১।
ঘরের ভিতরে স্নিগ্ধ অন্ধকার। শোঁ শোঁ করে ফ্যান ঘুরছে। বাইরে তপতপে গ্রীষ্ম দুপুর। ইস্কুলে গরমের ছুটি। পুবের ঘরের খাটে মা ঘুমায় ছোটো ভাইটাকে বুকের কাছে নিয়ে, এই মাঝের ঘরে ঠাকুমার পাশে আমি, মাঝের খোলা দরজা দিয়ে ওঘরের হাওয়া এঘরে আসে, এঘরের হাওয়া ওঘরে যায়। কোণের বন্ধ জানালার সরু সরু সূক্ষ্ম রেখা ধরে কেমন আলোছায়ার জাফরি পড়েছে!
দুপুরের হলুদ নীরবতা ফিকে হয়ে আসে, সবুজের আস্তরণে রোদের আলো কমলা-লালে আভাময় হয়ে উঠে। শরীরের ঘামটুকু শুষে নেয় এক দফা স্নিগ্ধ বাতাস। আমি উবু হয়ে বসে ক্যামেরার লেন্সে চোখ রাখি – অনেক উঁচুতে একটা কাঠ-ঠোকরা একমনে ঠুকতে থাকে আগামী আবাস। কিন্তু নাগালের বাইরে ওটা, ৩০০ মি.মি.
আমি যে বহুতল ভবনে থাকি তার পাঁচটা লিফটের একটায় উঠতে গেলে বীজগণিত জানা লাগে। সূত্র y= (x+1)। Y হল যে তলায় পৌঁছাবেন, আর x হল যে তলার বাটনে চাপ দেবেন। আপনি ভাবছেন এ আবার কি হেঁয়ালি, যে তলা চাপব সেই তলাতেই তো লিফট থামবে। এতো সহজ নয়, এই লিফটের সূত্র আলাদা। দুই এ টিপলে তিনতলায় থামবে, বিশ এ টিপলে একুশ। সুতরাং মনে করি আপনি যাবেন ২৩ তলায়, অর্থাৎ y = 23। কিন্তু সূত্র অনুযায়ী আমরা জানি y = (x+1), সুতরাং (x+1) =23 বা x = 22। অর্থাৎ লিফটে চাপতে হবে বাইশ। হুঁ হুঁ, অংক জানতে হয়।
চাচ্চু ওর নাম নয়। কিন্তু আমরা সবাই ওকে চাচ্চু নামেই ডাকি। কারণ সালাম সালাম হাজার সালাম গানের প্রখ্যাত গীতিকার ফজল-এ-খোদার পুত্র সে। ওর বাবা আমাদের সকলের শ্রদ্ধেয় ভাই।ভাইয়ের পুত্র হিশেবে ও আমাদের ভাতিজা।আর ভাতিজা আমাদের চাচ্চু ডাকবে সেটাই তো স্বাভাবিক।কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, গায়ে গতরে উচ্চতায় ভাতিজা আমাদের সমান সমান আকার ধারণ করলেও ওর আচরণ বাবুসোনা টাইপের। বয়স বাড়ছে কিন্তু ভাতিজা আমাদের বড় হচ্
আমার ফেইসবুক নিউজফিডে মাঝে মধ্যে Wasfia Nazreen এর বিভিন্ন পোস্ট আসে। উনি এবং নিশাত মজুমদার প্রথম দুই বাংলাদেশি এভারেস্ট জয়ী নারী। মোটামুটি একই সময়ে তারা এভারেস্টে ওঠেন। বাংলাদেশী মেয়ে এভারেস্টের চূড়ায় উঠবে আমরা বেঁচে থাকতে, কেন জানি এটা কোনদিন ভাবিনি। একবার ৫-৭ দিনের জন্য ট্রেকিং করতে গিয়েছিলাম কেওকারাডং এবং তাজিনডং এর দিকে। ভীষণ কষ্ট হয়েছিল। বলা যায়, সেটা ছিল আমার জীবনের একমাত্র রিস্কি এ
মফস্বলের এক কলেজে শিক্ষকতা করতেন আমার বাবা। টাকা বাঁচাতে শহর ছেড়ে জীর্ণ কলেজ কোয়ার্টারে উঠে এলাম আমরা। টিলার ধারের এক গর্তমতো জায়গায় টিনের দোচালা ঘর। মাটির দেয়াল, ওপরে চুনের প্রলেপ দেয়া। মেঝে পাকা করিয়ে নিয়েছিলেন বাবা আর অন্য দু'জন অধ্যাপক মিলে। লাগোয়া তিনটি বাসায় তিনটি পরিবার। ও বাসার যুগলের একান্ত-গোপনীয় প্রেমালাম, জগতের কুৎসিতোতম চাপা-স্বরের ঝগড়া কিংবা অস্ফুটে বলা 'ধুর্', এ বাসার
বাংলার আদি ঐতিহ্য ও সভ্যতার পন্ড্রুবর্ধন বা বরেন্দ্রভূমি এই রাজশাহী। যুগ যুগ ধরে বিশাল পদ্মার তীর ধরে পৃথিবীর কত প্রান্ত থেকে কত মানুষ এসে বসতি গড়েছে এখানে, রেখেছে স্ব স্ব ঐতিহ্যের ছাপ। রাজশাহির আনাচে কানাচে নানা উপজাতির বাস, তাদের ভিন্ন জীবন প্রণালী আর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নানা প্রাচীন নিদর্শন তারই সাক্ষ্য বহন করে।