উল্টোচাঁদ

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৬/১১/২০০৮ - ১:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছায়া ছায়া রাস্তাটা দিয়ে হাটতে খুব ভাল লাগে আলমগীরের । উচু উচু গাছগুলোর মধ্যে মুঠো মুঠো আশ্বাস, স্বস্তি আর শান্তি জমাট বেধে থাকে।
একটা বটের চারা ভাঙা পোড়ো বাড়ির দেয়ালে গজিয়ে উঠেছিল, আলমগীর দু বছর আগে তাই তুলে এনে লাগিয়েছিল রমনার এক কোনে, টিকে গেছে ওটা। ওর বাড়ন্ত শরীরের দিকে তাকালে নিজেকে কেমন পূর্ণ মনে হয়। বাবা ব্যাপারটি বুঝি এরকমই।
কয়েকটা ছেলে টেপ টেনিস নিয়ে রাস্তায় খেলতে নেমে গেছে। ফুটবলের দিন শেষ । নতুন দিন এসেছে।
আর একটু এগুতেই বনির সাথে দেখা। আড্ডার মধ্যে ফোনে কথা বলতে ঝামেলা তাই এত দুরে চলে এসেছে, সামনাসামনি হতেই একটু হাসি ফুটিয়ে আবার ফোনে। ওর ইদানিং একটা মেয়ের সাথে আলাপ হয়েছে।একটু পর পর সারাক্ষনই কথা বলে । একটা সেটেলমেন্টে আসার চেষ্টা করছে বোধহয়।
তারু ভাই এর গলা এত দুরেও শোনা যায়। আলমগীর গেলে সবাই কানু সরে গিয়ে জায়গা করে দেয়।
আর এই জীবনে আর দেখা হবে না রে। জীবনের অর্ধেকটা পার।
কিসের কি- কি দেখা হবে না- নিশ্চয় আগের কথার ফেউ। আলমগীর প্রসঙ্গটা বুঝতে চেষ্টা করে কিন্তু কেউই একথায় তাল দেয় না। অনেক কথার তুড়বুড়ির মধ্যে পাক খেয়ে কথাটা হারিয়ে যায়। আড্ডার ধরনাটাই এমন। জুবায়ের, মণি, আনুভাই এত আগে কখনও আসে না। তখনই মনে পড়ে আজ বৃহস্পতিবার। তারমানে আজকে সবাই আসবে।
এই গোপী তোকে বললাম না’- তারুভাই এর গলাটা এমনিতেই চড়া তারমধ্যে আজকে বোধহয় কোথাও থেকে মদ খেয়ে এসেছে তাই তার মাস্তিটা একটু বেশি - তোর বাড়ি তে একবার দাওয়াত দিতে।
দিচ্ছিস না কি। - শান্ত তারুভাই এর সাথে পো ধরে।
গোপী জাতে মাড়োয়ারী- কুষ্টিয়ায় বাড়ি। গোপী কৃষ্ণানের আগে মাড়োয়ারী দেখেনি ওদের কেউ। তার সাথে পরিচয় না হলে জানাই হতো না গল্পের বইয়ের বাইরে হাজার দুয়েক মাড়োয়ারী এখনও এই দেশে বাস করে।
চলেন -গোপীর শান্ত ফর্সা ফুখে হাসি ফোটে। মাড়োয়ারীর ব্যবসাবুদ্ধি নিয়ে এত যে গল্প গোপীকে দেখে মনেই হয় না। গল্পের জাল কেটে কিভাবে গোপী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছে সেটা আলমগীর জিজ্ঞেস করবে ভাবতে ভাবতে আনুভাই আমরা যে আসলেই ম্লেচ্ছ জাতি সেটা প্রমান করতে নানা কথা টানতে শুরু করেছেন। আনুভাই কথাগুলো নকশী চাদর বোনার মত। লাল নীল সবুজ রঙীন সব সুতার মতো আনুভাই এর কথায় আঞ্চলিক, সাধু, চলিত সব মিশে অন্যরকম একটা ডিজাইন।
- ্ওই ওই বুঝছিস আমরা ভুইল্যা যাই.. অল্প সময় হইলেই আমরা সব ভুইল্যা যাই। দেখস না আমগো নেতারা সব কেমুন ছোট হয়্যা আসতেছে। ভাসানী, শেরে বাংলা, সোরওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু .. এগো সস্মন্ধ্যে কয়জন কয় লাইন জানে, জিজ্ঞাস করো, দ্যাখো -কয়জন কি বলতে পারে।
আনু ভাই কথার মাকু ঘুরতেই থাকে।
- আমগো হিস্টরী কেম্যুন ছোট হয়্যা গ্যাছে- এই যে সাওতাল বিদ্রোহ, কৃষক বিদ্রোহ,- কয়বছর আগের কাহিনী মিঞা .. এখনও খুজলে ঐ সময় বাইচ্যা খাকা লোক খুজে পাওয়া যাবে। মনে হয়না কত হাজার বছরের কাহিনী। আচ্ছা এই যে -ওই কও - বাংলাদেশের জন্ম কবে - কও ..
আনুভাই সবাইকে টেনে নিয়ে আসেন।
আচমকা সবাই একটা ভাবনার মধ্যে পড়ে।
এই শমিক কও, শমিক আমতা আমতা করে, কিন্তু আনুভাই কাউকে ছাড়ে না। সুজা নোখ খুটে, মণি কোন তারিখটা বলবে বুঝতে পারে না, জুবায়ের প্রথমে বলার ঝুকিটা নিতে চায় না। তারু ভাই এর কোন বিচার নেই যা মনে আসে তাই দিয়ে শুরু করে - কত ১৬ তারিখ। ১৬ই ডিসেম্বর, বিজয় দিবস ঐ দিনে বাংলাদেশের জন্ম? না, না ২৬ মার্চ, নাকি ২৭.. ১৭ ই এপ্রিল নাকি..না ৭ই মার্চ। অদ্ভুত কান্ড। ঠিক কেউই নিশ্চিত হতে পারে না। মনের মধ্যে বিভ্রম বাড়তে থাকে। রিপন চেচায়- আপনি কন - আমি কমু ক্যান? আমি প্রশ্ন করছি ।তোমরা উত্তর দিবা - আনুভাই আলমগীরের দিকে চোখ টিপে বলে ’দেখছো- কি অবস্থা।
আনুভাই বসে বসে মজা নেয়।
জন্ম বলতে কি বোঝায় - ক্যাওয়াজের মধ্যে কে তাল ধরে।
আলমগীর ঠিক সেই সময়ে দেখে ঋতুকে। ঋতু তাকে ডাকছে। তাকে দেখে মনে হচ্ছে সে আজকে তাকে কিছু বলবে। আলমগীর একটু বিরক্ত হয়। এই আড্ডাটুকুই দৌড়ের জীবনে এতটুকু নিজের মতো সময়। দৌড়ের জীবনের মধ্যে শুধু এইটুকুই সময়। ভাবনাহীন একটা ¯্রােতে দুই একটা ঘন্টা কত দৃশ্যের মধ্য দিয়ে ঘুরে আসা। এই সময়টুকু হারাতে তার ভাল লাগে না। শুধু আলমগীরের কেন। এখানে সবারই তাই। এক একজন এক এক জায়গার.. এক একজনের এক এক রকম স্মৃতি এক এক রকমের পাগলামী, এক এক রকমের কাজ। কত ধরনের কথা।
কিন্তু কিছু করার নেই। একটা ছেলে হলে আসতে বলতো কিংবা না করে দিত। কিন্তু ঋতুকে সে এখানে আসতে বলতে পারে না। আলমগীর আস্তে করে উঠে তার কাছে যায়।
- কেমন আছো
ঋতু হাসে। কোন কথা বলে না। ওর চোখদুটো যেন দুই পেয়ালা ক্লান্তি ।
- ক্লাস করে আসলে
ঋতু মাথা নাড়ে। একটু থেমে, যেন বলবে কি বলবে না নিজের মধ্যে ঠিক করতে পারে না, তারপরে বলেই ফেলে
- রিফাতের সাথে কি কথা হয়েছে আপনার
- না
ঋতুর গলায় জোর করে আনা ঔদাসিন্য ঝম ঝম করে। একমূহূর্তের জন্য তার দৃষ্টি এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও কিছু খুজে বেড়ায়।
- ও
আলমগীরের আসলে কি করার আছে বুঝতে পারে না। আলমগীর রিফাতের সাথে ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলতে গিয়েও ফিরে এসেছে। । একটা ঘোরের মধ্যে সে ঝলমল করছে। প্রতিটা মূহূর্ত সে বিজয়ের আনন্দ উপভোগ করছে। এখন আর সে আগের রিফাত নেই। সে বুঝতে পেরেছে ঋতুর ব্যাপারে তার সাথে আর কথা বলা যায় না। এসব কথা ঋতুকে বলা যায় না। আরো অনেক কথাই ঋতুকে বলা যায় না। তার মনে হয়েছিল ঋতু তাকে ছেড়ে চলে যাক। রিফাত ঠিক ঋতুর যোগ্য মানুষটা নয়। এই পৃথিবীতে আরো অনেক সুন্দর মানুষ আছে, তাদের কাউকে ঋতু বেছে নিক।
আলমগীর জানে কৃষ্ণার ঘোর মাস কয়েকের ব্যাপার । রিফাত আবার ঋতুর কাছে ফিরে আসবে। গলা জড়িয়ে কাদবে। ঋতু নিশ্চুপ মূর্তির মত বসে থেকে এক সময় রিফাতকে মেনে নেবে। আবার সব ঠিকঠাক আবার আগের মত চলবে। একটা ছোট্ট কাটা হয়তো মনের মধ্যে কোথাও সারাজীবনের জন্য বিধে থাকবে। পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে যারা কাউকে নিজে থেকে ছেড়ে আসতে পারে না। ঋতু অনেকটা এই দলে পড়ে। এর চেয়ে আর একটা কাজ করলে কেমন হয়- আলমগীরের মধ্যে চকিতে ভাবনাটা ফণা তোলে।
ঋতুর মধ্যে একটা অপরাধবোধ জন্ম দিলে কেমন হয়।
তাহলে এরপরে রিফাতকে গ্রহন করা কিংবা পৃথিবীর যে কোন কিছুর সাথে মানিয়ে চলা ঋতুর জন্য অনেক সহজ হবে। মানুষের অপরাধবোধ মানুষকে উমুক্ত আর উদার করে, এটা জীবনে সে দেখেছে। এ কারনেই ব্যর্থ প্রেমিকেরা দায়িত্ববান স্বামী হয়। আলমগীর তীক্ষè চোখে ঋতুকে দেখে।
বিধ্বস্ত বিভ্রান্ত দুটো চোখ। কি জানি খুজছে।
এই মেয়েটার কাছে যাওয়া খুব সহজ। খুব সহজ। যাবে নাকি একবার এউ পথে। এই নারীটা সারাজীবন তার খুব চেনা হয়ে থাকবে। হয়ত কখনও রাস্তায় দেখা হবে। আধা পরিচিত মানুষের মতো দু একটা বাক্য আদানপ্রদানের মধ্যেই অনেক কথা বলা হয়ে যাবে। দুজনে দুজনের পথে ফিরে যাবে। নিজস্ব পৃথিবীটা একটু বড় হলে ক্ষতি কি? আলমগীরের একটু লোভ হয়। কথাটা মনে হতেই আলমগীরের একটু হাসি পায়। লালন ফকিরের গানটার কথা মনে হয়। ও মন জানোনা . তোমার ঘরে বসত করে কয় জনা। আলমগীরই কি জানতো এই আলমগীর তার মধ্যে বাস করে।
- চল বসি।
একটা ভাঙা রেল লাইনের টুকরো কবে কিভাবে এখানে এসেছিল কে জানে, গাছতলায় এখন এটাই বসার আসন হয়েছে। আলমগীর দেখে এখন জায়গাটা ফাকা। আলমগীর আর ঋতু গিয়ে ওখানে বসে।বসতে বসতে আলমগীর জিজ্ঞাসা করে।
- শেষ কি গান শুনেছিলে
- চাদ কহে চামেলী গো ফেরালে গো যদি চলে যাই.
- স্বপ্ন দেখেছিলে কাল
- না
- তার আগের দিন
- আমি, রিফাত আর কৃষ্ণা এক জায়গায় বেড়াতে গেছি। কৃষ্ণা আমার দিকে চেয়ে মিটিমিটি হাসছে। যেন চোখ দিয়ে বলছে আমিই জিতে গেলাম।
আলমগীর আবার একটু শূন্যতায় পড়ে যায়। এই কথার পিঠে ঠিক কোন কথাটা বলা উচিৎ খুজে পায় না। তার সত্যি মেয়েটার জন্য এবার খারাপ লাগে। ঋতু হটাৎ আলমগীরের দিকে তাকায়। অনেক বড় বড় চোখ ঋতুর, সবসময় মনে হয় কি যেন বলতে চাচ্ছে।
- এগুলো কেন জিজ্ঞাসা করছেন। কি গান গাই, কি স্বপ্ন দেখি
- এমনি। হটাৎ মনে হলো। এখনও গান গাও কিনা, স্বপ্ন দেখ কিনা।
- যদি না বলতাম
- তাহলে ভয় পেতাম
- কিসের
- আত্মহত্যা না করে বস
- মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় আত্মহত্যা করি
- কিভাবে
- বুঝতে পারি না। মানুষ যেভাবে আত্মহত্যা করে সেভাবে করতে ইচ্ছে করে না।
- আমার খুব উচু বিল্ডিং থেকে লাফ দিতে ইচ্ছে করে। চেষ্টা করে দেখতে পারো। এভাবে আজকাল কেউ মরে না।
বলেই আলমগীর বুঝতে পারে দুষ্টুমীটা করা ঠিক হয় নি। তাড়াতাড়ি সে প্রসঙ্গটা হালকা করার চেষ্টা করে।
- আসলে তুমি আত্মহত্যা করতে পারবে না
- কেন
আলমগীর আকাশের দিকে তাকায়। গাছের পাতার নক্সায় আকাশটাকে মেয়েদের ফ্রকের কাপড়ের মতো লাগে। সে পুরনো কথার ফেরে ফিরে যায়।
- প্রেম কিংবা ভালোবাসা, যাই বলো এটা এক ধরনের ইনভলমেন্ট। এটাকে ংযরভঃ কিংবা ৎবঢ়ষধপবসবহঃ না ঘটাতেই পারলে তখন আত্মহত্যার ইচ্ছে জাগে।
- আপনার কি মনে হয় আমি ইনভলমেন্টটা চেঞ্জ করে ফেলবো?
আলমগীর হেসে ফেলে।
- অনেকদিন হয়ে গেল। আর এতদিন আত্মহত্যাটা করো নি।
- তা করি নি।
- সেই জন্যই বললাম।
ঋতুর কথা বলতে বলতে একটু হালকা মনে হয়। কি যেন একটা কিছু বুকের মধ্যে চেপে বসেছিল, কথায় কথায় সেটা হালকা হতে শুরু করে।
- মাঝে মাঝে মনে হয় সব কিছু ছেড়ে নতুন জায়গায় চলে যাই।
- মানুষের ৎবঢ়ষধপবসবহঃ কি জায়গা দিয়ে হয়
আলমগীর বুঝতে পারে সীমানাটা সে গুড়িয়ে ফেলছে। ঋতু চুপ করে বসে আছে। সবুজ ঘাসে একটা মরা পাতা পাদিয়ে খুটছে। একটা হলুদ প্রজাপতি ঋতুকে ঘিরে উড়ে বেড়াচ্ছে। অন্য সময় হলে এই প্রজাপতি নিয়ে ঋতুর সঙ্গে দুষ্টুমী করতো। এখন এটা মানাবে না। ঋতুর দিকে তাকিয়ে ঋতুকে বুঝতে চেষ্টা করে আলমগীর। সে কিভাবে নিচ্ছে ব্যাপারটা। একাকীত্ব আর অপমানে ফুটতে ফুটতে সে হয়তো এগুলো নিয়ে ভাবছেই না। ও হয়তো একটু সময় কাটিয়ে ভুলতে চাইছে ব্যাপারটা। এ্ই ভূলানোর খেলায় আর একটু এগোলেই তাকে রেসপনসিবিলিটির ফাসে ঝুলতে হবে। নিজের মধ্যে আবার একটা দোলাচল অনুভব করে আলমগীর। ঠিক হচ্ছে তো।
- হয় হয়তো ..
ঋতু উঠে দাড়ায়। আলমগীর বুঝতে পারে এখন আর এগুনো ঠিক হবে না। সেও উঠে দাড়ায়
কোথায় যাবেন এখন। বাসায়ই যাই। ফিরতেতো হবে। তা তো বটেই। ক্লাস করো তো। চেষ্টা করি-
এইসব টুকটাক কথা বলতে বলতে ওরা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের ওখানে একটা রিক্সা খুজে পায় ওরা। ঋতু রিক্সায় উঠার সময়টুকুতে আলমগীরের চোখ পড়ে মসজিদের পাশে জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের লাল শান বাধানো কবরটাতে। কবরটাকে কেমন নিঃসঙ্গ লাগে। জাতীয় কবি একা একা শুয়ে আছেন।
ঋতু রিকশায় উঠে বলে
- যাই তাহলে
আলমগীর ঋতুকে বলে
- শোন। তোমাকে একটা চিন্তা দেই। রাতে ঘুমানোর সময় চিন্তা করবে। দেখবে -কষ্টটা তাহলে একটু কম লাগবে।
ঋতু তার বিরাট দুটি চোখে আলমগীরের দিকে তাকায়।
- কাজী নজরুল ইসলাম। জন্ম বর্ধমানে। যুদ্ধ করেছেন মেসোপটেমিয়ায়। বাস করেছেন কলকাতায়। আমাদের জাতীয় কবি হলেন কি করে?
আলমগীর ঋতুর দিকে আর না তাকিয়ে জোরে হাটা শুরু করে। অনেকদুর এসে তাকিয়ে দেখে ঋতু চলে যাচ্ছে। সে বাতাসে চিৎকার ভাসিয়ে দেয় Ñ ভেবো কিরÍু। ঋতু শুনতে পায় কি পায় না বোঝা যায় না। রিকশাটা আরো রিকশার সাথে মিশে যায়।


মন্তব্য

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

চমৎকার দার্শনিক গল্প। ইতিহাস এখন একাকী শুয়ে থাকে নজরুলের মত।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

কীর্তিনাশা এর ছবি

চমৎকার!

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

ভাল্লাগ্লো গল্পটা পড়ে। কিন্তু কর্ণজয় এইরকম ফাঁকিবাজি করলে কেমন হবে?


হাঁটুপানির জলদস্যু

সুমন চৌধুরী এর ছবি
রানা মেহের এর ছবি

গল্পটা খুব ভালো লেগেছে।
নজরুল নিয়ে এই কথাটা আমারো প্রায়ই মনে হয়
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

আয়নামতি এর ছবি

গল্পটা ভালো লাগলো। লেখক বেশ ব্যস্ত ,গল্প পড়ে বেশ বোঝা গেছে।
সেটা আরো স্পস্ট একটাও মন্তব্যের উত্তর করতে না দেখে!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।