পাঠকের মন্তব্য

উৎস এর ছবি
লিখেছেন উৎস (তারিখ: মঙ্গল, ০৩/০৭/২০০৭ - ১০:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নীচে আছে মন্তব্য পড়ে দেখুন। নীচে আছে মন্তব্য পড়ে দেখুন। নীচে আছে মন্তব্য পড়ে দেখুন।


মন্তব্য

উৎস এর ছবি

সচলে পাঠকদের empowerment নিয়ে কিছু আইডিয়া ছিল এমন৷ আইডিয়াটার ভিত্তি হচ্ছে সুপাঠকের মন্তব্য যদিও আমরা চাই, অপাঠকের মন্তব্য, কুপাঠকের গালাগালি দিয়ে সচলকে নোংরা করতে ততটাই চাই না৷ ইন্টারনেটে ট্রোলের অভাব নেই৷ আমিই করি অনেক সময়৷ বিডি নিউজে যখন প্রথম poll আসলো দেখি ওটা বাগে ভরা৷ নিজেই হাজার খানেক ভোট দিলাম৷ আমি হ্যা দিলে ১০ মিনিট পর কে জানি আবার ততগুলো না দিয়ে যায়৷ তখন আমি আবার দেই৷ সেও আবার দেয়৷ শেষমেশ ঘন্টাখানেক চুপ থেকে আমি একবারে কয়েক হাজার দিয়ে ঘুমাতে গেলাম৷ সকালে দেখি বিডিনিউজ ওয়ালারা সেই ভোটের পরিসংখ্যান নিয়ে রিপোর্টও লিখেছে৷ ভাত থাকলে কাক আসবে (দ্রঃ অরূপ), সুতরাং ট্রোলিং থাকবেই৷ তেমনি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে আশেপাশের ব্লগেও উত্তেজনা দেখা দিতে পারে৷ অন্যদিকে দ্বার বন্ধ করে আমরা ভ্রমটাকে রুখবো তখন সত্য বলবে সে কিভাবে ঠুকবে৷ আমার প্রাথমিক প্রস্তাব এরকম (আপনারা অদল বদল করে নিন)ঃ
১- পাঠকদের জন্য একধরনের নিয়ন্ত্রিত সদস্য ব্যবস্থা খোলা যেতে পারে৷ এই সদস্যরা শুধু মন্তব্য পড়তে পারবে, এবং সীমিত সংখক মন্তব্য লিখতে পারবে৷ সব লেখার মন্তব্য পড়া যাবে না৷ লেখক/ব্লগার যদি তার লেখার মন্তব্য পাবলিকের জন্য উন্মুক্ত করে দেয় তখনই পড়া যাবে৷ এখন যেমন আমাদের restrict নামে একটা ট্যাগ আছে ওরকম৷
২- এই ধরনের পাঠকরা মন্তব্য করতে পারবে প্রতি লেখায় বড়জোর একটি, সর্বোচ্চ ১০০ শব্দের৷ ট্রোলিং আটকানোর জন্য৷ ব্লগার চাইলে পাঠকের মন্তব্য মুছে ফেলতে পারবে, বা সাময়িক/স্থায়ীভাবে ব্যান করতে পারবে৷
৩- পাঠক রেজিস্ট্রেশন হতে হবে খুব সহজ৷ ব্লগার রেজিস্ট্রেশনের মতো এত ঘাপলা দরকার নেই৷ স্রেফ নিজের নিক দিলেই হবে (ইমেইল হয়তো যোগ করা যায়, তবে অনেক সহজিয়া রিডার আছেন, তাদরকে এত ঝামেলার মধ্যে হয়তো না ফেললেও হয়)৷ ইমেইল না থাকা মানে হচ্ছে আইপি দিয়ে আইডেন্টিফাই হবে৷ প্রতিদিন অসংখ্য দেশ থেকে নাম না জানা লোকজন আমাদের লেখা পড়ে যায়৷ এদেরকে প্রক্রিয়াটার ভেতর আনতে পারলে মন্দ হয় না৷ এজন্য একটা পুরোনো প্রস্তাব ছিল কেই নামঠিকানা/ইমেইল না দিতে চাইলে স্রেফ আইপির ওপর ভিত্তি করে তার বর্তমান অবস্থানরত দেশ, আর শহর দেখানো হোক৷ সেসব পাঠক মন্তব্য করতে চান না, তারা অন্তত রেটিং টা করে যেতে পারেন৷ ব্লগারকে সুবিধা দেয়া যেতে পারে কে কে এই লেখাটা কোন কোন দেশ/স্থান থেকে পড়েছে৷ এগুলো টেকনিকালি চ্যালেঞ্জিং, করতে হবে এমন না, আইডিয়াগুলো দিলাম আর কি৷

হিমু এর ছবি

আইডিয়া ভালো। পাঠকের কাঁধে কিছুটা দায়বদ্ধতা চাপে দেশ আর শহর উল্লেখ করলে। পাশাপাশি শুরুতে কিছুটা সীমাবদ্ধতা রাখলে পাঠকনিকের চরিত্র সম্পর্কেও ধারণা হয়ে যায়।


হাঁটুপানির জলদস্যু

উৎস এর ছবি

সেটাই মনে হয়েছে আমার। শহর আর দেশ থাকলে ট্রোলিং করতে গেলে অন্তত কিছু সংকেত পাবে। যদিও একে পাশ কাটানো যায়।

অমিত এর ছবি

সচলায়তনের চাকা সচল রাখতে হলে আস্তে আস্তে উন্মুক্ত করতেই হবে। তবে বাইরের খোলা বাতাসের সংগে ময়লা আসবেই, সেটা পরিষ্কার করার ঝাড়ু যেন হাতের কাছে থাকে সেই ব্যবস্থাও রাখা উচিত।
_______________________________
Little by Little
the
Night Turns Around...

অরূপ এর ছবি

একমত,
ঝাড়ুর প্রযুক্তি তৈরি হলেই দুয়ার খুলে যাবে
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!

অরূপ এর ছবি

পড়লাম, অনেক ধন্যবাদ উৎস ভাই
আপনার সাথে বসবো পরে
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!

তারেক এর ছবি

দারুন প্রস্তাব। কিন্তু কেউ ট্রল করতে চাইলে কতদূর ঠেকানো যাবে বলা মুশকিল।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

আরশাদ রহমান এর ছবি

আমিতের মন্তব্যটা ভেবে দেখা উচিত।

কনফুসিয়াস এর ছবি

আমার ধারণা এত গোলমাল না করে দুটা ছোট্ট উপায়ে পুরো ব্যাপারটা সামলানো যাবে।
১। সবার (পোষ্ট এবং মন্তব্যকারী নির্বিশেষে সবার)আইপি দেখানো হোক। সব লেখা বা কমেন্টের সাথেই।
২। ব্লগারদের হাতে নিজের ব্লগে মন্তব্যকারীর আইপি বা নিক ব্যান করার ক্ষমতা দিয়ে দেয়া হোক।

আমার ধারণা এই দুটো করলেই ট্রলিং বা আজেবাজে কমেন্টের ঝামেলা এড়ানো সম্ভব হবে।
এটা পরীক্ষিত পদ্ধতি। যাদের সন্দেহ আছে তারা এইখানে উঁকি দিয়ে আসতে পারেন।

-যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

হিমু এর ছবি

দ্বিমত পোষণ করি। আইপি প্রদর্শন না করি বরং। যারা ট্রোলিং করতে চায়, আইপি নিয়ে গুঁতাগুঁতির জ্ঞান তারা প্রয়োজনে ধার করতে পারে। আরেকটু ঘুরপথে যেতে হবে আমাদের।


হাঁটুপানির জলদস্যু

হিমু এর ছবি

অমিতের কথায় সহমত পোষণ করি। ধীরে ধীরে উন্মুক্ত হওয়াটাই বোধহয় বিবেচকের কাজ হবে। পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো। প্রথমেই ফট করে উন্মুক্ত হয়ে গেলে মিছিমিছি ছাগুদের ময়লার স্তুপ জমা হবে।

সচলায়তন অবশ্যই চায় পাঠকের কাছে উন্মুক্ত হতে। কিন্তু পাঠকের সাথে যোগাযোগের পথটুকু যেন সুগম হয়। নির্মাণকাজের সময় তো রাস্তা বন্ধই থাকে।

অনেকে আছেন দারুণ সব মন্তব্য করেন, কিন্তু পোস্ট করতে চান না। এমন পাঠকদের জন্য একটা ব্যবস্থা আমাদের অবশ্যই দাঁড় করাতে হবে। তবে ধীরে চলো নীতি এতদূর পর্যন্ত কাজ দিয়ে আসছে, এটাকে অনুসরণ করলে কেমন হয়?


হাঁটুপানির জলদস্যু

উৎস এর ছবি

ধীরে চলো নীতি ঠিক আছে। টুকটাক এক্সপেরিমেন্ট করে দেখা যায়।

উৎস এর ছবি

আইপি দেখানোটা খুব বাজে পদ্ধতি। জন্মতারিখ দেখানোর চেয়েও অস্বস্তিকর এবং অভদ্র মনে হয়।

কনফুসিয়াস এর ছবি

হা হা হা!হাসি
ঠিকাছে। আপনারা আলাপ জমান।

-যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আই.পি দেখালেই বরং অনেকে কমেন্ট করতে চাইবে না।আমি নিজে তো করবই না।যদিও আমার লুকানোর কিছু নেই,তবুও কেমন যেন হাস্যকর লাগে।

আমি ধীরে চলো নীতির পক্ষে।

-----------------------------------
কিস্তিমাতের যুদ্ধ শেষে,সাদাকালো ঘুটিগুলো এক বাক্সেই ফেরত যাবে...

কনফুসিয়াস এর ছবি

আবারো, ঠিকাছে।
-যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

প্রস্তাব পইড়া মাথায় ঘুরপাক লাগতেছে। এত প্যাঁচ রে বাবা! হাসি

আইপি অ্যাড্রেস বা লোকেশন দেখানো কোনোটারই দরকার দেখি না। পাঠক নিক - ব্লগার নিক শ্রেণীবিভাগটাও তেমন যুইতের মনে হইতেছে না। যারা স্প্যামিং করবে, তাদের কাছে এইগুলা ধোঁকা দেওয়া ডালভাত, মাঝখান থাইকা বলাইয়ের মত নিরীহ লোকজন অস্বস্তিতে পড়বে।

মন্তব্যের স্প্যামিং ঠেকাতে দুই মন্তব্যের মাঝে মিনিমাম টাইম স্প্যান রাখাটা মনে হয় কামের। পাঠকের মন্ত্যবাধিকার আইডিয়াটা অ্যাডপ্ট না করলে অবশ্য স্প্যামিংয়ের সম্ভাবনা অনেক কমে আসে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।