পাতা নং-০৬
ধর্ম পুড়তে পুড়তে বেগুনি হয়ে যাচ্ছ যাচ্ছেতাই, আর মরে যাওয়া সিগন্যালের মত এক বিষন্ন বিস্তারিত আতাগাছের তলায় পুলিশেরা টাকা কেড়ে নিয়ে ডাইলের বোতল দেয়। সবাই খুশি তাই নদী হয় কেউ, রাত বাড়লে ঢেউ।
পাতা নং-৫৮
আমি পায়ে টের পাচ্ছি অদৃশ্য ঘুঙুরের, আমার মুখময় রঙ। আমার যেন আতাগাছ হওয়ার কথা ছিল আজ রাতে। যেভাবে পানি সামান্য আলোয় চিকচিক করে ওঠে অপরিচিত শব্দে সুতলি সাপের মত, আমার গলার ভেতর নেমে যাচ্ছিল এক নদী, হৃদয়ের কাছ বরাবর ভাগ হয়ে গেল পদ্মা আর গঙ্গায়।
পাতা নং-১১২
আমি পড়ে রইলাম আতাগাছের নিচে, আসলে তার সাথে আমার অনেক কথাই ছিল। গাছে কোন পাতা নেই একঘেয়ে বেগুনি রঙ ছাড়া, তাই বিনিময় হয় না নিস্তবদ্ধতা ছাড়া অন্যকোন জলবায়ু সমাচার। চুপ করে থাকায় রাত্রি বেড়ে চলে, একটা, দেড়টা, দুটো । এই পর্যন্ত গল্পে জমতে শুরু করেছে কয়েকজন বন্ধুর লাশ, আতাগাছে সুতো দিয়ে বাঁধা কতগুলি ডাইলের বোতল ঝুলছে, একসুতো আলোয় দুলছে। গাছ তো বেগুনি হবেই আমার মত অথবা নিতান্তই বিধর্মী জিরাফ।
মন্তব্য
এইবারে বুঝলাম কেন কবি বলিয়াছেন ধর্মেও আছি জিরাফেও আছি। সিরাপের খোঁজ পেয়েছিলো জন্তুটা, আমরা পাইনি, তাই এতো দেরি হয়ে গেল!
রাজর্ষিদা তার মানে বুঝছেন? আমার মাথার উপর দিয়া গেল!
মানে বুঝেছি কে বললে? ওই জানোয়ারটারে অনেক দিন পর কাব্যজগতে দেখতে পেয়ে আয়-ভাই-বুকে-আয় টাইপ কমেন্ট করলাম, এই মাত্র।
এটা মনে হয় একটু একটু বুঝেছি...
হুমম...সেই সিরাপ খেয়ে জিরাফ হল বেগুনি আতাগাছ...খুব ভালো!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
নতুন মন্তব্য করুন