আমি তখন ছোট, সবে স্কুলে যাওয়া শুরু করেছি। আজকালকার ত্যাদর বাচ্চাদের মতন আমি মোটেও ত্যাদরামি করতাম না। আমার এখনো মনে আছে প্রথম দিন স্কুলে যাওয়া নিয়ে আমি খুবই আনন্দিত ছিলাম। নতুন স্কুল জামা পরে আপুদের মতন স্কুলে যেতে পারছি- এই আনন্দে আমি ছিলাম আত্মহারা। প্লে-গ্রুপে আমার ক্রমিক নং ছিল ৭৩, সেকশন বি, কেজিতে উঠে হয় ১২, সেকশন এ। তখন শিশু মনে ঢুকিয়ে দেওয়া হলো এ সেকশনে ‘ভালো’রা আর বি তে ‘মাঝারী’রা আর
যেকোনো বিশেষজ্ঞের কাছে যান এবং জিজ্ঞেস করুন স্বপ্নের দৈর্ঘ্য কতক্ষণ?
হৃদিটার নতুন টিচার
এখনও দুপুরের খাবার খাওয়া হয়নি । ঘুম থেকে বিকাল ৪’টার সময় উঠলে সন্ধ্যা ৭’টায় দ্বিতীয়বার উদরপূর্তি না হওয়াটা অস্বাভাবিক না । অবশ্য যখন লিখতে বসলাম পাকস্থলী বাবাজি কে শান্ত করেই বসলাম । বৃষ্টি আসব আসব করে ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে । এখন সন্ধ্যা হলেও আমি ফিরে গেছি দুপুরবেলায়, আজ থেকে বার-তের বছর আগে ।
মাসশেষের শেষ বিকেলে অফিসের সবচেয়ে বড় সম্মেলন কক্ষটিতে হঠাৎ ডাকে হাজির হতে হল। একা নই, সাথে আরো জনাত্রিশেক সহকর্মী পাশাপাশি, দাঁড়িয়ে বা বসে। সবার চোখ সামনের দিকটায়, ঠিক মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে দুহাত নাড়িয়ে, চোখ নাচিয়ে যে মানুষটা কথা বলছেন তাঁর দিকে। কী বলছেন সেটা আবছা শুনছি, পাশাপাশি দাঁড়ানো মানুষগুলোর চোখ আর মুখগুলোকে পড়ার চেষ্টা করছি- হঠাৎ করে আর আর সবকিছু ছাপিয়ে গাজীপুরের কোন এক পিকনিক স্পটে একটা দু
আমার ছাত্রজীবন কেটেছে দুর্বিষহ যন্ত্রণার ভিতর দিয়ে। পিতামাতা উভয়েই শিক্ষক, আমি কোনদিন বাসায় গিয়ে বলতে পারিনাই যে টিচার আমাকে নাম্বার দেয়নাই। তারা দুজনেই হাঁ হাঁ করে ঝাঁপিয়ে পড়তেন আমার উপর, টিচার নাম্বার দিবেনা ক্যানো হ্যাঁ? তুমি কিছু লিখতে পারোনাই তাই নাম্বার পাওনাই ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনারা সকলেই জানেন ক্লাস টেস্টের খাতা অভিভাবককে দিয়ে সাইন করিয়ে আনাটা ফরমালিটি মাত্র, অভিভাবক মাত্রেই উচিৎ চুপচাপ সই করে খাতা আবার ছেলেমেয়েকে ফিরিয়ে দেয়া। আমার পিতা তা না করে পুরা ছয়পাতা কষা অংক পড়তেন, তারপরে সই করতে করতে গম্ভীর স্বরে বলতেন, “পনেরোতে তিন দিল কেন বুঝলামনা, শুণ্য দেওয়া উচিৎ ছিল। সরল অঙ্কের উত্তর দুইশ পঁচাশি বাই সাতশ আঠাশ কিভাবে হয়।” পাষন্ড পৃথিবীর নির্মমতায় বালক সত্যপীরের চোখে তখন পানি।
আমি যখন বাবা হলাম