কলেজ নিয়ে গল্প লেখার কি কোন শেষ আছে? না, নেই। কলেজের স্মৃতি ভুলে গেছেন এমন কেউও সম্ভবত নেই। কলেজের জীবন আমাদের ছাত্র জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখল করে আছে। স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়-অঙ্গন কাঁপানোর অভিপ্রায়ে কলেজ জীবন কারো কারো জন্য একটা প্রস্তুতিকাল। আবার অধিকাংশের জন্যই কলেজ হয়ে ওঠে জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছার প্রথম সিঁড়ি।
নটরডেমে যেদিন ওরিয়েন্টেশন হয় সেদিন ছিল ঢ...
কানাডা দেশটা মজার আর আজব:P।
এখানে আসার প্রথম দিন ছিল বৃহষ্পতিবার, আগস্ট মাস। আমি আর আমার স্ত্রী, এয়ার কানাডার, ঢাকার ১৩নং বাসের (যে কেউ চাইলে ৭নং ও পড়তে পারেন), মত চীপা সীটে লন্ডন থেকে প্রায় ৭-৮ ঘন্টা জার্নি করে যখন আমাদের ভাড়া করা বাসার সামনে নামি তখন আমাদের দুজনেরই খিঁদেয় পেট চোঁ চোঁ করছে। তাছাড়া এয়ারপোর্ট থেকে আসার পথে বাসের ড্রাইভারের বকবকান...
[justify]আমার স্বল্প পেশাজীবনে চোখের সামনে ঘটে গিয়েছে বেশ কিছু ঘটনা, এর কিছু আমাকে অপার আনন্দ দিয়েছে আর কিছু দিয়েছে অপরিসীম কষ্ট। সেই সব অভিজ্ঞতা নিয়েই আমার এই সিরিজ ‘জীবনের খুব কাছ থেকে দেখা’।আমার এই অভিজ্ঞতাগুলো যদি পাঠকদের হৃদয়কে সামান্যও নাড়া দিতে পাবে তা হবে আমার সার্থকতা।
খাবার নিয়ে যত খাবি খাওয়া
[justify]সিঙ্গাপুরে এসে প্রথম প্রথম যা দেখতাম তাই ভালো লাগত। মুখর বিশ্ববিদ্যালয়, নতুন দেশ পরিবেশ, বিভিন্ন ভাষা দেশ সমাজের মানুষ। সমস্যা একটাই, খাবার। এমন বিচ্ছিরি বদখত গন্ধ একেক খাবারের, খাই কীভাবে!
বেশ কয়েকজন সহপাঠি এসেছিলাম একসাথে। তাদের একজন শুভ্র, যা খায় তাই ভাল লাগে তার। প্রতিদিন একত্রে খেতে বসি আর যত গালি জানি খাবারের সাথে শুভ্রর গায়ে উগড়ে দেই। এদিক...
ছোটবেলা থেকেই বইয়ের মধ্যে ভালো লাগতো বাংলা (গদ্য/পদ্যের) বই আর যেকোন বাংলা রচনার বই। কারো বাসায় বেড়াতে গেলে এমন কি গ্রামের বাড়িতে গেলেও যেকোন ক্লাশের বই হাতের কাছে পেলেই আমি উল্টিয়ে দেখতাম, হয়তো দুয়েকটা গল্প বা কবিতা পড়েও ফেলতাম। তেমনি ভালো লাগতো রচনা বই। বিশেষ করে 'আমার জীবনের লক্ষ্য' টাইপের রচনা আর ভ্রমণ জাতীয় রচনা। রচনার ক্ষেত্রে একাধিক লেখকের লেখা পড়ার উদ্দেশ্য ...
আমাদের ইশকুলে যাবেন? আচ্ছা আচ্ছা বলে দিচ্ছি কিভাবে যেতে হবে। ফার্মগেট থেকে ঢাকা কলেজে যাওয়ার টেম্পো ধরবেন, এটাকে আমরা হেলিকপ্টার বলি। উঠলেই বুঝবেন নামকরণ কতখানি সার্থক। ভট ভট শব্দে কানের পোকা আর ঝাঁকানিতে বাতের ব্যথার অনেকখানি উপশম হতে পারে। যাওয়ার পথটা কিন্তু দারুন, একদম "সিনিক"। হেলিকপ্টার আপনাকে গ্রীন রোড ধরে সোজা কাঁঠাল বাগান পার করে উড়িয়ে নিয়ে যাবে গ্রীন কর্নারের সামনে ...
[justify]একদিন দেখি জাফর ভাইয়া উৎভ্রান্তের মত রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে। ভাইয়া আমাদের হাসপাতালের শল্য বিভাগের রেজিস্টার। যে সময়ের কথা বলছি তখন আমরা ইন্টার্নী ডাক্তার। ভাইয়া আমাদের সাথে সবসময় বন্ধুর মত মিশতেন, কখনও তাকে রাগ করতে দেখতামনা। আগে আমাদের সাথে গল্প করার সময় তার পাঁচ বছরের ছেলেটা কি কি মজার কথা বলে তা শোনাত, ভাবির কথাও বলত। সে হঠাৎ করে এমন হয়ে গেল কেন বুঝতে পারছিলাম না। ...
কোন এক অজানা কারণে সেই পিচ্চিকাল থেকেই চোখের দ্বিতীয় জোড়া মানে চশমার দিকে আমার দুর্নিবার ঝোঁক।
১৯৮৬ সালের সংসদ নির্বাচন। ঢাকা ছয় আসনে জামাতের প্রার্থী ছিল আব্বাস আলী খান। তার শেষ নামের সাথে একটা অতিরিক্ত ‘কি’ যোগ করে অ্যান্টি জামাত মিছিল করতাম আমরা পাড়ার পুঁচকেরা। মাত্র ক্লাস ফাইভে পড়ি এতটা রাজনৈতিক সচেতনতা বা গালি বিষয়ক সৃজনশীলতা আমাদের থাকার কথা না, কিন্তু যার বদৌলতে আমরা কচিকাঁচারা দলবেঁধে রাস্তায় নেমে এসেছিলাম তিনি আমাদের মন্টু ভাই।
মন্টু ভাই শরীয়তপুরের লোক, অন...
ঘাড় লম্বা করে মাথাটা ঝাঁকালো কয়েকবার। হাত দুয়েক পিছিয়ে গেল, হঠাৎ সামনে এগিয়ে এসে দুম করে গুঁতো লাগিয়ে দিলো বয়স্ক মানুষটার গায়ে। আহ! করে কাতরিয়ে উঠলেন ভদ্রলোক, বয়স হয়েছে অনেক; একটা রাগী ষাঁড় সামলানোর ধৈর্য বা শক্তি কোনটাই নেই এখন তাঁর। একটা দড়ি ধরা ছিলো হাতে, ছেড়ে দিয়ে এগিয়ে এসে লম্বা ছুরিটা হাতে তুলে নিলেন। ঘাড় ঘুরিয়ে পাশের লোকটার উপর রাগ ঝাড়লেন কিছুক্ষন, ছুরিতে ধার ঠিকমত দেয় নাই...