রবার্ট মুগাবের দেশ জিম্বাবুয়ে নিয়ে প্রতিবেদন দেখছিলাম৷ হালে জিম্বাবুয়ের অবস্থার বেশ অবনতি হয়েছে৷ বিশেষ করে অর্থনৈতিক অবস্থার৷ কয়েক দশক আগের প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপুর্ণ সম্ভাবনাময় আফ্রিকান দেশ জিম্বাবুয়ে এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে৷ মুগাবে বৃটিশদের খেদিয়ে রোডেশিয়া থেকে জিম্বাবুয়ে স্বাধীন করেন৷ তখনকার ভুমিকার জন্য মুগাবে মুক্তিকামী জনতার নেতা হিসেবে পুরো বিশ্বে নন্দিত ছিলেন৷ সেই মুগাবে এখন তিন দশক পরেও জিম্বাবুয়ের ক্ষমতায়৷ বিরোধিরা মুগাবের কঠোর দমন নীতির পর এখন জান নিয়ে পালাতেই ব্যস্ত৷ দেশের মানুষও পালাচ্ছে যে যেভাবে পারে৷
অনেকসময় মনে হয় বঙ্গবন্ধু বেচে থাকলেও কি এরকম ফলাফল হতো৷ ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট না হলে বঙ্গবন্ধু কি এখনও বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকতেন? তিন বছরেই জাতির জনক থেকে তার আচার আচরন অনেকটাই স্বৈরাচারদের মতো হয়ে উঠছিল, বিশেষ করে বাকশাল গঠন, পত্র পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া৷ ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে কাছ থেকে দেখেছেন এরকম অনেককে চিনি, তাদের ভাষায় বঙ্গবন্ধুর মতো উদার মনের রাজনৈতিক নেতা বাংলাদেশে কম এসেছে৷ কিন্তু বাকশালটাও তো সত্যি৷ আর বঙ্গবন্ধু যে প্রশাসক হিসেবে ভীষনভাবে ব্যর্থ সন্দেহ নেই৷ কে জানে আমরা একজন মুগারের হাত থেকে বেচে গেছি কি না৷
মোটরসাইকেল ডায়েরী সিনেমাটা দেখে তরুন চে’গুয়েভারাকে ভালো না লাগার কারন নেই৷ তরুন ফিদেল ক্যাস্ট্রোকেও হয়তো তাই লাগবে৷ কিন্তু চারদশক ধরে ক্ষমতা আকড়ে ধরে থাকা, লৌহমানব ফিদেলের দেশের এত দুরবস্থা কেন৷ মায়ামী, ফ্লোরিডাতে গিয়েছিলাম ঘুরতে, পথে ঘাটে কিউবা থেকে পালিয়ে আসা লোকজন৷ হায়রে চে, আর ফিদেল, এই ছিল তাদের স্বপ্ন৷
জর্জ ওয়াশিংটন, বা জেফারসন একটু ভিন্ন ধরনের৷ তারা মুগাবে, শেখমুজিব বা চে’র মতো অতটা ক্যারিসমাটিক নন৷ কিন্তু আড়াইশ বছর আগে জর্জ ওয়াশিংটন যেটা করেছিলেন আমাদের বঙ্গবন্ধু বলতেই হয় ততটা পারতেন না, পারেন নি৷ জর্জ ওয়াশিংটনের সুযোগ ছিল বৃটিশদের হারিয়ে নিজেকে রাজা ঘোষনা করার৷ জেফারসনও হয়তো করতে পারতেন৷ আধুনিক গনতন্ত্র তখনও অপ্রচলিত৷ তা না করে তারা নিশ্চিত করলেন তাদের সদ্য স্বাধীনকৃত দেশে সবার অধিকার, কথা বলার স্বাধীনতা হবে সর্বোচ্চ৷ তাদের দেশ আজকের মহা পরাক্রমশালী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷
মন্তব্য
চে রাষ্ট্র নায়ক না হইয়া পরবর্তী বিপ্লবের দিকে গেছে। এইটা একটা ভালো পলিটিক্স...
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
ক্ষমতার যে একটা নিজস্ব চরিত্র আছে...তার বিরুদ্ধে একটা ক্রমাগত সংগ্রাম না থাকলেই সে ক্ষমতাশালীরে গ্রাস করে...এই সত্য ইতিহাসে খুব সহজলভ্য হইয়া আছে...অতীতের বহুত মার্ক্সবাদী রাষ্ট্রও এই দোষে দুষ্ট!
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
শেখ মুজিব বাকশালটা পরে করে ভুল করেছিলেন। করা উচিত ছিল শুরুতেই ।
"জর্জ ওয়াশিংটন, বা জেফারসন একটু ভিন্ন ধরনের৷ তারা মুগাবে, শেখমুজিব বা চে’র মতো অতটা ক্যারিসমাটিক নন৷"
জর্জ ওয়াশিংটন ক্যারিসমাটিক ছিলেন না? স্ট্রেন্জ
-------------------------------------------------
যত বড়ো হোক ইন্দ্রধনু সে সুদূর আকাশে আঁকা,
আমি ভালোবাসি মোর ধরণীর প্রজাপতিটির পাখা॥
একজন প্রাক্তন মার্কিনপন্থী, পরবর্তীতে সোশ্যালিস্ট ব্লকের আনুকূল্য পাওয়া লিবারেট ডেমোক্রেট যদি শুরুতেই ক্ষমতা কুক্ষিগতকরণের প্রক্রিয়া হাতে নেন তাইলে ব্যাপারটা কি হইতো সেইটা ভাবতেই ভয় লাগতেছে!
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
ডারায়েন না।
যেই কয় বতসর নেয় নাই তাতেই বা কি মহাযজ্ঞ হইছে?
-------------------------------------------------
যত বড়ো হোক ইন্দ্রধনু সে সুদূর আকাশে আঁকা,
আমি ভালোবাসি মোর ধরণীর প্রজাপতিটির পাখা॥
অচেনার সাথে আমি একমত। সেই সময়ের বাস্তবতায় বাকশাল অত বড় ভুল ছিল না। বর্তমান সরকার যদি জায়েজ সরকার হতে পারে, তবে বাকশাল কেন হবে না? এই সরকার মাত্র ১১ জন + সেনাবাহিনী + পাতি নেতাদের। বাকশাল সাময়িক ভাবে একই রকম ব্যবস্থা কায়েম করতে চেয়েছিল, সাথে ডেকেছিল মুষ্টিমেয় পেশাজীবীদের ঐক্যবধ্য হতে। প্রোপাগান্ডা আর প্রেজুডিসের কারণে আমরা বাকশাল মানেই খারাপ কিছু মনে করি। মনে হয় এটা থেকে বের হয়ে আসা উচিত আমাদের।
সেই সময় বাংলাদেশ ছিল দুর্ভিক্ষের মধ্যে। কোন বৃহৎ আন্তর্জাতিক শক্তির স্বীকৃতি বা সমর্থন নেই। পাকিস্তানি গোয়েন্দা, সমর্থক, আর চরদের আনাগোনা সর্বত্র। কোন প্রকার বৈদেশিক সাহায্য নেই। দেশের মানুষের মধ্যে অস্থিরতা আর বিদ্বেষ। কারও কারও মধ্যে পাকিস্তানে ফেরত যাবার খায়েশ কিছুদিন আগ পর্যন্ত ছিল। এইই তো ছিল ১৯৭৪ এর বাংলাদেশ! ফালতু ক্যাচাল ছেড়ে একটি কমন প্ল্যাটফর্মের নিচে আসতে বলাটা খুব অযৌক্তিক কিছুও না কিন্তু। একই কথা আজকে বলে ফখরুদ্দীন হিরো, আর ১৯৭৪এ বলে বঙ্গবন্ধু জিরো।
মাত্র ৪টি পত্রিকা থাকার কথা বলা হয়, রক্ষীবাহিনী করার কথা বলা হয়। সেই আমলেও কি প্রথম আলো জাতীয় স্লীক ও রিঅ্যাক্টিভিস্ট পত্রিকা ছিল না? সেনাবাহিনীর অধিকাংশই কি প্রো-পাকিস্তান ছিলেন না? বাকশাল মানে মৌলিক অধিকার হরণ ছিল, হ্যাঁ। তবে বর্তমান সময়ই প্রমাণ করে দেয় যে আউট অফ দি অর্ডিনারি পন্থা কখনও কখনও অবলম্বন করতে হয়।
ক্যাস্ট্রোকে আমি দোষ দেই না। সিআইএ কী করতে বাকি রাখেনি কিউবায়? ক্যাস্ট্রো ছাড়া আর কোন ভাবে কি দেশটা টিকে থাকতো? মার্কিন মিডিয়ার প্রচারণায় কান দেওয়া যায়, মন দেওয়া ঠিক না। ফ্লোরিডার কিউবানরা ক্যাস্ট্রোকে দেখতে না পারাই স্বাভাবিক, ঠিক যেমন বিতাড়িত বাঙ্গালি (?) রা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে কিছুই করতে বাকি রাখেনি বাইরে থেকে।
এই যাহ, পোস্টের চেয়ে কমেন্ট বড় হয়ে গেল!
একমত হতে পারলাম না।
ভুলেও গেছিলাম কী নিয়ে মন্তব্য।
একমত হওয়া একটু কষ্টকর, জানি। সব মিলতে হবে, এমন কথা নেই।
উরেব্বাপরে!
তুই ট্র্যাক করলি ক্যাম্বে?!
-------------------------------------------------
যত বড়ো হোক ইন্দ্রধনু সে সুদূর আকাশে আঁকা,
আমি ভালোবাসি মোর ধরণীর প্রজাপতিটির পাখা॥
ওয়াশিংটন ২ বার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সেকেন্ড টাইম সম্মান করে তাঁর বিরূদ্ধে কেউ দাড়ায় নাই।
-------------------------------------------------
যত বড়ো হোক ইন্দ্রধনু সে সুদূর আকাশে আঁকা,
আমি ভালোবাসি মোর ধরণীর প্রজাপতিটির পাখা॥
ধন্যবাদ, অচেনা। আমার মন্তব্য থেকে ঐ অংশটুকু মুছে দিলাম। বিনিময়ে ট্রিভিয়া রেখে যাই।
ওয়াশিংটন ছিলেন আমেরিকার ইতিহাসের সফলতম জুয়াড়িদের একজন। ঘোড়ার উপর বাজি ধরতেন। নিজের আস্তাবলের গুলোর উপর জান-জীবন দিয়ে বাজি ধরতেন। একটি ঘোড়া খুব সফল ছিল। বিশাল কিছু দৌঁড় জেতার পর কেন্টাকিতে ২০০ একর জমির বিনিময়ে ঘোড়াটি বেঁচে দিলেন ওয়াশিংটন। আর কোন দৌঁড় জেতেনি সেই ঘোড়া। বিশাল একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন আজও রয়ে গেছে এই ব্যাপারে। ওয়াশিংটন ততদিনে রেস ছেড়ে খামার, খামার হয়ে সেনাবাহিনী, সেনাবাহিনী হয়ে রাষ্ট্রপতিত্বের পথে।
বাটপার সব দেশেই থাকে। ওয়াশিংটনরা দেশ গড়ে, মওদুদরা দেশের পিঠে ছুরি গাড়ে।
আমার মনে হয় রউফ সাহেব বর্তমান সরকার সম্পর্কে ৫ মাস আগের মধ্যবিত্তের অনুভূতির উপর ভর কইরা আছেন...বর্তমান সরকার আর আগের মতো রিলায়েবল নাই মধ্যবিত্তের কাছেই...আর তাই তারে ইলিশ রাজনীতিও করতে হইতেছে, রপ্তানীর সিদ্ধান্ত বন্ধ কইরা ইলিশের দাম কমানের মতো একটা হঠকারী সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হইছে তারা কয় দিন আগে। তারো কিছুদিন আগে ভোজ্য তেল উৎপাদনকারীগো ফ্যাক্টরী রেইটে তেল সরবারাহের নির্দেশ দিয়া তেলের দাম নিয়ন্ত্রন করছে...এইসব শুনলে অনেক চটকী মনে হয়...কিন্তু উচ্চবিত্ত আর মধ্যবিত্তের চোখ উজ্জ্বল হইলেও নিম্নবিত্ত আসলে তার অবস্থানেই আছে...কারন এই নিয়ন্ত্রন কখনোই আশাবাদ দেয় না। বরং ঐ ফ্যাক্টরীতে কিম্বা মাছের ব্যবসায় যারা গতর খাটতো তাগো পেটে লাত্থি পরছে!
শিল্প-কল-কারখানার-কিম্বা পাবলিক সার্ভিসের জাতীয় করণ করা আর বাকশালের কর্মকান্ডে পার্থক্য থাইকা যায়...কিম্বা ৭২-২৫'এর জাতীয়করণেও কেরম স্বজনপ্রীতি আছর করছিলো সেইটাও সবাই জানে। উৎস মনে হয় এই জায়গাটাই ধরার চেষ্টা করছেন। শেখ মুজিবর রহমানের সকল অবদানরে শ্রদ্ধা জানাইয়াও তার বাকশাল পদক্ষেপরে প্রশ্নহীন করন যায় না আসলে।
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
আমার যেটা বলার সেইটা ভাস্কর বইলা দিছে । বাকশালরে শুধুমাত্র ইমার্জেন্সির সাথে গোলায় ফেলা ঠিক হবে না । সেইটা আরোও ব্যাপক ডাকাতি ছিলো ।
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
হাসিবের ছবিটা ভালো।
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
আমি বাকশালপন্থী । ডোন্ট মাইন্ড
তবে এই কথা ঠিক, সব দোষ ব্যাটা মুজিবরের । আমেরিকা ও তার অবিশ্বাস করলো, রাশিয়া ও পুরা ভরসা করলোনা । পাকিস্তান ও তারে গাদ্দার কইলো,ভারত ও তারে মুলা দেখাইলো!
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
সেটাই। মুজিবের শাসনামলের প্রেক্ষাপটটা খুব একটা স্বচ্ছন্দ ছিল না। মুজিব ডোবার কারণ শেখ কামাল। এই লোকটার দৌরাত্ম্য এবং তার প্রতি মুজিবের নমনীয়তা আরও অনেককে উৎসাহিত করেছিল।
জাতীয়করণটা প্রয়োজনীয় ছিল সেই সময়ের প্রেক্ষিতে। যুদ্ধের পর দেশের সবকিছুই মুজিবনির্ভর ছিল। এমনকি আহত বা দুর্ঘটনাগ্রস্তদের চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠাতেও মুজিবকে এগিয়ে আসতে হত। এরকম একটা সময়ে কাছের লোকেরা সুযোগ নেওয়া খুব অবভিয়াস ব্যাপার।
এই সরকার পাবলিক-ব্যাকড, কিন্তু নিজেদের আর্মি-ব্যাকড ভেবে খুব বেশি লাফাচ্ছে। দুঃখজনক।
আমি বামপন্থীদের দুষি অনেকটাই। তারা সেই সময়ে চীন-মস্কোর দালালি করতে গিয়ে অনেক ক্ষতি করেছে। তাদের সহযোগিতা না পাওয়ায় মুজিবকে কাছে টানতে হয়েছে অনেক সুযোগসন্ধানী লোককে। সেই জাসদ-বাসদের লোকেরাই আজকে দেশ বাঁচাচ্ছে!
"মুজিব ডোবার কারণ শেখ কামাল।"
শুধু শেখ কামালের নাম নিলেন , শেখ মনির নাম বললেন না । তবে , শেখ কামালকে নিয়ে যেসব কথা আজও শোনা যায় তার অধিকাংশই মিথ । যেমন শেখ কামালের ডাকাতি প্রপাগান্ডা বানোয়াট । ডাকাতির অভিযোগ যে মিথ্যা তার সাক্ষী বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান টুকু কারন সেদিন শেখ কামালের গাড়িতে তিনিও ছিলেন ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
শুধু কামাল-মনি না। শেখ সাহেবের পরিবারের অনেকেই কম-বেশি দায়ী ছিলেন। কয়টা নাম আর লিখে সারবো? আত্মীয়ের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে না পারা বঙ্গবন্ধুর অনেক বড় ব্যর্থতা ছিল। তাঁর এই দুর্বলতার দাম তিনি এবং বাংলাদেশ উভয়েই দিয়েছে।
শেখ কামালের দিক থেকে দেখলে -- নিজেকে এমন "মিথ"-এর ঊর্ধ্বে রাখতে না পারাও তাঁর অনেক বড় ব্যর্থতা। সে-কালের লোকেদের সাথে কথাবার্তা এবং নিজের পাঠ থেকে যেটুকু বুঝি তা হলো, এই একটা কুসন্তানের জন্য বঙ্গবন্ধু অনেক বেশি দাম দিলেন। অনেক, অনেক বেশি।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ওই দেখা যায় মানিক ভাইয়ের হাত!
মন্তব্য দুই বার এসে গেছে তাই মুছে দিলাম ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ওয়াশিংটন বা জেফারসনের মধ্যে অষ্টাদশ শতাব্দিতে যে দুরদৃষ্টি ছিল আমার চোখে বিংশ শতাব্দির বঙ্গবন্ধুর মধ্যে আমি সেটা দেখতে পাচ্ছি না। মুজিবকে পাবলিকের সামনে একজন ক্যারিসমাটিক নেতার চেয়ে বিপ্লবের পর অবদানের দিক থেকে বিচার করলে আমি তেমন বড় কোন অর্জন দেখতে ব্যর্থ। বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ, ভেতর বাইরে নানা ষড়যন্ত্র ছিল, সেরকম তো ওয়াশিংটনের জন্যও ছিল।
জাতীয়করন আর বাকশাল নিয়ে আরেকটা বড়সড় আলোচনার আয়োজন করা যায়।
আমারও ঠিক একই কথা মনে হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল বাকশাল নিয়ে আলোচনাটা বড় পরিসরে করা যায়। নন-পার্টিজান বিতর্ক দরকার এই ব্যাপারে।
নতুন লেখা কই ? @ উৎস ভাই।
উৎস ভাই গ্যালেন কই?
হাঁটুপানির জলদস্যু
এরকম আরো পোস্ট চাই। সেরকম ভাল লাগলো।
এই লোকটারে আমি আসলে ব্যাপক মিস করি
নতুন মন্তব্য করুন