Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

স্মৃতিচারণ

হুজুরদের গল্প

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৫/০২/২০১১ - ৫:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
হুজুর হুজুর, চানাচুর
হুজুরের পোলায় পড়া-চুর
হুজুর গেলে ফতুল্লায়
হুজুরের বউ ঢোল বাজায়


তোমার মৃত্যুতে পৃথিবীর তিনভাগ জল হয়ে গেছে অশ্রু, রাজপথ হয়েছে সাহসী মিছিল।

মুস্তাফিজ এর ছবি
লিখেছেন মুস্তাফিজ (তারিখ: মঙ্গল, ১৫/০২/২০১১ - ৪:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]তোমার মৃত্যুতে পৃথিবীর তিনভাগ জল হয়ে গেছে অশ্রু, রাজপথ হয়েছে সাহসী মিছিল। অদ্ভুত সুন্দর এই বাক্যটির রচয়িতা মোজাম্মেল বাবু। বাবু বুয়েটে পড়ত, কবিতা লিখত, রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত ছিলো। সেসময় রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো না তেমন কোন ছাত্র আছে কি? “হঠাও এরশাদ বাঁচাও দেশ” শ্লোগান দেয়নি তেমন কুলাঙ্গার কাউকে খুঁজে বের করাটাই মুশকিল সে সময়য়ের জন্য। আমাকে যারা চেনে তারা নিশ্চয়ই আমার এই “কুলাঙ্গার” শব্দচয়নে একটু ভুরু কুঁচকাবেন। আসলে সেটা একটা সময় ছিলো আমাদের জন্য, নিজে বাঁচার আর আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের স্বার্থ সংরক্ষণের লড়াইয়ে যারা অংশ নেয়নি তাদের জোর গলায় কুলাঙ্গার বলাতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করব না আমি।


ইহাদের পথে নিতে হবে সাথে

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৩/০২/২০১১ - ১০:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কল্‌কত্তা হাওয়াই অড্ডা অর্থাৎ কিনা কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রাত আড়াইটেয় প্লেনে উঠলাম। ফ্রাঙ্কফুর্ট-বোস্টন। প্রবল ঘুম পেয়েছে, কিন্তু প্লেনে ঘুম আসে না, তাই কিংকর্তব্য ভাবছি। যাত্রী বোর্ডিং চলছে, আইল সিটে বসে স্থূলাঙ্গী বধূ থেকে স্থূলাকৃতি লাগেজ সবার গুঁতো খাচ্ছি। এমন সময় এক মাঝারিউচ্চতাবিশিষ্ট ছোটকরেছাঁটাগাঢ়সোনালীগোঁপদাড়িওয়ালা শ্বেত(তামাটে)’আঙ্গ মাঝবয়সী ব্যক্তি আমার লাগোয়া উইন্ডো সীটটায় সুড়ুৎ করে বসে


তখনও আমি দেশ চিনি না

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০১/০২/২০১১ - ৯:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার জন্ম ঢাকাতেই, এখন জানি এরশাদ বাবাজীর সূর্য তখন মধ্যগগনে, গনতান্ত্রিক পদ্ধতির নির্বাচনে তিনি নাকি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জয়ী হয়ে রাজাসনে স্থায়ী হয়েছিলেন। ক্ষমতার মসনদে অস্থিরতা নেই বটে, নাকি? কিজানি, তখনতো দেশ চিনি না।


আমি কান পেতে রই ০২: একটি আম গাছ ও কতিপয় দেয়াল

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি
লিখেছেন জোহরা ফেরদৌসী (তারিখ: সোম, ৩১/০১/২০১১ - ৯:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্মৃতি এক অদ্ভুত জিনিষ । তোরঙ্গে তুলে রাখা শাড়ীর ভাঁজের গন্ধের মত অতল থেকে কখন কোন গহন কথা, সুরকে তুলে আনবে, কেউ জানে না…

০১.


ঐ পতনের ধ্বনন চড়ে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২১/০১/২০১১ - ৯:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ধৈবত

নিন্মোক্ত গল্প, প্রকল্প, চরিত্রগত চিত্রকল্প, সমস্তকিছুই কল্পনাধিক কল্পনা। মন্দবাস্তবের সাথে এর কোনরুপ সন্ধি-সম্বন্ধ অনুসন্ধানের অন্ধ অনুসন্ধিৎসা- প্রয়োজনীয় প্রতিটি প্রহরের প্রভূত প্রণাশন মাত্র

[justify]
“এই ছেলে....দাঁড়া......দাঁড়া বলছি” কেমন একটা ক্ষেপাটে স্বরে ত্বরিৎ শব্দচয়নে বললেন তিনি।

ছেলেটা ডানে-বামে, এদিক ওদিক তাকালো। হয়তো তার ভুল হয়ে থাকতে পারে। হয়তো তিনি অন্য কাউকে ইংগিত করেছেন।


যুবকের ‘মাগনা’ আবিষ্কার

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি
লিখেছেন খন্দকার আলমগীর হোসেন [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১৪/০১/২০১১ - ৭:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের কোন একদিন ২৪ বছরের যুবক স্বপন ভাগ্যাণ্বেষণে উড়াল দিল সৌদি আরব। তখনও ঢাকা জেদ্দা সরাসরি ফ্লাইট শুরু হয়নি। যেতে হ’ত করাচী হয়ে। জীবনের প্রথম বিমান যাত্রা ভয় মিশ্রিত এক ধরণের শিহরণে উপভোগ করতে করতে আর বারংবার বিমানের উঠতে নামতে ক্রুদের ঘোষণার প্রথম অংশটুকু (যা বলা বাহুল্য ছিল আরবী ভাষায়) ‘না বুইঝ্যা’ শুনতে শুনতে যুবক প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় নিজের কাছে, এ ভাষাটা শেখা চাই তার।


অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী, মুখস্থবিদ্যা বিধ্বংসী।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১২/০১/২০১১ - ১১:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তখন ক্লাস নাইনে পড়ি। ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র। ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে। সাধারণ গণিতে ৬৫ পেয়েছি। সব বিষয়ের মধ্যে সেটাই সর্বোচ্চ। উচ্চতর গণিতে কোনমতে পাস করেছিলাম শুধু। বাবা-মা দু’জনই মহা দুঃশ্চিন্তায়। এহেন অবস্থা থাকলে তো ছেলেকে এসএসসিতে স্টার মার্কস পাওয়ানো প্রায় অসম্ভব! কাজেই, আমার স্বল্প আয়ের বাবা আমাকে অংকের টিচারের কাছে প্রাইভেট পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। বাড়িভাড়া, ইলেকট্রিক-গ্যাসের বিল, স্কুলের বেতন- এসব দিয়ে মা’র হাতে সেসময় সর্বসাকুল্যে ৪০০০ টাকার মত থাকত- সারা মাস ৪ জনের এ পরিবারটিকে চালিয়ে নেয়ার জন্য। এর মধ্যে এখন যোগ হল ৮০০ টাকা- মানিক স্যারের মাইনে।


সুরঞ্জিত সুরমূর্ছনার সুললিত শৈশব

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১০/০১/২০১১ - ৬:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]গান, অর্থাৎ সঙ্গীত। আহ! কী হৃদয়ব্যাঞ্জনাকর একটা বিষয়! কথা আর সুরের মায়াজালে আমাদের নিয়ে চলে সময় আর অনুভূতির সীমাহীন কল্পনার জগতে। এ নিয়ে আমার ছোটবেলা থেকেই ব্যাপক আগ্রহ। কিন্তু কেন জানি আমার কাছে সুরটাই বেশি ভালো লাগত। সেখানে গানের কথা কিংবা মর্ম বোঝাটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিলনা। আর তাই, স্বতস্ফুর্ত আবেগে এই বাজখাঁই গলার টোন টিউন না করে, কিংবা পরিবেশের আশু শব্দদূষণের সম্ভাবনার তোয়াক্কা না করে কেবলমাত্র লা-লা-লা অথবা উম-উম-উউউ করেই আমার সঙ্গীত চর্চা চালিয়ে যেতাম সারাদিন। আর একারণে প্রাণপণ চেষ্টায় এখন আগের শোনা অনেক গানের সুর মনে করতে পারলেও কথা স্মরণ করতে পারিনা। আমাদের একান্নবর্তী পরিবারের বাসায় তখন শুধু একটা রেডিও আর একটা ১৭ ইঞ্চি ফিলিপস্‌ টিভি ছিল। সেখানে ঐ সময় কেবল শুক্রবারে বাংলা ছিনেমা দেখাত আর সম্ভবত সোমবারে ছায়াছন্দ হত। তাছাড়া হিন্দী ন্যাশনাল চ্যানেল ধরত টিভিতে ডিশ না থাকলেও, বর্ডার এলাকায় গ্রামের বাড়ি থাকার সুবাদে। সেখানে কিছু গানের প্রোগ্রাম হত আলিফ লাইলার পাশাপাশি।


সুন্দরবনের কেওড়াশুটিতে একঘণ্টা

মুস্তাফিজ এর ছবি
লিখেছেন মুস্তাফিজ (তারিখ: শনি, ০৮/০১/২০১১ - ১১:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

20101226-_Q8X0336-1 তুমি কি বুঝতে পারছো গতকাল এখানে এসেছিলাম আমরা, জায়গাটা চেনা চেনা লাগছে কি? হুম, আমি জানতাম তুমি বলবে একবার মনে হয় এসেছিলাম আবার মনে হয় না তো ঠিক এরকমই হবে সেই জায়গাটা। আসলে এরকমই হয়, প্রতি মুহূর্তে এখানে রূপ পাল্টায় সুন্দরবন। প্রকৃতির এই বিশাল সম্ভার কখনোই একেবারে পুরোপুরি মেলে দেয় না নিজেকে। তাছাড়া বনের পারিপার্শ্বিকতাও আমাদের দেখার চোখ আর মনকে প্রভাবিত করে। তাই চেনা জায়গাকেও আবার নতুন করে চিনতে হয়।