[justify]পিচ্চিবেলায় আমার বিকাল-সন্ধ্যা গড়াইত ক্রিকেট খেলিয়া। সুদূর মালয়-মুল্লুকে আকরাম-বুলবুল বাহিনীর বিজয়ের পর হইতে শুরু, এই খেলা যেন আমাদের হাফপ্যান্ট আর স্যান্ডোগেঞ্জি শোভিত শৈশব পুরাটাই দখল করিয়া লইয়াছিল। হাটে-বন্দরে, ঘরে-অন্দরে, প্রমাদে-প্রমোদে, প্রলয়ে-প্রহলাদে, সাজঘর কিম্বা শ্রেনীকক্ষে, আলস্যে কিম্বা দক্ষযজ্ঞে- প্রায় সর্বত্রই এই ক্রিকেটীয় আলোচনা, পর্যালোচনা আর শিশুতোষ সমালোচনায় সর্বক্ষন আচ্ছন্ন থাকিতাম। কিছুক্ষেত্রে এই ক্রিকেটপ্রীতি স্বাভাবিকতার সংজ্ঞা অতিক্রম করিয়া যাইত। কোন কোন কিশোর বোলিং চর্চা করিবার ছলে জোরসে পাথর ছুঁড়িয়া পাড়ার জেঠুমনির ঝাঁ-চকচকে চাঁদিখানি মনের অজান্তেই অব্যর্থভাবে
এই ভোরে কী যে ঠাণ্ডা লাগে, হাড় পর্যন্ত জুড়িয়ে যায়। একটু পরই হাঁটুসমান কাদাপানিতে নামতে হবে ভেবেই কি তোমার উপর শীত আরো জেঁকে বসছে? ট্যুর কোম্পানির পাতলা চাদরটা অনেক আপন ভেবে আরেকটু জড়িয়ে নিলেও তরুণ ফটোগ্রাফারদের জ্বালায় একটু দেরি করে উঠবে সে উপায় তো নেই, দরজায় টোকা “বস্, ছয়টা বেজে গেছে”, গলাটা আখলাসের, ওকে চেনো?
ভূমিকাঃ জীবনতো এক পথ পরিক্রমা । ট্রেনের জানালায় মুখ বাড়িয়ে নাম পড়তে না পড়তেই সারি সারি পার হয়ে যায় জীবনের স্টেশন…শৈশব…কৈশোর…তারুণ্য…। কখনো কেউ কাছে আসছে, কেউ দূরে যাচ্ছে, বুঝে ওঠার আগেই দ্রুতলয়ে জীবন ছুটে চলে গন্তব্যের শেষ স্টেশনে । এরই মধ্যে অজান্তে বুকের গহীনে থেকে যায় কোন স্মৃতি, কোন কথা, কোন সুর । সে শুধু বেজেই যায়…হাজার ব্যস্ততায়ও মনের কান পাতলেই শোনা যায় সেই কথা, সেই সুর… ...
আমার বন্ধু-ভাগ্য খুব ভাল।
কোথা থেকে না জানি চমৎকার চমৎকার সব বন্ধু জুটে যায়।
আমার বন্ধু ভাগ্য আবার খুব খারাপও।
কেমন করে জানি সেইসব চমৎকার বন্ধুরা এক সময় হাওয়ায় উবে যায়।
সাধারণ মানুষের চাইতে আমি মনে হয় একটু বেশি স্বার্থপর। তাই হয়ত বন্ধুগুলো এক সময় আমার পাশে আর থাকতে চায় না। আমি দুই হাত ভরে ওদের কাছ থেকে নিয়েই চলি। ফিরিয়ে দেবার কথা মনেও হয়না।
কে থাকবে এমন একজন লোকের সাথে? আমি নি ...
" হ্যাঁ রে অন্বেষা, তোর ডাকনাম যে টেঁপি, এটা তো কস্মিনকালেও জানতে পারিনি আমরা কেউ গোটা ইস্কুলবেলায়!"
অন্বেষা হাসে, বলে, " আরে ওটা তো বাড়ীর ডাকনাম, ইস্কুলে তোরা জানবি কীকরে? দেবুস্যর তো মাঝে মাঝে আমাদের বাড়ী যেতেন, তাই জেনেছিলেন।"
"আরে বলিস কী? উনি তোদের বাড়ী যেতেন? "
"মাঝে মাঝে। উনি বলতেন লোকে নাকি গল্প করতো আমার ঘরে আমি মাবাবাকে পর্যন্ত নাকি ঢুকতে দিই না, বই দিয়ে ঢাকা সেই ঘরের ম ...
যতদিন মা’র ছেলে ছিলাম, সন্তানদের জন্মদিন পালন করতেন তিনি অতি নিয়মিত কিন্তু ঘরোয়া ভাবে। স্কুল থেকে ফিরেই বড় বড় শ্বাস নিতে থাকতাম ভ্যানিলা কেকের গন্ধে মৌ মৌ ঘরে। কেকের ভেতরটা কাঁচা রয়ে গেল কিনা কাঠি ঢুকিয়ে পরখ করতে করতে আদরভেজা কণ্ঠে আম্মা বলতেন, গোছল করে নতুন শার্টটা গায়ে দিয়ে আস শীগগির, কেক কাটবে যে! সেদিন
বকাবকি একদম বন্ধ। দুষ্টামির একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেলে বলতেন, আজ জন্মদিন, মা’ ...
"ফটোগ্রাফাররা হইল গিয়া কড মাছের মতন। ডিম পাড়ে লাখ লাখ, টিকে মোটে একখান।" *
দিন চলে গেলো গুণ গুণ করে, চ্যাপ্টারের পর চ্যাপ্টার চলে যেতে যেতে একসময় দেবুস্যর কেন জানি নিরুৎসাহ করতে শুরু করলেন৷ এদেশে নাকি গবেষণা খুব বড়োলোক আর খুব ইনফ্লুয়েনশিয়াল পরিবারের না হলে করা যায় না, তাই একটু ভালো ছাত্রেরা হায়ার সেকেন্ডারিতে প্রাণপণে তৈরী হয় জয়েন্ট পরীক্ষা দেবার জন্য, যাতে ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিকেলে একটা চান্স কোনোরকমে পেয়ে যায়৷ না পেলে তখন জেনারেল লাইন ...
ইস্কুলে অনেক রুমা দিদিমণি৷ রুমা মুখার্জী, রুমা বসু, রুমা সেন,রুমা দত্ত৷ তাই এঁদের ক্ষেত্রে শুধু প্রথম নামের সঙ্গে দি বা দিদিমণি জুড়ে বোঝা যেতো না কে কোন্ জন৷ এদের নাম ও পদবী দুই লাগতো৷ কেন যেন রুমা মুখার্জীকে ওনার বিয়ের আগের পদবী ধরেই ডাকা হতো রুমা কাঞ্জিলালদি৷ হয়তো সেই পদবীটা আনকমন বলেই এত জনপ্রিয় হয়েছিলো৷
এই রুমা কাঞ্জিলালদি বাংলা পড়াতেন, অগাধ জ্ঞান বাংলায়, প্রচুর ক ...
আমার স্মৃতির শহরটা বড়ই সুন্দর। সেখানের বিকেলগুলো লম্বা আর নরম, মোলায়েম রোদের আলোতে স্নান করে রাস্তার পাশের বড় বড় কৃষ্ণচূড়া গাছ, তাতে বসে থাকে হলুদ রঙের কুটুম পাখি। শব্দ আছে হরেক রকমের, গাড়ির হর্ণ থেকে ঝালমুড়িওয়ালার হাঁকডাক, আছে সুরের মত রিকশার টুংটাং আওয়াজ। দূর থেকে কান পাতলে মনে হবে যেন সঙ্গীত শুনছি। সেই শহরে হেমন্তের সকালগুলো ঘুম ঘুম কুয়াশা মাখা, বসন্ত হাজির হয় সংগোপনে; গ্রী ...