বিপত্তিটা প্রথমেই কাকে লিখছি। তাই প্রশ্নবোধক চিহ্ণ।
আমার জন্য নাকি তোর জন্য মানে (Ñ )আমি/ এন্টি আমি / no-আমি।
বোধ করি সবকিছুতেই আমি থাকি। তাই প্রশ্নবোধকের জায়গায় আমাকে বসালাম। রেগে গেলে পরে পুষিয়ে দেব। কিন্তু বিপত্তি ঘটাচ্ছে ঘন্টাধ্বনিটা।
মধ্যরাতে ০০.০০.০০ টা। কিন্তু ০ বা শূন্য কি?সংখ্যাবীদ একটা শূন্যস্থান পূরন করতে আরেকটা শূণ্য এনছেন। আবার ১ ’ -এটা কি? মানে ১’ তো কোথাও নেই। সে যাই হোক সময় বন্ধ না করতে পারলেও সময় বন্ধ করার যন্ত্রটি সময় বন্ধ করার আক্রোশ নিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি।
আজ কিছুটা সময় তোকে, তোদের আর আমাকে নিয়ে কাটানোর চেষ্টা করবো বলে ভাবছি। চেষ্টা কেন? ব্যর্থতার ভয়ে? কিন্তু চেষ্টাটাতো চেষ্টা হিসেবেই স্বার্থক। তবে অপচেষ্টাকে মানা যাচ্ছে না কিছুতেই। তবে ভাবায় আনন্দ পাচ্ছি। তাই কোন কিছুই ব্যকরনে ফেলছি না। আনন্দ আর আনন্দ চিন্তাকে এভাবে প্রকাশ করতে গিয়ে বার বার গতিকে কমিয়ে দিতে হচ্ছে। বারবার মনে হচ্ছে আনন্দ কি?
আচ্ছা আনন্দের সমীকরনে নিশ্চয় অনেকগুলো variable - তাহলে আনন্দের অবস্থানের প্রেক্ষিতে তো আনন্দের ধারনা পাল্টাবে। তাহলে কি আনন্দ আর নিরানন্দবোধের ঊর্দ্ধেই কি মূল আনন্দ। অর্থাত আনন্দ-না’তেই মূল আনন্দ।
কবিতা হয় না অনেকদিন। অন্য একটা গ্রামারে ভাবলে কেমন হয়।
ভাবছি ..
আনন্দের সন্ধানে ঘুরছিলাম ব্রক্ষ্মান্ডময়
দোসর হলো কৃষ্ণবিবর
দুহাত উঠিয়ে আমন্ত্রণের ভঙ্গিতে গ্রাস করলো
আর আমি শোধ করলাম আমার ঋণ।
যুক্ত হলো নতুন মাত্রা ..
...........আর বোধ
বুঝলাম আনন্দ নেই আনন্দ-না তে
যেমন নেই আলো ; না’- তে
যেমন আছে জীবন না’- তে
আচ্ছা কবিতাটার নাম কি দেয়া যায়। আচ্ছা নামকরণটা চিত্রে দিলে কেমন হয়। একটা চিত্র মাথায় এসেছে। ধরা যাক একটা বৃত্ত স্থবিরতা আর আবদ্ভ ভাব প্রকাশ করছে। এখন ব্রত্তের বাইরেওতো কিছু আছে। তাহলে নামটা আকা যাক। [ বৃত্তটা কাগজেই থাক। এস দেখে যাস ...
দেখে মনে হচ্ছে চিত্রটার একটা নাম অক্ষরেও দেয়া যায়।
জ্যামিতিক জীবন এবং যান্ত্রিক আনন্দ
তো কথা বলছিলাম আলাøাহর সাথে। তাকে বললাম আমি আমার সীমাবদ্ধতা মেনে নিয়েছি তুমি তোমারটা মানছো না কেন?
উত্তরে আরøাহ বললেন আমি অসীম।
আমি বললাম যদি না হও তুমি মানবে।
আল্লাহ বললেন কোন সীমাতেই আমাকে বেধে রাখা যায় না।
আমি বললাম : তোমার ৭০ হাজার পর্দা তোমার জ্যোতিকে মানুষের চোখ থেকে আড়াল করে রাখে। এটা কি তোমার জ্যোতির একটা লিমিটেশন না? ৭০ হাজার সংখ্যাটাতো খুব বেশি না।
সমস্যা হচ্ছে এরপর সে আমার সাথে আর যোগাযোগ করছে না।
-কেন ?
আমাকে জিজ্ঞাসা করিস না ”কেন?”
কেন?” - কোন প্রশ্ন নয়
কেন?” - একটি ভাবনা
ভাবনা - তা তো বটেই .. ভাবি তাহলে
আচ্ছা - আমাদের প্রতিটা দিনেইতো পুরোটা জীবন প্রতিফলিত হয় - তাই না। যেমন একটা দিনের কার্যক্রম পর্যালোচনা কর পুরো জীবনটাই দেখতে পাবে।
ঘুমের ঘোর কাটতেই শুন
প্রভাত বলছে - সুপ্রভাত মহাশয়
কেমন আছেন?
উত্তর করলাম - ৫ মিলিগ্রাম
বোধ করি নিঃশব্দও কিছু বলছিল। কারন প্রভাত তার গলার পর্দাটা যুগপত ঝপ করে ফেলে দিয়ে বলল -
কি হে মধ্যাহ্ন ভোজনে কি থাকছেন না বৃক্ষ মহাশয়
তাকে আস্বস্ত কিংবা নিরাশ করলাম
সে মধ্যাহ্নের ব্যাপার।
এমা ৫টা ১০, বিকেলটাকে তাড়িয়ে নিয়ে ছুটছি ৫টার রেল ধরবো বলে।
টি স্টলে নিঃসঙ্গ আধকাপ চা ..
এখন রাত্রির
রাত্রির নিঃশব্দ চুম্বন করে যায়
চুমুক দিয়ে যায় আধকাপ চায়ের পেয়ালায়
আমার সঙ্গে একটা মজার ভাবনা ভাবোতো। আমাদের সভ্যতাটা এগুচ্ছে ৪র্থ মাত্রার দিকে। যেমন অতীত থেকে ধীরে ধীরে আমাদের স্মৃতি যুক্তি চিন্তা ভাবনা এগুতে এগুতে এখানে এসেছে।
এ পর্যায়ে আমরা যেমন খুব অল্প সময়ে ৬০ বছর আগের স্মৃতিতে ফেরত যেতে পারি তেমনি জ্ঞান এবং যুক্তির পারমিতায় ভবিষ্যতকে দেখতে পাই। অর্থাত আমাদের চিন্তার বিচরন Ñ,০,+ অর্থাত ত্রিমুখী। ত্রিমুখী বলছি শূণ্য, ধনাত্মক আর ঋণাত্মক দিয়ে। আমিও গণিতবীদদের মতো সেই শূণ্যস্থানকে শূন্য দিয়ে পূরন করলাম। আসলে ০ বা বর্তমান বলতে কিছু নেই। আগামী মূহূর্তটা তো ভবিষ্যত - এক মূহূর্ত পর সেটা অতীত।
সময় যখন থেমে যাবে তখন হবে বর্তমান। শুধুই বর্তমান। ভাবা যাক
এক বালতি জল দেবেন
আর দু চামচ জেট
ধৌত করিব নষ্ট অততীতটাকে।
তৎক্ষনাত চিৎকার রেসিপির ২য় লাইনটার
বুদ হয়ে থাক শালা আরো ৪০ মিনিট। .. .
অতঃপর খানিকটা লদকালদকি
আর ঘষটাঘষটি
সেরে রৌদ্র¯œান।
অবাক হয়ে দেখি পরিবেশিত হলো আরেকটি নষ্ট অতীত। তার মানে চিন্তা। ...
আবার চিন্তা দিয়ে অতিক্ষুদ্র সময়ে চলে যেতে পারি লক্ষ কোটি আলোকবর্ষ দৃরত্ব। তার মানে চিন্তা আলোক বর্ষ থেকে দ্রুতগামী।
তার মানে চিন্তা ৪র্থ মাত্রার। তাই নয় কি।
আসলে আল্লাহর আবার দেখা করতে আসলে ওকে আমি এ কথাই বলবো ঠিক করেছি।
তুই কি জানিস ও কোথায়।
মন্তব্য
মাথার উপর দিয়া গেল, বুঝার চেষ্টা করলাম, বুঝলামনা, আবার পড়লাম, ভাববার চেষ্টা করলাম, সেটাও পারলামনা।
...........................
Every Picture Tells a Story
.....একদিন গোধুলি আর সন্ধ্যার মাঝামাঝি ফুলদা নদীর তীরে যেখানে ন্যাঙটোদের ক্লাব সেখানে টি-শার্ট আর শর্টস পড়ে হাঁটছিলাম...পায়ে বোধ করি জুতাও ছিল..হঠাৎ শুনলাম অশরীরী ডাক...আমাকে না..কোন লোকের নাম ধরেও না...একটা সংখ্যা ধরে ডাকাডাকি...পাত্তা না দিয়ে ঝোপঝাড় কাঁপিয়ে মুতলাম...তারপর মনে হলো এটা বোধহয় ফুলদা না..পাশের গাছগুলিও কোন পার্কের না....বুঝলাম পথ খুইয়েছি অথবা খরচ করে ফেলেছি...একটা সাঁকো দেখা গেলো..মাঝামাঝি পৌছতে আবার সেই ডাকাডাকি..এবার স্পষ্টস্বরে...গা হিম হবার পরিবর্তে মেজাজ টং হয়ে উঠলো মুহুর্তে....কোন বুইড়া ব্যাটা জানি আমার ডেবিট কার্ডের পাসওয়ার্ড ধইরা ডাকে.....কোন হালারে? দিলাম এক ধমক....হালা কয় এখনো সময় আছে লাইনে আসো ...দেখছো আমি কতকিছু জানি...আমি কইলাম তুই ক্যাঠা? আমার পিনকোড কেমনে জানলি? কয়, আমি সেই...আমি সেই অদৃশ্যজ্ঞানী..আমি মূলত তোরা যা জানস না সেগুলি জানি..অ..আর আমরা যা জানি সেগুলা? সেগুলা জানার দায় তগো...বিশ্বজগতের সব কাজ কাম ভাগ করা ..যারে কয় ডিভিশান অফ লেবার..তাইলে আবার তোর পাওয়ার আমাগো থিকা বেশী কেমনে? কয়, ঐ যে আমি তাহা দেহি যা তোরা দেহ না..কিন্তু আমার পিনকোড কেমনে জানলি? নিশ্চয়ই হ্যাক করছস...তারমানে তোর অদৃশ্য জানার কায়দাও আমাগো দ্যাশের চোরদের থিকা আলাদা না....পারলে আমার ক্রেডিট লিমিট টা বাড়াইয়া দিস...সুদের হার কমাইয়া...
(to be continued...)
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
সিভাস রিগাল খাইলে মনে হয় সে পাশেই আছে... গপ গুজবানো যায়...
কেরু খাইলে কোলে বইসা থাকা যায়...
পানি খাইলে খুজেঁ পাই না...
হেথা নয় হোথা নয় অন্য কোথা... অন্য কোনোখানে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
না কর্ণজয়ের লেখাটা বুঝলাম, না সুমন চৌধুরীর মন্তব্যটা বুঝলাম। আমারই কী বুদ্ধিশুদ্ধি দিন দিন কমে যাচ্ছে! মন্তব্যও যে ধারাবাহিক হয় সুমন তাও দেখালেন!!
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কর্ণজয় কই হারাইলো?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
নতুন মন্তব্য করুন