বিজ্ঞাপনের নবকুমার

কারুবাসনা এর ছবি
লিখেছেন কারুবাসনা (তারিখ: মঙ্গল, ১৯/০২/২০০৮ - ৩:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিজ্ঞাপন খেতে ভাল। ম্যাপের মত। ডি শার্প বালা গান নয়। ডাকোয়ার্থ-লুইস নয়। লারে লাপ্পা, এক্সকিউজ মি। লেট মি ফাইন্ড।

পাথ
----

আলু ছিল। পটল ছিল। কে কার ভেতরে, কে বাইরে জানি না। চোখের বেলায় ইন্টুগুলুগুলু। আনারসে নেই। স্ট্রাকচার আসে না। টেরচা গ্রাফ থিয়োরী।

ফিল্ডিং
-----
ফাটা মাটি, বালি আলু, বেলেমাছ আর কাঁসাই জুড়ে বালি। ঘটি ঘুরে বেড়ায়। শাড়ি শুকায়, লম্বা লম্বা।

ম্যাপিং
-----
শব্দটা মনে পরল, মিসিসিপি। কচুপাতা মুড়ে রাখা ছিল। তেলে ভিজে চুপচুপে, কিছুটা ভাপে।

নৌকার লন্ঠন দপদপ করছিলই। হাওয়া কমলে কপালকুন্ডলা গামছায় মোড়া ছোলাগুলো নদীর জলে একবার ডুবিয়ে তুলে নিল। কাল সেগুলো থেকে নরম নখের মত কল বেরোবে, সকাল অবধি থাকতে হবে। খিদে পেয়েছে খুব।

আফটার এফেক্টে ফেলে একটু মেঘ ঘন করে দেওয়া হল। একটু নয়েজ।

রহস্য গল্প
--------
সবানের ফেনার মত নদীর জল চিকচিক করতেই থাকে। দূরে আবছা একটা বাঘ সাঁতরে যায়। বেলপাতার মত কিছু একটা মুখে নবকুমার হাতেও পারে, নাও হতে পারে। জিম করবেট পাকা ডাকাতের মত দুই হাতে ভর দিয়ে নৌকোর ওপর লাফিয়ে ওঠে। ঝাঁকুনিতে ঘুম ভেঙে যায় কাপালকুন্ডলার। তার শীত করে, সাহেবকে কম্বলের মত টেনে নেয়। ভিজে গামছার ভেতরে নদীর ভ্যাপসা হাওয়ায় ছোলার নাবালক কলগুলি শীতকার করে ওঠে।


মন্তব্য

রায়হান আবীর এর ছবি

ছবিটা অসাধারণ।

কারুবাসনা এর ছবি

আমার তোলা নয়। এর কাছাকাছি কিছু তুলতে চাই।

লিখতে গিয়ে মধু সা বড় মনে পড়ছিল।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

আপনার লেখা পড়ে কিছু বুঝিনা, কিন্তু মুচমুচে জিলিপির মত একটানে পড়ে যাওয়া যায় ...মনে হয় গদ্যীয় পদ্যে ভাসছি ...সুমন চৌধুরীর লেখায়ও সেই ভাবটা পাই
কি নাম দেয়া যায় এই নতুন ধরনের লেখাকে? হাসি
বিপ্লব
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

অমিত আহমেদ এর ছবি

বদ্দার লেখার ধরণট কিন্তু আমার কাছে অন্যরকম লাগে। পড়লে একটা মানে মনে ধরা দেয় - তা সে ঠিক হোক কিংবা বেঠিক। তাই একটা আত্মতৃপ্তিও থাকে।

কিন্তু কারু দাদার এই লেখাটা পড়ে তৃপ্তি পেলেও আত্মতৃপ্তিটা আর পাওয়া হলো না।

কারুবাসনা এর ছবি

সুমনের লেখা আমারও বেশ ভাল লাগে। কিছু আসলে আঁকা হতে থাকে। এর প্রক্রিয়া বলা যেতে পারে সুমনের লেখা, মজার।

আমার লেখায় কৌশলগুলি সম্ভবত লুকিয়ে থাকে। আর যা লিখি তাই লেখা হয় না, সুমনের হয়। তাই সুমনের লেখায় মজা পাই বিস্তর।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

মোট ৭/৮ বার পড়লাম। ১মবার পরে কিছুই না বোঝার অবস্থাটা বেশ ছিল। অনেকবার পড়ে এখন বোঝা-না বোঝা টাইপ মিশ্র অনুভূতি তৈরি হলো। এটা এখন বেশ যণ্ত্রণা দিচ্ছে মন খারাপ

বুঝেও যেন বুঝলাম না!

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

কারুবাসনা এর ছবি

যন্ত্রনা এমনি জোটে না।
আমিও আছি তার ভেতর, বিস্তর।
বঙ্কিমি ভাবনার প্রসারন লক্ষ্য করছি অধুনা বিজ্ঞাপনগুলোয়। মজায় আছি সেটা লক্ষ্য করে, যন্ত্রনা পাই সেটা প্রকাশ করতে গিয়ে।

শব্দ ব্যবহারে একেকটি ছবি আয়ত্ত করার চেষ্টায় আছি ক্রমাগত।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

পড়তে ভাল্লাগ্লো। কিন্তু ঠিক বুজতার্লাম্না মন খারাপ
অ্যান্টেনা লুজ...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

কারুবাসনা এর ছবি

ঠিক আসে, টাইট কইরা নেন। ওয়েট করতাসি।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দাদা কি কলকাতার বিজ্ঞাপন জগতের লোক?

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

কারুবাসনা এর ছবি

ইহজগতের লোক দাদা হাসি


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।