লিখেছেন সাধক শঙ্কু (তারিখ: বুধ, ১৩/০৬/২০০৭ - ৪:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:
সচলায়তনে আইছি তার সপ্তাহ ঘুইরা আইলো। নানারকম বেহুদা ঝামেলায় লেখার সময় পাই নাই। কালকে আইসা দেখলাম এইখানেও একটা বেহুদা ঝামেলার মতো চলতাছে। আমি বরাবর ঝামেলা এড়াইয়া চলি। আমার মতে ইগো জিনিসটা বেশী হইয়া গেলে ইগলু বানাইয়া খাইয়া ফালানোই ভালো। এর বেশী এই বিষয়ে কিছু বলার নাই।
সামহোয়ারইনে ব্লগাই ২০০৬ এর ফেব্রুয়ারী থিকা। আইসা দেখি শিবিরের পোনা কিলবিল করতাছে। তখন যারা যারা শিবিরের বিরুদ্ধে লড়তাছিল তার মধ্যে এক অমি রহমান পিয়াল আর অপ বাক ছাড়া বাকি সবার মধ্যেই লক্ষ্য করছিলাম যে কেউই টু দ্য পয়েন্ট কথা কইতে চায় না।তারা যেগুলা কয় তাতে প্রতিরোধকারীরে ইসলামের শত্রু বইলা দেখানোর একটা চান্স পায় অরা। এই পাট্টিকুলার ধুয়া একবার তুলতে পারলে দেখবেন যে কোন মজলিসেই কেউ আর আপনের কথা শুনবো না। অ্যাব্যাব্যাব্যা কইরা চুপ করাইয়া দিবো। তারপর গইড়াইয়া কানবো। আপনেরে ধর্মদ্রোহী বানাইয়া দিবো। এই খেইল বহুৎ পুরানা হইলেও এইটা বহুৎ মাইনসে খায়। তাই আমি শুরু থিকাই সেদিকে যাই নাই।
সচলায়তন মননশীলতার দিক থিকা অনেকখানি সাবালকদের জায়গা। (এইটারে সুফী ঠাকুর এলিট কইয়া গাইল দিলে তার জবাবে করুণার হাসি ছাড়া আর কিছু দেওয়ার নাই। ) তাই এইখানে কাউরে ফ্যাসিবাদ কারে কয় শিখানোর দরকার আছে বইলা মনে করি না। ফ্যাসিবাদ হইলো ভালগারলি সম্প্রসারণশীল কিংবা মনোপলি হইয়া উঠতে চাওয়া পুঁজির রাস্তা পরিস্কার করতে বিশেষ ধরণের সহিংসতার ট্রেনিংপ্রাপ্ত পেটোয়া বাহিনি,যারা (সাধারণত যাদের খতম করার জন্য টার্গেট করে তার আদলে নিজেরে তৈরী করে)। গত শখানেক বছরে মনোপলিতে পরিণত হইতে থাকা পুঁজি,ঐতিহাসিক কারণেই কমিউনিস্টগো প্রধাণ শত্রু মনে কইরা আইছে। সেই ১৯২০ এর দশকের শুরুতে অস্ট্রিয়ার শ্রমিক আন্দোলন থিকা বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়নগো খেদাইতে সমাজতন্ত্রের আগে জাতীয় যোগ কইরা নাৎসীদের যাত্রা শুরু। পুরা একরকম না হইলেও ইটালীর কাহিনি মোটামুটি হোমোজিনিয়াস। কারো কারো মতে ১৮৯৮ সালে খ্রীষ্টীয় মৌলবাদ থিকা ফ্যাসিবাদের জন্ম। তবে ফ্যাসিবাদের প্রয়োজন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে হয় নাই। কারণ তার আগে পুঁজিবাদ অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়ে নাই।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কিছু আগে আরবে পেট্রোলিয়াম পাওয়া গেলে আরব এলাকা দখলে রাখা মুরুব্বিগো জন্য ফরজ হইয়া যায়। অন্যদিকে বৃটিশ ইন্ডিয়ার ম্যাপ ৩ টুকরা করলেও সেইখানে ঘন ঘন নানারকম আন্দোলন মাথা চাড়া দিতেছিল। মিশর থিকা ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট এলাকায় ফ্যাসিবাদ ডেভেলপ করানো হইছে ইসলাম ধর্মের মুখোশ পড়াইয়া। এইসব দেশে জাতীয়তাবাদের খোলসেও ফ্যাসীবাদীরা ছিল। কিন্তু উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনের অভিজ্ঞতার কারণে তারা পুরা ফ্যাসিস্ট হইতে পারে নাই। সেই আন্ধা সুযোগগুলা ব্যবহার করার জন্য ইসলাম ধর্ম খুব কার্যকর বটিকা ছিল। একবার কোনরকমে নিজেগো রাজনৈতিক মুখোশ টাইট কইরা লইতে পারলেই ধর্মের ভগিচগি দিয়া কথা ঘুরানো শুরু কইরা দেওয়া যায়। তাতে কইরা এই এলাকায় উপনিবেশবিরোধী সংগ্রামরে রাজনৈতিক ভাবে সরাসরি কিছু করা না গেলেও কিছু ধর্মান্ধ খুনি দিয়া থিঙ্ক ট্যাঙ্কগুলারে শোয়াইয়া দেওয়া যায়। এই খুনি চক্র তৈরী করতে ভাড়াইটা হুজুর লাগে। সাইয়েদ কুতুব আর মউদুদী হইলো সেইরকম দুই ভাড়াইটা হুজুর। জামায়াতে ইসলামী একটা আন্তর্জাতিক খুনি চক্র। তাগো কাম সাম্রাজ্যবাদের নির্দেশ মতো লাশ ফালানো। এর বেশী এক ন্যানোমিটারো না।
উপরে যা কইলাম,সচলায়তনের সবাই এই বিষয়টা কমপক্ষে এইটুক জানে। অনেকে হয়তো এই লাইনের শিকড়-বাকল শুদ্ধা জানে। তাগো জানানোর জন্য এই পোস্ট না। এই পোস্টের উদ্দেশ্য কিছু পুরাণা রাগ ঝাড়া।
ফ্যাসিস্টগো রাজনৈতিক কৌশল হইলো তারা যেই মুখোশ পইড়া মাইনসেরে ধোকা দেয় সেইটা অরিজিনাল হইলে কি হইতোর দিকে আলোচনা নিয়া যাওয়া। যখনই দেখতাম জামাতের লগে আলাপ ধর্মের দিকে গেছেগা আমার মন উইঠা যাইতো। কারণ ঐটা ওদের কৌশল। আমি তর্ক করার তড়িকা ঠিক করি টার্গেট বুইঝা। যদি টার্গেটরে ছেইচা দেওয়ার মতলব থাকে(ফ্যাসিস্টগো ক্ষেত্রে তাই থাকে নাইলে আমারে ছেচবো।) তাইলে শুরুতেই এমন প্রশ্ন করি যার জবাব সে জানে না। তারে কার্যত পরাজিত করার ঐটাই সিস্টেম। যদি তার লগে কথা প্যাচাই তাইলে তাতে তার অস্তিত্ব নিরাপদ হইবো। সেই জন্য জামাতের লগে আলোচনায় কোন অবস্থাতেই কথারে ধর্মের দিকে যাইতে দেওয়া যাইবো না। কথার শুরুতেই বিলো দ্য বেল্ট হিট করতে হইবো। সোজা বিচিতে ছ্যচা দিতে হইবো।
দু:খজনক হইলো এই বিষয়ে সামহোয়ারের প্রথমার্ধে অমি রহমান পিয়াল আর পরের দিকে চোর ছাড়া অন্য কেউরে সঙ্গে পাই নাই। শোহেইল মতাহির চৌধুরীর "ধর্মীয় মৌলবাদের চাষাবাদে" আমার উল্লেখ করা পয়েন্টগুলির উল্লেখ ছিল না। দেইখা কখনো কখনো মনে হইছে ইচ্ছা কইরা সেগুলা চাইপা যাইতাছে। বুঝলাম তার তর্ক করার মজহাব আলাদা। তা হৈতেই পারে। তয় ঐ কায়দায় খালি কথা প্যাচানো যায়। যার লগে কথা কইতাছেন তার চৈতন্যে আঘাত কার যায় না। চৈতন্যে আঘাত করা আর চ্যাতানো এক না। চ্যাতানো হইলো অ্যাংলো-স্যাক্সনগো দালালি।কারণ তাতে সাম্প্রদায়িকতা গাইড়া বইতে সুবিধা হয়।
আমি এই পর্যন্ত যতগুলা চ্যালেঞ্জ করছি তার একটারো জবাব কেউ দেয় নাই। একবার ধানসিড়ি আইসা কয় জামাতের অফিসে ফোন করতে। তাতে হাসি পাইছে। বুঝলাম বছর ১০ আগে অরা যেরকম খোলাখুলি নিজেগো কৃতকর্মের ব্যাখ্যা দিতো এখন সেইটা আর দিতে পারতাছে না। এখন সরাসরি মিছা কথা কওয়ার লাইন লইছে। তারমানে রাজনৈতিকভাবে ওরা কোনঠাসা। এই তো সময় আসলে ওদের বিচি গালাইয়া দেওয়ার !ভরা বাজারে টান দিয়া মুখোশ খোলার! এখন ক্যান তাইলে "আলোচনা ছড়াইয়া দিয়া" কিছু লোকরে ফরহাদ মজহারিয় ফটকামির সুযোগ দিবেন?
মন্তব্য
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা
গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
অজ্ঞাতবাস
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
অজ্ঞাতবাস
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
সুমন রহমান এইটা একটু দেখেন
গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা
পুরান পোস্টে মন্তব্য দিলে উপরে আসে না
গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা
ব্যোম ভালানাথ!
গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা
জটিল লাগল সাধক বাবা, ব্যোম ভোলানাথ
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
নতুন মন্তব্য করুন