গত শতাব্দীর সত্তরের দশকে বাবার সরকারী চাকুরীর সূত্রে আমরা থাকতাম উত্তর জনপদের এক প্রত্যন্ত থানা সদরে। আমি পড়তাম ক্লাস ফাইভে, সহপাঠী/সহপিঠীনিদের প্রায় সবাই রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতো, আমার বেশ অস্বস্তি লাগতো এবং আমার অপরিনত ভাবনায় তাদের মনে হতো অসংস্কৃত জনগোষ্ঠী, শুদ্ধ করে কথা বলতে পারে না। কিন্তু তাই বলে গণযোগাযোগ তো আর থেমে থাকে না, দ্রুতই সহপাঠী/সহপাঠীনিদের বেশ কজনের সাথে বিশেষ অন্তঃরঙ্গ
[justify]৯৫ কি ৯৬ সালের কথা, মতিঝিলের কলোনীপাড়ায় বসবাস। আমাদের কলোনীতে গাছপালার অভাব ছিল না। আম, কাঁঠাল, নারকেল, চালতা, বড়ুই, জাম, খেজুর ছাড়াও সন্ধ্যামালতি, মেহেদি, কৃষ্ণচূড়া আরো কত কি! ভাবছেন, বিশাল এলাকা জুড়ে আমাদের কলোনী?
তখন আমরা ক্লাস সেভেনে। সেইবার পুজোর ছুটি পড়ার আগে আগে একটা সাংস্কৃতিক সংস্থা থেকে ছাত্রীদের মধ্যে যারা ছবি ভালো আঁকে তাদের কাছে আঁকার প্রস্তাব এলো। সেগুলো থেকে নির্বাচিত ছবিগুলো প্রদর্শনীরও নাকি ব্যবস্থা হবে স্কুলে, পুজোর ছুটির সময়। দর্শকেরা সেই ছবি কিনতে চাইলে তাদের সেই ছবি বিক্রি করে শিল্পীকে সেই অর্থের তিন-চতুর্থাংশ দেওয়া হবে। আমাদের তো চক্ষু চড়কগাছ, এরকম আগে কখনো দেখিনি বা শুনিনি আমরা। ছবির বি
নব্বই দশকের মাঝামাঝির দিকে বাংলা সফট-রক ব্যান্ড 'ফিডব্যাক' তাদের এপিক লোকগীতি ভিত্তিক ফিউশন এ্যালবাম 'বাউলিয়ানা' প্রকাশ করেছিলো যা কিনা দেশি তরুণদের গানের স্বাদে আমূল পরিবর্তন করেছিলো; এমনকি পরবর্তীতে বাংলা ব্যান্ডের ধারাকে ঘুড়িয়ে দিয়েছিলো। সাত বছর গবেষণার পরে ফিডব্যাক সেই এ্যালবাম প্রকাশ করেছিলো যা কিনা ছিলো মূলত লালনের গানের ফিউশন। তবে লালনের গানের সুর একটু গম্ভীর এবং কথা একটু
অনেকদিন পানটান হয় না। বিয়ে করে ভেড়ুয়া হয়ে যাচ্ছি দিন দিন। যা শালা! পুরোনো পানেরই স্মৃতিচারণ করি আজ।
আমার প্রথম মদ পান কলেজে ভর্তি হয়েই। সেবার খুব বেশি খাইনি। অষুধের চামচের এক চামচ মাত্তর! তাই নিয়ে কী কাণ্ডকীর্তি!
অগাস্ট ১০, ২০১৩ এর ইকনমিস্ট পত্রিকার একটি রিপোর্টে সজীব ওয়াজেদ জয় আর তারেক রহমানের মধ্যে তুলনায় তারেক রহমান কে wilier বলা হয়েছে যার মানে তারেক রহমান তুলনামূলক ভাবে বেশী crafty (skillful in underhand or evil schemes যার অর্থ "শয়তানী কর্মকান্ডে দক্ষ") আর cunning (ধূর্ত)/ ইকনমিস্টের তুলনা ঠিক কি বেঠিক সেই আলোচনায় আমি যাব না তবে wily বিশেষণটির কারনে তারেক রহমান সম্পর্কে বেশ আগ্রহ জন্মালো। বেশ কিছু পুরোন ভিডিও দেখলাম এবং গত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে বহুল আলোচিত টপিক "বিদ্যুৎ সমস্যা মোকাবেলা" সংক্রান্ত এই তারেক রহমানের একটি সাক্ষাতকার পেলাম (লেখার শেষে লিঙ্ক):
"হ্যালো, তুলি?" ফোনের ওপাশ থেকে অন্বেষার গলা।
হেসে বলি, "হ্যাঁ রে টেঁপি, আমি। বল।"
অন্বেষা বেশ অনেকদিন টেঁপিতে আপত্তি করতো না, ভেবেছিলাম বুঝি ওর অভ্যাস হয়ে গেছে, কিন্তু আজকে ওপাশে সে রেগে ফায়ার, বলে, "তোকে বলেছিলাম টেঁপি বলে না ডাকতে। বন্ধুর একটা কথা রাখতে পারিস না?"
সকালে ব্রেকফাস্ট টেবিলে চায়ে চুমুক দিতে দিতে ল্যাপটপ ওপেন করতেই নিউজ ফিডে আওরঙ্গের ছবিটা ভেসে উঠলো। হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গ। সন্ত্রাসী ছাত্রনেতা হিশেবে ব্যাপকভাবে পরিচিতি অর্জনকারী একজন বঙ্গবন্ধু প্রেমিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মহসিন হলে আড্ডা পেটাতে গিয়ে আওরঙ্গ সম্পর্কে কতো কাহিনি যে শুনেছি!