গেলবার দেশে থাকার সময়ে বেশ অযাচিত ভাবেই রাজশাহী বিশ্ব-বিদ্যালয় রোটারি ক্লাব আমার মত ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো পাবলিককে কোন অজ্ঞাত কারণে ঘটা করে গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর উপর আয়োজিত আলোচনা সভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে মূল বক্তার স্থান দেয় এবং সম্বর্ধনা প্রদান করে, সেখানের শেষের আধা ঘণ্টা উপস্থিত দর্শকদের প্রশ্নোত্তর পর্ব ছিল, এক পর্যায়ে স্কুলপড়ুয়া অনুসন্ধিৎসু ছাত্র প্রশ্ন করেন – আপনার জীবনের
খবরটা অনেক জায়গাতেই চাউর হয়ে গেছে--পেপ গোয়ার্দিওলা আর বার্সিলোনা ফুটবল দলের কোচ থাকছেননা। আর কিছুদিনের মধ্যেই এই মৌসুম শেষ হবে, আর তার সাথেই বিদায় নেবেন এই কোচ। বার্সা যথাসাধ্য চেষ্টা করছে তার মন ফেরানোর, তবে তার না থাকাটা এখন প্রায় শতভাগ নিশ্চিত।
আমরা ঢাকায় আসি ৮৪'র নভেম্বর এ, এসে উঠি রায়ের বাজার এ একটা ভাড়া বাড়িতে. রায়ের বাজার এ তখন অনেক মাটির কুমার বাড়ি, সেই সব মাটির বাড়ির দেয়ালে লেপা থাকত ঘুটে. এইতো সেদিন ও দেখেছি কুমার বাড়ির মাটির হাড়ি, কলস বাইরে রোদে দেয়া. আজকে যারা রায়ের বাজার এ থাকেন তাদের অনেকের কাছেই হয়ত এসব গল্পের মত মনে হতে পারে, আমিও যখন ভাবি তখন মনে হয় সবই হয়ত কোনো বহু বহু কাল আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা.
তা সে অনেক বছর আগের ঘটনা। বার্ষিক পরিক্ষার পর স্কুলের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছি। সে সময়ে গ্রামে আমার বয়সী বেশ কয়েকজন জ্ঞাতিভাই ছিল। আমি গ্রামের বাড়িতে গেলে তাদের সাথেই মিশে যেতাম। লেখাপড়ায় তাদের খুব একটা গরজ ছিলনা।
কাল রাতে আমাদের শহরে লন্ডভন্ড করা বৃষ্টি হয়েছে। সকালে যখন স্কুলে যাই, তখনো তার রেশ পুরোপুরি কাটেনি। গাছপালা, রাস্তাঘাট সবই ভেজা ভেজা। ভালোবাসা তারপর দিতে পারে গত বরষার সুবাস... বৃষ্টির গন্ধেই বোধহয় গতবছরের এরকম একটা দিনের কথা মনে পড়ে যায় আমার। কিছু কিছু দিন কাটে সত্যি অন্যরকম...
চায়ের সাথে আমার বন্ধুত্ব আমার ২ বছর বয়স থেকে। আব্বু আম্মু অফিসে থাকার কারণে এবং বাসায় আর কোন বাচ্চা না থাকার কারণে আমাকে দিনের বেশীরভাগ সময় চাচাদের সাথে থাকতে হত, সঠিক করে বললে বলতে হয় চাচাদেরকে আমার সাথে থাকতে হত। তাই আমার অনেক বদভ্যাসের মত চা খাওয়ার বদভ্যাসটাও আমি তাদের কাছ থেকেই পেয়েছি। কেন যেন আমার ধারনা ছিল চা বড়দের খাবার তাই ওটা আমাকে খেতেই হবে। বড় হওয়াটা কত কষ্টের , বড় মানুষেরা কতটা হ
গত কয়েকটি দিন ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইলিশের ফেরিওয়ালারা পাঁচ মিনিট পরপর হাঁক দিয়ে গেছে । বাতাসে ইলিশের গন্ধ, রাস্তার মোড়ে মোড়ে গলি-ঘুপচিতেও রুপালি ইলিশের হাতছানি। ফেরিওয়ালাকে দাম জিজ্ঞাসা করার সাহস হয় না। তবু মাঝে মাঝে দলবদ্ধ মানুষের উৎসাহে সামিল হয়ে মুখ ফস্কে বেরিয়ে যায় - কত করে কেজি?
আমার শৈশব অথবা কৈশোরকালের স্মৃতিতে 'বর্ষবরণ' বলে কিছু নেই। এ ধরনের কোন আনুষ্ঠানিকতার কথাও তখন জানতাম না। সে সময়ের স্মৃতিতে যা আছে সেটা হলো, পহেলা বৈশাখের আগে-পরে কয়েকদিন ধরে 'চৈত-সংক্রান্তি'র মেলা ও 'বৈশাখী' মেলা বসতো। আমার শৈশবে বড় ভাই-বোনদের হাত ধরে মেলায় যেতাম। মেলায় পৌঁছে দেখতাম তাদের আনন্দ-উল্লাস। তারা বন্ধু-বান্ধবদের পেয়ে তাদের সাথে আনন্দে মেতে উঠতো। আমার কথা তারা ভুলেই যেত।