কংসাবতী নীল হয়ে ছিল। পাখি ছোট্ট ছোট্ট। এলোকেশে পাহাড়ের হিরণ্যদ্যুতি আসলে সেসবই কুয়াশা।
এক সমুদ্র ছিল বালির কিস্কিন্ধ্যা জুড়ে। বৃষ্টি ভেলা মাছেদের ট্রলার আমাদের বাচালদিন জুড়ে কেবল সেজে গেল খিলি খিলি পানের মত। টিপ টিপ টিপ টিপ।
ট্রেন যে রাস্তা দিয়ে গেল, ও ঢালে ফেলে গেল প্রাচীন চা বাগান। রাস্তার কাদা নিয়ে কামলালেবু তার ছেঁড়া চট থলে থেকে পাড়তেই থাকলো। সে মস্ত কমলা দুপুর।
আমাদের বেড়ানোর গল্পেরা দেখা দেবে বলরামপুরের সেই ছোট্ট জঙ্গল জুড়ে। বাচ্চারা বেয়ে বেয়ে ওঠে, পাখি ধরার ছলে। সেই বুঝি ছিল পাখিদের মরণ, ছকটক।
জলপাইগুড়ির দোকানে দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ বিহু শুনলাম। দূরে মেঘের ইশারার মত পাহাড়। কাঁপল, কাঁপতেই থাকল। গানেরা তো এমনই ঘরে ঘুরে বেড়ায়, বেড়াক।
এভাবে আমরাও একদিন গান হয়ে গেলাম। ইস্নিপ্সের দোকানজুড়ে আমাদের গানের গোলাঘর। ভাটিয়ালি সন্ধ্যায় সেই কাদা বালি চিকচিক করে, ঘোরে।
দিন বদলায়। অন্যগান শুনি। অন্য জায়গায় যাই। কেবল ঝুরো ঝুরো মাটি মাটি পিছু ছাড়ে না। চটিতে, চুলে সব জাড়িয়ে। চিকচিক করে। ঘোরে এ মাথা থেকে ও মাথা, শিরায় কঙ্কালে শিরায় এ মেঘ ও মেঘ। তারাও বোধহয় নিজেদের গান মনে করে।
মন্তব্য
এই আর কি...
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
আর কি?
দিব্য কাটছে।
পানে, অনুপানে আর ঘোরাঘুরিতে, কাজ করে হবেটা কি?
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
এমনি করেই যায় যদি দিন যাক না..
---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
নতুন মন্তব্য করুন