আমার পাঁচ মামা| বড় মামার ট্যালেন্ট অসাধারণ ছিলো বলে শুনেছি| নানার মতো তিনিও জেলার ছিলেন একসময়| মেজো মামা আর ননী (সেজোর পরেরজন) মামা ডাক্তার| মেজ মামা লম্বা একটা সময় ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এ কাজ করেছেন| আর ননী মামা জীবনের একটা বড় অংশ সৌদি আরবে ডাক্তারি করেছেন | ছোট মামা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, এখন কানাডা প্রবাসী | আমার সবগুলা মামা অসাধারণ ধরনের ভালো মানুষ| বাবা-মারা যেরকম ছেলেপে...
: এই রিকশাওয়ালা, যাবেন?
: কই যাইবেন?
: গ্রীন রোড
: যামু, উঠেন।
আমাদের তিনজনকে নিয়ে রিকশা চললো গ্রীন রোড। তখন কী জানতাম একটি ভয়াবহ ঘটনার মুখোমুখি হতে যাচ্ছি কয়েক মিনিটের মধ্যেই!
২০০৬ এর নভেম্বর। কিছু দিন আগে ঈদ ছিল, তাই ঢাকার রাস্তাঘাট এখোনও খালি। রিকশাওয়ালা মনের আনন্দে গুনগুন করছে। প্রজ্ঞা আমার কোলে বসে তার নতুন টুইটিবার্ড স্কুলব্যাগ নিয়ে খেলছে। রিকশা ইন্দিরা রোড থেকে সো...
আমাদের পরিবারে মুরুব্বিদের পা ছুঁয়ে সালাম করার ব্যাপারটা অতটা মানা হত না। শুধু ঈদের দিন, বছরে দু'বার, বাবার সাথে নামাজ পড়ে এসে মা আর বাবার পা ছুঁয়ে সালাম করাটা আমাদের ভাইবোনদের রীতি ছিলো। যখনই মা'র পা ছুঁতে যেতাম, মা মাথায় হাত বুলিয়ে বলতেন - বেঁচে থাকো, বাবা। আমি একবার মা'কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আচ্ছা শুধু এটা বলো কেনো তুমি সবসময়? আমরা বেঁচে থাকি, এটা ছাড়া আর কিছু চাও না তুমি?
আপনাদের মধ্যে কার কার বড় ভাইবোন আছে হাত তুলুন তো!
ভ্রু কুঁচকে ভাবছেন বাংলাদেশের মত বিপুল জনসংখ্যার দেশে ছোট ভাইবোনেরা এমন কি বিরল প্রানী যে হাত তুলতে হবে!কিন্তু ঘটনা আসলে এইটা না।শাসনের আতিশয্য আর আদরের বাড়াবাড়ি কি জিনিস আমরা ছোটরাই জানি সেকারনেই সকল ছোট ভাই বইনেরা জায়গা থেকে আওয়াজ দিন
ছোটবেলা থেকেই জানি আমার বড় দুই ভাইবোন উত্তর মেরু র আমি দক্ষিন মেরু!চেহারায়।চলনে কাউকে বিস...
১৯৭১ সালের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস জাতীয় জীবনের সর্বোচ্চ গৌরবের ইতিহাস। সেই ইতিহাস নিয়ে আমাদের গর্ব আছে, আছে পূর্বসূরীদের প্রতি এই প্রজন্মের গভীর সন্মানবোধ। রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁদের প্রতি সম্মান জানাতে এই পর্যন্ত জাতীয়ভাবে তৈরি করা হযেছে মুক্তিযোদ্ধাদের পাঁচটি তালিকা (সূত্র দৈনিক প্রথম আলো, ১৭ ডিসেম্বর প্রকাশিত সংবাদ)। সেই তালিকার সঙ...
ময়মনসিংহ পলিটেকনিকে আমাদের দিনগুলি ছিল আনন্দের। মূল শহরের বাইরে এ জায়গাটা একসময় হিন্দু মালিকাধীন ছিলো, এগুলো বিক্রি করে বহু আগেই ওরা দেশ ত্যাগ করে। জ্ঞান হবার পর পুরো এলাকায় অনেক পুকুর দেখেছিলাম, আস্তে আস্তে সেসব ভরাট করে স্টাফ কোয়ার্টার, ইন্সটিটিউট বিল্ডিং, হোষ্টেল এসব বানানো হয়। মোটামুটি ‘৭২ এর ভেতরই পূর্ণ রূপ নেয় পলিটেকনিক।
পুরো এলাকার পেছন দিক ১০/১২ ফুট উঁচু দেয়াল আর সাম...
ট্রেন চলেছে কুউ উ উ ঝিকঝিকঝিক করে। শীতের কাবেরী নদীর স্বল্পতোয়া দেহ, রেললাইনের দুইপাশে যেমন হয়- অজস্র মাঠ, ধানক্ষেত। শীতে সোনালী ফসল তোলার মরশুম, মাঠে মাঠে স্তুপ করে রাখা কাটা ধানের গোছা। দেখতে দেখতে একেবারে দক্ষিণতম অংশে চলে এসেছি। অন্তরীপে। সম্মুখে শুধু মহাসমুদ্র। সাগরবেলায় তিনরঙা বালি, হলদেটে সাদা, লাল, কালো--পায়ে পায়ে শিরশিরে জলবালি পেরিয়ে জলের দিকে এগিয়ে যাওয়া, মহাসমুদ্র...
[justify]
খুবই পরিচিত একটা ঘ্রাণ পাচ্ছি। হাঁটছি ফুটপাত দিয়ে। এরকম জায়গায় সাধারণত ময়লা-আবর্জনার গন্ধই বেশি পাওয়া যায়। আমি পাচ্ছি কোন এক ফুলের সুবাস। হাসনাহেনার।
১
খুলনাতে বাবার চাকরির সুবাদে চলে আসি ৮৮ সালের শুরুর দিকে। আমাদের প্রথম বাসাটা বেশ খোলামেলা ছিল। দু’রুমের বাসা হলেও বাসার সামনে ছিল অনেকটা খোলা জায়গা। আমার মা অনেকরকম গাছ লাগাতেন। অনেকগুলো মরিচ গাছ ছিল আমাদের। একটা গাছ...
হিমুর গতকালের মন্তব্য আমাকে ভাবিয়েছে অনেক। রাতে কক্সবাজারে আসতে আসতে গাড়ীতে বসে নীচের লেখাটা লিখলাম। স্মৃতি এখন অনেক ঝাপসা। আমরা কতকিছুই যে ভুলে যাই...
৭১এ আমরা থাকতাম ময়মনসিংহে। সেসময়কার পৌরসভার পশ্চিম সীমার বাইরে পলিটেক্নিক ইন্সটিটিউটের কোয়ার্টারে, এর পূব দেয়াল লাগোয়া মেডিক্যাল কলেজ আর হসপিটাল সবেমাত্র গড়ে উঠতে শুরু করেছে। আমার জন্মের বছরই আব্বা আনন্দমোহন কলেজের চাক...
দুপুরে ঘুম ভাংল মোবাইলের রিং শুনে, দেখি আমাদের ভার্সিটির বড় ভাই কল দিছে। ঘুম ঘুম চোখেই ধরলাম।
“কি মিয়া, তিনটা বাইজা গ্যাছে সেই খেয়াল আছে। রাতে কয়টায় ঘুম দিছস? কয়বার কল দিছি জানস?”
“বাবু ভাই, কোন জরুরী ব্যাপার নাকি?” ঘুম ঘুম কন্ঠে জিজ্ঞেস করি।
“আরে মিয়া, ক্লাস তো করসনাই একটাও, এখন হাত মুখ ধুইয়া টংএ আইসা পড়, ওয়েট করতেছি, কথা আছে।”
আমি দ্রুত বিছানা ছেড়ে মুখে পানির ঝাপটা দ...