ওইদিন একজায়গায় পড়ছিলাম তালেবান আমলে কিভাবে হাজার বছরের পুরোনো বৌদ্ধ মুর্তিগুলো ধ্বংস করা হয়েছিল আফগানিস্থানে (বামিয়ান ২০০১)৷ বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় উঠলেও মোল্লাদের সে নিয়ে মাথাব্যথা ছিল না৷ তবে ব্রোঞ্জের বিশালাকার মুর্তিগুলোর উপর আক্রমন এই প্রথম নয়৷ মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবও তার আমলে ওগুলোর ক্ষয়ক্ষতি করেছেন৷ সম্ভবত তার আমলেই মুর্তি থেকে হাত কেটে নেয়া হয়৷ মুসলিমরা ছাড়াও মুর্তি ধ্বংস, স্থাপত্য কীর্তি ধ্বংস এগুলো ঐতিহাসিকভাবে আরো অনেকে করেছে৷
বেশীরভাগ ধর্মের ঈশ্বর অন্য ধর্মের ঈশ্বরের ধর্মের মুর্তি বা অন্য কোন সিম্বল সহ্য করতে পারেন না৷ তারা তাদের প্রেরিত গ্রন্থে একথাটা বারবার ভালো করে মনে করিয়ে দিয়েছেন (I, the Lord your God, am a jealous god)৷ পৌত্তলিক মুর্তি ভাঙ্গাটা একরকম পবিত্র দায়িত্বের মধ্যে পড়ে৷ আমার শুধু খটকা লাগে মহা পরাক্রমশালী ঈশ্বর ঠুনকো কাদামাটির/পিতলের মুর্তিকে এত ভয় পান কেন৷ এটা কি তার ট্যাবু? উত্তম তো অধমের সাথে নিশ্চিন্তে চলে, তাহলে কি ঈশ্বর কোনভাবে মধ্যম যে ওনাকে তফাত রাখতে হচ্ছে৷ নাকি insecurityর কারন ঈশ্বরের শৈশবকালিন কোন ঘটনা৷ কখনো কি উনি অন্য ঈশ্বরদের হাতে নিগৃহিত হয়েছিলেন৷ আবার হওয়ার ভয় পাচ্ছেন৷ দ্বিতীয় স্বামীর মতো প্রথম স্বামীর সব চিহ্ন মুছে ফেলতে চান৷ ঈশ্বর বোধহয় একটু ভীতু টাইপের৷ এত ক্ষমতা থাকতেও এত ভয়৷
ঈশ্বর লোকটা আসলে মজার৷ মাঝে মাঝে মনে হয় লোকটা হয়তো কমেডিয়ান ছিল প্রথম জীবনে৷
মন্তব্য
ঈশ্বর এই পোস্টটা পড়লে কোন নিক ভাঁড়িয়ে এসে দুইটা গালি দিয়ে যেতেন।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আজকে একটু হালকা মেজাজে আছি সকাল থেকে। রাতে শামি কাবাব বানালাম। ঈশ্বরের সাথে রাতে দেখা হবে, আপডেট দিয়ে যাবো।
শামি কাবাবের রেসিপি দিও
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
শানের মসলা পাইবা ইন্ডিয়ান দোকানে
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
রেসিপি মসলার প্যাকেটের গায়ে থাকে।
প্যাগান ধর্ম থেকে মানুষজনের মন নিরাকার ঈশ্বরের দিকে ফেরানোই হয়তো প্যাগান সিম্বলগুলো সরানোর পেছনে কারন ছিলো ।
আর আধুনিক বা মধ্যযুগে একাজগুলো পূর্বসূরীদের কাজ অনুসরনেই করা হয়েছে বলে মনে হয় ।
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
জনৈক ব্লগার চিপা দিয়ে তার পোস্টে বিরোধী বক্তব্য মুছে পাকসাফ রাখতো সামহোয়্যার ইনে। ঈশ্বরের কায়দাটাও একই রকম ম্যানিপুলেশন।
হাঁটুপানির জলদস্যু
জনৈক ব্লগার চিপা দিয়ে তার পোস্টে বিরোধী বক্তব্য মুছে পাকসাফ রাখতো সামহোয়্যার ইনে। ঈশ্বরের কায়দাটাও একই রকম ম্যানিপুলেশন।
হাঁটুপানির জলদস্যু
বামিয়ানের মূর্তি ছিলো পাহাড়ের একটা সাইড কেটে বের করা। তার মানে বিশাল একটা পাহাড়ই মূর্তি।
বাংলায় ''তরবারী দিয়ে ধর্ম প্রচারের'' সূচনা করেন বখতিয়ার খিলজী। জুম্মাবারে ওনার প্রশংসা সূচক খুতবা পড়ানো হতো। মন্দির লুণ্ঠন দিয়েই বহিরাগতরা নিজেদের ক্ষমতা দেখাতে চেয়েছে সব সময়। সে সময় নির্মিত প্রচুর মসজিদের(১২৯৮, ত্রিবেণী, জাফর খান)উল্টোদিকের পাথরে হিন্দু দেবদেবীর অলংকরণ আছে। মন্দির ভেঙ্গে সে পাথরে মসজিদ বানানো হতো শৌর্য-বীর্য্য প্রদর্শনের জন্য।
আসলে খুতবা পাঠের ব্যাপারটা সম্ভবত তৎকালীন তুর্কি শাসক সংস্কৃতির অংশ। বাংলায় মুসলিম শাসকরে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার প্রতীক ছিলো, নিজের নামে মুদ্রা প্রচলন এবং নিজের নামে খুতবা পাঠ করানো। দিল্লী থেকে পাঠানো শাসকরা বাংলার নদীঘেরা পরিবেশ আর দূরত্বের সুযোগ নিয়ে হরদম বিদ্রোহ করতেন, মুদ্রা প্রচলন আর খুতবা পাঠের ব্যবস্থা নিতেন হরদম। সুখময় মুখোপাধ্যায়ের বাংলায় মুসলিম অধিকারের আদিপর্ব বেশ চমৎকার একটা গোছানো বই।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আচ্ছা এই বইগুলো যেগুলো হযু আর হিমু উল্লেখ করলো এগুলোর কি কপিরাইট আছে এখনো। বা অন্যকোনভাবে সহজলভ্য করা যায়? ওয়েবে তুলে দিয়ে?
আমি তথ্য উল্লেখ করেছি, গোলাম মুরশিদের 'হাজার বছরের বাঙ্গালী সংস্কৃতি' থেকে। একেবারেই নতুন বই। তবে বিভিন্ন অধ্যায় ধরে পোস্ট করা যায়, কপিরাইট আইন লংঘন না করেই।
নতুন মন্তব্য করুন