সুপ্রিয়া দেবী যেমন "ডাটা" গুঁড়ো মশলার বিজ্ঞাপনের শুরুতে জবজবে গলায় বলেন "সব বৌমাদের বলছি" আমি তাঁকে অনুসরণ করে বলি "যাঁরা দীর্ঘদিন ঘরছাড়া, ডিমের ভুজিয়া, ম্যাগি, ম্যাকডোনাল্ড আর ট্যাকো বেল-এ খেয়ে খেয়ে যাঁরা ভাবছেন এ জীবন লইয়া কি করিব সেই সব হতভাগ্যদের উদ্দেশ্যে এই সহজ রেসিপি নিবেদিত হল।" কারণ তাঁরা মরিয়া এবং অকুতোভয় (এ দুই-এর কম্বো ছাড়া ঝট করে কোন আনাড়ী রাঁধুনী মাছ রাঁধবেন কি?) তাই মাছেডভেঞ্চারে নামলেও নামতে পারেন।
যাইহোক এবার "মওলা মেরে-এ-এ" বলে শুরু করুন। এমন মাছ বাছুন যার গন্ধ নিয়ে আপনার বাতিক নেই। আমি বলি কি একটা নির্ঝঞ্ঝাট হোয়াইট ফিশের টুকরো নিন, তেলাপিয়া, ক্যাট ফিশ, সোল,সুভি, ট্রাউট, আর যদি রুই মাছ পান তাহলে তো ফাটাফাটি। মাছের টুকরোয় নুন হলুদ মাখান। একটা তলা ভারি পাত্র গ্যাসে বসান। পাত্র গরম হলে দুই টেবিল চামচ তেল ঢালুন, গরম হতে দিন। একটু ধোঁয়া বেরোচ্ছে কি? তাহলে মাছ ছাড়ুন, ঢাকা দিন নাহলে তেল ছিটকোবে, সাবধান। এবার আঁচ কমান (মিডিয়াম চলবে)। ১ মিনিট পর ঢাকা খুলে মাছ উলটে দিন। আরো ১ মিনিট পর সাবধানে তুলে নিন। এভাবে ২ টুকরো মাছ ভেজে তুলুন (দেখুন মাছ রান্না বেশ গোলমেলে , আগে নিজে খেয়ে কেয়াবাত কেয়াবাত বলুন, তারপর নাহয় দাওয়াত দেবেন, কেমন?)। মাছ ভাজা হলে দেখুন ফ্রীজে কি সব্জী আছে, বেগুন আর ঝিঙে আছে কি? টম্যাটো, কাঁচা লঙ্কা? ধনেপাতা, আর কি চাই! আচ্ছা এবার ২ ইঞ্চি পরিমান বেগুন অথবা ঝিঙে বা দুই-ই কাটুন, এবার লম্বালম্বি ফালি করুন, নুন, হলুদ মাখান। তেলে ভেজে তুলুন। আধখানা টম্যাটো (ধরুন একটা ডিমের সাইজের) আর লঙ্কা বাঁটুন ব্লেন্ডারে (কি কনফিডেন্সের অভাব হচ্ছে? তাহলে আর কি করা, এট্টু মানে ১ ইন্চি মত পেঁয়াজ-ও দিন বাঁটতে)। চাইলে এর মধ্যে ১/২ চামচ করে ধনে, জিরে আর লাল লঙ্কা গুঁড়ো দিতে পারেন। এবার আর একটা পাত্র গ্যাসে বসান বা তেলেভাজা পাত্রের তেল প্রায় সবটা ফেলে, ২ চামচ মতো রাখুন। কালোজিরে, কঁাচা লঙ্কা দিন তেলে।চটপট করলে বাঁটা মশলা ঢালুল আর ভাজুন যতক্ষণ না বেশ চমৎকার গন্ধ বের হয় (এই ধরুন মিনিট ৪-৫-এক)। এবার এই মশলায় ১ কফি মাগ গরম জল ঢালুন, ফুটতে দিন। ফুটে উঠলে মাছ ও ভাজা সব্জি ঢালুন আর চাইলে আরো ২-৩টে লঙ্কা (আপনি যদি ধনেপাতাপ্রেমী হন তাহলে এখন ২ চামচ কুচোনো ধনেপাতা দিয়ে দিন ঝোলে)। ফুটে উঠলে, নামিয়ে নিন গ্যাস থেকে, ঢাকা দিয়ে রাখুন। গরম ভাতের সাথে ফাসসক্লাস :-)। জানাবেন কিন্তু কেমন খেলেন
মন্তব্য
জনশ্রুতি (মানে, তেনার সমীপেই শ্রুত) - মূলত পাঠক খুব ভালো রান্না করেন! কয়েকবারই পেঁয়াজ না দিয়ে এবং কালোজিরা, কাঁচা মরিচ আর কী জানি কী একটা দিয়ে মাছ রান্নার একটা রেসিপি নিসি আর ভুলসি, নিসি আর ভুলসি
আপনারটা যেহেতু আর ভুলাভুলি সম্ভব না, একবার ট্রাই করে দেখবো।
ইয়ে, আপনি কিন্তু ভালোই ফাঁকিবাজ ..... আপনার কোন স্টুডেন্ট এরকম সংক্ষিপ্ত পোস্ট দিলে কত নাম্বার দিতেন যেন?
কুটনামি করার সুযোগ পেলে ছাড়া নেই, না পেলেও অসুবিধা নেই, স্নিগ্ধস্বভাবের একজন হাওয়া থেকে সুযোগ পয়দা করে নিতে পারেন। হচ্ছে একজনের প্রথম পোস্টে মন্তব্য, কোত্থেকে আমি গালাগাল খেয়ে গেলাম কে জানে! যাক, এই পানে এলেই খাওয়ানো যেতো, তা সে সব না করে গাল পেরে লাভ কী? আর মাছের জন্য ঐ কনককশনটা আমার আবিষ্কার, যারেতারে আর দেওয়া হবে না, ভুলে গেলেও না।
যাক, হরফ, কুটনা হলেও ঐ ব্যক্তি একটা কথা ঠিক বলেছেন, পোস্টটা আকারে বেশ ছোটোই। যাক, পরেরটায় না হয় সে রোগ শোধরানো যাবে। তবে ঐ ব্যক্তির উদাহরণ ফলো করে আবার পরের পোস্ট পরের বছর দেবেন না যেন, এইটা ২য় পাতায় গেলেই যেন পরের পোস্ট চলে আসে সেই ব্যবস্থা করে রাখুন, এই হলো পাঠকের দাবি। তারপর ভূটান তো আছেই। বেশ জমজমাট খুনজখমে পরিপূর্ণ এপিসোডের আশায় রইলাম।
দেখুন মশাই আপনাদের ভূটান যাতে ভূপতিত না হয় সেই জন্যই টাইপ প্র্যাকটিস করছি। এমত অবস্থায় বড় পোস্ট বড় পোস্ট করে চিল্লামিল্লি করলে ঘাবড়ে যাব কিন্তু! পড়ার জন্য ধন্যবাদ
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
ইয়ে মানে মুলোদার রেসিপিটা এখানেই পোস্টায় দাওনাগো আপু! তাহলে আর ভুলতে পারবেনা, ইচ্ছা হলেও!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আরে কি কান্ড এসব পড়ে লজ্জা দেন কেন স্নিগ্ধা? আমি তো হাত পাকাচ্ছি রেসিপি লিখে। তাসনীম আর মূপা ষড় করে ভূটানের লেখক বানিয়েছে আমায়, সেটা যাতে কোনক্রমে পাতে দেওয়া যায় সেই চেষ্টাই করছি :-)। আমার মা বলেন লিখতে লিখতে নাকি হাত সরে মানে অ্যাকলামেটাইজড হয়, আমার হবে বলে মনে হচ্ছে না, আবার সেই কমেন্টানোর গর্তেই ঢুকতে হবে
আমি কিন্তু ছাত্রদের ছোট টু দ্য পয়েন্ট পেপার-টেপারে ভালোই নম্বর দি, সত্যি 
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
হরফদি, পেটুক আমার যে খিদে পেয়ে গেলো!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
ছবি না দিলে রেসিপি ওয়ালা পোস্ট ভালু পাইনা, আসলে নিজে কি রাধলেন তাই যদি না দেখান, তখন একটা কন্সপিরেসির গন্ধ পাই।
আর 'ট্যাকো বেল' না, 'টাকো বেল' হবে। তাদের খাবার আমার কাছে ব্যাপক দূর্গন্ধী লাগে, রুটিগুলো যেন বগল তলায় সেঁকা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
টাকো বেলের চালুপাটা মন্দ নয়
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ঠিক, তবে মনের মাঝে ঐ বারিতো আর কেসাডিলা এর গন্ধ এখনো ঘুরাফিরা করে, সেটা কাটায় উঠতে কষ্ট হইতেছে। তবে চিজি ফিয়েস্তা পটেটো আমার মেয়ের ভীষন পছন্দ, এই একটা জিনিস সে অনেক আগ্রহ নিয়ে খায়
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হে হে কি যে বলেন! মাছের ঝোল নিয়েও ঢপ মারবো? ব্ল্যাক ফরেস্ট কেকের মতো কঠিন জিনিস নিয়ে নাহয় গুল মারতে পারি
পরের বার ছবি পোস্টাতে চেষ্টা করবো। আর টাকো/ঠ্যাকো বেলে যে খাদ্যবস্তু পাওয়া যায় তা আর যাই হোক স্বাদে গন্ধে মেহিকান নয়, ঐ আমেরিকান উচ্চারণই এর জন্য ঠিক আছে, কি বলেন?
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
হরফ, আপনার মন্তব্যই শুধু পড়া হয়েছে, অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল একটা ব্লগ পড়ব। আপনার প্রথম ব্লগটা …. কিছুটা হতাশ হলাম কি? (যে বিষয়ে লেখা হয়েছে)
হতাশ হলেন বলছেন? তাইলে আপনি আমার টার্গেট রিডার নন বোধহয়
আপনি নিশ্চই রাঁধতে জানেন তাই না? 
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
আরও রেসিপি আসুক।
যাক আপনি মন্তব্যের বন্ধ ঘর থেকে বেরিয়েছেন...দেখবেন এবার হাত খুলে লিখছেন। ভূটানের রেসিপিও তৈরি করতে শুরু করুন
কুইক সাজেশনঃ লেখাতে প্যারাগ্রাফ ব্রেক দিয়েন, এতে পড়তে সুবিধা হয় অনেক। আর শুরুতে এবং শেষে [*justify] [/*justify] ট্যাগ দিলে লেখা বেশ সুন্দর এলাইন্ড হয়ে যায়। * গুলো বাদ দিয়ে দিয়েন।
প্রিভিউ করে দেখতে পারেন কেমন দেখাবে পাব্লিশ করলে।
ব্লগ লেখাতে সুস্বাগতম, সময় নষ্ট হলেও ব্লগের আনন্দ তুলনাহীন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পড়ার জন্য এবং ফিডব্যাকের জন্য থ্যাংকু
ব্লগ লেখার আরো কিছু তুকতাক পরে শিখে নেবো আপনার থেকে, বললাম-ই তো আমার অবস্থা ভেরি ভেরি ব্যাড 
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
বসে আছি ল্যাবে, সকালে ব্রেকফাস্ট করি নি, এই সপ্তাহে রান্না করার কোন সুযোগ হবে সেই আশাও দেখছি না, কিন্তু এখন যে মাছের ঝোল, একটু লেবু, লবণ, কাঁচামরিচ দিয়ে গরম গরম ভাতের খিদে পেয়ে গেল, এর দায় কে নেবে?
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
একটা ছবিটবি হলে মন্দ হতনা বোধহয়...
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
তথাস্তু পরের বার ছবি হবে
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
ফটো?
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
তথাস্তু পরের বার ছবি হবে
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
প্রিয় পাঠকগণ আমার এই যৎকিঞ্চিৎ "ব্লগ" পড়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। তবে ইতিহাসের খাতিরে বলে রাখি এটা কিন্তু আমার প্রথম ব্লগ নয়, আগে একবার ১টা না ২টো কবিতা লিখেছিলাম (স্নিগ্ধা বোধহয় পড়েছিলেন) কিন্তু অনিবন্ধিত লেখক হিহেবে লিখেছিলাম বলে সে কোথায় গেচছ আমার জানা নেই
তা যাকগে আরো বড় বোমা অপেক্ষা করছে আপনাদের জন্য যার নাম ভূটান-৮, সে যে কি ভয়ানক ব্যাপার হবে ভেবেই আমার হাড় হিম হয়ে যাচ্ছে, তা সেই ভূটানের আগে আরো কিছু কলা/মূলোর হিজিবিজি রেসিপে দেখতে পাবেন হয়তো, নিজগুণে ক্ষমা করে দেবেন কেমন?
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
মুহাহাহা (এখানে যাঁরা খিদে পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তাঁদের জন্য) - ফ্রিজে দিফিও'র পদ্ধতিতে রান্না করা বিরিয়ানি আছে, গিয়েই সাঁটাবো। মাছের ঝোলের থ্রেডে তো ঢুকলাম শুধু কমেন্ট করার জন্য
মাছ মেখেমুখে মাইক্রোওয়েভে ঢুকিয়ে দিলেই তো রান্না হয়ে যায়, তাহলে আর নবীন রাঁধুনীদের মাছ ভাজার সময় গা পোড়ার ঝামেলা নিতে হয় না। অবশ্য আপনার পোস্ট, আপনি মুড়োয় কাটবেন কি ল্যাজায় কাটবেন আপনার ব্যাপার।
ওরে আমার সাহেব এয়েছেন, বেকড ফিশ আর মাছের ঝোল এক জিনিস হোলো বুঝি? নাকি না-ভাজা মাছ মেখেমুখে ওভেনে ঢোকালে ফুলকপি-ধনেপাতা-কালোজিরে-কাঁচালঙ্কা দেয়া শীতকালের মাছের ঝোল হবে?
এই হাফ-বিলিতি বাঙালিগুলোকে নিয়ে কী যে করি! হরফ, আপনি তো মাস্টারমানুষ, দিন্ তো কষে এক ধমক!
কাম সারসে!
তা হয়, কিন্তু তারপর মাইক্রোওয়েভের ভেতরের চেহারাটা কেমন খোলতাই হয় বলুন
? আবার বেশিক্ষণ ঐ আগুনবিহীন রান্নায় মাছ শুকিয়ে মামিফায়েড হওয়ার ভয়েও থাকে (অন্ততঃ আমার থাকে), অতএব সনাতন ভাজাভাজি-ই আমি পছন্দ করি :-)। পড়ার এবং কমেন্টানোর জন্য থ্যাংক্স।
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
ফিলিপ রথ নিয়া না লেইখা ল্যাখছেন মাছ নিয়া। মাইনাস।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
বাপস্ কি মেমোরি!! রথসায়েব তো ভালোমত বসে আছে দেখি আপনার মনের মণিকোঠায় অ্যাঁ
রক্ষে করুন দাশবাবু ওসব ফিলিপ রথ-টথ আপনার জন্যই তোলা থাক। প্রাণ এবং পেট বাঁচাতে ওরকম গোমড়াথেরিয়াম গোণাগুনতি লেখা লিখতে হয় প্রত্যেক বছর, ঘোর অনিচ্ছায় লিখি। সচলেও তেমন দাবি আসলে পিট্টান দেবো বলে রাখলাম 
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
মাছ রান্না করিনা কাটার ভয়ে। মাছের কাটা আমি আবার ভালো পাইনা। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে মাছের গন্ধ।
তবে আপনার রেসিপিটা একবার ট্রাই করে দেখতে পারি। ভালো না হইলে কিন্তু আপনার দোষ।
পাগল মন
মাছ কাটার দরকার নেই, কাটা মাছ কিনুন (ফিলে, নাগেট বা স্টেক)। আর রেঁধে যদি আপনার ভাল লাগে, তবে আপনার হাতের গুণ আর খারাপ হলে আমার পাক-পদ্ধতির দোষ, টিক হ্যায়
? তবে হয়ে যাক?
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
আহা মাছের ঝোল! পুরাই "সেরাম" একটা জিনিস! তার উপর মূলত পাঠক শীতকালের মাছের ঝোলের কথা মনে করিয়ে দেয়ায় মনটা একেবারেই উদাস....
আপনার রেসিপিটা কার্যকরী। আর মাছটার গন্ধ যদি একটু কম হয়, তবে অনেকসময় ধনে জিরা ছাড়াও শুধু হলুদ-মরিচ-পেঁয়াজ দিয়ে কষিয়ে করি, খেতে বেশ হয়। আর মাছের গন্ধ দূর করতে দুটো জিনিস করি---লেবুর রসে একটু মাখিয়ে রাখি, আর ভাজার আগে ময়দায় খুব হালকা করে একবার গড়িয়ে নেই।
আরে দিফিও আপনাকেই খুঁজছিলাম তো, দীর্ঘায়ু হোন
বিরিয়ানির তো নেশা ধরিয়ে দিয়েছেন। রান্না ফাস-ক্লাস হচ্ছে (পাঁঠা) কিন্তু রোজই একটু তলা ধরে যাচ্ছে
ঠেকাই কি করে বলুন দেখি?
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
কম আঁচ, আর তলা ভারী পাত্র, এই হইল আসল কথা। করতে থাকেন, একসময় দেখবেন হাতে আইসা পড়ছে
এটা আপনার প্রথম (বা তৃতীয়) পোস্ট! আপনার কমেন্ট পড়ে পড়ে আমার ধারণা ছিল আপনার পোস্টের সংখ্যা অনেক। যাকগে, পোস্ট লেখার মতো ভুল যখন করেই ফেলেছেন তাহলে নিয়মিত পোস্ট দিয়ে আরো দশজনের মতো ভুলটা পাকাপোক্ত করুন, সব আমরা আমরাইতো।
শীতকাল মাছের ঝোল খাবার অতি উত্তম সময়। তেলাপিয়া, ক্যাট ফিশ (মাগুর/শিঙ্গি), সোল (বাঁশপাতা), সুভি (এই ব্যাটাকে চিনলাম না) বা ট্রাউট (আখাস্তা মাছ একটা) মাছের বদলে চেষ্টা করুন বোয়াল, আড়/আইড়, পাঙ্গাসের মতো আঁশছাড়া মাছ না ভেজেই; অথবা শোল, রুই, কাতল বা মৃগেলের মত আঁশওয়ালা মাছ ভেজে - অবশ্যই গোল চাক্ চাক্ করে কাটা। ঝোলে দিন ফুলকপি, নতুন আলু, টমেটো, ধনেপাতা, কাঁচালঙ্কা চাই কি পেঁয়াজকলি। সাথে নরম সীমও দিতে পারেন।
রান্না করার আপনার এই ইউনিভার্সাল পদ্ধতি পছন্দ হয়েছে। অমুক দেশের তমুক মশলা দিয়ে মাখিয়ে ওভেনে অতশত ডিগ্রীতে সেট করে ততক্ষণ ধরে রাঁধুন জাতীয় রেসিপি আমাদের কোন কাজে লাগেনা।
কৌস্তভ অধিকারীর কষ্টটা বুঝি। কোন্ বিপদে পড়ে বেচারা এই পোড়া মাছ খাবার রাস্তায় গেছে সেটা অনুভব করি। কিন্তু এই পোলাপানরা নিয়মিত ভালো রান্না খেতে পাবার সহজ সমাধানের পথে যায় না কেন? দেশে কি সুন্দরী, সুশীলা, গৃহকর্মে নিপুণা, রন্ধনে পটু ব্রাহ্মণকন্যার অভাব পড়েছে?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কর্ণবাবু
আমি আসলে পাঠক, লেখক-টেখক নই। আপনি ভাগ্যবান তাই বোয়াল, আড়/আইড়, পাঙ্গাসের মতো আঁশছাড়া মাছ অথবা শোল, রুই, কাতল বা মৃগেলের মত আঁশওয়ালা মাছ এসব মাছ টাটকা খেতে পান। আমরা যারা সাত সমুদ্রের পারে থাকি তারা দোকানে গিয়ে যা সব বাংলাদেশী মাছ পাই না কি বলবো! বেশীর ভাগের বয়স আমার/আপনার সমান :-)। সেই কারণে আমি যস্মিন দেশে থাকি সেখানকার লোকাল মাছ খাওয়ার চেষ্টা করি (তবে ইলিশ খাই লোভে পড়ে), পারলে জিওল। ঝোলে সব্জী মেশানোর আইডিয়াটা ভাল, আশাকরি রাঁধনেওয়ালারা মনে রাখবেন, আমি তো রাখবই। পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
দিদি, এখানে ভাগ্য-টাগ্য কোনো ব্যাপার না। দেশে থাকলেই যে ওসব মাছ টাট্কা খেতে পাওয়া যায় তাও নয়। আজকাল বাজারে যে মাছ পাওয়া যায় (বিশেষতঃ ইলিশ মাছ) সেগুলোর বড় অংশই নাকি কোল্ডস্টোর থেকে আসে। আগে জানতাম ওখানে শুধু আলু থাকে, এখন দেখি মাছও থাকে। আর এখানে আমরা রেসিপি-রেসিপি খেলছি তো, তাই একটা বহু পুরনো রেসিপি দিয়ে দিয়েছি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পাণ্ডবদা, রাঁধুনে বামুন বলতে তো পুরুষই বোঝে লোকে, কন্যা কোথা থেকে আসবে? আমার চেনা সার্কেলে আবার রাঁধুনে বামুন বলতে লোকে আমাকেই বোঝে... তবে হ্যাঁ, সুশীলা ইত্যাদি বিশেষণের কন্যার অভাব আছে বলেই তো মনে হয় আমাদের পিতামাতার আচরণে... কোলন অশ্রুপাত
আর আমি যে পোড়া মাছ খাই মূলোদার এসব অমূলক অপপ্রচারে কান দেবেন না একদম। ওইটা তো অনিচ্ছুক রাঁধুনীদের জন্য বলা।
আমি আচারনিষ্ঠ সৎ ব্রাহ্মণের সুকন্যার কথা বুঝিয়েছি, রসুই বামুন নয়। যদি দু'বেলা দুটো ভালো-মন্দ রেঁধে খাওয়ায় তাহলে কন্যা সুশীলাই কী আর দুঃশলাই বা কী! পেটে খেলে পিঠে সয়।
আমি মূ-পা'র কথায় কান দেইনি। তার বিছানার অর্ধেক যে এখনো খালি আছে সেটা জানি। মনের দুঃখে সে কী কথা বলল্ তাতে কি কান দিতে আছে?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ও, তাহলে সুশীলা হলেই তো হয়ে যায়, ওইসব আচারনিষ্ঠ, ব্রাহ্মণকন্যা, ইত্যাদি ফ্যাকড়ার প্রয়োজন কি, দুবেলা ভালোমন্দ নিয়েই যদি কথা। পাঁটা রান্না করার আগে তো পট্টবস্ত্র পরে সেটাকে গঙ্গাজলে ধুয়ে নেবার কোনো প্রয়োজন নেইকো। তবে হ্যাঁ, পেটে খেলে পিঠে সয়'টা চলবে না, যে বেলুন রুটিতে আর পিঠে সমান ভাবে লিপ্ত হয় তেমন বেলুনধারিণীতে আমার কাম নাই।
বাকি আর কি বলি। মূলোদার প্রপাগান্ডা ফাঁস করে দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন