দিন গুলো বয়ে চলে টানাহ্যাঁচড়ায়, কখনো গড়িয়ে, কখনো হেসে-কেঁদে, ভীষণ খারাপ লাগা সিগারাটের ছাই নিষ্কলুষ কার্পেটের ওপর "হ্যাক থু" করে (পলমল স্লিম কাট কিন্তু, তুই বেশি বেশি খাসনি, পুরুষ মানুষের অত মেয়েদের সিগারেট খেলে চলে? পুরুষত্ব কমে যেতে পারে, যদিও আমার নিরীশ্বরের নামে দিব্যি দিয়ে বলতে পারি পুরো সিগারেট ব্যাপারটার মধ্যেই আমি পুরুষ পুরুষ থেকে পুরীষ পুরীষ ভাবটাই বেশি পাই, তাপ্পরও নিয়ম ভাঙা বলে কথা, সেটা মাস উদ্ যাপনে একবার না করলে তাই বা কেমন দেখায় বল্), মদটাও ভালো জাতের শার্ডোনে হোলোনা, জ্যামিসনস রান আনতে বলেছিলাম কিন্তু শেষমেষ পাওয়া গিয়েছিলো রোসমাউন্ট রিসলিং ,বৃষ্টির দিন মাথায় করে কষকষে করে বাঙালি ভঙ্গীতে রাঁধা স্যামন মাছের সঙ্গে তাই সই, বিশেষতঃ ঝড়জল মাথায় করে সেটা আনা হোলো, সেটার একটা মাধুর্য তো চুমুকের ভেতরেই থাকবে। কবে যেন, সেই দূরদেশে, যেখানে থাকতুম, একবার কোন্ এক হতচ্ছাড়া কোমল পানীয়ের বিজ্ঞাপনে দেখেছিলাম, চুমুকে চুমুকে তৃপ্তি, আমার পাশে বসা ফক্কড় ছোকরা ফট্করে বলে বসলো, আচ্ছা ওটার ক গুলোকে বদলে সব ত করে দিলে ব্যাপারটা বেশ হয় তাইনা? এত্ত জোরে হেসে উঠেছিলাম পাশের চুম্বন অভিলাষী সদ্য কৈশোরোত্তীর্ণ তো বটেই মায় রিকশাওয়ালা পর্যন্ত ঘাড় ঘুরিয়ে নিরীক্ষণ করে আপাদমস্তক, আহ্ , বড় বেশী মনে পড়ে আজ বাদলার দিনে সেই দমকা হাওয়ার মতো ঝোড়ো হাসিটাকে। কতদিন প্রাণ খুলে হাসিনা, প্রাণ খুলে গান গাইনা। হাসির বদলে আজো কান্নাই গান হয়, তারপরেও তো মনে হয় , ভালোলাগা, ভালো দিন আবার হয়তো আসবে, মুক্তির পথ কি সাকার কি নিরাকার কোনো ধর্ম বা অধর্মবাদীই মালুম করে বলতে পারেনি আজ অবধি তাও আশায় বুক বেঁধে গলা ছাড়ি - অভয় মনে কণ্ঠ ছাড়ি, গান গেয়ে তুই দিবি পাড়ি , খুশি হয়ে ঝড়ের হাওয়ায় ঢেউ যে তোরে খেতেই হবে --
কিন্তু মুক্তি তোরে পেতেই হবে এমন দিব্যি তো কেউ দেয়নি, তারপরও মুক্তি পাবার তৃষ্ণা মেটেনা কেন আমার????
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন