Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

স্মৃতিচারণ

ছন্নছাড়া খেলনারা

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি
লিখেছেন যাযাবর ব্যাকপ্যাকার (তারিখ: বুধ, ২৭/০৮/২০১৪ - ৯:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

খুব ছোটবেলায় বাংলাদেশ প্রবাসী এক নরওয়েজিয়ান পরিবারের আমার বয়সী এক পিচ্চি মেয়ের ডল-হাউজ দেখে খুব শখ হয়েছিলো আমারও একটা ওরকম থাকা দরকার। পুতুলের জন্যে ঠিক তার নিজের বিছানার মতো কাঁথা-বালিশ-বেডকভার সহ রট-আয়রনের ডিজাইন করা খাটও ছিলো। দুই বালিকার ভাষা এক ছিলো না, কিন্তু খেলতে সমস্যা হয়নি। শুধু রাতে নিজের বিছানায় ঘুমাবার সময়ে বাবা-মাকে ঐরকমের পুতুলের ঘর দেয়া যাবে কিনা, খাট সহ, জানতে চেয়েছিলাম। খুব বেশি ক্লান্ত থাকায় সেরাতে বা পরবর্তীতে ব্যাপারটা নিয়ে আর ঘ্যান ঘ্যান করার সুযোগ হয়নি। আর একটু বড় হলে খেয়াল করতে পারতাম, যে আমার বাবা-মা নিজেদের মাঝে দৃষ্টি বিনিময় করছেন, ওরকম দামী খেলনা দেয়ার সাধ্য তাদের নাই ভেবে।


ভালোবাসা কারে কয়-২ : চম্পাবতীর গাঁয়ে

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৪/০৮/২০১৪ - ১১:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৬ বছরের তরুণ তখন। মনে যৌবনের বান ডেকেছে। যা দেখি চারপাশে, সব ভাল লাগে। ছয় ঋতু যেন পরস্পরে লীন হয়ে চির বসন্তে রূপ নিয়েছে। পথ ঘাট, ভাল লাগে, ভাল লাগে পথের দুপাশের সৌন্দর্যও। ঘাস গুল্ম-লতা, ফুল পাখি--সব সব ভাল লাগে। সেই ভালোলাগার অনুভূতির সাথে আরও একটা অনুভূতি জেগে ওঠে--চম্পা। সে কী আমাকে চিনতে পারবে? সেই ছড়া কি ওর মনে আছে? মুখোমুখি হলে আমিই বা ওকে কী বলব? আচ্ছা, এই একযুগে কেন ওর সাথে দেখা হলো না? কত মানুষের সাথেই দেখা হয়? ওর মামার বাড়ি, যেটা আমার বাবার ফুফুর বাড়ি, সেখানে বছরে দু-তিনবার পা পড়ে আমার? ও কি একবারও আসে না মামার বাড়ি? নাকি ও যখন আসে আমি তখন যাই না? ভ্যানে চলতে চলতে কোথা থেকে একরাশ অভিমান এসে আচ্ছন্ন করল আমাকে? কিন্তু অভিমান তখনই মূল্যবান, যার ওপর অভিমান করছি তার কাছে এর কিঞ্চিত মূল্য যদি থাকে। নইলে ঝরাপাতার সমান মূল্যটিও তার নেই।


ফুটবল ও আমেরিকাঃ বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ের একটি স্মৃতি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২০/০৮/২০১৪ - ৩:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঘটনা এবারের বিশ্বকাপের প্রথম দিকের। ঠিক তারিখ মনে নেই, কিন্তু তখনও গ্রুপ স্টেজের খেলা চলছে, সম্ভবত প্রথম সপ্তাহের কোন এক দিন। বিকেলে অফিস থেকে ফেরার পথে ওয়ালমারট গিয়েছিলাম। কিছু টুকিটাকি জিনিস কেনার ছিল। কিনে বের হয়ে আসার পথে দেখি এক বয়স্ক সাদা ভদ্রলোক ৫৫ ইঞ্চি এলইডি টিভি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কি মনে হতে তার সাথে কথা বলা শুরু করলাম। ভদ্রলোক খাস টেক্সান, কাউবয়দের দক্ষিনা টানে ইংরেজি বলেনঃ


আজব চিকিৎসা

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি
লিখেছেন মোহছেনা ঝর্ণা [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৮/০৮/২০১৪ - ১১:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দূর সম্পর্কের এক আত্নীয়ের সাথে হঠাৎ দেখা।দূর সম্পর্কের হলেও একটা সময় বেশ যোগাযোগ ছিল।ব্যস্ততা আর সময়ের অভাবে এখন আর তেমন একটা যোগাযোগ হয় না। তাই সেদিন হঠাৎ দেখা হয়ে যাওয়াতে বেশ ভালোই লাগছিল।কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই সেই ভাল লাগা উবে গেল।তার বড় ছেলের ডিভোর্স হয়ে গেছে। ছোট একটা বাচ্চা রেখে বউ চলে গেছে।সমস্যা কি জানতে চাইলে তিনি বলবেন কি বলবেন না ভেবে কিছুক্ষণ ইতস্ত করছিলেন।পরে বললেন,আসলে আমার কপালটাই খার


যে ভূত নাক ডাকে

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৮/০৮/২০১৪ - ১০:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভয়ংকর নাক ডাকা ভূতের খপ্পরে পড়ে কিভাবে আমি নাজেহাল হয়েছিলাম আপনাদের আজকে সেই গল্প শোনাব। সে বহু কাল আগের ঘটনা। তখন আমি আমেরিকার এক জন বিরান এলাকায় থাকি। জন বিরান মানে পুরাই জন বিরান। দিন দুপুরেও রাস্তা ঘাটে লোক জন নেই। এখানাকার লোকেরা একে শহর বলে। খেয়ে দেয়ে আর কাজ নাই। বাংলাদেশের গাঁও গেরামের ভাবসাবও এর থেকে অনেক ভাল। বাংলাদেশের অজ পাড়া গাঁয়েও আজকাল স্টার জলশায় নাটক না দেখে কেও ঘুমাতে যায় না। আর এই খানে রাত আটটার মধ্যেই দোকান পাটে বাতি নিভিয়ে দিয়ে লোকজন কম্বলের নিচে ঢুকে পড়ে।


বগালেক-কেওক্রাডং পেরিয়ে অপরূপা জাদিপাই ঝর্ণার খোঁজে (প্রথম পর্ব)

মাসুদ সজীব এর ছবি
লিখেছেন মাসুদ সজীব (তারিখ: সোম, ১৮/০৮/২০১৪ - ৪:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(১)

অনন্য জাদিপাই


১৫ই অগাস্ট ও আমার বাবা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৫/০৮/২০১৪ - ৯:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

-রোল নাম্বার থার্টি টু।
-ইয়েস স্যার।
-কিরে গতকাল স্কুলে আসস্‌ নাই ক্যান?
-স্যার, বাবার মৃত্যুবার্ষিকী ছিল।
-ঐ হারামজাদা! শেখ মুজিব কবে তোর বাবা হইল! এদিকে আয়, ক কাইল কই আছিলি? সত্য বলবি নাইলে পিটাইয়্যা পিঠের ছাল তুইল্যা ফালামু।
-স্যার, সত্যি কাল আমার বাবার মৃত্যু বার্ষিকী ছিল, গতবছর এইদিনে উনি মারা গেছেন।
-আগে কবিতো, যা বস্‌, মন খারাপ করিস না, বাবা কারো চিরদিন বাইচা থাকেনা।


সীমান্ত পারের জীবন: নারী চোরাচালানী ও বাহাদুর বিডিআর

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৩/০৮/২০১৪ - ২:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিডিআরের রুদ্রমূর্তি প্রথম যেদিন দেখি, সেদিনটার কথা ভাবলে আজও গায়ে কাঁটা দেয়। সাল-তারিখ বলতে পারব না। খুব ছোট। ছয়-সাত বছর বয়স হবে। আমাদেরে বাড়ির কাছে ছিল এক বড় স্মাগলারের বাড়ি। একদিন পাড়ায় বিরাট হৈ চৈ পড়ে গেল--সেই স্মাগলারের বাড়ি নাকি পুলিশে রেড দিয়েছে। সীমান্তে বিডিআরকে তখন পুলিশই বলত। বিডিআরদের পোশাকের রঙও তখন পুলিশের মতো খাকি। আর থানা থেকে পুলিশ এলে পাইকারি হারে তাদের বলত দারোগা। যাইহোক, দৌড়ে গিয়ে দেখি ভয়াবহ কাণ্ড। চার-পাঁচজন জওয়ান দুজন লোককে উঠোনে ফেলে চটকাচ্ছে।