যাবে না, কাগজের প্লেন বানিয়ে এদিকে ও...
[পথ ও পথিকের কাজকর্ম এখনও সেন্সরবোর্ড কতৃক ছাড়পত্র পায়নি, যে এখনও আসেনাই তাকে নিয়ে হাহুতাশ না করে বরং চলেন আমরা বিবিধ আবজাব নিয়ে আমার মূল্যবান কথাবার্তা চোখ বড় বড় করে পড়ি! আমার আজকের বিষয় আমি নিজে, নিজেকে ম্যাগনিফাইং গ্লাসের নিচে একটু দেখব, আজ নিজেকে অসম্ভব অসহ্য লাগছে, কিছু ফ্ল্যাশব্যাক আর কিছু প্যানপ্যানানি সমৃদ্ধ আমার আজকের এই প্রযোজনা!]
কয়েক বছর আগে একটা সময় ছিল যখন আমি নিজ...
আমার দিন চলে যায় আপন তালে। ছন্দ ভুলে সুরের জন্য দূরে কান পেতে থাকি-পাব; কিন্তু পাওনা আলা হাত পাতে তার পাবার আশা। শেষ বিকেলে ঘরে ফিরে সচল পড়ি ক্লান্ত মনে। পড়ি কি আর পড়ার মত! পড়লে পরে লেখার ঘরে ভরতো কত! উল্টে দেখি, পাল্টে দেখি, দেখতে দেখতে তাদের দেখি, যাদের লেখা মনের কোনে দাগ কেটে যায় আপন মনে। শেষ অবধি তাদের দেখি লেখায় লেখায় আপন মনে। চোখ চেনে না, হাত চেনে না, বাজে না কোন কথার আওয়াজ শুধুই কা...
রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর ভারতীয় কংগ্রেস উঠেপড়ে লেগেছিল তাঁর সদ্য-বিধবা স্ত্রীকে রাজনৈতিক মঞ্চে নিয়ে আসার জন্য। সনিয়া গান্ধীর ইচ্ছে ছিল না। আবার এত জন বড় বড় নেতার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতেও তাঁর অসুবিধা হচ্ছিল। তিনি কিছুদিন সময় চাইলেন। খবরের কাগজে জানা গেল, অমুক তারিখে সনিয়াজী তাঁর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন।
আমাদের অফিসটা পি.টি.আই (Press Trust of India)-র পাশেই। এই রকম বড় বড় খবর গুলোর হেড...
আপনারা যারা এই পর্বটি পড়িবেন, তাহাদের দুর্দশা চিন্তা করিয়া আমার খারাপই লাগিতেছে, লেখার ধারাবাহিকতা ঠিক রাখিবার জন্যে এই পর্বটি লিখিলাম, কিছুটা স্বার্থপরতাও আছে এর পিছনে। হয়তো এতক্ষনে ভাবা শুরু করিয়া দিয়াছেন আপনারা, এই বেটা কতদিন এইভাবে চাপা মারিতে থাকিবে, কেউ কী এতবার বেলের বাড়ী খাইয়াও অসাবধান হইতে পারে? কিন্তু যেমনটি তাতাপু বলিয়াছেন, গাড়ী চালাইলে টিকেট খাইতে হইবে,...
আমার ছোটবেলা কেটেছে ছিমছাম সুন্দর এক পাহাড়ী শহরে। যে শহরের মানুষ সবাই সবাইকে চিনতো জানতো। একে অপরের বিপদে হাত বাড়িয়ে দিত বন্ধুর মতো। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ সবার ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অন্যরা ছিল আমন্ত্রিত। রাতে সবাই ঘুমাতো দরজার ছিটকিনী না লাগিয়ে। কিশোরী-তরুনী মেয়েরা ভয়হীন জড়তাহীন পায়ে রাস্তায় হাঁটতো- কেউ ওদের বিরক্ত করতো না। ওদের রিনরিনে কন্ঠের হাসি পাহাড়ী পথে ঝর্ণার ছুটে চলার মত...
অবশ্য হইলেও হইতে পারে...আজকাল্কার পথিকেরা বড়ই বেশরম, উহারা আজকাল 'তু চীজ বড়ি হ্যায় মাস্ত মাস্ত'ও গায়না, 'u're beautyful' কইয়া চেচাইতে চেচাইতে কাপড়জামা খুলিয়া নগ্নগাত্রে পানিতে ঝুব্বুস করিয়া ফাল পাড়ে। প্যান্ট যেইখানে পড়ে আর সেইখান থেকে যা উঁকি দেয় উহা যে সকলেরই আছে আর নতুন করিয়া কারও দেখিবার প্রয়োজন নাই উহা তারা যেন বুঝিয়াও বুঝিতে চায়না... ভয় হয় উহাদের এই নিয়ে ধমকাইলে ঐ ধমকের চোটেই আর নিজের ভ...