ধলপহর। নিশ্চুপ নিস্তব্ধ চারিদিক, মৃদুমন্দ হাওয়ায় কুণ্ডলী পাকানো ধোঁয়ার মত রহস্যঘন কুয়াশা ঘিরে আছে চারিপাশ, চোখের দৃষ্টি কয়েক গজ সামনে সেই ধোঁয়াটে পর্দার অন্য পারে কি আছে সেই সুলুক সন্ধানে ব্যকুল। এর মাঝে আমরা চলেছি শিমুল কাঠের ক্যানুতে চেপে রূপতি নদী বিহারে, উদ্দ্যেশ্য সত্যিকারের বুনো কুমির আর ঘড়িয়াল দর্শন! স্থান- নেপালের সুবিখ্যাত চিতোয়ান বন।
গাইড সুরিয়াজি আগেই বলে নিল, এই সাত সকালে সব কুমিরই ক্ষুধার্ত থাকে, তাই এই সরু একরত্তি ক্যানুতে যাতে আমরা যতদূর সম্ভব কম নড়াচড়া করি, না হলে করাল কুম্ভীরদের প্রাতরাশ ভালই জমবে! গাইড হাসি হাসি মুখে কথাগুলো বললেও আমাদের ভাল লাগলো না মোটেই, ভরপেট নাশতা খেতে সবারই ভাল লাগে, আত্নভোলা দার্শনিকদেরও, কিন্তু নিজেদেরই নাশতা হবার সম্ভাবনা থাকলে কাহাতক আর সহ্য হয়?
রূপতি খুব চওড়া নদী নয়, কোনখানে বালির চর জেগে আছে, কুমিরদের রোদ পোয়ানোর জন্য আদর্শ জায়গা। কোথাও পাড়ে মৃদু সবুজের ছোঁয়া, বালুর ঢিবির পাশে বালুচরা মার্টিন পাখিদের আস্তানা, তবে অধিকাংশ জায়গায়ই বিশালাকৃতির হাতি ঘাসের রাজত্ব। এর মধ্যেই নিবিড় ঘাসবনের মাঝে এক পলকের জন্য দেখা দিয়ে হারিয়ে গেল এবারের নেপাল সফরে দেখা পাওয়া প্রথম বনমুরগী, আহ্ রংধনুর সাত রঙ যেন হেসে উঠেছিল সেই এক ঝলকে! পাখিপ্রেমী ইনাম ভাইয়ের মুখেতো হাসি আর ধরে না, বলে উঠলেন এই প্রথম স্ত্রী বন মুরগীর ছবি পেলাম।
তবে প্রথম যে বিশালাকৃতির প্রাণী আমাদের সামনে আসল তা পোষমানা হাতির দল, ভোরে মাহুতের সাথে বনবিহারে বেরিয়েছে, পিঠে তাদের নিত্য দিনের খাদ্য হাতিঘাসের বিশাল বোঝা।
হঠাৎই গাইড নদীর একেবারে পাড় ঘেঁষে অগভীর এক জায়গা নির্দেশ করল, চকিতে মনে হল সরু একটা মাথা স্রোতের বিরুদ্ধে উঁকি দিচ্ছে, তাতে দুটি অস্বাভাবিক বড় আকৃতির চোখ, মাথার পিছনে শক্তিশালী শরীরের আভাস! হুররে, আমাদের যাত্রাপথের প্রথম কুমির !
ইতিমধ্যে মেঘের পুরু স্তর ভেদ করে সোনালী সূর্যরশ্মি অজস্র ক্ষুদে ক্ষুদে আলোক বর্শার মত রূপতির জলে ছড়িয়ে পড়ছে, পূর্ব দিগন্ত থেকে অপূর্ব অপ্রতিরোধ্য এক আলোর বন্যা ক্রমশ দখল করে নিচ্ছে অন্ধকারের রাজ্য। আলোর উপস্থিতির সাথে সাথে বাড়ছে পাখিদের কলকাকলি।
নৌকা ভ্রমণ আপাতত শেষ আমাদের, এবার পদব্রজে জঙ্গলের মধ্যে। মানব উপস্থিতি টের পেয়ে একদল বুলবুল স্বভাবসিদ্ধ চিৎকার দিয়ে উড়াল দিল মাথার উপর দিয়ে। সামনে আমাদের চেয়েও হাত দুয়েক লম্বা হাতিঘাসের বন, যাতে গণ্ডার, বাঘ, ভালুকের মত বৃহদাকৃতির জীবরাও অনায়াসে লুকিয়ে থাকতে পারে।
তবে ক্ষুদে জীবরাও যে তাদের সরব অস্তিত্ব জানান দিতে পারে তা বোঝা গেল ভিয়েতনামী ট্রান মাই-এর উদ্বাহু চিৎকারে, কাছে যেয়ে দেখা গেল জোঁক! কেবলই ঠাই নিয়েছিল তার হাতের চামড়ায়, রক্ত শুষে নেবার আগেই আবার ফেরৎ যথাস্থানে।
চারিদিকে শুধুই গাঢ় সবুজের ছড়াছড়ি, নিবিড় ঘন বন, সবুজ দেয়ালে দৃষ্টি থমকে যায় খানিক পরপরই, বিশাল সব বনস্পতি আকাশ ছোঁয়ার প্রতিযোগিতায় মত্ত। মহিরূহগুলোর ডালপালা বেয়ে নেমে এসেছে বিচিত্র সব লতা, গুল্ম , এর মাঝে সরু এক গা ছমছমে পথে অনুসরণ করছি গাইডকে, লাইনের সামনে এবং পিছনে দুজনের হাতে লম্বা লাঠি( রয়েল বেঙ্গল সত্যিই দেখা দিলে এই খেলনা কি কাজ করবে বলতে পারি না, তবে বনে প্রবেশের আগেই গাইড বুঝিয়ে দিয়েছিল কোন প্রাণীর সাথে দেখা হলে তার কবল থেকে রক্ষা পেতে কি আচরণ করতে হবে)।
চলার পথে খানিক পরেই এলোমেলো পিঁপড়ার ঢিপি দেখে ভালুকের উপস্থিতি টের পাওয়া গেল, ভালুক বাবাজী সকালের জলযোগটা পিঁপড়েদের উপর দিয়েই সেরেছেন।
কেওড়ার মত এক ঝাঁকড়া গাছের বনে প্রবেশ করলাম, এই গাছগুলোর স্থানীয় নাম গণ্ডার আপেল, কারণ গণ্ডার এই গাছের ফল খেতে খুব পছন্দ করে! আর একমাত্র গণ্ডারের পাকস্থলীর মধ্যেই পাচক রসে জারিত হবার মাধ্যমেই এই বীজের অঙ্কুরোদগম সম্ভব হয়! প্রমাণ হিসেবে গণ্ডারের স্তূপাকৃতি গোবর চোখে পড়ল, যার মধ্য দিয়ে সগর্ব সবুজ উপস্থিতি জানান দিচ্ছে গণ্ডার আপেলের অসংখ্য সতেজ চারা। প্রকৃতি কত বিচিত্র ভাবেই না রহস্যময়, জীবজগতের সবাই-ই কোন না কোন ভাবে এক সুতোয় গাথা।
অবশেষে আমরা পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে পৌছালাম, সামনে হাতি ঘাসের সমুদ্র। উল্লেখ্য, চিতোয়ানে প্রায় শ খানেক রয়েল বেঙ্গল টাইগার আছে, এশিয়ার এক শৃঙ্গ গণ্ডারের অন্যতম আবাসস্থল এই বন, আছে বুনো হাতি। এদের দেখা পাবার অন্যতম সহজ উপায় হিসেবে পর্যটকরা কিছু সময় টাওয়ারে কাটান, যাতে বন্য প্রাণীর নাগালের বাহিরে থেকে তাদের দেখা সম্ভবপর হয়। যদিও সেই আদিগন্ত বিস্তৃত ঘাসের প্রান্তরে বাঘ-ভালুক-গন্ডার থাকলেও বোঝা ভীষণ দায়, যদি না সে আপনাথেকেই তার অস্তিত্ব জানান দেয়। ফিরতি পথে দেখা হল একরাশ দুর্লভ পাখির সাথে, যাদের মধ্যে মদনটাক, রাঙা মানিকজোড়, কাস্তেচরাসহ ছিল জল-স্থল-অন্তরীক্ষ মিলিয়ে জগতের সবচেয়ে দ্রুতগামী প্রাণী পেরিগ্রিন শাহিন (পেরিগ্রিন ফ্যালকন)।
বিকেলে শুরু হল হাতির পিঠে চেপে বনদর্শন, এখন বোঝা গেলে কেন প্রায় প্রতিটি হোটেলের সামনে একটি করে উঁচু স্তম্ভ মত, হাতির পিঠে চড়বার সুবিধার্থে। আমাদের হাতির নাম মধুরকলি, মাহুত জানাল হাতি তার সব কথাই বুঝতে পারে, সে অনুযায়ী হুকুম তামিলও করে। হাতে নাতেই তার প্রমাণ পেলাম যখন হাতি তার কথা শুনে কখনো ডানে, কখনো বাঁয়ে চলা শুরু করল আবার কখনোবা আস্ত গাছের ডাল মড়মড় করে ভেঙ্গে ফেলল। তবে জানিয়ে রাখি, হাতির পিঠে বনবিহার কিছুতেই আরামপ্রদ কিছু নয়, ঝাকানিতেই হাড়-মাংস এক হয়ে যাবার জোগাড়, আগের যুগের রাজা-রাজড়ারা কি করে করত একমাত্র তারাই জানে। আর চলন্ত অবস্থায় ভালো ছবি তোলা- ভাগ্যদেবীর একপেশে সাহায্য ছাড়া ভুলে যেতে পারেন!
খানিক পরেই মাহুত ফিস ফিস করে জানালো- গাইডা, গাইডা( গণ্ডারের নেপালি নাম)। বনের মাঝখানে এক চিলতে কাদাভরা জলাভূমি, তাতে কিছু জায়গা নিয়ে জন্মেছে পুরুষ্টু সবুজ ঘাস, জনাব গণ্ডার তাই খেয়ে চলেছে মনের সুখে, আমাদের দিকে ভ্রুক্ষেপই করল না। মাহুতের কাছ থেকে জানা গেল, হাতির পিঠে বনে ঢোকার এই এক বিশাল সুবিধা, একমাত্র বানর আর পাখি বাদে আর কোন প্রাণীই মানুষের অস্তিত্ব টের পায় না, কারণ চারপাশে তাকালে তারা কেবল মাত্র তাদের মতই আরেক জন্তুর (হাতির) পা দেখতে পায় ও নিশ্চিন্তে থাকে। সেই সাথে তাদের নাকের অনেক উপরে থাকাই মানুষের গায়ের গন্ধও তাদের নাকে পৌছায় না।
বনের গহীনে চলেছি আমরা, হঠাৎই সুমসাম নিস্তব্ধতা চুরমার করে ভোঁ দৌড় দিল এক পাল অপূর্ব চিত্রা হরিণ, মুক্ত বুনো হরিণের সেই উদ্দাম প্রানপ্রাচুর্য শিহরণ জাগায় আমাদের মনে, চোখে পড়ে অদূরেই ঝোপের নিচে গুটিসুটি মেরে লুকিয়ে থাকা বিশাল মায়া হরিণ।
এক কর্কশ রবে সমস্ত বন কাপিয়ে আমাদের পিলে চমকিয়ে ভুবনের সমস্ত রঙ নিয়ে দৃষ্টিসীমায় হাজির হয় ময়ূর, পেখম না তোলা অবস্থাতেও যাকে মনে হয় সুন্দরতম বিহঙ্গ, পাশেই পুরুষের রূপের কাছে ম্রিয়মান লাজুক ময়ূরী।
এক এক অপূর্ব ভুবন, পরতে পরতে আমাদের অসাধারণ সব চমক উপহার দিচ্ছে শ্বাপদ সংকুল চিতোয়ান। হাতির পিঠেই নদী পাড় হলাম সবাই, সেই অবস্থাতেই চোখে পড়ল মুখ হা করে বিকেলের মিষ্টি রোদ পোয়াচ্ছে একধিক আলসে কুমির, প্রথমবারের মত নজরে আসল মাছখেকো কুমির- ঘড়িয়াল! পরিবেশের প্রতি আমাদের আগ্রাসন আর মানুষের অহেতুক ভীতির কারণে বাংলাদেশে প্রায় বিলুপ্ত ডাইনোসরদের চেয়েও অনেক প্রাচীন এই অসাধারণ উভচর সরীসৃপটি। নেপাল ও ভারতের কিছু নদীতেই টিকে আছে এরা কোন মতে।
নদী পারের কাদামাটি মাড়িয়ে মধুরকলি চলছে প্রতি পদক্ষেপেই প্রায় ফুটখানেক গর্ত করে। জঙ্গলে আবার ঢোকা মাত্রই চোখে পড়ল ছোট্ট হরিণের দেহে কুকুরের কণ্ঠ নিয়ে ছুটে থাকা বিরল বার্কিং ডিয়ার তথা কুকুরকণ্ঠ হরিণের। এর মাঝে এক জলায় মিলল দুটি গণ্ডার, মা আর শাবক। শাবকসহ মা গণ্ডার অতি ভয়াবহ প্রাণী, সন্তানের নিরাপত্তার জন্য নিরীহ মাতা থেকে মুহূর্তের মাঝে পরিণত হতে পারে আক্রমণাত্নক ক্রুদ্ধ জননীতে, বাচ্চাটির পুরু চামড়ার রঙ তুলনামূলক ভাবে অনেক ফ্যাঁকাসে।
ওদের শান্তিমত বিচরণ করতে দিয়ে ফেরার পথে আমরা, বনের প্রান্ত সীমায় একদল মুখপোড়া হনুমান যেন দাত খিচিয়ে কোলাহল মুখর বিদায় দিল। শেষ বিকেলের রোদ যায় যায় করছে, সূর্যদেব ঠিক দিগন্তের উপরে গমনের প্রতীক্ষারত, নেমে আসছে আরেকটি মায়াময় জঙ্গুলে রাত, এমন মাহেন্দ্রক্ষণে আমরা বিদায় জানালাম চিতোয়ানকে( আমাদের সুন্দরবনের মতই ইউনেস্কো কতৃক বিশ্বসম্পদ বলে ঘোষিত নেপালের এই বন), আবার আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে।
মন্তব্য
ভাইরে, আপনের কি কাম কাজ নাই?? যৌবনকাল হচ্ছে পড়াশোনা করার সময়, আপনে খালি এম্নে ঘুরে বেড়ালে চলপে? আর তো সহ্য হয়না আপনের এইসব পেঙ্গুইন, কুমির আর গণ্ডার দেখে! হিংসায় জ্বলে পুড়ে তো কয়লা হয়ে যাইতেছি।
...... উদাস
কাজ কাম আছে তো অল্প অল্প, এই কারণেই তো এম্নে ঘুরতে পারি না সবসময় !! আরে ভাই, আপনি হবেন উদাস, খামোকা কেন কয়লা হয়তেছেন!!
facebook
আবারো দেখায় দিলেন ভানুমতির খেল
না না মধুরকলির খেল !!
facebook
দারুণ আপনার লেখা। আরো আসুক। কিঞ্চিৎ আরণ্যকের স্বাদ পেলাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ
facebook
মন্তব্য কর্লে পিপিদার মন্তব্যই কপি পেষ্ট কর্তে হইবো, তাই কর্লাম না
love the life you live. live the life you love.
facebook
আসলেই কি আপনার কোন কাজকাম নাই?
মন্ত্রমুগ্ধের মতন পড়লাম, আসলে ঘুরেই এলাম আপনার সাথে চিতোয়ানের জঙ্গল
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
হে হে কেমন লাগল হাতির পিঠের ঝাকুনি !
facebook
হজম প্রক্রিয়ায় সময় কম লেগেছে আর কি
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
ধুর মিয়া! এডি কি দিলেন আবার? একটুও শান্তিতে থাকতে দিবেন না দেখা যায়।
কেন ভাই, আপনি দিলেন বাঘের ছবি, আমি দিলাম হাতির !
facebook
facebook
facebook
নাহ...আপনাকে বাসায় তালাবন্ধ করে রাখতে হবে। এই ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছি না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
থাকব না কো বদ্ধ ঘরে, দেখব এবার জগৎ টাকে !
facebook
আসেন একবার সাহস করে কানাডায় ঘুরতে ... ... (তালাবন্ধ করে রাখার দায়িত্ব আমি নিলাম তাসনীম ভাই)
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আসব। হয়ত সামনের সামারে--
facebook
অণু ভাই, দুর্দান্ত !
ঘড়িয়ালের আরো ক্লোজ কোন ছবি নাই ? এরা যে ডাইনোসরের চেয়েও পুরানো এই ঘটনা আমি আজকেই প্রথম জানলাম !
পাহাড়ি এলাকার জঙ্গল বলতে আমার অভিজ্ঞতা কালিম্পং এর পাশে লোলেগা (কালিম্পং এর পাশে লাভা, তার পাশে লোলেগা) আর জলপাইগুড়ির দিকে গরুমারা ফরেস্ট। লোলেগাতে অবশ্য তেমন বন ঘুরে দেখতে পারি নাই, গরুমারা দেখেছিলাম। এতো বেশি কিছু ছিলো না। তবে আমার মনে হয়েছে গভীর বনের ভিতরের শব্দটাই মারাত্মক... ওই শব্দ শুনলেই বোঝা যায়, এইটা একটা আলাদা জগৎ ।
অলমিতি বিস্তারেণ
অনেক অনেক ধন্যবাদ। আসলে এক ধরনের সমজাতীয় সরীসৃপ থেকে ডাইনোসর আর কুমিরদের উদ্ভব ঘটে, আর কুমির জাতির গোত্র তথা ক্রোকোডিলিয়ানদের মাঝে ঘড়িয়ালরা অতি প্রাচীন। ঘড়িয়াল নিয়ে সবচেয়ে দুর্দান্ত তথ্যচিত্রটির নাম CROCODILE BLUES, রমুলাস হুইটেকারের ঘড়িয়াল সংরক্ষণ নিয়ে নির্মিত। আসলেই বন একটা আলাদা জগত
facebook
আপনার সবগুলো পোস্ট মুগ্ধ হয়ে পড়ি আর দেখি। কখনো কমেন্ট করা হয়না!
আপনি ভাই নমস্য! চলতে থাকুক বিশ্বভ্রমণ ...একটা লিস্ট দেন কোথায় কোথায় পা দিয়েছেন, আর কোথায় কোথায় দেননি! নর্থ আমেরিকার কী প্ল্যান? কানাডা আসলে আলবার্টা আর ব্রিটিশ কলম্বিয়া মিস দিয়েন না!
কিছু মনে না করলে, আপনি কোন স্কুলে পড়ালেখা করেছেন? কেন জানি চেনা চেনা লাগছে!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
অনেক ধন্যবাদ ভাই, কোথায় কোথায় যায় নি এই তালিকা করতে গেলে সচলে মনে হয় আর লেখাত জায়গা থাকবে না, ঐটা বাদ থাক ।
আমার স্কুল ও কলেজ ছিল রাজশাহী বিশ্ব-বিদ্যালয় স্কুল ও কলেজ। আপনার?
facebook
রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সাথে দেখা হলে এ লাঠি টাইগারের টুথপিক হিসেবে কাজে লাগতে পারে
তা যা বলেছেন !
facebook
জনাব তারেক অণু, আপ্নে দয়া করে একটু সামলে সুমলে থাকপেন। অনার্য সঙ্গীত তো তাও বোতলে বডি প্রিজার্ভ করতে চান, আমি আবার কোন কিছু বেশি ভালো লাগলে একটু লবন ছড়িয়ে কাঁচা মরিচ সহযোগে কচকচিয়ে খেয়ে ফেলার পক্ষে। [ এই কথা বলে কি ক্যানিবালের লেখা দিতে উৎসাহ দিয়ে দিলাম নাকি আল্লাই জানে]
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
জবর বলেছেন ! আমার এক অতি ঘনিষ্ঠ বন্ধু ক দিন আগেই ৩ সপ্তাহের জন্য পাপুয় নিউ গিনি ঘুরে আসল, যদিও সে ক্যানিবালদের দেখেনি কিন্ত তার ছবি ও বর্ণনা শুনেই সেখানে যাবার পুরনো ইচ্ছাটা ইদানীং খুব বেড়েছে!! অনার্য সঙ্গীতের সাথে সন্ধি করে ফেলেছি, নো মোর ফরমালিন ! এখন আপনার সাথে কি করা যেতে পারে!
facebook
এইসব প্রানী দেখতে আপনার এতো দূরে দূরে যাইতে হয়? মিরপুরের পোলা আমি, চিড়িয়াখানায় কতো দেখছি
আরেকটা গফ কই শোনেন... আমরা একদল মানুষ একবার সুন্দরবন গেছি লঞ্চ বোঝাই করে... তো শীতের ভোরে কুয়াশার কারণে কিছু দেখা যায় না বলে নদীর মাঝখানে লঞ্চ থামায়ে আমরা অপেক্ষা করতেছি। দেখি একপাশে অনেকগুলো ডলফিন খেলা দেখাতে শুরু করলো... আমরা তো মুগ্ধ... কিছুক্ষণ পরে সবগুলা উধাও... একটু পরে ভেসে উঠলো লঞ্চের উল্টাপাশে। এরকম চলতে থাকলো, একবার এপাশে একবার ওপাশে। আমরাও একবার এপাশে আরবার ওপাশে। লঞ্চও সেভাবেই কাত।
তাতে ঘুম ভেঙে গেলো বন্ধু মনির হোসেনের। কাণ্ড দেখে বিরক্ত হয়ে বললো- ঘরে এসি চালায়া সোফায় শুয়া শুয়া ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে এগুলা দেখবেন... অতো কষ্ট করার কী আছে?
আপনেরেও কই... অতো ঘুরাঘুরি কইরেন না, চামড়া কালা হয়ে যাবে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে দেখবেন
যাক, আফ্রিকা এন্টার্কটিকা বাদ্দিয়া দেশের কাছাকাছি আইছেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনের বন্ধু তো সাংঘাতিক, হায় হায় এই উপায়টাই আমার মাথায় আসে নাই একবার দেখা ক্রায়েন ভাই দেশে গেলে প্লিজ!!
গায়ের রঙের কথা আর বলেন না, গেলবার তিব্বতে এতদিন ওত উপরে থাকার কারণে আলট্রা ভায়োলেট রে যে পোড়ানো পুড়িয়েছে এই ইহজীবনে আর উঠবে না। তয় আপনের গফটা খুব কিউট। দাঁড়ান, দেশ নিয়ে লিখব, টাঙ্গুয়ার হাওড় নিয়ে একটা লেখা প্রায় শেষের পথে।
facebook
_____________________
Give Her Freedom!
গাইড মনে হয় ফাজলামো করছিলো হয়তো। কারণ নোনাপানির কুমির আর নীলনদের কুমির ছাড়া অন্যান্যগুলো কি মানুষে ভুরিভোজ করার মত যথেষ্ট পরিমাণ বড়?
ঘড়িয়াল ডায়নাসোরের চেয়ে পুরোনো, মানতে পারলাম না। ঘড়িয়ালদের আদিপুরূষের পৃথিবীতে আবির্ভাব চুরাশি মিলিয়ন বছর আগে, কিন্তু ডায়নোসরের সবচেয়ে পুরাতন প্রজাগুলো প্রায় দুইশ তিরিশ মিলিয়ন বছরের পুরোনো।
হাতির পিঠে চড়াটা আসলেই বিরক্তিকর। ঢাকার চিড়িয়াখানায় চড়েছিলাম।
আর লেখা বরাবরের মতই দুর্দান্ত। আপনার চেয়ে বেশি টো টো করে বেড়ানো লোক কি এই বাংলায় আর আছে?
আসলে এক ধরনের সমজাতীয় সরীসৃপ থেকে ডাইনোসর আর কুমিরদের উদ্ভব ঘটে, আর কুমির জাতির গোত্র তথা ক্রোকোডিলিয়ানদের মাঝে ঘড়িয়ালরা অতি প্রাচীন। ঘড়িয়াল নিয়ে সবচেয়ে দুর্দান্ত তথ্যচিত্রটির নাম CROCODILE BLUES, রমুলাস হুইটেকারের ঘড়িয়াল সংরক্ষণ নিয়ে নির্মিত। সেই খানেও কিছু তথ্য ছিল তাদের ঠিকুজী নিয়ে। কেন, আমাদের দেশে যে আগে ছিল মাগার ক্রোকোডাইল তাদের নামেও অভিযোগ আছে নরমাংস ভোজনের।
facebook
মাগার কুমির এখন নাই? সবই কি মেরে সাফ করে দিছে নাকি?
বাগেরহাটের গুলো তো আফিং খাইয়ে মেরেছে!!!
facebook
মানুষের আগ্রাসনে বিপন্ন আর বিরল প্রানীদের দেখে আসার বর্ননা পড়ে মনে চিতোয়ানের গহিন বন সম্পর্কে একটা দৃশ্যকল্প তৈরী হয়ে গেল। কিছু বিরল প্রজাতির পাখি ছবিতে না থাকায় দৃশ্যকল্পটা আপাতত অপূর্নই থেকে গেল।
ছবি ছিল কিছু পাখির কিন্ত ফ্লিকারে জায়গা শেষ হয়ে গেছে এই মাসের জন্য
facebook
অনেক অনেক ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই। বিপ্লবের নামে বেশ কিছু গণ্ডার ও বাঘও মারা হয়েছিল সেখানে। আসলে বনের ভিতরে রাত কাটানো একবারে অন্য কোন অজানা গ্রহের মতই রোমাঞ্চকর।
facebook
বরাবরের মতই চমৎকার লেখা আর ছবি। ভালো লাগলো খুব। বিশেষ করে পরিচিত হাতির ছবি দেখে, কপালে আর কানের পাশে সাদা দাগ এই হাতিটার নাম আপুকলি। আমার ছেলে এটার প্রেমে পড়েছিলো (এখনও ওর মাঝে মাঝে এটার জন্য মন খারাপ হয়)।
নেপালে নির্বাচনের আগে মাওদের জন্য বনের ভেতরের রিসোর্টটি অনেকদিন বন্ধ ছিলো। এ হাতিটির মালিক ওরাই, সে সময়ে রাপটির এপাড়ে গ্রামে থাকা রিসোর্ট গুলার টুরিষ্টদের জন্য ভাড়া খাটানো হতো এদেরকে। ২০০৯তে এরা আবার ভেতরে ফিরে যায়। ভেতরে থাকার রোমাঞ্চই আলাদা, সেখানে রাত হয় সূর্য ডোবার সাথে সাথেই আর পাখির ডাক শোনা যায় সেই রাত আড়াইটা থেকেই।
...........................
Every Picture Tells a Story
অনেক অনেক ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই। বিপ্লবের নামে বেশ কিছু গণ্ডার ও বাঘও মারা হয়েছিল সেখানে। আসলে বনের ভিতরে রাত কাটানো একবারে অন্য কোন অজানা গ্রহের মতই রোমাঞ্চকর।
facebook
লেখা, ছবি ভালো, এইটা আর কাঁহাতক বারবার বলা যায়? তারচেয়ে একটা খুবখারাপ পোস্ট দিন, মনের সুখে সবাই গালিগালাজ করে নিই...
_____________________
Give Her Freedom!
লেখেনও যেমন, ভ্রমণছবিও তেমন!!! চলতে থাকুক!!!!
_____________________
Give Her Freedom!
দিচ্ছি অন দ্য ওয়ে---
facebook
দিচ্ছি অন দ্য ওয়ে---
facebook
ভাই আপ্নে একটা কি কমু!
লেখা ও ছবিতে
---------------------
আমার ফ্লিকার
facebook
আর কইয়েন না, রাজশাহীর ভাষায় বলে, বুললে তো বুলবেহিনি যে বুলছে, এই লাগেই তো বুলি না!
facebook
পোস্টে
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমি নিতান্তই ঘরকুণো মানুষ তাও এইসব পোস্ট পড়তে কেন যেন ভাল লাগে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
সুখী হলাম শুনেসুন
facebook
একবার মন্তব্য করেছি, একটা এরর ম্যাসেজ আসলো তাই আবার করছি।
আপনার লেখার হাত খুব ভালো। সরীসৃপ সহ্য করতে পারিনা, ওগুলোর ছবি ছাড়া বাকিটুকু দূর্দান্ত হয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ :)। আহা, বলেন কি, আমাদের মস্তিস্কের যা জায়গাটুকু আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে তা কিন্তু আমরা সরীসৃপ পূর্বপুরুষদের কাছ থেকেই পেয়েছি, তার নামও সেই কারণে REPTILE COMPLEXITY .
facebook
সত্যি করে বলেন তো, 'এই বুঝি বাঘ এলো রে!' অনুভূতিটা বুকের ভেতরের ধড়ফড়ানিটা বাড়িয়ে দেয়নি? কী মজা আপনার খালি ঘুরন্তিস! কিছু পাখির ছবি দিলেই পারতেন। দারুণ লাগলো ভ্রমণ কাহিনি
সত্য !!! ধড়ফড়ানি বাড়িয়ে তো দেয়, সাথে বইয়ে দেয় অ্যাড্রিনালিণের বন্যা।
facebook
স্রেফ
এরপর কোন কথা নাই।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ওরে কাগু, পালালাম
facebook
যথারীতি
facebook
গুল্লি দেখে খুশি হইয়েন না। আমি বলতে চাচ্ছি আপনারে গুল্লি মারা দরকার।
ক্যানুর ছবিটা খুবই সুন্দর হইসে।
আমি মনে হয় বুলেটপ্রুফ । ক্যানুর ডান দিকে একটা কুমির আর একটা ঘড়িয়াল আছে, অবশ্য ডুবুডুবু অবস্থায়, বোঝা দুষ্কর।
facebook
এই জায়গাটায় আমি গেছিইইই! ভয়াবহ সুন্দর জায়গা, তিনরাত ছিলাম। চিতওয়ান এখনো খুব সহজ। মনে পড়ে রাতের বেলা সেখানকার জাতিতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোর আগুন নাচ। হাতির পিঠের ”দোল-দোল-দুলুনি”! প্রথম গন্ডার, হরিণ আর পাখী! কতরকম পাখী ! প্রথমে গিয়ে চারিদিক শুনসান দেখে ভেবেছিলাম, ঠিক জায়গামতো এলামতো? তারপর ঠিকই মনে হয়েছে। আফসোস রয়ে গেছে বনের ভেতরে দিবা-রাত্রি রইিড করার জন্য গেলেও সেটা করা হয়নি, সময়টা তখন হঠাৎ করে খারাপ হয়ে গেছিলো!
আপনি না দুই সপ্তাহের জন্য কোথায় ঘুরতে যান
হুমম থারু সম্প্রদায়ের নাচ।
আরে যাচ্ছি রে ভাই, কাল সন্ধ্যেয়, হাঙ্গরের সাথে সাতার কাটতে , আসলেই। এখন খুশী?
facebook
ইবনে বতুতা ভাই, এই পোস্টাও তো কী মিষ্টি-ঈ-ঈ-ঈ-ঈ-ঈ-ঈ-ঈ-ঈ-ঈ-ঈ-ঈ-ঈ-ঈ-ঈ-ঈ
facebook
নতুন মন্তব্য করুন