পৃথিবীর কোন জীব এই গ্রহের সবচেয়ে বেশী দেখেছে- ভাবছেন নিশ্চয়ই অতল জলের নীল তিমি, কিংবা অক্লান্ত ডানায় ভর দিয়ে হাজার হাজার কিলোমিটার পরিভ্রমণ করা পরিযায়ী পাখি, গহন বৃষ্টি অরণ্যের কোন জন্তু, অতলান্তিক মহাসাগরের অজানা মাছ বা নদীর সরীসৃপ। কিন্তু এই মহান গর্বের, আমাদের নীল গ্রহটাকে সবচেয়ে ভাল করে দেখবার, ভ্রমণ করবার, উপভোগ করবার তকমা যার গায়ে তিনি আমার-আপনার মতই মানুষজাতির সদস্য, ডেভিড অ্যাটেনবোরো!
বলা হয়ে থাকে এই বিশাল গ্রহের হাতে গোনা দুয়েকটি জায়গা ব্যতিরেকে সবখানেই তার নিরলস পদচারণা, সেই সাথে প্রকৃতি সম্ভোগে তিনি একা নন, তার সেই অপরিমেয় অভিজ্ঞতার পাথেয় তিনি তুলে এনেছেন ভিডিও ক্যামেরায়, আলোকচিত্রে, লেখনীতে। ভাগ করেছেন সেই এক ও অদ্বিতীয় অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার কোটি কোটি মানুষের কাছে। পরিবেশ সচেতন করে তুলেছেন গোটা মানব জাতিকে। এই মহামানবের বিবিসিতে কর্মজীবনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রচারিত হয় তার একক জীবন নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র LIFE ON AIR।
ডেভিড অ্যাটেনবোরোর ইংল্যান্ডের বাড়ীতে হাজির হন আরেক প্রখ্যাত পর্যটক ও মিডিয়ার অন্যতম পরিচিত মুখ মাইকেল পালিন। বাড়িতো নয়, সমৃদ্ধ এক জাদুঘর যেন! লাখো লাখো বই, নানা দেশের মুখোশ, চিত্রকর্ম, জীবজগতের দুস্প্রাপ্য নিদর্শন- কি নেই সেখানে! প্রথমেই একের পর এক অদ্ভুত জিনিস দেখিয়ে সেই সম্পর্কিত প্রশ্ন করে জ্ঞানের ধাঁধাঁয় মেতে উঠেন চিরতরুণ, চির উৎসুক ডেভিড। সেই সংগ্রহে জীবাশ্মে পরিণত হওয়া ডাইনোসরের ডিম থেকে শুরু করে লাভার তৈরি আয়না এমন জাত-বেজাতের জিনিসের সমাহার। তথ্যচিত্রটির ফাঁকে ফাঁকে আসছে তার নানা সহকর্মী, পরিবেশবিদ, বন্ধুদের সাক্ষাৎকার।
তাদের একজন বলল, ৫০ বছর আগে বিশ্বের কজন মানুষ জানত চির সবুজ বৃষ্টি অরণ্যের রহস্য, কজন মানুষ আসলেই জানত সাগর তলের প্রবাল প্রাচীর নিয়ে!এই মানুষটির কাছে গোটা মানবজাতি অপরিসীম ঋণে আবধ্য।
পর্দায় হাজির হন ডেভিডের বড় ভাই বিশ্বখ্যাত রিচার্ড অ্যাটেনবোরো, উপমহাদেশের মানুষের কাছে যিনি বিশেষ ভাবে পরিচিত গান্ধী চলচ্চিত্র পরিচালনার জন্য। বললেন তার ছোট ভাইটি শিশুকাল থেকেই বিশেষ উৎসাহী ছিল প্রকৃতি নিয়ে, তিলতিল করে গড়ে তুলেছিলেন সেই শৈশবেই গড়ে তুলে ছিলেন জীবাশ্মের এক মুল্যবান সংগ্রহ।
এর পরে একে একে নানা বিরল ঘটনার ভিডিও ক্লিপ ভেসে আসে রূপোলী পর্দায়- সিয়েরা লিওনের আদিবাসীদের গীত-নৃত্য, দুর্গম পাপুয়া নিউ গিনিতে নরখাদকের মুখোমুখি, কমোডো ড্রাগনকে ফাঁদে ফেলা- এমন টুকরো টুকরো রঙ ঝলমল স্মৃতি। ক্যামব্রীজ থেকে পড়ালেখা কড়া ডেভিড চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন বিবিসি রেডিওতে, চাকরি মিলল না বটে কিন্তু বিবিসি থেকে জানালো হল তারা নতুন এক যন্ত্রের প্রসারের জন্য মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে যেখানে তার কাজ করার সুযোগ আছে, সেই নতুন যন্ত্রের নাম টেলিভিশন!
সেই যে যাত্রা শুরু, টেলিভিশনের খোলনলচে পাল্টে দিলেন তিনি একাই চমৎকার সব উদ্ভাবনী ধারনা দিয়ে, বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে সরাসরি খেলার সম্প্রচার সব বিষয়েই তার কাছে ঋণী টেলিভিশন। এই সময় খোলা হল বিবিসির ২য় শাখা, BBC-2 , সেখানকার মহাপরিচালক হবার প্রস্তাব দেওয়া হলডেভিডকে। সেই সময়ের কথা মৃদু হেসে স্মরণ করলেন রিচার্ড, বললেন ডেভিড ছিল বেশ খানিকটা উত্তেজিত আর সেই সাথে বলেছিলেন সারা দিন চেয়ার-টেবিলে বসে কাজ করা তার পক্ষে সম্ভব নয় বরং তার আনন্দ প্রকৃতিতে বিচরণ করে তথ্যচিত্র তৈরিতে। বিজ্ঞ বড় ভাইয়ের মত রিচার্ড বললেন, যেখানে খাঁটি আনন্দ পান সেই কাজটায় করতে!
ভাগ্যিস ডেভিড মনোলোভা মহাপরিচালকের পদ ফিরিয়ে দিয়ে শুরু করলেন প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ, প্রচারিত হল বিশ্বের প্রথম প্রামাণ্যচিত্র CIVILIZATION- ASCENT OF MAN, ১ঘণ্টার এই তথ্যচিত্র প্রচারের পরপরই মিডিয়া জগতে ঘটল প্রবল বিস্ফোরণ, পর্যায়ক্রমে সর্বজননন্দিত লাইফ সিরিজের প্রথম ধারাবাহিক প্রাথম প্রামাণ্যচিত্র LIFE ON EARTH।
বিশ্ববাসী অবাক হয়ে দেখল এক নিবেদিত প্রান অতিমানবের কাজ ও ধারণাকে, এক মুহূর্তে তিনি হেঁটে বেড়াচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বেলাভূমিতে তো পরমুহূর্তেই আমাদের নিয়ে যান পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার সাগর তীরে। তার প্রথম তিন ধারাবাহিক Life on Earth, Living Planet, Trials of Life পেল আশাতিরিক্ত জনপ্রিয়তার শীর্ষস্থান। এই সিরিজগুলোতে ডেভিড সাড়া বিশ্ব চষে আমাদের গ্রহে জীবনের উদ্ভব ও কোটি কোটি বছরের বিবর্তনের ফলে বর্তমান জীবজগতের উম্মেষকে হাতে-কলমে প্রমাণ উপাত্তের সাহায্যে সরল বক্তব্যের মাধ্যমে।
দর্শকেরা শিউরে ওঠেন মাংসাশী শিম্পাঞ্জীর হিংস্রতা আর কিলার হোয়েলের শিকার নিয়ে খেলা দেখে, কিন্তু ডেভিড তার নীতিতে অটল, তার মতে প্রকৃতি যেমন তাকে ঠিক তেমন ভাবেই দেখানো উচিত। তবে বিনয়ের অবতার এই ভদ্রলোক বরাবরই তার প্রোগ্রামের সমস্ত সাফল্য দিয়ে এসেছেন তার ক্যামেরা ক্রুদের। অন্যদিকে তারাও ডেভিডের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, দলের মধ্যে তিনিই সবার আগে সাত সকালে প্রস্তুত থাকেন, সবচেয়ে ভারী ব্যাগটা এই বয়সেও বহন করেন সবার অনুরোধ অগ্রাহ্য করে, সেই সাথে মুখিয়ে থাকেন সবসময় অন্যদের সাহায্য করতে।
একের পর এক স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল খুড়ে ডেভিড অ্যাটেনবোরো আমাদের জন্য নিয়ে আসেন অজানা অতি প্রয়োজনীয় জ্ঞান ভান্ডার। বরফাবৃত মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকার জীব বৈচিত্র নিয়ে নির্মাণ করেন Life in the Freezer, উদ্ভিদ জগৎ নিয়ে Life of Plants, পাখিদের নিয়ে Life of Birds, স্তন্যপায়ীদের নিয়ে Life of Mammals, অতি ক্ষুদে অমেরুদণ্ডী পোকামাকড়ের ঘর-বসতি নিয়ে Life Undergrowth, সরীসৃপদের নিয়ে Life in Cold Blood আর পৃথিবীর প্রথম দিক কার আদি জীবদের নিয়ে First Life। এর অধিকাংশ ধারাবাহিকেই আছে দশটির মত পর্ব। নিখুঁত নতুন ভিডিও ক্লিপে ঠাসা আর সেই সাথে ডেভিডের উদ্দাত্ত কণ্ঠের জাদুকরী বর্ণনা।
বিশেষ করে গাছের জীবন নিয়ে তার বিবিসিতে ধারাবাহিক তথ্যচিত্র সম্প্রচারের প্রস্তাবে সবাই বেঁকে বসেছিল। কারণ নড়ে চড়ে না এমন কিছু নিয়ে ডেভিডের সাথে তথ্যচিত্র নির্মাণ করা, এতো প্রায় অসম্ভব কারণ সে তো চাই সবসময়ই সবচেয়ে ভাল কাজ। অনেক বাধার পরে Life of Plants প্রচারিত হবার পর কোটি কোটি মানুষের চিন্তা ভাবনা সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয় উদ্ভিদ জগৎ নিয়ে, আমাদের সামনে আছে সত্যিকারের আলোকময় বিশুদ্ধ জ্ঞান।
উপরে উল্লেখিত সবগুলো ধারাবাহিকে ডেভিড স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন ক্যামেরার সামনে, কিন্তু দৃশ্যপটের বাহিরে থেকেও সঠিক দিকনির্দেশনা ও জাদুকরী ধারাভাষ্য দিয়েও নির্মাণ করেছেন একাধিক বিশ্বসেরা ধারাবাহিক প্রামাণ্যচিত্র, বিশেষ করে অথৈ নীল সাগর নিয়ে তার তৈরি Blue Planet, আমাদের গ্রহের সব ধরনের প্রাকৃতিক স্থান নিয়ে Planet Earth, পরিযায়ী প্রাণীদের নিয়ে Natures Great Events, সারা বিশ্বের সব অঞ্চলের বুনো প্রাণীদের নিয়ে WILD LIFE সিরিজ,
তার নিউ গিনি, ইস্টার দ্বীপ ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে Attenborough in Paradise, সবগুলোয় জয় করেছে আন্দোলিত করেছে দর্শকচিত্ত, চিনিয়েছে আমাদের গ্রহকে নতুন ভাবে।
উপস্থাপক মজলিসী আমেজে খোজার চেষ্টা করেছেন কি করে এই ৮৫ বছর বয়সেও ডেভিড চির সবুজ, এখনো তিনি সমান উৎসুক জ্ঞানের সন্ধানে, কিসের নেশায় ব্যগ্র হইয়ে চষে ফেরেন দুই গোলার্ধ। এর ফাঁকে দেখা যায় চিত্র গ্রহণ করার সময় ঘটে যাওয়া কিছু মজাদার ঘটনা- হাতি সীলের তাড়া খাওয়া ডেভিড, আগ্নেয়গিরির ধোঁয়ায় ঢেকে পড়া, গুহার গহীনে বাদুড়ের বিষ্ঠার উপরে বিবমিষায় আক্রান্ত, পাখির আক্রমণে ভূলুণ্ঠিত।
পরবর্তী কয়েক মিনিটে দেখানো হয় ডেভিডের বর্ণনা ও অংশগ্রহণে ভূগোল ও জীবজগতের বিস্ময়গুলো- বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাণী নীল তিমি, সবচেয়ে ভারী জীবিত অরগ্যান দৈত্যাকার সাইকামোর গাছ, বোর্ণিও দ্বীপের এক গাছের সবচেয়ে বড় পাতা, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফুল, অন্যতম বৃষ্টিবহুল স্থান ভেনিজুয়েলার মাউন্ট রোরাইমা, সবচেয়ে গভীর উপত্যকা নেপালের কালীগণ্ডকী, শীতলতম স্থান অ্যান্টার্কটিকা, উচ্চতম পর্বতমালা হিমালয়- এমনি ভাবে সারা পৃথিবীর আশ্চর্যের সাথে আমাদের পরিচয় ঘটে মাত্র কয়েক মিনিটের মাঝেই।
সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে আমাদের গ্রহের সবচেয়ে বেশী স্থান ও ঘটনা অবলোকনকারী মানুষটি জানান বিশ্বকে তিনি এমন ভাবেই দেখাতে চান যেমনভাবে এতই আছে, তবে সর্বশক্তিমান কোন প্রভু বা শক্তির কথা তার কল্পনাতেও আসে না।
প্রিয় পাঠক, এই তথ্যচিত্রটি প্রচারিত হয়েছিল ২০০২ সালে, আজ থেকে প্রায় এক দশক আগে, ডেভিড অ্যাটেনবোরোর মহাজাগতিক অক্লান্ত যাত্রা কিন্তু চলছে অবিরাম গতিতে। ১৯২৬ সালের ৮ মে জন্ম গ্রহণকারী ৮৫ বছর বয়সের এই চিরউৎসুক, জ্ঞানপিপাসু, সবুজ মনের চির তরুণ কয়েক মাস আগেও মাদাগাস্কারের বিলুপ্ত দানব পাখির ডিম নিয়ে নির্মাণ করেছেন নতুন তথ্যচিত্র, যার কারণে এই দ্বীপে তিনি ফিরে গিয়েছিলেন সুদীর্ঘ ৫০ বছর পরে! এর পরেও অব্যাহত আছে বিশ্ববাসীর কাছে পাঠানো তার অমুল্য উপহার।
ডেভিডের কাছের বন্ধু বিশ্বখ্যাত জীবতত্ত্ববিদ ডেসমণ্ড মরিস এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ষাট বছর বয়সে ডেভিড আমাকে বলেছিল আশি বছর বয়সে সে সরীসৃপদের নিয়ে একটি ধারাবাহিক তথ্যচিত্র নির্মাণ করতে চাই যার নাম হবে Life in Cold Blood , সে টা এখন করতে না পারার কারণ আগামী কুঁড়ি বছর তার নানা পরিকল্পনায় ঠাঁসা! অবশেষে আসলেই ৮০ বছর বয়সে ডেভিড অ্যাটেনবোরো লাইফ ইন কোল্ড ব্লাড প্রচার করেন, দেন বিশ্বকে আরেক অমুল্য উপহার। সেই সাথে সাথে প্রকাশ করে চলেছেন একের পর এক মনোমুগ্ধকর ছবি আর প্রাঞ্জল ভাষায় পৃথিবীর সেরা বইগুলো।
পুরষ্কার আর উপাধির শতধা বিশেষণে স্নাত তিনি, নাইটহুড থেকে শুরু করে ইনভায়রনমেন্টাল হিরো সবকিছুই, কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণটি শতকোটি মানুষের অকৃত্রিম ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা।
অন্তত শতায়ু হোন আপনি ডেভিড অ্যাটেনবোরো, আপনাকে ভীষণ প্রয়োজন আমাদের, মানব জাতির, সমস্ত প্রাণী জগতের, এই নীল গ্রহটার।। --- তারেক অণু
মন্তব্য
আমার কাছে লাইফ আর প্ল্যানেট আর্থ কমপ্লিট সিরিজের ব্লু-রে আছে।
নেটের কোন লিঙ্কু আছে?
অজ্ঞাতবাস
টরেন্টে সবই পাবেন, আমার কাছে সব হার্ড ডিস্কে সেভ করা আছে( দেশে কয়েকজন বন্ধুকেও দিয়ে এসেছি) , আপনি সেখান থেকেও নিতে পারেন
facebook
Life on Earth (1979)
The Living Planet (1984)
The Private Life of Plants (1995)
Planet Earth (2006)
এই চারটে সিরিজের ডাউনলোড লিংক।
টরেন্ট লিংক দিলাম। সাথে utorrent Downloader-ও দিলাম।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
বদ্দা, কুইকসিলভারস্ক্রিন ডট কম এ (ডকুমেন্টারি সেকশন) ট্রাই করে দেখেন। আমি বছর খানেক আগে ওখান থেকেই দেখছিলাম।
দুর্দান্ত
facebook
আমার কাছে ওইগুলার ব্লু-রে রিপ আছে।
love the life you live. live the life you love.
অ্যাটেনবোরো ভাইসাবরে ভালু পাই
love the life you live. live the life you love.
facebook
পোস্টে
..........হাচলত্বে স্বাগতম।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
facebook
অভিনন্দন তারেক অণু, হাচলত্ব প্রাপ্তি এবং চমৎকার আরেকটি লেখার জন্যে। আমি ডেভিড অ্যাটেনবোরোর ডকুমেন্টারিগুলো প্রায় প্রতিদিনই অভিভূত হয়ে দেখি। তাঁর প্রতিটি ডকুমেন্টারিই সংগ্রহ করেছি অ্যামাজন থেকে। আর ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, ন্যাট-জিও ওয়াইল্ড, বিবিসি নোলেজ এই চ্যানেলগুলোতেও তাঁর প্রোগ্রামগুলো বারবার দেখি। অ্যাটেনবোরোর ডকুমেন্টারিগুলো মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে - 'চার্লস ডারউইন এন্ড দ্য ট্রি অব লাইফ' এবং 'ফার্স্ট লাইফ'। বাকিগুলোও খুব পছন্দের। বিশেষ করে ব্লু-রে'তে 'প্ল্যানেট আর্থ' দেখাটা ছিলো একরকমের আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা। অ্যাটেনবোরোর আরো একটি ক্লিপ আমাকে খুব নাড়া দেয়, সেটি হলো 'গরিলা এনকাউন্টার'।
অ্যাটেনবোরো বেশি দেখার সাইড এ্যাফেক্ট হলো, তিনি ছাড়া আর কেউ ন্যাচার নিয়ে ডকুমেন্টারি করলে দেখতে পানসে লাগে। অ্যাটেনবোরো গলা ছাড়া এই জাতীয় ডকুমেন্টারি আসলেই জমে না। এই চমৎকার মানুষটি যেনো আমাদের মাঝে আরো অনেকদিন থাকেন।
ধন্যবাদ একেবারে আমার মনের কথাটি বলার জন্য। সবাই এখনো অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে তার কর্মস্পৃহা আর উৎসাহের দিকে। আমার চার পাশে কোন আত্ন জ্ঞানে অহংকারী মানুষ দেখতে স্রেফ করুণা হয় যে তারা ডেভিডের বিনয় আর জ্ঞানের সাথে পরিচিত হল না! আমি চেষ্টা করেছি দেশে উৎসাহী সব বন্ধুদের তার সমস্ত ডকু দেবার জন্য।
facebook
হাচলত্বে স্বাগতম
যাঁরা আগ্রহী তাঁরা কিছু ডকুমেন্টারি পাবেন এখানে :
1. Life On Air - David Attenborough
2. Charles Darwin And The Tree Of Life
3. First Life
4. Attenborough's Journey
5. Sir David Attenborough On God
6. Gorilla Encounter
7. Life - Primates
8. Life-Creatures Of The Deep
9. Life-Hunters And The Hunted
10. Life-Birds
11. Life-Fish
12. Life-Reptiles And Amphibians
13. Challenges Of Life
14. The Living Planet-The Building Of Earth
15. Lost Worlds, Vanished Lives - Part 1
16. Lost Worlds, Vanished Lives - Part 2
17. Great Natural Wonders Of The World
18. First Contact With A Tribe
19. Birds Of Paradise
20. The Lives Of Birds
ডকুগুলোর লিঙ্ক সংগ্রহ করে দেয়াতে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
_____________________
Give Her Freedom!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
হাচল পরিবারে স্বাগতম।
উপলক্ষের সাথে মানানসই একটা লেখা দিয়েছেন। ডেভিডের বৈচিত্র্যময় কাজের ধারা সম্পর্কে তার ভিডিওগুলোর কিছু দেখে, কিছু উইকি পড়ে জানতাম। সড়গড় বাংলায় এই মাঝারি লেখাটাও বেশ লাগলো।
আরো আসুক, ঘ-ণুদা
[ এখন পোস্টের শেষে আপনার নাম আর না লিখলেও চলবে কিন্তু। ]
আসছে আসছে
facebook
হাচলত্বের অভিনন্দন!!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
চমৎকার লেখা।
facebook
আমি আর বাঁচব না ভাই, আমার জীবনের বাকি বছরগুলো ডেভিড অ্যাটেনবোরকে দিয়ে দেব সুযোগ পেলেই, সিরিকাসলি বলছি--
facebook
ডকুমেন্টারি একটা নেশাদ্রব্য। যারা বানায় তারাও আসক্ত। যারা দেখে তারা আরো বড় আসক্ত (নিজেকে বড়'র কাতারে রাখলাম )
হাচলত্বের অভিনন্দন। [আমিই খালি ধন্যবাদ আর বেড়ানোর আমন্ত্রণ পাইলাম না! দেখি ক্যাডায় সচল করে আপনেরে ]
আসল কথাটা বলি, ডেভিড অ্যাটেনবোররে আর বাঁচায় রাখা উচিত না। এরে কাইটা রান্না কইরা সবাই মিলে খায়া ফালানো উচিত!
আপনারেও আর বাঁচায় রাখা উচিত না। আপনারে ফরমালিনে চুবায়ে বোতলে ভরে রেখে দেয়া উচিত!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমি আর বাঁচব না ভাই, আমার জীবনের বাকি বছরগুলো ডেভিড অ্যাটেনবোরকে দিয়ে দেব সুযোগ পেলেই, সিরিকাসলি বলছি--
facebook
অসাধারণ
হাচলত্বে অভিনন্দন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
শুভেচ্ছা নজু ভাই
facebook
হাচল হওয়ার অভিনন্দন।
facebook
হাচলত্তে অভিনন্দন ডকুমেন্তরি গুল দেখার চেষ্টা করব । ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য ।
অবশ্যই দেখবেন, প্রতিটিই স্বমহিমায় ভাস্বর।
facebook
দোস্ত, গুরুবন্দনা সেইরকম হইছে! জয় গুরু অ্যাটেনবোরো
আর হাচলত্বে অভিনন্দন দোস্ত!! ইউ রক!!! যেভাবে ফাটাফাটি কোপাকোপি পোস্ট দিচ্ছিস!! চালিয়ে যা গুরু!!!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
না রে দোস্ত, অ্যাটেনবোরোর প্রতি খানিকটা ঋণ শোধ করতে পারব কেবল যদি তার জীবদ্দশায় মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় তার একটা ছবি নিয়ে উঠতে পারি তা হলেই, ঐ কেবল একটা জায়গাতেই তার যাওয়া হয়নি অথচ সেখানে ওঠার স্বপ্ন দেখতেন ছোট বেলায়! দেখি,
facebook
এটেনবারোকে ভাল লাগে।
facebook
যা তাই নাকি, এর মানে কি আসলে ঈষৎ দা!! আমি দিলাম কারণ আমি ধনে পাতা খুব পছন্দ করি তাই!!!
facebook
ভালো হইছে অনু, চালাইয়া যাও।
দাদা নাকি !!! মাপুতো থেকে !!!
facebook
আরে ভাই হ্যা, জঙ্গল থেকে বুলছি।
চমৎকার পোষ্ট।
সুমন_সাস্ট
এটেনবরোকে নিয়ে একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম। প্ল্যানেট আর্থের পরের পর্ব - লাইফ-এর আমেরিকানাইজড যে ডিভিডি আমেরিকায় বিক্রি হয় তার ন্যারেটর হল ওপরা উইনফ্রে। এখন দুজনের ন্যারেশনে এতটাই তফাৎ যে আমাজনে লাইফের ডেভিড এটেনবরো ভার্সান পাঁচ তারা যেখানে ওপরা উইনফ্রে দুই তারা। এটেনবরোর প্রক্সি হিসাবে ওপরা উইনফ্রে বড়সড় ফেল মেরে গেছেন ...
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
তাই ! এটা জানা ছিল না ! তবে Journey of the Penguin এর আমেরিকান ভার্সনে মর্গান ফ্রিম্যান আর EVEREST-এ লিয়াম নেসনের ধারাভাষ্য দুর্দান্ত হয়েছে। তবে আমাদের ডেভিড এক ও অদ্বিতীয়।
facebook
হাচলত্বের অভিনন্দন।
আমি বলি কি, এইরকম লেখা আরো বেশি লিখুন। আপনার বেড়ানোর গল্প শুনে শুনে আমরা রেগে টং হয়ে থাকি, আপনার থেকেও বেশি ঘোরাঘুরি করেছে এমন একজনকে দেখলে সেই পোস্টে আর আপনার উপর গোঁসাটা হয় না আর কি...
আপনার লেখা ভালোই লাগে, কিন্তু মনে হয় আরেকটু গুছিয়ে, আরেকটু স্ট্রাকচার, ফরম্যাটিং দিয়ে লিখলে আরো ভাল হত...
টং হয়েন না রে ভাই বরং দেখেন কোথাও থেকে স্পন্সর জোগাড় করতে পারি নাকি, নিজের পকেট থেকে দিতে দিতে তো গড়ের মাঠ হয়ে যাব !
facebook
অভিনন্দন
facebook
তারেক অণু, আপনার লেখার বিষয়গুলো দারুণ। অভিনন্দন আর শুভেচ্ছা।
অনেক ধন্যবাদ ভাল লাগার জন্য,
facebook
হাচলত্বের অভিনন্দন থাকলো
facebook
আপনি ভালো থাকবেন, এতোটুকুই বলতে এলাম
অবশ্যই, আপনিও
facebook
চমৎকার লেখা।
হাচলত্বে অভিনন্দন। যে রকম চমৎকার সব লেখা দিচ্ছেন মনে হচ্ছে সবচেয়ে কম সময়ে সচলত্ব পাবার রেকর্ড করে ফেলবেন ।
হুমম, এটা সম্পর্কেতো শুনি নি কিছু ভাই! তবে অচল না হলেই খুশী, হে হে !!! অনেক ধন্যবাদ আপনার উৎসাহদায়ক মন্তব্যের জন্য--
facebook
যথারীতি সুন্দর লেখা.......... ............আর হাচলত্বে অভিনন্দন.....................
_____________________
Give Her Freedom!
facebook
অণুদা, ঐ ইমোটাতো সবাই অন্য একটা অর্থে ব্যবহার করে জানি। আপনি কী অর্থে দিলেন মানে আমাকে এই ইমো ক্যান বলেন তো
_____________________
Give Her Freedom!
না বুঝে দিছিরে ভাই, ধনে পাতা আমার খুব প্রিয়তো, তাই ভাবলাম ভাল কিছুই হয়ব! আসলে এর মানে কি--
facebook
এর মানে হল 'গুরু পোস্ট'। সেই পোস্টে সবাই 'গুরু গুরু' 'গুল্লি গুল্লি' 'উত্তম উত্তম' 'জাঝা জাঝা' করতে থাকে( আসলে করতে হয়, সেই রকম গুরু টাইপ লেখাই যে!)..................এবং এই ইমোগুলো সবচেয়ে বেশি পান হিমুদা(ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ, ভুল হইতে পারে)।
_____________________
Give Her Freedom!
ওহ হো আপনি দেখি ধনেপাতার কথা জিজ্ঞেস করছেন!!!! অণুদা, ধনেপাতা খুউব ঠিকাছে। ভিন্নার্থ হল , গুরু গুরু তে, প্রথমটায়!!!!
_____________________
Give Her Freedom!
পোষ্ট চমৎকার।
অভিনন্দন।
facebook
হাচলত্বের অভিনন্দন!
জয়তু অ্যাটেনবোরো।
জয়তু অ্যাটেনবোরো।
facebook
facebook
উদয়ের কাছে ডকুগুলো কি আছে অনু? না হলে কার কাছে একটু জানাস ভাই। আমি তো তখন ড্রাইভে স্পেসের অভাবে নিতে পারিনাই। এখন ১টেরা ডিস্ক আছে। কাজ হবেনা?
উদয়ের কাছে ডকুগুলো কি আছে অনু? না হলে কার কাছে একটু জানাস ভাই। আমি তো তখন ড্রাইভে স্পেসের অভাবে নিতে পারিনাই। এখন ১টেরা ডিস্ক আছে। কাজ হবেনা?
হবে ডালটন ভাই। দেখেন উদয়ের কাছে না থাকলে আমি পরের বার এসে দিব, অথবা ঢাকায় আছে কয়েকজন বন্ধুর কাছে।
facebook
ইসস, প্রতিটি ডকুমেন্টারি যদি বাংলা অনুবাদ করে যদি দেশের আনাচে-কানাচে স্কুল-কলেজগুলোতে দেখানো যেত! আমাদের অন্ধকার ঘোচানোর জন্য আলোর পৃথিবীর সাথে যত দ্রুত সম্ভব নপ্তুন প্রজন্মের পরিচয় করিয়ে দেওয়া ছাড়া উপায় নাই! আমাদের চিন্তার চোখ যতটা খুলবে ততই অন্ধকার দূরে সরবে! আমি খুবই আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলাম, ন্যাশনাল জিওগ্রাফি/ডিসকভারির মত চ্যানেলগুলো বাংলা ডাবিংকৃত ডকুমেন্টারিগুলো প্রচারের পর এখন অনেকেই বস্তাপচা বাংলা নাটক আর হিন্দী গান ছেড়ে এসব দেখে, তবে এই চর্চা আরো বাড়ানো উচিত!
ডেভিডের গলা ছাড়া কেমন লাগবে জানি না, তবে বাংলা সাব টাইটেল দিলে ভাল হবে
facebook
দারুন......
আপনারে দেখি ডেভিড কে আগে ভাগেই শেষ করে দিচ্ছেন! ডেভিড ছাড়া কি প্রকৃতি নিয়ে কোন ডকুমেন্টারী জমে? কখনোই না।
Planet Earth এর পরে বেরিয়েছে ৭ পর্বের Frozen Planet। আর এই বছরেই বেরিয়েছে ৬ পর্বের Africa। সবই বিবিসিতে দেখলাম, ডিভিডি জোগাড় করতে পারি নাই। দেখি লাভফিল্ম থেকে পাওয়া যায় কিনা, তাহলে কপি করে রাখা যাবে!
প্রকৃতির এই সম্পদ ডেভিড এখনো ফুরিয়ে যায় নাই!
প্রকৃতি কি কখনো শেষ হয়ে যায়? যায় না।
দেশ বন্ধু (desh_bondhu)
নতুন মন্তব্য করুন