Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

স্মৃতিচারণ

বাতাসের আছে কিছু গন্ধ

নীল রোদ্দুর এর ছবি
লিখেছেন নীল রোদ্দুর [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০২/১১/২০১১ - ৭:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
একটু খামখেয়ালী বেপরোয়া স্বভাবটা কবে থেকে গড়ে উঠেছে মনে করতে পারিনা। আসলে সামাজিকীকরণ বা সোশ্যালাইজেশন নামে যে একটা টার্ম আছে, দুখঃজনকভাবে সেটা আমার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ভাবে হয়নি, তাই জানিনা, কি পরোয়া করতে হবে, আর কি হবে না, কোনদিন যা শিখিনি, তা করবো কি করে! সেই আমি আমার মনের একটা ইচ্ছা দীর্ঘদিন ধরে চেপে রেখেছিলাম... খুব ইচ্ছে ছিল ঢাকা শহরের রাস্তায় রাস্তায় সারারাত রিক্সায় করে ঘুরে বেড়াবো। সহপাঠী বন্ধুদের কাছে শুনতাম, সারারাত ফুলার রোডে শুয়ে বসে আড্ডা দিয়েছে... কিংবা রাত্রি তিনটে চারটায় মানিকের চা, ডিম পরোটা ইত্যাদি তো রোজকার রুটিন। খুব হিংসে হত তখন... আমাকে কেন তবে রাত্তির দশটায় হলের গন্ডিতে ঢুকতে হবে, আমিও যাবো তোমাদের সাথে পায়ে হেটে নৈশ কালের অ্যাডভেঞ্চারে... এসব কেবল মুখেই বলা, যাওয়া আর হয়না... যেতে পারিনা। সমাজ কিংবা আমাদের আইনশৃংখলা রক্ষাকারীরা... কেউই ঢাকার রাস্তায় মধ্যরাতে হেঁটে বেড়াবার নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতা দিতে পারেনা। তাই বাঁধনের বাৎসরিক সাধারণ সভার জন্যে সারাবছরের রিপোর্ট একত্রিত করে সুভ্যেনির আকারে ছাপাতে প্রেসের ঘরে সারারাত বসে বসে কাজ করা সম্ভব হলেও এইসব শখের অ্যাডভেঞ্চার আমার আর করা হয়ে ওঠেনি। কারণ একটাই বাংলাদেশের সীমারেখায় ঘরের বাইরে মেয়েদের নিরাপত্তার অভাব, রাত হলে তো কথায় নেই! এসব ভাবতে ভালোলাগে না। একদম না।


বাংলা ব্যান্ড মিউজিক ---- দাগ থেকে যায়

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/১০/২০১১ - ৯:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৯৯৫ এ যখন ক্লাস থ্রীতে পড়ি। আমার বয়স ৮ হবে হয়ত। গ্রামের একটা স্কুল। হেটে হেটে প্রতিদিন স্কুলে যাই। আমার স্কুলের হেড স্যার ছিলেন খুবই বে-রসিক মানুষ। আমরা কোন ছোট খাটো ভুল করলেও শাস্তির হাত থেকে ক্ষমা পাবার জো নেই। স্যারের শাস্তিগুলিও খুব অদ্ভুত। হয়ত দুপুর টিফিন আওয়ারে তালপাখা দিয়ে স্যারকে বাতাস করতে হবে। এই সময়ে স্যার একটু আরামে ঘুমিয়ে নেবেন (যেহেতু গ্রামের স্কুল, তাই গ্রামে ইলেকট্রিসিটি থাকা সত্ব


সৌদিআরবে শিরচ্ছেদ - কিছু অভিজ্ঞতা-১

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি
লিখেছেন খন্দকার আলমগীর হোসেন [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৪/১০/২০১১ - ১:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নিদেনপক্ষে নিজের কথা বলিতে পারি। সব জানিয়া শুনিয়াই সৌদিআরবে গমন করিয়াছিলাম। উড়াল দেবার পূর্ব রজনীতে মাথায় আদরের হাত বুলাইতে বুলাইতে বলিয়ছিলেন আমার জান্নাতবাসী আম্মাজান, কঠিন আইন কানুনের দেশ বাজান, সাবধানে থাকিবা। সৃষ্টিকর্তার পরে পূত্রের উপরও বড়ো বেশী ভরসা ছিলো মা জননীর আরেকখানি কারণে। খুন-খারাপী করিবে কি, চৌর্যবৃত্তি কি পরনারী গমনের জন্য যে বুকের পাটার প্রয়োজন, তাহারই বড়ো অভাব ছিলো মা-অন্তপ্রাণ ছ


কথাকলি। ১০। ভাঙারি পার্টি

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: সোম, ২৪/১০/২০১১ - ১২:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রতীক্ষা নাটকে হড়বড় করে সাকুল্যে দুইটা ডায়লগ দিয়ে জীবনে একবার মাত্র মঞ্চে ঢোকার অভিজ্ঞতা নিয়ে ব্যারিকেড চারিদিক নাটকে বেশ বড়ো একটা চরিত্র পেয়ে গেলাম। ‘ব্যারিকেড চারদিক’ হাবিবুল ইসলাম হাবিবের লেখা পথনাটক। নির্দেশনা দিচ্ছেন আক্তার ভাই। জেলবন্দী তিন বামপন্থী ছাত্রনেতার একজন কেন্দ্রীয় চরিত্র; তার প্রেমিকা-টেমিকা আছে ক্যাম্পাসে; সেই চরিত্রটা মারুফের। তার সাথে দুইজন পাতি নেতা; একজন দেয়ালে চিকা মারার সম


বু

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি
লিখেছেন প্রৌঢ় ভাবনা [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২২/১০/২০১১ - ৪:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কলেজে পড়াকালিন ছুটিছাটাতে প্রায়ই আমি গ্রামের বাড়িতে যেতাম। যদিও আমরা তখন মফস্বল শহরেই থাকতাম তথাপিও গ্রাম আমাকে প্রচন্ডভাবেই আকৃষ্ট করত।

গ্রামে আমাদের বাড়ির সামনেই বিশাল একটি বাওড় আছে। চাঁদনিরাতে আমরা নৌকায় চড়ে বাওড়ে ঘুরতে বেরোতাম। সাথে থাকতো কোঁচড়ভর্তি মুড়ি আর পাটালি। জোছনারাতে নৌকায় করে বাওড়ে ঘুরতে কী ভাল যে লাগত!


বংশের কলঙ্ক

উচ্ছলা এর ছবি
লিখেছেন উচ্ছলা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৯/১০/২০১১ - ১০:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"বেয়াদব! এত লেখাপড়া শিখে, দেশী বিদেশী ডিগ্রী নিয়ে এই শিখছ! এটা একটা কাজ হলো! অসভ্য বেতমিজ কোথাকার! "

মেয়েটির মাথা নত। চোখ নত। জড়োসড়ো হাতদুটি কোলের উপর নেতিয়ে। অদৃশ্য হাতকড়া দৃঢ় মুষ্ঠিতে চেপে আছে ওর অসাড়, আহত হাতদুটো। পায়ে শেকল পরা ছিল সেই শৈশব থেকেই। মুষলধারে গালিবর্ষন হচ্ছে মেয়েটির ওপর।


নীল জীবন...

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৯/১০/২০১১ - ৯:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক/
বুবুর ফ্রকটার রং ছিল লাল আর আমারটা নীল। জামাদুটো মা নিজ হাতেই সেলাই করেছিলেন। ওটা পরলে বাবা ডাকতেন ‘লাল পরি-নীল পরি’। ভেলভেটের ফ্রকটার ঘের এতোটাই ছিল যে দুই পাক ঘুরে ফুলিয়ে টুপ করে বসে পড়লে গোল তাবুর মধ্যে শুধু মাথাটাই দেখা দিত। যে বয়সে প্রিয় শব্দটার অর্থ ঠিকঠাক বুঝে ওঠার কথা নয়, সে বয়সে ঐ নীল জামাটা ছিল আমার সবচেয়ে “পিয়”। মনে পড়ে ওই নীল জামাটা পরেই প্রথমবারের মত স্কুলে পা রেখেছিলাম ভর্তি হবার জন্য।
আর স্কুল ড্রেসটার রং ও নীল। আকাশী নীল।


কথাকলি। ০৯। শ্যামপিরিতি

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: বুধ, ১৯/১০/২০১১ - ১২:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অমুক ভাইয়ের চামড়া; তুলে নেবো আমরা... কাউয়ার গলায় মুক্তার হার; মানি না- মানব না...