১.
উসকে দেওয়া ছাদ ফুঁড়ে
প্রলয়-প্রসাদ ভুরভুরে
ভ্যাবদা মুখে হত:শ্বাস
শিরিষ ঘষে মিটাই আঁশ
উলটো চোখের ফিচকেমি
শঙ্কু সাধক হই আমি
২.
শামলা আঁটা আমলা ছাঁটা
চিপপু চরম ফটকা ফাঁটা
তস্য:তস্য: ভেল্কি জুড়ে
পট পটাপট কল্কি ফুঁড়ে
ধূম-ধোঁয়াসা য় তমগম:
এতে গন্ধপুস্পে টালস্য টালায় নম:
৩.
মুচড়ানো ফুল ছোট ছোট ডাল
ম্যালা পর্বত তার মাঝে খাল
রকেট ধরতে সেথা ফেলি জাল
টোকাটুকি ব্যাথা ধীরে পাড়ি ফাল
দ্যুলোক-ভূলোক ফুড়িয়াছে বাল
শঙ্কু সাধক তুমি তবে টাল ?
৪.
আন্ধার থাকে কক্ষে পাতালে
রোশনি ক্যালায় চক্ষে চাতা
কালে কালে গাঙে জল বাড়ন্ত
ডালে ডালে মরে পঁচে হা-হন্ত
ভেলকি দ্যাখস? খোলতাই জাদু?
বোমাটান দেয় কল্কিতে সাধু
৫.
ধূসর কাগজ চারকোনা ছাঁট
ছোট ছোট কথা আধ-চেনা ঘাট
দ্বার খুলে সেথা হাসি মুখে বাট
পড়িবা মাত্র কাছা তুলে কাট
চুপিসারে খোলে মারফতি হাট
মারফত-ভ্রমে কল্কি লোপাট !
৬.
আবু কুবাইস থেকে ঝুলে আছে গোঁফ
হিমালয়ে গোটা গোটা ইগলু
টাব্যু-টুপাইস ছেড়ে মারফতি হোপ
যমালয়ে রসালাপী ভোগলু
৭.
ধ্যান ভাঙতেই ভ্যাক ধরেছি ভন্ড সাধুর
ক্যান বলতো তবুও গাছে ঝুলছে বাদুড়
খিস্তি খেউর পণ করেছি
ভং ধরেছি মুশকো বাগী
ধ্যান ভাঙাতে আসতো যদি সঠিক মাগী
৮.
জোটে যদি মোটে একটি পয়সা
খাদ্য কিনিও ক্ষুধার লাগি
আঁধটি জুটিলে সিকিটিতে তার
কল্কি ফাটিও হে ধূমানুরাগী
৯.
মাটির ছাঁচে বসত করে
ঝাপসা ঝিলিক খোয়াব ঘরে
পুরান পলির নতুন চরে
নিম চালুনির মনান্তরে
কোন ঘরামি ঝুপড়ি গড়ে ?
১০.
ম্যাঘের দিনে ঝুপড়ি ঘরের
কোনায় কিংবা দাওয়ায় খরের
উম পেচাইয়া ভজন-সাধন
কইলজা মাডির সমান্তরে
দইজ্যা বাতাস মোনাই চরে
ঝুম খোঁয়াবের তেরছা মাতন
১১.
খোয়াব উড়ে
মিচকা ঘোড়ার কানপাখাতে
মাইট্যা খোলের
বুকের ভিতর শুকনা তাঁতে
ডিগবাজী খায়
খর-বিচালির আস্তাবলে
রাস্তা প্যাচায়
দমভরসার চিমনি জ্বলে
১২.
পেজগী সরল আন্ধা-রাইত
ছৈল-ছাবিলা ধান্দা কাইত
জিন্দা বুকে প্যাক-কাদা
ছানলে গজায় ঘোর বাদা
আউলা পিনিক খিল্লি মোড়
বাউলা হাতে জোড়-বোজোড়
১৩.
আন্ধা খাঁবে বান্ধা রাইত
যেথায় কল্কি সেথায় কাইত
চিৎ-উপুড়ে লম্বমান
চক্ষু মারে তেরছা চাঁন
ঘুমের ঘোরে চ্যাঙদোলা
পাতাল ঘরে ব্যোমভোলা
১৪.
কল্কি বানায় শুদ্ধ ঝানু
ভেল্কি দেখায় মিল্কিবানু
টেগরা খোপের মোকাম সিধা
যোগ-বিয়োগে নাইকো দ্বিধা
হেথায় সিদ্ধি শুদ্ধরূপ
দমভরসার জ্বলছে ধূপ ।
১৫.
টাটকা রোদে ভেল্কি বাজী
ফাটকা খেলায় কল্কি রাজী;
মাটির খাঁচায় জ্বলছে শ্বাস
ভেটকি মারে মূর্দা লাশ;
টুস্কি নাচে দুস্ক গাব
শুস্ক ধূপে সিদ্ধিলাভ।
১৬.
আলগি দিয়া পাল্কী চলে
দ্বীন-বেদ্বীনে পাল্টি ছাঁচ
ফুলকি মাতন কল্কি টলে
দিন-আঁধারের মাল্টি আঁচ।
আঁচ আঁচালেই ভাবনা কি?
ছাঁচ বাঁচিয়েই চলুক ধাম
পাঁচ প্যাঁচালীর কলকাঠি
বাঁচরে টেনে কল্কি-চাম।
১৭.
দৃশ্য-শোধন সরল নাটে
ম্লেচ্ছ-বোধন গরল বাঁটে
ধূপ ক্যারাভান ফন্দি আঁটে
ব্যোম ভোলানাথ!কল্কি ফাটে
১৮.
ঝুপড়ি খোঁয়াব
খুপড়ি দিলে,
ঝাক্কি বাতাস
তুবড়ি পিনিক
উপড়ি মিলে;
মাইট্যা ছাঁচে
পটপটাপট
সিদ্ধি পোড়ে
ব্রহ্মানন্দে
আউলা সাধু
নিমাই ঘোরে।
মন্তব্য
৮ নম্বরটা তেমন হইছে। দিবেন নাকি এক ছিলিম।
_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
শঙ্কুর গাঁজিতা আমার পছন্দের...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
খউব জমছে। হেউজ মজাক পাইছি ঘ্যাজম্যাজ।
ছন্দে প্রায়-জাদুকরী দক্ষতা আছে সাধক শঙ্কুর। শব্দভাণ্ডারে আছে বিবিধ রতন।
খোয়াব উড়ে
মিচকা ঘোড়ার কানপাখাতে
মাইট্যা খোলের
বুকের ভিতর শুকনা তাঁতে
ডিগবাজী খায়
খর-বিচালির আস্তাবলে
রাস্তা প্যাচায়
দমভরসার চিমনি জ্বলে
অভিনন্দন কবি (কিংবা গাঁজি)
জয় ভোলানাথ
পুরা গাঞ্জা হইসে!
বিপ্লব।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
গান্জার কি চমৎকার! ভাল লাগলো।
গাঁজিতা হুলো সাধু হয়েছে
__________________________________
ত্রসরেণু অরণ্যে
_____________________________
টুইটার
'আন্ধা খাঁবে বান্ধা রাইত
যেথায় কল্কি সেথায় কাইত'--এক্কেরে সেইরকম
-----------------------
এই বেশ ভাল আছি
৩ নাম্বারটা আমার পুরোনো পছন্দ।
যো শী শ ম্যা !
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
আরে সাধক যে? আ গেয়া মেরা লাল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
প্রণাম!
গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা
sadhu, pennam
ছন্দ মজা লাগে। তাই না বুইঝাই কই - দারুণ!
একটানা ছন্দ, তাল, লয়... দারুণ লাগলো! জয় বাবা ভোলানাথ!
নতুন মন্তব্য করুন