আমি খুবই আইলস্যা ধরনের মানুষ, মানে নতুন ধরনের কোন কাজ শিখতে অনীহা ব্যপক ( যদি না তা পথ চলা জনিত হয়), বিশেষ করে লেখালেখির ক্ষেত্রে। তারপরও বিশেষ পরিস্থিতিতে পড়ার কারণে মাঝে মাঝেই লিখা হত ( সেই কাহিনী অন্য দিনের জন্য তোলা থাক, আজ কেবল সচলায়তন নিয়ে কথা লেখার পালা) বিভিন্ন খবরের কাগজ, সাহিত্যপত্রিকা ইত্যাদির জন্য। এর মাঝে দেশের বাহিরে চলে এসেছি বেশী কাঁচা বয়েসে ( কচি বলা যাচ্ছে না) , তারপর সেখ
এটা আসলে কোনও রিভিউ নয়, এটা আপনাদের শোনার জন্যে। কিছু মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিচারণ এবং আরও কিছু কথা। ১৯৭১-এ কিভাবে নারীরা অসম সাহসে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো মুক্তির সংগ্রামে, তারই কিছু কথা জানতে পারবেন এই প্রামাণ্যচিত্রটি থেকে।
(অফিসের কাজে ফাঁকি দিয়ে লেখা। ভুল ভ্রান্তি থাকাই স্বাভাবিক)
এক
এক
সময়টা আজ থেকে আরো ১৮/২০ বছর আগের। যে যুগে ছিলো না ইন্টারনেট, ছিলো না মোবাইল, বা ডিশ (অন্যদের হয়তোবা ছিলো, কিন্তু আমাদের ছিলো না)। বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম ছিলো বিটিভি। হয়তোবা ক্লাস ৩/৪ এ পড়ি। গতকাল মাইকেল জ্যাকসনের নাক ভেঙে গেছে, এই খবর পরের দিন পেপার হাতে না আসা পর্যন্ত জানার উপায় অন্তত ১০/১২ বছর বয়সের সেই আমার ছিলো না। সেই যুগের কথা বলছি।
একসময় আমার বদ্ধমূল ধারণা ছিলো বাবার সাথে ছেলেদের কোন আবেগপূর্ণ সম্পর্ক থাকতে পারে না। ভাবতাম গৃহ যদি হ্য় একটা রাজ্য, বাবার ভুমিকা সেখানে কখনো শাসনকর্তার, আর কখনো বা কোতোয়ালের। আর সন্তানেরা সেখানে যখন তখন শুধুই অপরাধী। কেবল পান থেকে চুন খসার অপেক্ষা।
নামটা নামতা
-----------------------
নামটা নামতা
-----------------------
"চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙেছে" খুব পছন্দের একটা গান আমার। যতবারই গাইতে যাই কেন যেন চোখে পানি চলে আসে।
ঊননব্বুই-নব্বুই সালের কথা। আমার মেয়ে নদী তখন র্যাংকিন স্ট্রিটের ক্ষুদে পন্ডিতদের পাঠশালা নামে একটা কিন্ডারগার্টেনে কেজি ওয়ানের ছাত্রী। বেশিরভাগ সময় ওর মা শার্লিই ওকে স্কুলে আনা-নেয়ার দায়িত্বটি পালন করে। মাঝে মধ্যে আমি ওকে নিয়ে যাই। আমাদের হেয়ার স্ট্রিটের বাসা থেকে ক্ষুদে পন্ডিতদের পাঠশালা খুব একটা দূরে নয়। হাঁটা পথে পাঁচ সাত মিনিটের দূরত্ব। একদিন সকালে নদী বায়না ধরলো—আজ বাবাই তাকে নিয়ে যাবে স্কুল
এতগুলো পর্ব ধরে যাঁরা সাথে থেকেছেন, পড়েছেন, মন্তব্য করেছেন তাঁদের প্রত্যেককে আমার আর নাসিরের তরফ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে শুরু করছি শেষ পর্ব। রোজকার জীবনে হারিয়ে থাকা একটা ছেলের জীবনের গল্পকে আপনারা যে ভালোবাসা দিয়েছেন তা সত্যিই তুলনাহীন।