“এখানে যারা প্রান দিয়েছে রমনার উর্দ্ধমুখী কৃষ্ণচূডার তলে
যেখানে আগুনের ফুলকীর মত এখানে ওখানে জ্বলছে অসংখ্য রক্তের ছাপ
সেখানে আমি কাঁদতে আসিনি”
ইউটিউবে মাহবুব উল আলম চৌধুরীর লেখা আর কাজী আরিফ এর কন্ঠে ‘একুশের প্রথম কবিতা’ শুনছিলাম। কেন জানি কোনভাবেই কাজে মন বসাতে পারছিলামনা। আজ কানাডাতে ১৯ শে ফেব্রুয়ারী বিকেল ৫ টা, বাংলাদেশে ২০ ফেব্রুয়ারী সকাল ৬ টা।২০ শে ফেব্রুয়ারী যার স...
০০
আমি এমনিতে আধুনিক বাংলা ব্যান্ডের গান অনেক শুনি বলা যাবে না, তবে ব্যতিক্রমধর্মী এবং ভালো লিরিকসের যে কোন গানই অন্তত একবার শুনে দেখি সাধারণত। শিরোনামহীনের সাথে পরিচয় এমনভাবেই।
শিরোনামহীনের প্রথম এলবাম বের হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই বুয়েট জীবন শুরু। ঢুকেই শুনতে পেলাম শিরোনামহীন বুয়েটেরই ব্যান্ড, সেই থেকে বুয়েটের কনসার্ট মানেই শিরোনামহীন কিংবা আমাদের চিৎকার করে, "তুমি চেয়...
দেখতে দেখতে প্রায় দশ বছর কেটে গেল। ২০০০ সালের জানুয়ারীর কোন এক শীতের সকালে কিছুটা ভয়, কিছুটা শংকা নিয়ে পা রাখি বনানীর খুব উঁচু এক ভবনে। তার আগে চার মাস প্রি-ইংলিশে আমার মস্তিস্কে গুতিয়ে ইংলিশ ভরার চেষ্টা। পরের চার বছর এটাই আমার ঠিকানা, আমার ভার্সিটি।
মফস্বল থেকে উঠে আসা আমি ফটফট ইংরেজী বলতে পারিনা, কার ড্রাইভ করতে জানি না, ইউ.এস. টপ চার্টের পজিশন হাতড়ে মরি আর ভিতরে ভিতরে ছটফট করি।...
মাত্র জ্ঞান ফিরেছে এমন একজন লোককে জিজ্ঞেস করা হলো - "ভাই, আপনি অ্যাকসিডেন্ট করলেন কী করে?"
"তাতো জানিনা রে ভাই, মনে হয় সাইড দিতে গিয়ে.."
"মানে? ব্যাপারটা খুলে বলুন তো"
"ফুল স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছিলাম। এমন সময় সামনে একজন লোক এসে পড়লো, তখন তাকে সাইড দিলাম। এরপর সামনে রিক্সা চলে এলো, সেটাকেও সাইড দিলাম। তারপর সামনে একটা ব্রিজ এসে পড়লো, দিলাম সাইড! এরপর আর কিছু মনে নাই!"
××××××××××××××××××××××××××
টান...
ছোট বেলায় বেশ জনপ্রিয় রচনাগুলোর মধ্যে ছিল জার্নি বাই বাস, জার্নি বাই ট্রেন এসব। তখন ছোট ছিলাম, খুব একটা ঘোরাঘুরি করতে পারতামনা। তাই এ জার্নি বাই বাস-ট্রেনের রচনার কাহীনিগুলো হতো গৎ বাধা।
যান্ত্রিক এই হল লাইফে প্রায় প্রতিদিন ই বাসে চড়তে হচ্ছে। এখন লিখতে দিলে পরীক্ষার খাতা নিত্য নতুন কাহীনি দিয়ে ভরে তোলা যেত। সেই দিন কি আর আছে? তাতে কি, সচলায়তনের পাঠকদের জন্য রইল এবার একটি ভিন্ন স...
সচলবাসীর কাছে কয়েকটি প্রশ্ন তুলে ধরলাম।
প্রথমে সব প্রশ্ন একবার পড়ে নেন। তারপর কয়েক মিনিট ভেবে দেখেন। আবার প্রশ্ন পড়েন। এবার প্রত্যেকটা প্রশ্ন পড়ে একবার করে ভাবেন আর উত্তর টাইপ করে ফ্যালেন।
ইয়া হাবিবি!
১। যে বই পড়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় মনে হয়েছিল খাটের নিচে ওটা কীসের শব্দ? কাঁথার নীচ থেকে পা বের হয়ে গেলে চমকে উঠেছিলেন। ভেবেছিলেন- একটা ভূত এসে পা কামড়ে দেবে।
২। লুকিয়ে লু...
এখানে অর্থাৎ এই পরবাসে আসার পর থেকে আমার বেশির ভাগ সময় কেটেছে ভারতীয়দের সাথে।বিশেষ করে দক্ষিন ভারতের ছেলে পিলের সাথে।আজ তো প্রায় পাঁচ বছর হতে চলল। কোথাকার কোন আমি, কোথাকার কোন শ্রীনিবাসন --- ভাগ্যের অদ্ভুত খেয়ালে পাঁচ পাঁচটি বছর ধরে এমন ভাবে আছি---যেন সে আমার হারিয়ে যাওয়া ছোট ভাই।
আমার যাদের সাথে ওঠাবসা, তাদের মাঝে সঙ্গত কারনেই আমি বর্ষীয়ান। আমার বয়েসের সব চাইতে কাছাকাছি যে আছে, ...
আক্ষরিক অর্থেই ছলছল করছে এখন চোখ ! গলার কাছে আটকে আসছে ব্যাখাহীন এক ব্যথা ! বারো বছর খুব দীর্ঘ সময় নয় হয়তো, মহাকালের হিসেবে । অথবা খুব দীর্ঘ সময়ই, জীবন-মরণ উত্কণ্ঠার এই সময়ে । বারো বছরে বনলতা ইসকুলের বালিকারা, বধুঁ হয়ে ছেড়ে গেছে বর্ষাকাঠি গ্রাম...বারো বছরে দূর্গার শূন্যতা ভুলে অপু হয়তো বার কয়েক দেখে এসেছে কোলকাতা...সর্বজয়ার হাতে সকরুণ সাদা শাঁখায় হরিহরের মৃত্যচিহ্ন বসে গেছে ! কিংবা ...
স্যাটারডে নাইট
জেবতিক রাজিব হক
উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে এসে শিক্ষার মতো উচ্চ বিষয়ে প্রথমেই মাথা না ঘামিয়ে শুরু করি রোজগার। আমার কামলা জীবন শুরু হয় নিউক্যাসলের শালিমার এশিয়ান কুইজিন নামের একটি বাংলাদেশী রেস্তোরায় ওয়েটার হিসেবে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত কাজ। সপ্তাহ শেষে একশ চল্লিশ পাউন্ড ক্যাশ, থাকা খাওয়া ফৃ। আস্তে আস্তে কাজ শিখলে বেতন আরো বাড়ানোর প্র...
৬. নানা রঙের মানুষগুলি - ১
খোকা চিনাবাদাম, খোকা চিনাবাদাম
টিনের মধ্যে বাদাম, চিনাবাদাম।
এই চিনাবাদাম-কাব্যের রচয়িতা আমাদের পাড়ার শুক্কুর আলীর। শুধু রচনা নয়, সুরারোপ ও গাওয়ার কাজটিও স্বয়ং সে-ই করে। সবাই তাকে শুকরা ডাকে। ঠেলাগাড়ি চালাতো সে। শুকনো পাটকাঠির মতো শরীর, তোবড়ানো গালমুখ, থুতনিতে অল্প দাড়ি। অশক্ত শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে ঠেলাগাড়ি চালানোর পরিশ্রম তার জন্যে দুরূহ হ...