বই ছাড়া আমি থাকতে পারি না, সে হোক ঘর বা বাহির, টাট্টিখানা বা বিমানের অন্দরে, পুস্তক লাগবেই, ইদানীং অবশ্য পিডিএফ নামক প্রযুক্তির ফলে সেটা দিয়েও কাজ চলে। আর ভ্রমণের সময় বই বাছাই করি একটু সাবধানে, যাবতীয় ভ্রমণে টিনটিন নামের রিপোর্টারটি পাশে থাকবেনই, এবং এলাকা বিশেষে উনার কাহিনীও বাছাই করা হবে সেই ভাবেই, যতবার নেপালে গেছি তিরতির আনন্দ এবং মিগুর সাথে দেখা হবার উৎকণ্ঠা নিয়ে পড়েছি তিব্বতে টিনটিন,
দিন পনের আগের কথা । হঠাত মাথায় ঢুকল একটা নেটবুক লাগবে । হোস্টেলে ডেস্কটপ আছে একটা , কোনরকম ভাবে কাজ চালিয়ে নেয়া যায় ! কিন্তু একটা নেটবুক হলে যে অনেক সুবিধা , টুকটাক অনেক কিছুই করা যাবে ! আবদার টা ছিল আমার আম্মার কাছে ! আম্মা সেটা রেফার করে আব্বার কাছে পাঠিয়ে দিলেন ! আমি কাচুমাচু মুখ নিয়ে আব্বার কাছে নেটবুকের কথা বললাম !আব্বু প্রথমে একটু ভ্রূ কচকালেন, তারপর বললেন
[justify]প্রিয় ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটনের এক ছড়া সাক্ষাৎকারে তাঁর প্রিয় ছড়াকারদের নিয়ে বলেছিলেন “আমার প্রিয় দুই সুকুমার, বড়ুয়া ও রায়/ তাদেরই নাম আগে লিখি প্রিয়র তালিকায়”। দুই সুকুমার আমারও খুব প্রিয়। বিশেষত সুকুমার রায় যে সবচেয়ে প্রিয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না, আমার নেয়া নিকটাই বোধহয় এর সবচেয়ে বড় নমুনা। আজকের লেখাটা সুকুমার রায়কে নিয়েই, তবে লেখাটা হয়ত হতো না যদি না আজকের ঘটনাটা
কিঙ্কিণী রিনিঝিনি শব্দে কাঁচা ঘুমটা ভেঙ্গে গেল, জলতরঙ্গের মত তরল সুরেলা কয়েকটা কণ্ঠস্বর উড়ে বেড়াচ্ছে ঘরময়, তারই কোন একটা তন্দ্রাভেদী বাণ হয়ে কর্ণকুহরে প্রবেশ করা মাত্র আপাতদৃষ্টিতে হিমালয়ের মত অটল ঘুমখানা বজ্রআঁটুনি ফস্কা গেরোর মত জামানত হারালো। রিও ডি জেনিরোর লেমন গ্রাস হোস্টেলের এক কোণার কক্ষে তিন তলা খাটের সবচেয়ে উপরেরটাতে শুয়ে আছি, উপরের দিকে তাকালে নানা আঁকিবুঁকি সহ বিবর্ণ হতে থাকা ছ
মেঘ ছোঁব বলে দুই দুইবার পাহারে গেলাম। কিন্তু ছুঁয়ে এলাম রোদ। মেঘলা মেঘলা একটা দিন দেখে বেরিয়ে পরলাম পাহাড়ে। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথে যেতে যেতে দূরে বেশ মেঘ দেখা যাচ্ছিলো। মনে মনে খুশিই হলাম। কিন্তু এমনি দুর্ভাগ্য, যখন পৌছালাম তখন চারিদিকে চকচক করছে রোদ্দুর। আমার আর মেঘ ছোঁয়া হলনা। একটা সময় সমুদ্রে খুব যেতে চাইতাম। আর এখন পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে বেড়াই। হয়ত তখন আমি সমুদ্রের মত বিশাল ছিলাম। আর এখ