এই তো সেদিন ছেলেটা পিচ্চি একটা বাবু ছিল; ধেই ধেই করে বড় হতে হতে আজ কত্ত বড় হয়ে গেছে চোখের সামনে, তবুও আমার কাছে সে বাবুই হয়ে আছে। যেন এক টুকরো সবুজ স্বপ্ন বড় এক পর্বতের শুভ্র শৃঙ্খ হতে চলেছে। আজকাল ছেলেটা কোথায় কখন কী করে, ভবিষ্যতে কী করবে- এইসব স্বপ্ন আর দুঃস্বপ্নের মাঝ দিয়েই ভোর-রাত পার করি। যদি দুই ভাই-বোনের জন্য সুস্থ সুন্দর একটা ভবিষ্যত্ না রেখে যেতে পারি, যদি এরা কষ্ট আর মলিন জীবন-যা
[justify]২০০৬। বাংলাব্লগের ঊষালগ্ন। ২০০৫ এর ডিসেম্বরে শুরু হলেও পোস্ট পড়ার হার বাড়তে শুরু করে জানুয়ারী মাসে। শুরু থেকেই ওয়ালী(আল বদর কামারুজ্জামানের পুত্র), ভূত (সম্ভবত কামারুজ্জামানের বড় ছেলে ওয়ামি), দাদা, ধানসিঁড়ি, মলি, শর্মী, আস্তমেয়ে, ইছামতির পাড়ে, শাওন, ফারিয়াল, সাঈদ আবদুল্লাহ, শরীফ আবদুল্লাহ, সিমরান শিকদার, ত্রিভুজ, দাঁড়াল হাসান ইত্যাদি জামাত সমর্থক কিছু ব্লগার ব্লগ দখলের তালে ছিল। উল্টা দিক
৪ দিন হল শাহবাগ চত্বর প্রজন্ম চত্বরে পরিণত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় ছিলাম, সে যেন এক প্রাণের মেলা, তারুণ্যের জাগরণ। একটা দল, নাম নেই, ব্যানার নেই, কিছু তরুণ তরুণীর স্লোগান আছে শুধু। পাশে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম, আমাকে দলে ডেকে নিল। শুরু করলাম তাদের সাথে স্লোগান দেয়া।
ক-তে কাদের মোল্লা, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার
গ-তে গোলাম আজম, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার
শেয়ার ব্যবসায় আমার হাতেখড়ি হয়েছিলো জাপানি স্টক এক্সচেঞ্জে, ১৯৮৭-৮৮ সালের দিকে। সেখানকার সূচককে এক ডাকে সারা পৃথিবীর বিনিয়োগকারীরা চেনেন Nikkei Index নামে। জেদ্দাতে ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করছিলাম মাথা গুঁজে, নির্ঝন্ঝাটে। একদিন সৌদি শেখের খাস কামরায় ডাক এলো। ভণিতা না করে বললেন, তোমার ইংরাজিটা ভালো, আজ থেকে আমার জাপানের শেয়ার কেনা বেচার ফাইলটা তুমি
মাঝে মাঝেই নিজের জীবনের বিভিন্ন সময়গুলোকে উল্টেপাল্টে দেখতে বেশ ভাল লাগে আমার। মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা কোন কথা হয়ত বিষণ্ণ করে দেয় অথবা ছেলেমানুষি স্মৃতি নিয়ে আসে ঠোঁটের কোণে একটু হাসি। নিজের ছোটবেলার কথা বলতে, লিখতে, শুনতে সব সময় আমার ভাল লাগে। মনে করলেই আমার মন ভাল হয়ে যায়। আমি হেসে উঠি। তবে আজ কেন যেন আমার কিশোরী বেলার কথা বলতে ইচ্ছে করছে। আমি জানি না সবার ছোটবেলা যেমন রঙিন হয় কৈশোর তেমন হয় কিনা!
বাতাসে শীতের গন্ধ । প্রকৃতিতে রংয়ের উৎসব শেষ করে পাতাদের ঝরে পড়াও শেষ । বাদামী রংয়ের শুকনো পাতা মাড়িয়ে বাড়ি ফেরার পথে কোথা থেকে ভেসে এল অনেক দিন আগের এই রকম শীতের কোন ইউক্যালিপটাসের শুকনো পাতার গন্ধ...নজরুলের সমাধির পাশে লাইব্রেরীর গেইটে লাল রঙ্গা বাস থেকে নেমে কলা ভবন পর্যন্ত হেঁটে আসতে আসতে মাটি থেকে কুড়িয়ে নিতাম ইউক্যালিপটাসের শুকনো পাতা । একটু ছিড়লেই সেই পাতা থেকে বের হ’ত অদ্ভুত এক সৌরভ...কোথা হতে ভেসে এলো ফেলে আসা দিনের গায়ে লেগে থাকা সেই সৌরভ...আর তার হাত ধরে চলে এল বন্ধুর মত বন্ধুদের স্মৃতিরা...
বাতাসে শীতের গন্ধ । প্রকৃতিতে রংয়ের উৎসব শেষ করে পাতাদের ঝরে পড়াও শেষ । বাদামী রংয়ের শুকনো পাতা মাড়িয়ে বাড়ি ফেরার পথে কোথা থেকে ভেসে এল অনেক দিন আগের এই রকম শীতের কোন ইউক্যালিপটাসের শুকনো পাতার গন্ধ...নজরুলের সমাধির পাশে লাইব্রেরীর গেইটে লাল রঙ্গা বাস থেকে নেমে কলা ভবন পর্যন্ত হেঁটে আসতে আসতে মাটি থেকে কুড়িয়ে নিতাম ইউক্যালিপটাসের শুকনো পাতা । একটু ছিড়লেই সেই পাতা থেকে বের হ’ত অদ্ভুত এক সৌরভ...কোথা হতে ভেসে এলো ফেলে আসা দিনের গায়ে লেগে থাকা সেই সৌরভ...আর তার হাত ধরে চলে এল বন্ধুর মত বন্ধুদের স্মৃতিরা...
আবদুশ শাকুর চলে গেলেন, বড্ড আগেই। অনেক কিছু দেবার বাকি ছিল, বলার বাকি ছিল তাঁর। তাঁকে নিয়ে কিছু ব্যক্তিগত স্মৃতি বা উপলদ্ধি এখানে সাজাবার চেষ্টা করেছি মাত্র।
নাতনি শুমাইসার সাথে
১
বাতাসে শীতের গন্ধ । প্রকৃতিতে রংয়ের উৎসব শেষ করে পাতাদের ঝরে পড়াও শেষ । বাদামী রংয়ের শুকনো পাতা মাড়িয়ে বাড়ি ফেরার পথে কোথা থেকে ভেসে এল অনেক দিন আগের এই রকম শীতের কোন ইউক্যালিপটাসের শুকনো পাতার গন্ধ...নজরুলের সমাধির পাশে লাইব্রেরীর গেইটে লাল রঙ্গা বাস থেকে নেমে কলা ভবন পর্যন্ত হেঁটে আসতে আসতে মাটি থেকে কুড়িয়ে নিতাম ইউক্যালিপটাসের শুকনো পাতা । একটু ছিড়লেই সেই পাতা থেকে বের হ’ত অদ্ভুত এক সৌরভ...কোথা হতে ভেসে এলো ফেলে আসা দিনের গায়ে লেগে থাকা সেই সৌরভ...আর তার হাত ধরে চলে এল বন্ধুর মত বন্ধুদের স্মৃতিরা...