ডায়েরি লেখার অভ্যেস নিয়মিত নেই আমার। সবুজ মলাটের ডায়েরিটায় তাই কখনো সময়ের অভাবে,কখনো অলসতায় কলম ধরা হয়ে উঠে না।তাও মনে দাগ কেটে যাওয়া মুহূর্তগুলো কালির অক্ষরে হয়তো দু-তিন মাসে,কখনো ৫-৬ মাসে একবার লিখে রাখি।ক'দিন আগে মনে হল,পাতাগুলো একবার উল্টিয়ে দেখি,মনটাকে একটু পেছনে ফেরাই।দেখলাম,বুয়েটের পাঁচটা বছর কীভাবে চলে গেল !
এইবার যে ছবিগুলা দেখাব বা যেই ট্যুর নিয়া আলাপ করব সেইটা অনেক আগের। অনেক মানে আবার অনেএএএএএএক না, ছোট্ট কইরা অনেক। এক বছরের কিছু বেশি হইসে হয়তো। তখন আমি কাতারে নতুন।খালি শুনি মানুষের কাছে মরুভূমি মরুভূমি, আর চিন্তা করি হায় আমি কবে দেখব?
ছোটবেলা থেকেই একটা কথা শুনি,‘দেশের বাড়ি’ ।
প্রথম পর্বঃ অভিযাত্রিক
রিকশাটা থামল প্রকান্ড একটা গেটের সামনে । আমি আব্বুর কোল থেকে নামলাম , চোখ মেলে দেখলাম গেটের ওপাশে একটা ইটের রাস্তা শুরু হয়ে থেমে গেছে একটা পলেস্তরা খসে পরা বিল্ডিং এর সামনে । বিল্ডিং এর উপরের দিকে বড় বড় করে লেখা “খুলনা পাবলিক কলেজ” । কলেজ ?
আনিসভাই যেমন সচলাড্ডায় জমিয়ে শরৎচন্দ্র পণ্ডিত ওরফে দাদাঠাকুরের গল্প শোনাচ্ছিলেন, তেমনই আমারও ওনার একটা দারুণ রসিকতা মনে পড়ে গেল। একদিন দাদাঠাকুর বলছেন কাজী নজরুল ইসলামকে, “বুঝলি, হিন্দুদের দেবতা খোদার খোদা।” কাজীসাহেব তড়িঘড়ি বললেন, “দাদা, আমার কাছে বলেছেন সে ঠিক আছে, কিন্তু আপনি অন্য কোনো মুসলিমের কাছে এ কথা কইতে যাবেন না যেন!”
দাদাঠাকুর হেসে বললেন, “আরে, তুই এমন রসিক লেখক হয়ে এটা বুঝলিনে?
সংবিধিবদ্ধ সর্তকীকরণঃ বিশা-আ-আ-আল পোষ্ট। নষ্ট করার মত প্রচুর সময় থাকলে, নিজ দায়িত্বে অগ্রসর হউন।
<><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><>
দু'সপ্তাহের বেশি হতে চলল এই নতুন বছরের।
সঙ্গত কারণেই আমার মনে হয়, জগত সংসারের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দ্বিপদ প্রানীটির নাম “শাশুড়ী”! শব্দটির ভেতরেই বাই-ডিফল্ট গেঁথে আছে জন্ম জন্মান্তরের কলিজাকাঁপান ত্রাস! হাঁটুকাঁপান আতঙ্ক! দাঁতকপাটিলাগা বিভিষীকা! একটি নারী যখন শাশুড়ী হবার প্রমোশন পান - নিচুতা, শঠতা, স্বার্থপরতা, কুটিলতা, জটিলতা, ধূর্তামি, টাউটামি ইত্যাদি যাবতীয় কর্পোরেট বৈশিষ্ট্য তখন তার আগাপাশতলা দিয়ে তেড়েফুঁড়ে বেরিয়ে আসে!
এখনকার কাচ্চা বাচ্চাগুলি ঘুমায় কখন বুঝিনা। চব্বিশ ঘন্টা কার্টুন দেখার সুযোগ থাকলে আমি দিনে কয় ঘন্টা ঘুমিয়ে নষ্ট করতাম বলা মুশকিল!
সেটা ‘আর্লি নাইন্টিজ’, কলকাতার ভিআইপি রোডের তখন কিশোর বয়স, আর বয়সোচিত মাখনের মত ত্বক। বরিশালে আমাদের দ্যাশের বাড়ি থেকে এক কাকা এলো বেড়াতে, বাবা তাকে স্কুটারে করে ওই রাস্তায় একপাক ঘুরিয়ে আনার পর মন্তব্য এসেছিল, “Zhaকুনি লাগে!”