সবই বুঝলাম। জন্মের আগের থিকা বুঝতাছি। আমার আগের ছাপ্পান্ন গুষ্টি ধইরা বুঝতাছে। এগুলা দুনিয়ার সবাই বুঝে। বুইঝা বাল ফালায়। আমিও ফালাই।
উপনিবেশ ছাইড়া যাওনের সময় সফেদ রামুরা অনুগত আমলাতন্ত্র রাইখা গেছে। তারপর কোন নব্য স্বাধীন দেশে একটা ফোটা তেড়িবেড়ির চান্স দেখামাত্রই ওয়াফাদার আমলারা গোরা ভগবানরে সার্ভিস দিছে। সেই টিরিক্স বেশীদিন সবজাগায় চলে নাই (কোন কোন জাগায় এখনো চলতাছে, যেমন পাকিস্থান)। তারপর দিনকাল দৃশ্যত অনেক বদলাইছে। কি বদলাইছে সবাই জানে। তাই সেগুলা আর কমু না। দিনকাল বদলাইতে বদলাইতে সমান্তরাল আমলাতন্ত্র তৈরী হইছে সেবা প্রতিষ্ঠাণের নামে। তাগো দোয়ায় পুরানা "বিপ্লবী"গো কপালে দুইটা ভাত জুটছে। ফুটা চাইলে পুটিং লাগছে। তারা বাড়ছে পোষা ঘনতন্ত্রের লগে লগে। তারপর সময় আবার বদলাইছে। সমান্তরাল বুদ্ধিকামলারা ক্লিয়ারেন্স দিছে এইবার তারা রেডি, দিন শ্যাষ হইতে হইতে তারা পোষা ঘনতন্ত্রের থিকা কমপক্ষে পাইতিরিশ টেকা বেশী পাইবো। মামু পাইতিরিশ পয়সা বেশী পাইলেও খুশী.........এগুলি বালছাল ক্যান কইতাছি জানিনা। কারণ এগুলাও সবাই জানে।
সবাই আরো জানে, ঘনতন্ত্রের আমলে যতই ক্যাওস হোক না ক্যান, মামুগো পোষা আমলারা আরো খারাপ। সবাই অভিজ্ঞতা থিকাই জানে। মামুরা দুইদিন লাইনঘাট দেখাইবো, তারপর তিনদিনের দিন হোগা দিয়া ব্যাটন ঢুকাইবো। এখনও ঢুকাইতাছে। ভদ্রলুকেরা কইতাছে ভালো লাগে ভালো লাগে। যারা কইতে চায় না তাগো গলায় পাড়া দিয়া কওয়ানো হইতাছে, এই তো দেখি চৈত্রমাসে মাঠের উপর বিশহাত পানি।
এগুলাও সবাই বুঝে। কিন্তু বুইঝা কি লাভ? গলায় পাড়া দিয়া ধরছে জলপাই আঙ্কেল বুঝলাম, কিন্তু কাগো লগে লইয়া তাগো খেদামু? যারা আইজকা বাটপারির মামলায় ধরা খাইতাছে তাগো লইয়া? তারা কি আঙ্কেলের বিরুদ্ধে? তারা আইছে কৈত্থিকা? আইজকা তাগো বাটপারির মামলা দিয়া জেলে ভইরা দুই দিন পরে তাগো গলায় ফুলের মালা দিয়া সংগ্রামী নেতা বানাইয়া তারপর আগো নেতৃত্বেই আবার ঘনতন্ত্র। এই চুতমারানিগুলিরে দিয়া ঘনতন্ত্র বানানোর মানে হইলো আবার সুবিধামতো মামুতন্ত্রের রাস্তা পাকা কইরা রাখা। এগুলাও সবাই বুঝে।
সবাই দেখা যাইতাছে সবকিছুই বুঝে। যেইটা বুঝে না, সেইটা আমিও বুঝি না। সেইটা হইলো কী করা যায়? কারণ, "তারপরে কিছু নাই" বা ""নো ওয়ে আউট" বলতে কিছু নাই। তারমানে কোন না কোন চিপা নিশ্চয়ই আছে সামনে দৌড় দেওনের। সেই চিপাটা কোনদিকে? এইসব বালছাল ক্যান কই? কই যাতে ছুডু পোলাপানগো মধ্যে যারা যারা এখনো আমাগো মতো চুতিয়া হয় নাই, তাগো মধ্যে কেউ কেউ জানি সেই চিপাটা খুইজা বাইর করতে পারে। রোগ নির্ণয় ছাড়া চিকিৎসা যারা সম্ভব মনে করে তারা বেসিক্যালি বাটপার। তারমানে আপনে চিকিৎসা করতে চান বা খাজুইরা প্যাচাল, ডায়াগনসিস আপনারে করতেই হইবো। রোগ যত জটিল হইবো তার চিকিৎসাও তত জটিল হইবো। এখন সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি, হোগামারা খাওয়ায় ব্যাদ্না বেশী, না কি নতুন নির্মানের রাস্তায়..............
মন্তব্য
(বিপ্লব)
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
করণীয় নিজেই বলে দিলেন যে!!!
লেখাটা সিরাম ধারালো হইছৈ।
কি মাঝি? ডরাইলা?
- হোগা মারা খাওনে বেদনা বেশি আছে ঠিকই মাগার একসময় অভ্যাসের চামচায় পরিণত হইয়া গেলে সেই বেদনা আর বেদনা জাগায় না। ঐটা তহন হৈয়া যায় প্লেজারাস। সমস্যাটা ঐখানেই। হোগামারা খাইতে খাইতে প্লেজারাস পর্যায়ে লৈয়া গেছেগা ঘণতন্ত্র কান্ধে লৈয়া লাট্টুর লাহান ঘুরতে থাকা চুতমারানীগুলা। নয়া রাস্তা বান্ধোনের কষ্টের চাইতে অখন হোগা মারাই তাই মজা লাগে। এইটা খাইছলত। যতোদিন পর্যন্ত এই খাইছলত না বদলানি যাইবো ততোদিন বাল না ফালাইয়া আর কোনো কাম সামনে নাই, দেহি না।
___________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এক্কেরে পুরা সহমত!!!!!!!!!!!!!!
কি মাঝি? ডরাইলা?
নতুন মন্তব্য করুন