প্রিয় মেহেদী,
নটরডেমে যারা পড়েছেন, বিশেষ করে যারা নিয়মিত ক্লাস ফাঁকি দিয়েছেন, তাদের অনেকেরই হয়তো গুরুর সাথে সাক্ষাতের সৌভাগ্য হয়েছে। আমার সাথে একাধিকবার হয়েছে।
একদম প্রথমদিনের কথা বলি, আমি এ. সি. দাস স্যারের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে রফিক মামুর টংয়ে বসে আছি। বাতেনী আলাপ হচ্ছে। দেখি গুরু একটা বোয়াম থেকে চকলেট বের করে নিচ্ছেন। পরনে রঙচটা ট্র্যাকস্যুট, টিশার্ট। খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি। মুখে "হারিয়ে গেছি" টাইপ হাসি। আমি অত্যধিক উত্তেজিত হয়ে পড়লাম। সে বয়সে কিছু মানুষের জন্য তীব্র শ্রদ্ধা, ভালোবাসা বহন করে ফিরতাম। তিনি শ্রদ্ধার সেই মানুষগুলোর তালিকায় ছিলেন একদম শুরুর দিকে।
হুজুরদের গল্প ৩
হুজুরদের গল্প ৪
তাবলীগ পর্ব
[justify]
কালীদাস থেকে রবীনদ্রনাথ মৌসুমের প্রথম মেঘ এবং বৃস্টি নিয়ে অনেক যল্পনা কল্পনা করেছেন। সাহিত্যের প্রত্যেক শাখায় অনভুতির অবাধ বিচরন করেছেন, লিখেছেন কবিতা, গান, নাটক, প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস। বাঙ্গালী মনে ক্ষেত্র প্রস্তুতই আছে। একটু শুধু বর্ষার ছোঁয়া, যাদু বলেই মন মেঘের সঙ্গী হয়ে উড়ে যায় অসীম দিগন্তে!!
গানটা প্রথম শুনি তিরানব্বই এর গ্রীষ্মে। ছায়াচ্ছন্ন, পুরোনো একটা মফস্বল শহরের মায়াবী এক দুপুরে। স্কুল গরমের ছুটি। (হ্যাঁ, সেইসময়কার স্কুলগুলোতে গরমের ছুটি বলে একটা ব্যপার ছিলো।) আমি সকাল থেকেই ঘাঁটি গেড়েছি এক বন্ধুর বাসায়। ওদের বাসা শহরের একেবারে মধ্যিখানে হলেও বাসার সামনে একটা আর পেছনে দুইটা পুকুর ছিলো। আর পেছনে প্রায় অন্ধকার জঙ্গলের মতো একটা বাগান। তাই পুরো সকাল আর দুপুরবেলা কেটেছে ওদের বাগান
সাবরিনা সুলতানা
"বেজে উঠো - ফড়িঙের রঙে, দোয়েলের জীবনে...দুর্জয় তারুণ্যে দুর্নীতি প্রতিরোধে" এই স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছিলো চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন। গত ১২, ১৩, ১৪ই মে’১১ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সাথে নিয়ে জমজমাট এক তারুণ্য উৎসবের আয়োজন করেছিলো চুয়েট ডিবেটিং সোসাইটি। জীবনে কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনা মাড়ানো হবে ভাবিনি। নিতান্ত কাকতালীয় ভাবেই সেদিন চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে তারুণ্যের এই উৎসবে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেয়ে গেলাম আমি।
বেলা পড়ে আসে, সূর্যের আলোয় নরম ভাব। যদিও এখনই আমাদের ফিরতে হবে না, কালও তো ছুটি, রবিবার। এখানের পিকনিক স্পটে দেওয়ালহীন কাঠের ছাদওয়ালা ঘরগুলো বেশ, রোদ বৃষ্টি থেকেও বাঁচায় আবার ঘরের ভিতর আছি বলেও মনে হয় না।
আমাদের পাড়ায় কুখ্যাত এক বকুল গাছ ছিল । ঝাঁকড়া ডাল পালাওলা বিরাট চেহারা । বড়রা বলত 'দাগী গাছ' । দাগী চোরের মত দাগী গাছ । দুষ্টু জ্বিনের বাদশা সেটায় বাস করত বলে এমন নামকরণ । জ্বিনের বাদশার সাথে আমাদের ছোটদের কোন বিরোধ ছিলনা, বরং মনে হত উনি আমাদের একটু প্রশ্রয়ই দেন । কাজেই এত বড় তথ্য জানা থাকলেও ওইসব আমরা আমল দিতাম না ।
আজ দিনটি ভালো-মন্দের মিশেলে পার হচ্ছে।
সকালে উঠেই মনটা ভালো হয়ে গিয়েছিল যেটা দুপুর পেরোতে না পেরোতেই খারাপ লাগায় ভরপুর হয়ে উঠেছে।
উনিশ শতকেই প্রচুর ভারতীয় সাগর পারি দিয়ে পশ্চিমে আসে উচ্চশিক্ষার জন্য। দেশ স্বাধীন হবার পরে মানুষ আরো বেশি আসতে থাকে উচ্চতর শিক্ষার জন্য। মেধায় মননে এরা দুধের সরের মত। গ্রামে মাটির হাড়িতে দুধ জ্বাল দিলেও ঘন সর উপরে জমে, শহরে ধাতব পাত্রে জ্বাল দিলেও স্বরটা উপরেই জমা হয়!