রঙ-এর আজকের ছুটিটা অন্যরকম।
সেবার ক্লাস নাইনে রঙ স্কুলে যায়নি একদিন। জ্বর এসেছিল কি আসেনি মনে পড়ে না তার। সম্ভবতঃ এসেছিল, না হলে স্কুল ফাঁকি দেয়ার ছেলে সে নয়। তবে স্কুলে যাওয়ার ইচ্ছে যে একদমই ছিল না, একেবারে নিঃসন্দেহ। মুরুব্বিদের ভাষ্যমতে পাড়ার ঐ অভদ্র আর বখাটে ছেলেগুলোর সাথে মার্বেল খেলে সেদিনের সকালটা কাটিয়েছিল সে। দুপুরটা পার করেছে ঘুমিয়ে। আর বিকেলে গিয়েছিল পাশের গ্রাম ...
সে দিন বরাবরের মতো বিকালে টিউশনিতে গেছি। রাত প্রায় ৯টা বেজে গেছে। হঠাৎ করে আমার ছাত্রের আব্বা এসে বলল, "স্যার, তাড়াতাড়ি হল এ চলে যান। ঢাকা ভার্সিটিতে নাকি গোলমাল চলছে।" বললাম কেন এবং কিভাবে? উনি আমাকে তেমন কিছু বলতে পারল না। আমিও মনে করলাম আরে এটা আর কি? তখন দেশের যা অবস্থা তাতে কিছু গোলমাল হতেই পারে। পরে হলে এসে শুনলাম, যে সেনাবাহিনীর লোকজন এর সাথে ছাত্রদের কি যেন খেলার মাঠে সমস্যা ...
[justify] ১৯৯০ সাল। পার্বত্য চট্টগ্রামের যে থানা সদরটাতে আমরা প্রথম থাকতে গেলাম তাতে বছর চারেক আগে শান্তি বাহিনী নামের এক অশান্ত মানুষের দল নজীরবিহীন ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। সেই ক্ষত মাত্রই শুকিয়ে এসেছিল। সরকারের এক আদেশে তখন সমতলভূমি থেকে হাজারে হাজারে মানুষ হিলট্র্যাক্টস মানে পাহাড়ী এলাকায় বসতি স্থাপন করছে। তাদেরকে সবাই বলে "সেটেলার", রাষ্ট্রীয় পরিভাষায় "অ-উপজাতি"। আমার আব্বার চাকরী ...
আজ এক বছর হয়ে গেল।
গত বছর এইদিনে আমি সারাদিন ক্লাস করে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরতেই তড়িৎবার্তায় ভাতিজি পিংকি জানালো পিলখানার ভেতর কিছু একটা হয়েছে, অনেক সেনা অফিসারদের নাকি অবরোধ করে রাখা হয়েছে। আমার ফুপাতো বোন (আমার প্রায় ৪৪ বছর এর বড়) এর মেজ ছেলে তখন বিডিআর এ ছিলেন, ঠিক এক সপ্তাহ পরে তার অবসরগ্রহণ করার কথা। বয়সে আমার বড় বলে তাকে চিরকাল মামা বলে ডেকে এসেছি। সেই রবিন মামা, লেঃ কর্নেল ...
মঙ্গলবার ২৩.০২.২০১০
[justify]আবারো জঘন্য আবহাওয়া। সেই ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু করে এক্কেবারে এই সপ্তাহান্তের শুরু পর্যন্ত টানা তুষারপাত আর বদখৎ শীতে হাঁফিয়ে উঠেছিলাম ঠিক। রবিবার নাগাদ তুষারপাত থেমেছে, তাপমাত্রা বাড়ছে, বরফ গলছে এগুলিও সব ঠিক। সমস্যা হচ্ছে বরফ গলবার সাথে সাথে গুরফগুলিও হিমবাহের আগের তাজা চেহারায় ফিরতে শুরু করেছে। সাড়ে ষোলকলা হিসাবে গতরাত থেকে শুরু হয়ে...
চতুর্থ পর্বঃ
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/30190
ক্লাস শেষে সবাই মিলে ক্যাম্পাসের খোলা মাঠে বসে আছি, এলোমেলো কথা বার্তা। আড্ডা ঠিক জমছে না, কোথায় যেন কিসের একটা অভাব বোধ হচ্ছে, সবাইকে একবিন্দুতে নিয়ে আসার জন্য বলুনতো কী দরকার? হ্যাঁ দরকার গলা ছেড়ে গাওয়ার মত একটা গান। সুস্বাদু খাবার তৈরির জন্য লবণ যেমন দরকারী ও অনস্বীকার্য উপাদান, তেমনি বন্ধুদের আড্ডায় গান হচ্ছে অনস্বীকার্য উপাদান। গান না হলে ...
১। সচলের সাথে ঠিক কবে পরিচয় তা আর দিনক্ষণ হিসাব করে বলতে পারবো না তবে আনুমানিক ২০০৭ এর শেষভাগ কিংবা ২০০৮ এর প্রথমদিকে । তখন 'অভ্র'র সহায্যে নতুন নতুন নেটে বাংলা লিখতে শিখেছি আর গুগুলে যেয়ে বিভিন্ন বাংলা 'কি ওয়ার্ড' দিয়ে সার্চ এর ফলাফল দেখছি, কিছুটা উত্তেজনা আছে ব্যাপারটায় কারণ তখন পর্যন্ত আমার সাত বছরে নেট ব্যাবহারের অভিজ্ঞতায় এটা(নেটে বাংলা লেখা) একেবারে নতুন সংযোজন । যাইহোক বা...
আমাদের ঘরের পাশেই 'মিষ্টি' আম গাছটা ছিল। পাশে না, পাশে না। ঘরের ভিতর। ঘরের ভিতরই তো! না হলে বারান্দাটা ঐ কোণে এসে বেঁকে গেল কেন? আমাদের বারান্দাটা গাছটাকে একদম দেখতে পারত না, আর আমাদের সবার প্রতি ভীষণ ক্ষোভ তার। গাছটার প্রতি আমাদের পক্ষপাতিত্বের কারণে বাড়ির ডিজাইনের মাঝে গাছটা এসে পড়লেও তা আর কাটা হয়নি, বরং ছেঁটে দেয়া হয়েছে হতভাগা বারান্দাকে। আর আমরা গাছটার প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট হব...
খুব বেশি দিন হয় নাই আমার বিদেশ আসার।ভাগ্যের অশেষ কৃপায় হোক আর নিজ কর্মের গুনেই হোক, বাংলাদেশ থেকে বি এস সি (Engg.) শেষ করে ভর্তি হলাম বেশ নামী একটা বিশ্ববিদ্যালয় এ। যেটা কিনা আবার পৃথীবির শ্রেষ্ট বসবাস যোগ্য শহর এ অবস্থিত। নুতন পরিবেশ, নুতন মানুষ, নুতন শহর সব মিলিয়ে বেশ ভালোই যাচ্ছিল।যেহেতু মাস্টার'স প্রোগ্রাম এ পড়া, তাই প্রথম থেকেই একটা ধরনা ছিল যে, পড়া শেষ না করে বুঝি আর দেশে যাওয়া হব...
মাঝে মাঝে কেন যেন কিছুতেই কাজে মন বসে না। এখন ল্যাবে বসে আছি, আজকের দিনের মাঝে দুইটা write up শেষ করতে হবে, অথচ মন চলে যাচ্ছে সেই ছোটবেলায়।
পড়তে শেখার পর থেকে সেটাকে কাজে লাগাতে কার্পণ্য করি নি। এক নিজের পাঠ্যবই ছাড়া যে কোন লিখিত জিনিস পেলেই সেটা পড়া নিজের পবিত্র কর্তব্য মনে করে এসেছি। কিন্তু ছোটবেলায় বড় হওয়ার খুব ইচ্ছে থেকেই মনে হয় রূপকথা পড়তে ভাল লাগত না তত, যতটা এখন লাগে।
...