#
আমাদের বাসার পাশে থাকা উৎকট গন্ধ ছড়ানো ডাস্টবিনটি একদিন চুরি হয়ে গেলে কিংবা বলা যায় গায়েব হয়ে যাওয়াতে আমরা সবাই খুব অবাক হই এবং কিছুক্ষণের মাঝে বুঝতে পারি এই অবাক হয়ে যাওয়াটা আনন্দে পরিণত হচ্ছে। আমি নিশ্চিত করেই বলতে পারে ডাস্টবিনের আশেপাশে থাকা সকল বাড়িতে এক-ই ধরনের আনন্দের হিল্লোল বয়ে যাচ্ছে। প্রাথমিক উচ্ছ্বাস থেমে গেলে আমি গিয়ে জানালাটা খুলে দেই। দীর্ঘদিনের পঙ্গুত্তে জানালাটি নবজাতক শিশুর মতো কেঁদে ওঠে, মেঠোপথে ধুলোর ঝড় ওঠার মতো করে ধুলো উড়ে, আমি চোখ বন্ধ করে ফেলি।
সূর্যের আলো এসে ঘরে ঢোকে। কৃত্রিম আলোয় আচ্ছাদিত হয়ে থাকা ঘরটি প্রাকৃতিক স্পর্শে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, জোছনা বলে ভ্রম হয় আমার। আমি দু হাত ছড়িয়ে দেই, যেন নদীতে গোসল করব, শুদ্ধ হবো। খাটে শুয়ে থাকা নাঈমাকে দেখি চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে আর সঙ্গে সঙ্গে আমার ভ্রম ভেঙ্গে যায়। কাল্পনিক পরিবেশ বাস্তবের সাথে সাংঘর্ষিক। বাস্তবের সন্দেহাতীত সত্য নাঈমার বিস্মিত চোখ আমাকে বলে দেয় ভ্রম থেকে বের হয়ে আসতে এবং তাকে হেসে বলতে, ডাস্টবিন চুরি হয়ে গেছে, তাই জানালাটা খুলে দিলাম।
আমি ভেবেছিলাম সে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠে দাঁড়াবে, আমার পাশে এসে জানালার গ্রিল ধরে বলবে, আরে তোমাদের বাসার এ পাশে পুকুর আছে জানতাম না তো। হতাশ হই যখন দেখি নাঈমা বিরক্ত হয়ে বলছে, আজ ছুটির দিন, ঘুমোতে দাও, জানালা বন্ধ করো।
এটা অবশ্য নতুন না। আমি যা বলি, যা ভাবি নাঈমা ঠিক তার উল্টোটা করবে। অবশ্য ওর দিক দিয়ে চিন্তা করলে আমি উল্টোটাই ভাবি ও বরং সোজাভাবে চিন্তা করে। যাই হোক, আমি বিষণ্ণমনে ঘর থেকে বের হয়ে বারান্দায় এসে দেখি বাবা পেপার হাতে নিয়ে উদাস দৃষ্টিতে রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছে। ঠিক রাস্তার দিকে না, কারেন্টের তারে বসা কাকের দিকে মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে আছে। অনেকদিন পর সকালবেলা বাবার সাথে দেখা হলো। বুঝতে পারলাম না, এটা কী তার রোজকার রুটিন কি’না। একবার ভাবলাম বাবাকে জিজ্ঞেস করি, কী দেখ? কিন্তু প্রশ্নটা অবান্তর হয়ে যায় যেখানে আমি নিজেই দেখছি বাবা কাক দেখছে। সুতরাং বাবাকে একা থাকতে দেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ ভেবে চুপচাপ বের হয়ে মা’র রুমে যাই।
মা আমাকে দেখে উঠে বসলেন। সাতসকালে আমাকে দেখে বুঝি কিছুটা অবাক আর সংশয়ে জিজ্ঞাসা করলেন,কিছু হয়েছে বাবা?
আমি হেসে বললাম, ডাস্টবিন চুরি হয়ে গেছে, বাড়ির পাশে এখন কেউ ময়লা ফেলবে না। জানালা খুলে রাখতে পারবে।
মা অবাক হয়ে তাকালেন। বললেন, ডাস্টবিন চুরি হবে কেন? হয়ত সিটি করপোরেশনের লোক এসে নিয়ে গেছে।
না, তা হয় নি। সিটি করপোশনের লোক এসেই ডাস্টবিন খুঁজে না পেয়ে সকালে এসে চেঁচামেচি শুরু করল, আমি বের হয়ে দেখি এই অবস্থা। এখন আর নাক চেপে বের হতে হবে না।
আমি তো বের হই না। মা’র অবাক হওয়া কন্ঠ আরো অবাক শোনায়।
তাই তো তুমি বের হবে কেন? আচ্ছা বাবা কী প্রতিদিন সকালে এভাবে বারান্দায় বসে থাকে?
মা কি যেন ভাবতে থাকেন। ভাবতে ভাবতে বললেন, ডাস্টবিন চুরি হয়ে গেল? আজকাল ডাস্টবিন চোর এসে গেছে?
মা কে অনেক আনমনা লাগছে। কী প্রশ্ন করলাম আর কী উত্তর দিল? মা’কে ভাবতে দিয়ে আমি উঠে চলে আসি। কাজের লোক মাত্র নাস্তা বানাচ্ছে। বাইরে থেকে নতুন এলাকাটা হেঁটে আসা যায়। মানুষের প্রতিক্রিয়াও জানা যাবে।
আমাদের বাড়িতে এখনো সেই পুরোনো কেঁচি গেট। ডেভেলাপাররা ঘুরছে পেছন পেছন কিন্তু দাম দিচ্ছে না ঠিকমতো। বাবাও রাজি না। এখন হয়ত পরিস্থিত বদলাবে। গেট খোলার ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দ হয়। বাবা ডাক দিয়ে বললেন, কে এলো?
কেউ না, বাবা আমি বাইরে যাচ্ছি। ডাস্টবিন চুরি হয়েছে, দেখে আসতে যাই।
কিছুক্ষণ দাঁড়াই আমি। কিন্তু বাবার কোনো উত্তর আসে না। আবার কী কাক দেখায় ব্যস্ত হয়ে গেছেন? এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল অথচ বাড়ির কারো কোনো মাথাব্যথা নেই কেন? কাক দেখতে হবে? ঘুমোতে হবে? কে চুরি করেছে এটা নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে? সবাই কেমন রসহীন হয়ে গেছে, যাচ্ছে।
আমার বের হতেই সানিয়ার কথা মনে পড়ে যায়। বেশ ক’দিন যাওয়া হয় না ওর বাড়িতে। ওর জন্য সেদিন ধানমন্ডির সুইট ড্রিম থেকে অনেক সুন্দর একটা নাইট ড্রেস কিনে পাঠিয়ে দিয়েছি। আজ যেতে হবে। কেমন মানিয়েছে দেখতে । ফোন করে বলেছিল, পছন্দ হয়েছে। আমার সামনে পড়ে আসার জন্য অপেক্ষা করছে।
আজ যেতেই হবে, ভাবতে ভাবতে আমি উত্তেজিত হয়ে পড়ি। এখন-ই চলে যাব নাকি? আমি দ্রুত আবার ঘরে এসে ঢুকি। নাঈমা এখনো ঘুমোচ্ছে। ওর কাপড় বিশ্রীভাবে উপরে উঠে আছে। দেখতে খুব বাজে লাগছে। জেগে থাকলেও আজকাল ওকে ভালো লাগে না। এক-ই শরীর আর কতদিন ভালো লাগে? শরীর ঝুলে গেছে এই অল্প কদিনেই, বিছানাতে বড় বেশী শীতল। আই লাভ ওয়াইল্ডনেস। অন্যদিকে, সানিয়া কী অসাধারণ! ও না থাকলে যে আমার কী হতো।
হঠাৎ করেই টের পেলাম নাকে হালকা গন্ধ লাগছে। আশ্চর্য ডাস্টবিন ফিরে এলো নাকি? আমি দৌড় দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি, না ফিরে আসে নি। হাঁফ ছেড়ে বাঁচি কিন্তু সানিয়ার বাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছেটা মরে যায়।
লাভলু ভাই, কী অবস্থা? অনেকদিন পরে দেখলাম।
কেউ একজন ডাকে আমাকে। চিনতে পারি না। চিনবই বা কীভাবে? এলাকায় বের হলাম কতদিন পর তার হিসেব নেই। কোনোমতে দু একটা কথা বলে হাঁটতে থাকি। যেখানে ডাস্টবিন ছিল সেখানে এসে দাঁড়াই। ক’জন মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। তাদের মুখে কোনো বিস্ময় নেই, যেন এমনটাই হওয়ার কথা ছিল।
ভ্রু কুঁচকে চিন্তা করতে থাকি সকাল থেকে ঘটে আসা ঘটনাগুলো। নিরুত্তাপ রাত্রি শেষে ঘুমোচ্ছিলাম। নাঈমাকে ডেকেছিলাম, এলো না, সরে গিয়ে পাশ ফিরে শুয়ে থাকল। কিছুটা রাগারাগির পর ঘুমটাকে অনেক প্রার্থিত মনে হচ্ছিল। ছুটির দিন তাই সারা সকাল ঘুমাবার প্ল্যান ছিল। সকালে হঠাৎ হৈ-চৈ শুনে বাইরে বের হয়ে দেখি ডাস্টবিন নেই, দুগর্ন্ধ নেই, আর সিটি করপোশনের লোকেরা এলাকাবাসীকে দোষারোপ করছে। নিরাপদ দূরত্বে থেকে সব শুনে বাড়ি ফিরে জানালা খুলে দিলাম। কিছু অর্থহীন সময় পার করে এখন আবার ভবঘুরে। ফুরফুরে মনে এখন মাঝ সকালের রোদ্দুর বিষণ্ণতার ছায়া দিতে শুরু করে।
আমি কী এমন জীবন চেয়েছিলাম?
#
রোদ আমাকে বলেছিল উষ্ণতার কথা, বলেছিল লাভলু চোখের জলের স্যাঁতস্যাঁতে ভাব তোমার দেখতে হবে না। মাঝ বিকেলের পড়ন্ত সূর্য বার্তা পাঠিয়েছিল, তোমার ক্লান্তিগুলো নিয়ে ডুবে যাচ্ছি, তুমি নতুন করে সতেজ হয়ে নাও। রাত আমাকে শিখিয়েছিল কিভাবে অন্ধকারকে ভালোবাসতে হয়।
আমি এখন রোদ এলে দৌড়ে পালাই। অফিসের এসিতে বসে বলি, বাইরে বড্ড গরম পড়েছে। মাঝ বিকেলে রাস্তায় জ্যামে আটকে থাকি আর খিস্তখেউড় করতে থাকি, রাত এলে ঘুমিয়ে পড়ি।
নাঈমার সাথে প্রথম পরিচয়টা একদম-ই অপ্রত্যাশিত ছিল। বইমেলার গেট দিয়ে বের হচ্ছি। নবীন লেখক, প্রথম বই বের হয়েছে। স্টলের এককোণায় বইটি পড়ে আছে অবহেলায়।
এই যে শুনছেন, আপনার বইটি আমার কাছে চমৎকার লেগেছে।
তাই?
হুম। আরো ভালো লেগেছে প্রেম বিষয়ক উপন্যাস না। একটু ডিফারেন্ট।
এইভাবে শুরু হলো। চলতে শুরু করল নতুন চাকায় পুরোনো জীবন। আমার লেখালেখি যেখানে ছিল তার প্রধান আগ্রহ।
আজ কোনো গল্প লিখলে না?
নাহ,খুব টায়ার্ড ছিলাম। আর আমার কথা শুনে নাঈমা খুব রাগ করত। আমি হাসতে হাসতে পকেট থেকে বের করে দিতাম ওকে নিয়ে লেখা কয়েক ছত্র পক্তিমালা। ওর হাসিতে আমার সমস্ত জগত শূণ্য হয়ে যেত। আর এখন হাসে না বলে চারপাশে শূন্যতা খেলা করে। এখন আমি গল্প লিখতে বসি না দেখে নাঈমা আর রাগ করে না। এখন আর তাকে নিয়ে কোনো কবিতা লেখা হয় না, গল্প বানানো হয় না।
ক’দিন আগে এক সাহিত্য সম্পাদকের ফোন পেয়ে গল্প লিখতে বসেই শুনলাম,আবার শুরু করেছে। লিখে আমার মাথা উদ্ধার করে ফেলবে। আমি সম্পাদক কে ফোন করে জানাই, শরীরটা খুব খারাপ।
আমাদের বিছানায়, ঘরের দেয়ালে, জানালার পাশে ইউক্যালিপটাসের ধারে খেলা করত আদর। তখন সময়টা ছিল মাতাল করা। এখন বুঝি তাই সব লেথার্জিক,মিয়ম্রান। ভালোবাসা শক্তির নিত্যতা সূত্র মেনে চলে।
ডাস্টবিন কেন চুরি হলো? এখন আমাকে জানালা খুলতে হবে, চাঁদ দেখতে হবে; সেই চাঁদ,বিগতযৌবনা চাঁদ। আবার কী আমার অন্ধকারকে ভালবাসতে হবে? আমাকে রোদের করা প্রতিজ্ঞার কথা, মাঝ বিকেলের আহবানের কথা, রাতের সৌন্দর্যের কথা মনে করিয়ে দিল?
হঠাৎ খেয়াল করি এই ডাস্টবিন ঘিরে আমার মতো ক’জন বিষণ্ণ মানুষ। তাদের ও কী আমার মতো লেখক হবার কথা ছিল? মানুষ হবার কথা ছিল? মনে হলো, ডাস্টবিন থেকে বের হওয়া দুর্গন্ধে আমাদের মৃত আত্মার লাশের গন্ধ এতদিন চাপা পড়ে ছিল। এখন সেটা তীব্র হয়ে অন্তরের নাকে গিয়ে লাগে। রাস্তা ভাসিয়ে দেই বমি করে। দেখতে পাই স্বপ্নগুলোর ফসিল বের হয়ে যাচ্ছে, রাস্তা বেয়ে ড্রেন এ পড়ে হারাতে থাকে তারা। আমি এখন স্বপ্নহীন মানুষ, জীবনের ভারবাহী পশু।
#
বাড়ি ফিরতেই সানিয়ার ফোন পাই। আর নাকে এসে লাগে তীব্র দুগন্ধ। ফোন কেটে দিয়ে ঘরজুড়ে চেঁচাতে শুরু করি। জানালা বন্ধ করো,জানালা বন্ধ করো।
বাবা এসে বলে,জানালা বন্ধ। কতদিন পর বাবা নিজ থেকে এসে কথা বললেন আমার সাথে? টের পাই, আমার শরীর কাঁপছে শীতে। সম্পর্কের শীতলতা?
ঠান্ডা আর গন্ধে আমি অচেতন হতে থাকি। আমার কাউকে ভালো লাগে না, বাবাকে না, মা’কে না, নাঈমাকে না, সানিয়াকে না। আমি বহু আগে মরে গেছি, পচে গেছি। অজ্ঞান হয়ে যাবার ঠিক আগমুহূর্তে টের পাই, কেউ একজন বলছে, এজন্যই বলেছিলাম ডাস্টবিন চুরি হওয়াতে খুশি হবার কিছু নেই,কিছু থাকে না, বেঁচে থাকার জন্য আমাদের কেবল একটু আড়াল দরকার হয়।
মন্তব্য
খুব ভালো লেগেছে গল্পটা। আসলেই এমন হয়। সম্পর্ক গুলো এক এক করে একদিন ভেঙে যায়, ভেঙে যায় স্বপ্ন। আর হারিয়ে যায় রঙ...
এইবার একটু গল্পের সমালোচনা করি। প্রথমদিকের কিছু অংশ খানিকটা অস্পষ্ট লেগেছে। তবে একটু এগিয়েই পূর্ণ গতি নিয়ে নিয়েছে। আর ক্লাইমেক্সে এসে সঠিক পরিপূর্ণতা। ভাষা এবং শব্দ চয়ন সাবলীল। প্রথম পুরুষের বাচনির ফলে স্ট্রিক্ট ফলোয়ন হয়ে যায়, কিন্তু তা গল্পকে অনেকাংশে সমৃদ্ধও করেছে। বিশেষ করে একটা সম্পর্কের নিস্তব্ধতা এবং নিস্তরঙ্গতাকে ঢাকার প্রয়াস এবং তার ফলশ্রুতিতে প্রিতিটি সত্তার প্রকট অভিনয় অল্প ভাষার ব্যাবহারে চমৎকার ভাবে ফুটে উঠেছে।
এই গল্প প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের বিচ্ছিন্ন ডাস্টবিন থেকে উঠে আসা অভিন্ন অভিব্যাক্তির প্রতিফলন .........
ডাকঘর | ছবিঘর
এত বড় মন্ত্যবের জন্য অনেক ধন্যবাদ। গ্রাজুয়েশন শেষ হলে আপনাদের সাথে নিয়মিত সাক্ষাৎ হবে। ভালো থাকুন
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
## খুব ভাল লিখেছেন তবে জেগে থাকলেও এখন আর ওকে ভাল লাগেনা, এটুকু পড়েই হাসি পেল...অনেক সত্য কথা, যদি আপনার কাছের কোন নারী পড়ে তাহলে মনে হয় খবর আছে।
## উপসংহারটি খুব ভাল লেগেছে। ভন্নতার ছোঁয়া..
## ভাল থাকুন সবসময়, এ প্রত্যাশায়..
আমার কাছের নারী নেই আমি পিচ্চি
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
লেখার এই ধরনটা ভালো লাগে, কিছু বিছিন্ন কথা-বার্তা নিয়ে বা ছেড়া-ছেড়া কিছু অংশ নিয়ে শুরু করে শেষে যেয়ে এক কথায় বা এক অংশে সবকিছুকে মিলিয়ে দেওয়া, অনেকদিন পরে ভিন্ন-ধাঁচের লেখা পড়ে বেশ ভালো লাগলো..
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আপনার লেখা পড়া হয়। বিবর্তন নিয়ে পোস্ট টা অনেক ভালো লেগেছিল। ভালো লাগল আপনার মন্তব্য পেয়ে
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ধন্যবাদ ... শুভ কামনা ..
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আপনার গদ্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। আপনাকে দিয়ে হবে
লেখা শুরু হলো কেবল। ধন্যবাদ
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
আপনার লেখার জাত আলাদা, গদ্য শক্তিশালি।
সুতরাং, লিখতে থাকুন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সুলেখকের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়ে লজ্জা পেলাম
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
আপনার হবে ভাই। শুধু হবে না, হয়েছে। আপনি বুঝতে পারেন নাই।
----------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...
আমার গল্পে স্বাগতম আপনাকে
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মন্তব্য যাই হোক, আপনার কাছ থেকে প্রথম পেলাম। থ্যাঙ্কস নজু ভাই
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
আলসেমিতে মন্তব্য করা হয়নি। কিন্তু আগের সবগুলো গল্পই পড়েছি। ভালো লেগেছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
শেষটা অন্য ধাঁচের। লিখতে থাকুন বেশী বেশী
facebook
আমার ক্যাম্পাসে আপনার ভক্তকুল বানিয়ে ফেলেছি
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
দারুন লেখেছেন। বাস্তব ঢঙে গল্প বলাটা ভাল লেগেছে।
মনে হচ্ছিল নাসরীন জাহান পড়ছি।
নাসরীন জাহান??? মনে হয় না। ওনার ভাষা অনেক বেশি শক্তিশালী কিন্তু কঠিন। আমি অতো কঠিন করে লিখতে পারি না। পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য ধন্যবাদ
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
-অতীত
থ্যাঙ্কস।
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ভাল লাগাটা জানায় গেলাম।
থ্যাঙ্কস জানানোর জন্য
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ভাল লাগছে, চমৎকার লেখেন আপনি
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
থ্যাঙ্কস
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
আপনার লেখার ভক্ত অনেক আগে থেকেই।
থিমটা চমৎকার লাগলো।
আর লেখনি? অসাধারণ !
থ্যাঙ্কস দাইফ ভাই।
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
এটা তো অসাধারন হয়েছে রিশাদ! অনেক দিন পরে এমন লেখাটা মনে ধরে গেলো। লেখাটা হয়ত সবার জীবন নিয়েই লেখা, আসলেই একটু আড়াল দরকার।
হুম, ডেমোন। সচলে লেখ তুমি?
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
জীবন যাপনের বড় জটিল জায়গায় হাত দিয়েছেন রিশাদ ময়ূখ। এখানে সারি সারি আয়নার ভেতরে অসংখ্য মুখোশ আঁটা প্রতিবিম্বের ভিড়। আর বড় বিপন্ন বিস্ময়! প্রথম দু'টি অংশ এককথায় চমৎকার লেগেছে, শেষ অংশটি মনে হয় আরেকটু মনোযোগ চাইছে!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
অনেক ধন্যবাদ। শেষ অংশটা ভারি করতে চাই নি।
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
অপেক্ষায় ছিলাম। ভালো লেগেছে গল্পকার!!! আমি জানি তুই একটু একটু করে শীর্ষারোহণ করবি, শুভ কামনা যেন পথটা মসৃণ হোক। অনন্য!!!
_____________________
Give Her Freedom!
তোর ফাইনাল আমারো ফাইনাল। মইরা যাইতেসি
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
গল্প বলার দায়মুক্ত হইলে, আমার ধারণা, ভাল গল্প হয়। প্রথম অর্ধেক তাই ভাল লাগল। তারপরে মনে হইলে, গল্প বলতে চাইতেছেন। ঐ জায়গাটা কম ভাল লাগল। দরকার কী? শীতলতা, দুর্গন্ধ এইসব বিষয়কে অন্য কিছুর সচেতন উপমা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার? পাঠক নিজেই বুঝুক না কী দিয়া কী বুঝাইলেন। প্রথম অর্ধেকের জন্য ৪ তারা
দৃশ্যকে দৃশ্য হিসাবে মোকাবেলা করতে পারলে পাঠক হিসাবে বেশি আনন্দ পাই। অন্যদের অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই ভিন্ন হবে।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্রথম ভাগের মতোই লিখতে চেয়েছিলাম। শেষ প্যারায় লিখিনি। মনে হচ্ছিল বেশী বিমূর্ত হয়ে যায় কি'না
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ভালো লেগেছে
থ্যাঙ্কস
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
গল্পের বর্ণনার ভঙ্গির সাথে কথোপকথনের ভঙ্গিটা একটু আড়ষ্ট মনে হয়েছে। আর গল্পের নাম নিয়েও একটা সেকেন্ড থট দিতে পারো কিন্তু
চলুক গল্পকার
থ্যাঙ্কস মেকা ম্যান। নাম একটা ভেজাইল্যা জিনিষ। ঠিকভাবে দিতে পারিনা
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
মুগ্ধতা।
থ্যাঙ্কসসসসসসসসসস
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ধন্যবাদ
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
সরল এবং সচল গল্প। ভাল না লেগে উপায় নেই। লিখকের সামনের পথে শুভ কামনা।
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
নতুন মন্তব্য করুন