এক দুপুরের বৈশাখ ও কিছু মর্মান্তিক অনুভূতি
জানের দোস্তোকে বলছিলাম দোস্তো আমার কেমন কেমন লাগতেছে। এর আগের বার যখন ফেরিতে উঠছিলাম, তখন ফেরি ঘুরে ঘাটের বা’দিকে যেয়ে তারপর নদী পার হয়ে ওইপাশে গেলেই যায়গামত পৌঁছে গেছিলো। কিন্তু এই ফেরিতো সোজা চলা শুরু করলো? যদি আমরা ভুল ফেরিতে উঠে থাকি?
কয়েকদিন ধরে মনটা খুব অস্থির হয়ে আছে। কেন অস্থির হয়ে আছে সেটা বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে বোঝার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যতই দিন যাচ্ছে মনে হচ্ছে ততোই জীবনটা একটু একটু করে জটিল হচ্ছে। আজকাল একটা প্রবাদ সবসময় মনে পড়ে, যায় দিন ভালো আসে দিন খারাপ। ব্যাপারটা সবার জন্য হয়ত না। তবে মনে হয় জীবনের একটা পর্যায়ে গিয়ে সবারই এরকমটা মনে হয়। আজকাল শৈশব কৈশরের কথা মনে করে ভীষন হিংসা হয়। সেই উদ্দাম দুরন্ত দিনগুলোকে ফিরে পেতে মন
সচলায়তন পরা শুরু ,যখন থেকে একাকিত্বের সঙ্গী হয় আমার লেপটপ খানি . অনেক বার ভেবেছি নিবন্ধন করব , কিন্তু এত এত কঠিন নিয়মাবলী দেখে বারবার পিছ পা হই.কিন্তু পাগল মন কে আর ঠেকাতে পারলাম না . হাতে খড়ি নিলাম ( আশা করি নাকে খড়ি দিতে হবেনা ).
তখন চৈত্র মাসেই স্কুল হয়ে যেত মর্নিংস্কুল। সকাল আটটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত। দুপুরে দাপিয়ে সাতারের যো ছিলো না, গরমে পানি শুকিয়ে যাওয়া পুকুরে। তবুও স্কুল যতদিন চলতো, রুটিন থাকতো, হারিকেনের আলোয় গোল হয়ে বসে হোম ওয়ার্ক করতে হোত। তারপর গরমের ছুটির দিন স্কুলে হোত উৎসবের মত, সব্বাই বাসা থেকে ক্লাস টিচারের জন্য আনতো উপহার। সেবার শেফালি দুই রঙের জামরুল দিয়ে চমৎকার এক মালা গেঁথে নিয়ে এলো, সেটা
দৃষ্টি প্রতিবন্ধির অন্তর্দৃষ্টি
মানুষের দুটি চোখ ছাড়াও আর একটি চোখ নাকি আছে। যার নাম মনের চোখ। চোখ বন্ধ করলে সবকিছু অন্ধকার কিন্তু তারপরও অনেক কিছু অনুভব করা যায়। আর এই অনুভুতি ক্ষমতার প্রখরতা যার দৃষ্টি নেই মনে হয় তারই সবচাইতে বেশি। আমি দৃষ্টি প্রতিবন্ধিদের কথা বলছি।
বেশ ব্যস্ত কিছু সময় পার করলাম গত এক মাসে। এই কয়েকদিনের অভিজ্ঞতা আমার ধারাবাহিক স্মৃতিচারণকে অন্ততঃ এক পর্ব বাড়িয়ে দেবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। সন্দেহ যেখানে সেটা হলো, পাঠক ধৈর্য ধরে আরো পড়বেন কি না। প্রথম দুই পর্বে কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা লিখেছিলাম। অপ্রিয় বিষয় নিয়ে কথা বললে তিক্ততাই বাড়ে শুধু, তাই ঠিক করেছি ফাঁকে ফাঁকে অন্য বিষয় জুড়ে দেব, যাতে পাঠক একঘেয়েমিতে না ভোগেন।
আমার ঘরটিকে আমি স্বার্থপরের মতো ভালোবাসতাম।
আমাদের ছোট্ট বাড়িটায় আরো চারটা কামরা ছিল। তবু আমার ঘরটিকেই আমি বিশেষভাবে ভালোবাসতাম। পূর্ব দক্ষিণ ঘরটা ছিল সর্বকাজের। সেখানে বসা, খাওয়া, বই-পত্রিকা পড়া, আড্ডা দেয়া, টিভি দেখা, হেন কাজ নেই হতো না। এই ঘরটির দুটো জানালা, একটা দক্ষিণে আরেকটা পূর্বদিকে। এই ঘরকে আমরা ডাকতাম 'ড্রইংরুম' বলে। আসবাবের মধ্যে ছিল একসেট কাঠের, আরেক সেট বেতের সোফা, অন্যপাশে বুকশেল্ফ, শোকেস, টিভি ইত্যাদি। এই দুয়ের মাঝে ছজন বসার মতো একটা ডাইনিং টেবিল ছিল যেটায় খাওয়া পড়া লেখা সবই চলতো। দক্ষিণের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে দুটো পেয়ারা গাছ, একটা আমগাছ দেখা যেত। তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কামিনী আর শিউলীর ঝোপটাও আংশিক দেখা যেত। আর দরোজায় দাঁড়ালে দেখা যেতো থোকা থোকা রসালো কামরাঙ্গা হাত বাড়ানোর জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।
জীবাণু বিস্ফোরণে আছি
আছি দুবেলা দুমুঠো কানামাছি খেলায়
সংসারে এমন অসংখ্য প্রাত্যহিক জীবাণু বেশ সুখে আছে
খাচ্ছে.. দাচ্ছে.. কেটে যাচ্ছে
অন্ধকারের বিপরীতে চেনাচেনা ছায়ার ফাঁকে
শহরের সমস্ত ঘনীভূত দীর্ঘশ্বাস ভর করে
মাতাল পূর্ণিমায়
রক্তিম উল্লাসে ফেটে পড়ে চাঁদ
ক্ষুদে বার্তার জন্য আঙুল চেপেচেপে
অক্ষরগুলো কেটে-ছেঁটে বারবার সাজাই।
শব্দের বনসাই
দেখে হয়তো অবাক হবেন তিনি
গানের মধ্যে গল্প খুঁজে পাই না আজকাল। সুর আছে, কথা আছে, যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি যন্ত্র আছে, কিন্তু গল্প নেই। কথায় সুর লেগে গান হওয়ার বদলে সুরের বেঁধে দেওয়া দৈর্ঘ্য-প্রস্থের সাথে খাপে খাপ মিলে কথাগুলো বসে থাকে যেন। মন থেকে কিছুটা আবেগ কর্জ করে গানের আবেদন পুরো করতে হয়।