আমার শৈশবকে রাঙিয়ে দেয়া চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেতা সুভাষ দত্ত চলে গেলেন। নিজের প্রথম পরিচালিত ‘সুতরাং’ ছবির মাধ্যমে সুহাসিনী কবরীকে তিনিই প্রথম ব্রেক দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার আগে ও পরে নিজের পরিচালনায় নির্মিত বেশ কিছু চলচ্চিত্রে তিনি নায়কের ভূমিকায় অভিনয়ও করেছেন। ‘আলিঙ্গন’, ‘বিনিময়’, ‘আবির্ভাব’ ‘আয়না ও অবশিষ্ট’, ‘ডুমুরের ফুল’—সুভাষ দত্ত নির্মিত দর্শক নন্দিত কয়েকটি ছবি। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে
১৯৮৯ সাল। শিবির জাবি দখল করে ফেললে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবল প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়, শিবিরের হাতে নির্মমভাবে খুন হন ইতিহাস বিভাগের ছাত্র হাবিবুর রহমান কবির, জাবি’তে শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। তারপর ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তাদের হুটহাট বিভিন্ন হলে পাওয়া যেত, ১৯৯৪ সালে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে মওলানা ভাসানী হলে ছাত্র শিবিরের এক ‘সাথী’ ধরা পড়ে, তার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের এক পর্যায়ে সে অসুস্থ হয়ে
দেশে থাকতে মাসের শেষে পথে পথে ঠেলায় করে বাড়িবদলের হিড়িক দেখতে অভ্যস্ত ছিলাম। খুব অভিজ্ঞ ছিলাম না এ ব্যাপারে। এখন ঠেকে ঠেকে শিখেছি। সর্ব শেষ বদল দশ মাস ভাড়া বাড়িতে বসবাসের পর। মুভাররা যখন সব মালপত্র নিয়ে গেল, পুরোবাড়ি পরিস্কার করে দরজাটা বন্দ করে গাড়িতে ওঠার আগে বাড়ির সামনে বিদায় দিতে আসা এখানকার পড়শীদের বিদায় জানাতে এক বিষন্ন কাতরতায় মন ছেয়ে গেল। জীবনের একটি অংশের হাসি কান্নার সাক্ষি
সম্প্রতি একটা মন্তব্য থেকে জানতে পারলাম তারেকানুর নাকি এখনও মোবাইল ফোন হারায় নি বা ছিনতাই হয় নি। কি আশ্চর্য কথা! এ কি সম্ভব নাকি? উনি মনে হয় সাবালক হবার আগে থেকেই দেশের বাইরে থাকেন। ওনার এত ঘুরাঘুরি করেও কিছু হয় নি, অথচ আমরা যারা রাত বিরাতে অল্প স্বল্প ঘুরে বেড়াই ঢাকা শহরে তারা ঠ্যাক না খেয়ে বাড়ি ফিরতে পারি না, অথবা মোবাইল ফোন পকেট থেকে সিএনজিতে পড়ে গিয়ে সেখানেই রয়ে যায়!
কি পাকেচক্রে অধমের সচলায়তনে আগমন ঘটেছিল তা ঠিক ৫০ পোস্ট পূর্ববর্তী একটি নাতিদীর্ঘ পোস্টে বর্ণনা করেছিলাম বটে, কিন্তু সচল হবার বিপদ-আপদও নেহাত কম নয়, সেগুলোর উপরই সামান্য আলোকপাতের চেষ্টা করা
স্কুলে থাকাকালীন খুব একটা বেশি আড্ডা হতোনা। তবে মাধ্যমিক পরীক্ষার পরে ফলাফল বের হওয়ার আগ পর্যন্ত যে সময়টা ছিল এক্কেবারে ফাঁকা তখন ধুমিয়ে আড্ডা দেয়া হতো। পুরনো ঢাকায় এক বন্ধুর বাড়ির ছাদের উপরে উঁচু একচিলতে জায়গায় বসে চলতো সেই মহাড্ডা। সবে বিঁড়ি ধরেছি তখন, বিষয়বস্তুহীন সেই আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে ধুম্রশলাকা জ্বালিয়ে চরম ভাব নিতাম। কতো কি নিয়েই না চলতো কথোপকথন। মোড়ের পুরির দোকানে আলু কম কি বেশি, এই থেকে