আমি তখনও স্কুলে ভর্তি হইনি। কোন একদিন সকালবেলা আমরা কয়জন বাচ্চা-কাচ্চা বাসার সামনে টিলোস্প্রেস(পলানটুকটুক) খেলা খেলছিলাম। হঠাৎ দাদা বললো, “পাগলু, বেড়াতে যাবি নাকি?” আমি খেলা ভুলে দাদা ও ছোট চাচার সাথে রওনা দিলাম। উদ্দেশ্য ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ। ধানমন্ডি থেকে মোহাম্মদপুর, দূরত্বটা সামান্য-ই। কলেজ প্রাঙ্গনে এসে আমি হতভম্ভ এবং একই সাথে আনন্দিত। এতো বিশাল স্কুল ঢাকায় আছে, ...
নৌকা থেকে নেমেই প্রথম সংলাপটা ছিল ইকবালের। প্রচন্ড তিক্ত, বিরক্ত, বিধ্বস্ত, লাইফ জ্যাকেটের ফিতাবদ্ধ ইকবালের মুখ দিয়ে যেটা বেরুলো-
'দুশশালা! এ কী জায়গা? এই বালি দেখতে এত ফাইটিং করে এখানে আসতে হইছে? কী আছে এখানে ঘোড়ার ডিম! আগে জানলে আমি আসতামই না। তবে আগামী এক সপ্তাহেও ফিরতেছি না আমি। সমুদ্র শান্ত না হওয়া পর্যন্ত ফিরে যাওয়ার কোন ইচ্ছে নে...
(পার্থসারথি মুখার্জী)
আজকাল এক দারুণ সমস্যায় পড়া গেছে । সে এক ভীষন গন্ডগোলের ব্যাপার । এমন যে হবে সে কথা কোনদিন স্বপ্নেও ভাবিনি । ভেবে দেখলাম অচল হয়ে বসে থেকে তো লাভ নেই , সমস্যা সমাধানের জন্য সচল হওয়াই ভালো । দেখুন তো কোন উপকার করতে পারেন কি না । সমস্যাটা হল আমার এখন আত্মস্মৃতি লেখার বাসনা জেগেছে মনে । আচ্ছা কি মুশকিল বলুন দেখি ! গরীবের এসব রোগ কেন ? কি বলছেন ? এতে সমস্যাটা কোথায় ? আরে...
আমার লেখার হাত কখনই ভাল নয়। তার উপর আবার আমি শব্দ দিয়ে আমার মনের ভাব প্রকাশের ক্ষেত্রে একেবারেই অপদার্থ। প্রবাস জীবনে ছোট ছোট ঘটনাও যে কিভাবে মাঝে মাঝে আবেগপ্রবণ করে তোলে তারই একটি ছোট্ট গল্প আমার এই লেখা। যদি কারও ভাল না লাগে, তবে নিজগুণে ক্ষমা করে দিবেন।
দুই নয়ন অশ্রুসিক্ত না হলেই মনটা ছিল ভেজা। নাহ্, কোন চরম দুঃখ নয়, হঠাৎ অনুভূত হওয়া স্নেহ ও মমতার স্পর্শই আমার এই অবস্থার জন্য ...
ছাতক বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়। ক্লাস আটতক তিনি পড়াতে আসেননা। নয়য়ে উঠলেই ইংরেজীর প্রথম ক্লাসে দেরী করে গেলে তোমার কোনো শাস্তি হবেনা। বরং প্রথমেই জানিয়ে দেয়া হবে ইচ্ছেমত অনুমতি না নিয়েই ঢোকা যাবে ক্লাসে। তিন বছর এমন করে কেউ বলেননি আমাদের। উর্ধ্বশ্বাসে ক্লাসে পেৌছে দুসেকেন্ডের দেরীতে বেঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে থাকা নিয়ম ছিল। সেই প্রথম শ্রী চন্ডিদাস ভট্টাচার্য, আপনাকে চেনা। আর ছোট বেলা...
[url=http://www.sachalayatan.com/guest_writer/23495 ]তৃতীয় পর্ব এখানে[/url]
পাগলা ঢেউয়ের দাপাদাপি
নৌকা ছাড়ার আগ মুহুর্তে কাঁধে ক্যামেরা ব্যাগ ঝুলিয়ে এক ভদ্রলোককে উঠে আসতে দেখলাম। আরে, ইনি তো রুমী ভাই। এলাকার সিনিয়র ভাই। টেকনাফে একটা মেরিন গবেষনা প্রতিষ্টানে চাকরী করেন। আমাদের দেখে রুমী ভাই তাজ্জব। বললেন উনি সেন্টমার্টিন যাচ্ছেন অফিসিয়াল কাজে কিছু সামুদ্রিক উদ্ভিদ ও প্রানীর ছবি তুলতে। ইকবাল সমুদ্রে বিপদে...
অনেক আগে, মন ভালো করার দায়িত্ব দিয়েছিলাম একজন কে।
তারও আগে, মন ভালো করার দায়িত্বে ছিল একটা পাহাড়।
মন খারাপ হলেই গিয়ে বসে থাকতাম তার চুড়োয়।
আমার শাবিপ্রবির জীবনটা নানা টানা পোড়েনের মাঝে কেটেছে। শাবিপ্রবি তে এসে আমি প্রথমবারের মত পৃথিবীর পথে একা নেমেছিলাম। তার আগে 'পৃথিবীর পথে' আর 'পৃথিবীর পাঠশালায়' ঘোরা হয়েছে ম্যাক্সিম গোর্কির হাত ধরে। বইয়ের পাতায় পড়া সংগ্রামের সাথে যাপিত জীব...
বোনপোকে বুয়েটে পৌঁছে দিয়ে সন্ধ্যার পর বাসায় ফিরছিলাম - পলাশী থেকে ফুলার রোড ধরে। এই রাস্তাটা দিয়ে যখনই যাই আমার চোখ পড়ে উদয়ন স্কুলের সামনে্র সড়কদ্বীপের দিকে। আমার বুক চিরে একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়। মনে পড়ে এইখানে এখন যে ভাস্কর্য আছে তা হবার কথা ছিলনা। অন্য কিছু হবার কথা ছিল। আমাদের একটা বিমূর্ত স্বপ্ন এখানে মূর্ত হবার কথা ছিল। এখানে শতাব্দী স্মারক ভাস্কর্য “বিশ্ব মায়ের আঁচল পাত...
আমেরিকার সিয়েরা আর ইংল্যান্ডের মারলিন যখন প্রথম বারের মতো দেখা করে তখন একজনের বয়স ৬৭ আরেকজনের ৬৮। অথচ দু'জনের যোগাযোগ শুরু আরও ৫৬ বছর আগে। আটলান্টিকের ওপার থেকে চিঠি আসে সিয়েরার স্কুলের ঠিকানায়। তারপরে দুজনের পত্রমিতালী। এতোদিন পরে সেসব স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে দু'জনই স্মৃতি বিহবল হচ্ছে, বলছে - কী কী তারা শেয়ার করতো চিঠিতে - কী করে মাঝে ৮ বছর যোগাযোগ হয়নি, আবার কীভাবে যোগাযোগ হলো, এই...
চুনার থেকে আমরা রওনা দিয়েছি বিন্ধ্যাচলের দিকে । বারাণসী থেকে চুনার প্রায় ৪০ কিলোমিটার আর বিন্ধ্যাচল প্রায় ৬০ কিলোমিটারের ওপর । ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে সোজা যাওয়া যায় । বিন্ধ্যাচলে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে হাতে সারাটা দিন রাখুন । আর হাতব্যাগে রাখুন খাবার দাবার । অনেকটা পথ । মাঝখানে খাওয়ার খুব একটা সুবিধে নেই । এই জাতীয় সড়ক ধরে লম্বা পথের সাথী সেই চিরপরিচিত গঙ্গা আর রেললাইন । তবে চুনার আ...