আলমের এই ছোট শালা জাকির, একটু বেয়াদপ আছে। নাকি প্রেম করলে লোকজন বেয়াদপ হয়ে যায়? জিজ্ঞেস করলাম খাওয়ার কি আছে। বলে, বেনসন! বললাম আর কিছু নেই? শালার ব্যাটা কেয়ারই করল না। ফোনে কার সাথে জানি খাজাইরা আলাপ করতে ছিল। সেইটা করতেই থাকলো। ‘... এই তুমি ফোন ধর না কেন? রাগ করেছ? বললাম তো আমি আসলে সেদিন...” শালার তো দেখি বিরাট বাড় বাড়ছে। ব্যটা মুদির দোকানদার। তার উপর আস্ত ঢাকাইলা। কিন্তু প্রেম করার সম...
১৯৯৮।
টাইটানিক নামের একটা ইংরেজি সিনেমার নাম খুব শোনা যাচ্ছে তখন। বিল্লাহ বলত এই ছবিতে নাকি অনেক ''সীন'' আছে। ''সীন'' বোঝার অবস্থা তখনো আমার হয় নি। ছবিতে মাঝে মধ্যে নায়ক নায়িকার হাত ধরাও আমার কাছে কম্পিউটারের কারসাজি! হাত ধরাই অনেক কিছু। এর চেয়ে বেশি কিছু হলেই মাথা আপনা আপনি নিচু হয়ে যেত। কখনো কখনো দেখেও ফেলতাম। রাস্তার পাশে স্টুডিওতে কোন হিন্দী নায়িকার উদার কোন ছবিতে মাঝে মধ্যে চ...
আমাদের অনেকের জন্য এ অভিজ্ঞতা নুতন। দাঁড়িয়ে আছি সিমানায়। ভোর ছ’টায় যখন বুড়িমারী পৌঁছালাম সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়লো সিমান্ত দেখতে, মানুষের তৈরী এ বিভাজন খালি চোখে দেখা যায় না সবাই তা জানে, তারপরও। সাথে যারা আছে তাদের চাইতে বয়স বেশী আর আগেও বেশ ক’বার এসেছি বলে এদের অঘোষিত নেতা বনে যেতে সময় লাগেনি, তাড়া দিলাম বাথরুম সারতে। বাস কোম্পানীর ছোট দুইটা বাথরুমে একটু পর লম্বা লাইন দিতে হবে। এ...
৩. আজ আমার শূন্য ঘরে আসিলো সুন্দর
আমার নানা প্রচন্ড শিল্প-রসিক। শিক্ষায় ডাক্তার, পেশায় প্রফেসর, নেশায় কবিতা আর গানের অনুরাগী। এতটাই বেশি যে রেডিওতে একবার নানার সাক্ষাৎকার পর্যন্ত নেওয়া হয়েছিল। নানা নিজের সংগ্রহের এলপি থেকে কী কী যেন শুনিয়েছিল। রেকর্ডিংটা হারিয়ে গেছে অনেক দিন হয়।
পরিবারে নতুন কোন অতিথি এলেই নামের জন্য নানার কাছে যাওয়া হয়। আমার মা-খালাদের ডাকনাম নানার দেওয়া –...
টুকুন, তোকে গল্প বলি আয়
সে ছিলো এক মেঘপরীদের দেশ,
রুমঝুমিয়ে বাজতো তাদের নূপুর
চিকমিকিয়ে উঠতো তাদের কেশ।
টুকুন তোকে বলেছিলাম আগে,
মাটির সে ঘর, নিকোনো উঠান-
আমকাঁঠালের ছায়ায় ছায়ায় পথ
হাওয়ায় দোলে ক্ষেতের সোনার ধান।
টুকুন, তোকে দেখাবো একবার
এবার যখন আমরা যাবো দেশে-
তখন সবাই গাঁয়ের বাড়ী যাবো
দেখিস, এবার যাবোই ঠিক শেষে।
"প্রতিবারেই তুমি বলো যাবে
কোনোবারেই হয় না যাওয়া জানি-
০১
ধীরে ধীরে ঢাকায় শীত পড়ে যাচ্ছে। গত কয়েকটা দিন হলে ছিলাম র্যাগের অনুষ্ঠান উপলক্ষে। সারারাত ক্যাম্পাসের গেটের সামনের শহীদ মিনারে বসে নয়তো চাঙ্খারপুলে খেতে যাওয়া আসায় কাটতো। এমনিতেই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গাছপালা বেশি, গভীর রাতে প্রায়ই দেখা যেত, গোল গলার হাফ হাতা টি শার্ট পরে আমরা ঠক ঠক করে কাঁপছি।
শীতকালের এই এক দোষ, বয়স আমাদের যতোই হোক, তবু বড্ড নস্টালজিক করে দেয়। কোয়ার্টা...
পর্ব ১ পর্ব ২
সকালের নাস্তা ভালোই হয়েছিল। সিদ্ধ আলু চাক্ চাক্ করে কেটে পেয়াজ মরিচ তেলে ভাজা, পুরী, সবজি, ডিম, দই, নুডুলস্ ওরা বলে থুক্পা, আরো কি কি যেনো। তৃপ্তির ঢেকুর তুলে যখন বাইরে এলাম রোদে চোখ জ্বালা করছে, সারা রাত না ঘুমানোর ফল। নাস্তার আগে চট্ করে গোসল সেরে এসেছিলাম, ক্লান্তি তাই কম। আমাদের দলের পরের যাত্রা পায়ে হেঁটে, ওরা বলে ‘নেচার ওয়াক’, হাঁটতে হবে ঘন্টা দেড়েক, এই শুনে ...
আমার একটা বাজে অভ্যাস আছে যা কিনা আমি সব সময় সব কিছু রেখে দেই স্মৃতি হিসেবে। আমার কাছে মনেহয় সব কিছুর সাথেই কোনো না কোনো গল্প, স্মৃতি জড়ানো থাকে যার কিনা সেই মুহুর্তে তেমন গুরুত্ব না থাকলেও অনেকদিন পর যখন দেখব তখন মনে পড়বে, ভাল লাগবে বা কষ্ট লাগবে। গাদা গাদা কার্ড ছারাও আমার ছোট খাটো অনেক জিনিস বক্সে বক্সে ভর্তি। কিছুই ফেলতে পারিনা, মায়া লাগে।
যাইহোক...
জীবন থেকে নেয়া
গল্প বলার অনুশীলন
বহুদিন ধরেই নানা কারনে লেখালেখি একদম শিকেয় তুলে রাখা। সময় তার প্রধান ফ্যাক্টর। তবে মোটামুটি প্রতিদিন মনে মনে একটা ব্লগ লিখি আর মুছি। আবার কোন কিছু নিয়ে মেজাজটা খাট্টা হলে লেখা চলে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে। আর দৈনন্দিন জীবনে মেজাজ খাট্টা হওয়ার মতো উপাদানেরতো আর খামতি নেই।
অনেকেই তাদের জীবনের প্রতি নিয়ত ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে ডায়...
হাতির সাথে গোসল, ভাগ্যবানের গন্ডার দর্শন আর আপুকলির জন্য কান্না (১) এখানে
ওয়ান্ডারফুল কলের মেশিন এই দেহ সবার
মনোরে...........................
ওয়ান্ডারফুল কলের মেশিন এই দেহ সবার
টেকনিক্যালের হেড মেস্তরী
টেকনিক্যালের হেড মেস্তরী নিজেই খোদা তার ফিটার
ওয়ান্ডারফুল কলের মেশিন এই দেহ সবার
মনোরে...........................
ওয়ান্ডারফুল কলের মেশিন এই দেহ সবার
গান চলছে এক এর পর এক, অনভ্যস্থ গলায় তাল মিলাচ্ছি, এরই মা...