রাতে আমার ঠিক নিচে সুমন ভাই ঘুমান। পাঠক পাঠিকারা উল্টা পাল্টা কিছু চিন্তা করার আগেই বেপারটা ক্লিয়ার করে নেই। আমরা যেই দোতালা খাটে ঘুমাই তার উপরে আমি,নিচে সুমন ভাই।ঘুম আসার আগ পর্যন্ত নানান বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়।ইতিহাস,রাজনীতি,সিনেমা,নারী। আলোচনার টপিক যখন থাকে নারী,তখন সুমন ভাই কে খুবই উৎসাহী হতে দেখা যায়। গার্লফ্রেন্ড না থাকার জন্যই বোধহয় চেহারায় একটা আহা আহা ভাব চলে আসে।রাত বারোটা একট
২০০৯-এ আমি একবার বেশ লম্বা সময়ের জন্য মন্ট্রিয়ল গিয়েছিলাম। সেই শহরের কিছু গাড়িঅলা মানুষ আমাকে অপার করুণা দিয়েছিলেন।গাড়িতে করে অনেক ঘুরিয়েছিলেন তাঁরা। শহরের আনাচে কানাচে "অনেক ঘুরেছি আমি বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে"! মন্ট রয়্যাল পাহাড়ের ওপরটা তো মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। পাহাড়চূড়ায় দাঁড়িয়ে সমস্ত শহর জুড়ে রাতের আলোকসজ্জা দেখা ছিল আমার প্রিয় অভ্যাস।
১.
তখন অনেক ছোট। স্কুলে পড়ি কিংবা পড়ি না। থাকতাম মফস্বল এলাকায়,পাশাপাশি অনেকগুলো বাসা,টিনের ঘর। কলেজের টিচাররা সবাই একসাথে একটা মহল্লার মত(আমার বাবা ছিলেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক।) সামনেই খেলার মাঠ।
এক সাথে আমরা অনেকজন ছিলাম একই বয়সি।বিকেল হলেই খোলা মাঠে দৌড় ঝাপ। কানামাছি,কাঠকাঠুরে ভাই,গোল্লাছুট আরও কত রকম খেলা...
[justify]জীবন চলার পথে নিজ জীবন, নিজ দেশ কিংবা ভিনদেশে হওয়া কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়েই এই সিরিজ- তিন প্যারায় তিনটি করে ছোট ছোট গল্প নিয়ে লেখা "তিন তিরিকে নয়"।
#১
আমার নিজ এলাকা নোয়াখালী। সেখানে শতশত যুক্তিবাদী। একজন আছেন, হাতের কাছে যে-কোনো ঔষধ পেলেই খেয়ে ফেলেন।
[justify]নানু’র শরীর খারাপ, দেখতে যাওয়া দরকার কিন্তু আমার কারণে যাওয়া আটকে গেছে। আমার অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়েছে, ভাইবা যেদিন শেষ সেদিন সবাই মিলে রওনা হবো সিদ্ধান্ত নেয়া হল, সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা সবাই একত্রিত হবো টুটুল ভাইয়ার বাসায়। আমরা মানে আমরা তিন মামাতো-খালাতো ভাই আর দুই ভাগ্নে -- দলনেতা টুটুল ভাইয়ার নেতৃত্বে তখন আমাদের কাজ হচ্ছে বই পড়া, মুভি দেখা, গান শোনা, গান গাওয়া আর হুট-হাট যে
১.
সার্জারি ওয়ার্ড এ ইন্টার্ন করছি। এক মুরুব্বী রোগী ভর্তি , সত্তরের উপরে বয়স, যার কাছে ফলো-আপ দিতে গেলেই সকাল বিকাল সবাইকে উপদেশ শুনতে হচ্ছে। তো এক সন্ধ্যায় আমি গেলাম তার খবরাখবর নিতে। ফলো-আপের মাঝে সে আমাকে নানা প্রশ্ন করছে,
তোমাদের বাড়ি কই?
ঢাকা।
তুমি কি পাস দিয়ে ডাক্তার হয়ে গেছ না এখনও পড় ?
ডাক্তার হয়ে গেছি।
আলহামদুলিল্লাহ, তোমার বাবা মা কি করে ?
চাকরি করে।
ম্যারিস্যা ক্রাউসোভার সাথে প্রথম দেখা হয়েছিল বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের এক আড্ডায় অনেক অনেক বছর আগে, জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবী ডাক্তার হিসেবে বাংলাদেশে কর্মরত ছিলেন দুই বছর, সেই অল্প সময়েই টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথারিয়া কিছু বাদ রাখেন নি ঘুরতে, ফাঁকে ফাঁকে ভারত, নেপালের হিমালয়ে। চেক দেশের মানুষ, নিজের নাম সহজ করে বলতেন মারিয়া, যাতে সহজেই লোকে উচ্চারণ করতে পারে, ভাঙ্গা বাংলায় নিজেকে বিদ