এতো গেল আমার রিসেন্ট ইংরেজির কথা। আর ও একটু পিছিয়ে চলুন দেখে আসি আমার আর ও আগেকার ইংরেজি সঙ্ক্রান্ত আর ও কিছু অভিজ্ঞতার কথা। স্কুলে আমি মিডিয়াম টাইপের ছাত্রী ছিলাম। তবে উপরের ক্লাসে উঠার সাথে সাথে রোল কমে আসতে আসতে ক্লাস নাইনে এসে রোল হয়ে গেল তিন। রোল নাম্বারের ক্রমবর্ধমান হ্রাসে সবাই ব্যাপক খুশী। কেমন কেমন করে যেন আব্বা আম্মা আর আপুদের মাথায় ঢুকে গেল যে একটু ভাল করে পড়লে মাধ্যমিকে দাঁড়ায়ে পাস করে আসলে ও আসতে পারি, আর যদি তাও না হয় নুন্যতম চাঁদ তাঁরা হয়ে পাশ করে বের হতে পারবোই পারবো। যেই ভাবা অমনি আমার ইংরেজি সাহিত্যে সদ্য ঢোকা বড় আপু কোথা থেকে গাদা-খানিক ইংরেজির নোটস নিয়ে এলো। অজস্রবার ফটোকপি করায় ভাল করে পড়া যায়না এমন ঝাপ্সা হয়ে গেছে সেইসব নোটস। মহাউৎসাহে আপু সেইসব নোটস ওভাররাইট করে দিলো যাতে আমি পড়তে পারি। আর যেগুলার নোটস পাওয়া গেলনা, আপু সেগুলা দুই তিনটা বই ঘেঁটে নোটস করে দিলো, সহজ শব্দ বদলে দিলো কঠিন সমার্থক শব্দ দিয়ে। দিস্তা দুয়েক হোয়াইট প্রিন্ট কাগজ সুই দিয়ে সেলাই করে আমি ইংরেজি নোটসের একটা পুরা খাতাই বানিয়ে ফেললাম। সেটাতে খুব যত্ন করে আমার লাইন হয়ে যায় আঁকাবাঁকা, ভালো না হাতের লিখা দিয়েই লিখে ভরিয়ে ফেললাম। এরপর তুমুল উৎসাহে সেই নোটস পড়তে বসলাম। চৌদ্দবার করে ডিকশনারি নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করি, কারণ এতসব নতুন নতুন শব্দ আমি এই জীবনে তখন ও শুনিনি। আমার বন্ধুরা যখন পপি আর পাঞ্জেরী গাইডের নোটস পড়ে ফাটিয়ে ফেলসে আমি সেখানে এইসব উদ্ভট শব্দ দিয়ে তৈরি নোটস পড়তে গিয়ে নিজে ফেটে যাচ্ছি। পড়তে পড়তে বানান ও মনে রাখতে হয়, তাই একটা প্যারাগ্রাফ পড়ে আবার লিখতে হয় বেশ কবার যাতে বানান ভুল না হয়। এতো গেল ইংরেজি প্রথম পত্রের কথা। এবার আসি দ্বিতীয় পত্রের কথায়। শামসুননাহার ম্যাডাম তখন আমাদের এই ক্লাসটা নিতেন। ভয়েস, নেরেশন্স, ট্রান্সলেশন সবকিছুই আপা ক্লাসে একটাদুটা উদাহরণ করিয়ে দিতেন, আর অনুশীলনী সব বাড়ির কাজ দিয়ে দিতেন। এভাবে বাড়ির কাজ করতে করতে চৌধুরী এন্ড হোসেনের গ্রামার বইয়ের অনুশীলনী সব আমার করা শেষ হয়ে গিয়েছিল। অবশ্য অনুশীলনী করতে গিয়ে আমার ইংরেজি সাহিত্যে পড়ুয়া আপুর প্রাণরস নিংড়ে বের করে দিয়েছি প্রায়। আমি অনুশীলনীর সব শেষ করার পর ওকেই প্রথমে সেগুলা কারেক্ট করতে হত। আর তারপরই কেবল সেগুলা হোম-ওয়ার্ক হিসেবে স্কুলে জমা দিতাম। তো এই পরিমাণ কঠিন শব্দ নোটসে যোগ হবার পর স্কুলের পরীক্ষায় সবসময়ই বেশি মার্ক পেতাম ইংরেজি প্রথম পত্রে, দ্বিতীয় পত্রে ও ভালো করতাম তবে হায়েস্ট মার্ক পেতাম্না ঠিক। সবকিছু ঠিকঠাক মতই চলছি, কিন্তু ঝামেলা বাঁধলো মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট দেবার পর। দেখলাম দাঁড়িয়ে পাশ করতে না পারলে ও তারা নিয়ে পাশ করেছি সাথে সাতখান লেটার জুটেছে কপালে। তারা হয়ে পাশ করার খুশীতে আব্বাজান পাড়ায় মিষ্টির বন্যা বইয়ে দিলেন। কিন্তু যখনি মার্কশীট দিলো দেখা গেল ইংরেজি প্রথম পত্রে সাবজেক্টিভে পেয়েছি মাত্র ১৭। আমার তখন মাথায় হাত, এ কি করে সম্ভব। এত এত কঠিন শব্দ মনে রেখে পরীক্ষায় ঠিকঠাক লিখে এলাম আর কিনা আমাকে ১৭ দিলো মাত্র, যেখানে স্কুলে আমি ৩৩, ৩৪ এর কমে কখনো মার্কস পেতামনা। খোঁজ নিয়ে দেখলাম আমার আশেপাশের সব মেয়েদেরই নাম্বার বেশ কম এসেছে কিন্তু আমার মত ১৭ পেয়েছে এমন একখান ও খুঁজে পেলামনা। স্কুলের আপারা ও কানাঘুষা করছে খাতা নাকি মফস্বলে গিয়েছি, অগা-মগা টিচাররা খাতা দেখেছে নইলে আমাদের সেরা মেয়েরা ইংরেজিতে এত কম মার্কস পাবে কেন!!
স্কুলের পাট চুকিয়ে এলাম নতুন কলেজে। এইবার আর আমার আপুর কষ্ট করে নোটস যোগাড় করা লাগলনা। হলিক্রসে ইংরেজির টিচাররাই নোটস দিয়ে দেয়, ক্লাস-ভর্তি মেয়েরা সেগুলাই পড়ে, আমি ও সেগুলা দিয়েই পুরা কলেজ-লাইফ পার করলাম। বাড়তি পাওনা হিসেবে ইংরেজির টিচাররা ইংরেজিতে লেকচার দেন, বাংলা ছাড়া অন্য সাবজেক্টের টিচাররা ও অনেকে ক্লাসে ইংরেজীতে বলেন। বাংলা মিডিয়ামের ছাত্রী আমার সব বেড়াছেড়া লেগে যায়। বাসায় এসে বলতেই আমার আপু নতুন আইন পাশ করে ফেললো, এখন থেকে বাসায় আমরা সবাই ইংরেজিতে কথা বলা প্রাকটিস করবো। বাসায় অন্য ভাইবোনেরা কাইকুই করে, সেই আইন মানতে চায়না, আমি মিনমিন করে নিজের কথা ভেবেই রাজী হয়ে গেলাম। শুরু হোল ইংরেজি বলার প্রাণান্ত চেষ্টা। স্কুলে শেখা সব ট্রান্সলেশন দিয়ে ও ঠিকমত ইংরেজি বলে কুলিয়ে উঠতে পারিনা। ভুলভাল ইংরেজি শুনে আপু রেগে উঠে, এতদিনে এই শিখলি হতভাগী। ইংরেজিতে না কুলালে আবার সেই বাংলায় ফিরে আসি কদিন পরেই। আইনকানুন আগের থেকে একটু শিথিল হয়, আপু ও মনে হয় হাঁপিয়ে উঠে। এদিকে কলেজে তখন শুরু হয়ে গেছে সিস্টার যোসেফ মেরীর ইংরেজি বর্ণমালা শেখানোর ক্লাস। তাতে আমার উপকারই হয়েছে বেশ। আমি রুলটানা খাতা কিনে রোজ কলেজে দেখিয়ে দেয়া ইংরেজি বর্ণগুলা বাসায় এসে প্রাকটিস করতে থাকি।ভাইবোনেদের টিটকারীতে বাসায় টেকা মুশকিল হয়ে যায়, কিন্তু আমার অধ্যাবসায়ে অটল থাকি, মোটেই ঢিল দেইনা। অনেকের কাছে এই কমপ্লেন শুনেছি যে হলিক্রসের মেয়েদের সবার হাতের লিখা নাকি একি রকম। সবাই নাকি তেনাপ্যাচানোর মত পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে বাঁকাবাঁকা করে ইংরেজি লিখে। আসল কারণ একটাই, সিস্টার যোসেফ মেরীর বর্ণমালার এই ক্লাস। আমার মত নাদানের জঘন্য হাতের লিখা ও সাইজ হয়ে গিয়েছিল উনার পাল্লায় পড়ে। দীর্ঘদিনের অনভ্যাস চর্চায় এখন অবশ্য আবার আগের অবস্থায় ফেরত গেসে। আজকাল লিখতে হলে তাই টাইপ করে প্রিন্ট নিয়ে ফেলি কেউ এই পচা হাতের লিখা দেখে ফেলবে এই ভয়ে।
কলেজ শেষে এলাম বুয়েটে। এইখানে সবকিছু ইংরেজিতে পড়তে হলে ও টিচাররা কেউই ইংরেজিতে লেকচার দেননা তেমন একটা এক দুজন বাদে। ইংরেজি নিয়ে তেমন কোন বড় ঝামেলায় পড়তে হয়নি আর। তবে লেভেল থ্রি টার্ম টুতে একটা প্রজেক্ট ছিল আমাদের। কিছু একটা বানিয়ে দেখানো টাইপের। আমার সাথের প্রোজেক্ট-মেট কিসব সার্চটার্চ করে এসে বলে লাইনফলোয়ার রোবট বানানোর প্রোজেক্ট করবে। আমি বললাম আর ও একটু সহজ কিছু করা যায়না, শুনতে কেমন খটমট শোনাচ্ছে, কাজ করতে না জানি কি হয়। ও কিছুতেই প্রোজেক্ট বদলাবেনা, এটাই করবে। কি আর করা আমি আর অন্যজন রাজী হয়ে যাই। এইবার যখন কাজ শুরু হল, আমার সেই পাগলা প্রোজেক্ট-মেট দিনে ঘুমায় আর রাতে কাজ করে। আমি বলি রাতে আমি বুয়েটে আসবো কেমন করে!!! সে বলে আসা লাগবেনা, আমি কাজ করি, তোকে পরে বুঝিয়ে দেবনে। এরপর একদিন বলে রোবট বানানোর জিনিসপত্র কিনতে ধোলাইখাল যাবে। আমি বললাম আমি ও যাব। ও বলে তুই গিয়ে কি করবি, ঐ জায়গা ভালোনা, তোর গিয়ে কাম নাই, আর মামারা মেয়ে দেখলেই জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেবে। তো এইসব করে করে শেষে দেখা গেল আমি প্রজেক্টের তেমন কোন কাজ করিনি, ও একাই সব করেছে। কিন্তু প্রোজেক্ট প্রেজেন্ট করার সময় সবাইকেই প্রেজেন্ট করতে হয়। ও আমাকে তখন সব বুঝিয়ে বললো কি কি করেছে, কিভাবে করেছে এইসব। আমরা প্রেজেন্টেশন রিহার্স করলাম। এইবার ও আমাকে বলে তুই মেলা ঢং করে ইংরেজি কইতে পারিস, তুই প্রেজেন্টেশনে প্রথমে বলবি। আমি ও ঝামেলা না করে রাজী হয়ে গেলাম, এমনিতেই কাজ তো কিছুই করিনি। ফাইনাল প্রেজেন্টেশন এর দিন সব কিছু ঠিকঠাক মতই হোল, খুব সুন্দর করে প্রেজেন্ট করে আসলাম সব্বাই। মাঝে থেকে পোলাপান আমারে ঢঙ্গি ইংরেজি বলার টাইটেল দিয়ে দিলো। আসলে কলেজে পড়ার সময়ই ইংরেজি টিচারদের দেখে দেখে ইংরেজি বলার সাথে সাথে একসেন্ট ও যাতে ঠিক থাকে সেই প্রচেষ্টাটা মগজের ভিতরে কাজ করতো। আর বাসায় ও তখন ক্যাবল এর কানেকশন এসে গেছে, সময় পেলেই ধুমায়ে খালি এইচবিও না হলে স্টার-মুভিজ দেখে দেখে ইংরেজি এক্সেন্টের ইম্প্রুভ করার চেষ্টা করতাম। বুয়েট থেকে বের হয়ে বাইরে এসে বরং সিংলিস শুনে শুনে ইংরেজির দুরবস্থা হয়ে গেছে আবার। আমার সিঙ্গাপুরিয়ান বস ও মিটিং এর সময় কথায় কথায় বলতেন ওকে লা(ok), কেন কেন (can can)। প্রথম প্রথম এগুলা শুনতে কেমন যেন লাগত, এখন বেশ অভ্যস্ত হয়ে গেছি বলা চলে। নিজে ও বলে ফেলি মাঝেমাঝে। তবে আমার দেশী বস খুব সুন্দর করে গুছিয়ে এমনভাবে ইংরেজী বলেন যে উনার প্রত্যেকটা সেনটেন্স আলাদা করে বোঝা যায়। আজকাল আমি ওনার স্টাইল ফলো করার চেষ্টা করি, ধীরে সুস্থে কথা বললে চিন্তাভাবনা করা কথা বলার যেমন সুযোগ পাওয়া যায়, তেমনি এপ্রোপিয়েট শব্দ বাছাই করার সময় ও পাওয়া যায় ভালোই।
মন্তব্য
এক চুমুকে ( )পড়ে ফেললাম। ভালো লেগেছে। আপনার ইংরেজি যাত্রাপথ খুবই সুন্দর ছিল।
আমি প্রথম হয়েছি মন্তব্যে
ধন্যবাদ ভালো মানুষ ভাই।
আর যাত্রাপথ, এখন ও ঠিকমত ইংরেজী কইতে পারিনা ব্যাঙের ছাতা, নইলে কি আর বাংলায় এই রচনা লিখি, সচলের ইংরেজী সেকশনেই লিখতাম। আর প্রথম মন্তব্য করেছেন এই জন্য আপনাকে দিলাম ভর্তা করে খাবেন, বেশী কাঁচামরিচ দিয়ে ভর্তা করলে এর স্বাদ কইলাম অনন্য।
চাঁদ নাকি তারা নিয়ে পাশ করেছিলেন?
লেখা ভালং লেগেছে।
সুলতান ভাই চাঁদ তারা সমগোত্রীয় শ্রেনীতে ফেলে দিসিলাম, ঠিক করে নেবোনে ভাই। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এত কষ্ট করে খুটিয়ে পড়েছেন, আমার চোখে ধরা পড়েনি এই ব্যাপারটা।
ওলে লা আমার সাথের সব এই স্টাইল। হংকং চাইনিজ।
প্রথম প্রথম অফিসে হাঁপিয়ে উঠতাম। আম্মাকে ফোন দিতাম, কেমন হাস ফাস লাগতো এই ভেবে যে শ্বাস ফেলতেও ইংলিশ বুলি । দিনে দিনে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।
তবে এখন আরো আতংকে থাকি ইন্ডিয়ান আর শ্রীলংকান দের ভীড়ে। ইন্ডিয়ান গুলো বিশেষ করে তামিল
আমার এক অস্ট্রেলিয়ান বস হাতে রেকর্ডার ধরিয়ে বলেছিলেন নিজেই নিজের একসেন্ট ঠিক করে নিতে পারবে যদি নিজে কি বলছো তা মনোযোগ দিয়ে শুনো।
আরো একজন বন্ধু যার ছিলো ভাষা শিখার শখ। সে এমনকি বাংলাও অতি শুদ্ধ করে উচ্চারন করতো। ওর কাছে থেকে কিছু অন্যায় আবদার পেতে এটা বললেই চলতো " যদি না দাও তবে অশুদ্ধ ভাষায় কথা বলবো।
পোষ্টের জন্য কৃতজ্ঞতা।
তামিল ইন্ডিয়ানরা কেমন যেন একটা ধাক্কা মেরে ইংরেজী বলে। তবে শ্রীলঙ্কানরা বিশেষ করে সিংহলীজদের ইংরেজী কিন্তু বেশ সুন্দর। আর চারপাশে এতরকমের এক্সেন্ট থাকলে নিজের এক্সেন্ট ঠিক করা ভীষণ মুশকিলরে আপু। আর অতি শুদ্ধ বাংলা শুনলে কেমন কেমন যেন লাগে আজকাল,বড্ডো ফরমাল মনে হয়, আর ও মনে হয় আমার খিচুরী বাংলাই বুঝি ঠিক। তোমার বন্ধু বেচারা, ভাষা নিয়ে ও তোমরা ওরে ব্লাকমেইল কর আহা,কি যে দিন আইলো!!
আর পোষ্টের জন্য কিসের আবার কৃতজ্ঞতা, এত কষ্ট করে আমার আব্জাব লিখা লোকে পড়ে এই জন্য আমিই বরং সবার কাছে মেলা কৃতজ্ঞ।
ইংরেজী কি এত সহজ!!
মোখলেস আমাকে কথা দিয়েছিল সাত দিনে ইংরেজীতে আলেম বানিয়ে দেবে। কথা রাখেনি মোখলেস!! ৩৩ বছর কেটে গেছে আজকে তার কথা মনে পড়লো
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
৩৩ বছর কেটে গেছে আজকে তার কথা মনে পড়লো
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
ডাকঘর | ছবিঘর
নীড়দা ব্যাপক কইছেন পুরাই লা-জোওয়াব।
খুবই ভাল লাগল।
অনেক ধন্যবাদ স্বপ্নখুঁজি।
ভাষা বলার ক্ষেত্রে কাউকে অনুসরণ করা ভাল তাহলে নিজেকে সেভাবে গড়ে তোলা যায়। চালিয়ে যান । লেখাটা ভালো লেগেছে অনেকের মতো আমিও এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ অমি সাথে থাকার জন্য। তবে কাউকে অনুসরন করলে ও আসলে সবার নিজেরি বোধকরি একটা নিজস্বতা আছে, সেটা কথায় ও চলে আসে।
ভালো থাকবেন।
জিআরই পড়তে গিয়ে মাথার চুল ছেঁড়াবেড়া হয়ে যাইতেছে ।
আপু কোন ডিপার্টমেন্ট ছিলেন ? কোন ব্যাচ ?
ভাগ্যিস আমার জিআরই লাগেনি, মাথায় চুল এম্নিতে সব পড়তির দিকে:p। আমি মেকানিক্যাল ভাইয়া, আর ব্যাচ হইলো গিয়ে যারে বলে ইয়ে মানে বুড়া ব্যাচ ০১।
মেকানিক্যাল '০১ বুড়া ব্যাচ হৈলে মেকানিক্যাল '৮৯ কী? ফসিল? নাকি মমী?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
শরীরের যত্ন নাও পাণ্ডব, নৈলে মমি বা ফসিল হৈতে তোমার আর বেশি বাকী নাই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
পাণ্ডবদা, এখন মনে হয় ব্যাচ ১১ ঢুকছে বুয়েটে , আর কতকাল আর জোয়ান থাকমু, বুড়া না হয়ে উপায় আছে নাকি!আপ্নারা ও বুড়া আমরা ও বুড়া কোন পার্থক্য নাই, খালি কেউ একটু কম আর কেউ এক্টূ বেশী বুড়া এই যা।
আপ্নে দেখি আমার ব্যাচমেট!
আপনি ০১ নাকি????
হুমমম
আপ্নারে চিনছি।
আমি তো চিনলাম না
কদিন আগে বোধহয় আপনার পিচকার ছবি দেখলাম ফেসবুকে, আমার বন্ধুলিস্টের কেউ কমেন্ট করেছে, এখন ঠিক মনে পড়ছেনা।যাকগা চিনে ফেললে কই যামু ।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
কাকতাল, আমার বড়াপুও হুবহু ঐ একই কাজটা করেছিল। নোট গুছিয়ে দিত, নোট করার কায়দাটাও ধরিয়ে দিয়েছিল। আরও হয়তো এগুতোম যদি না আমি ফাইভে উঠতেই ও শ্বশুরবাড়ি চলে যেত।
আমার ওর সাথে লাগত বাসায় ইংরেজি পত্রিকা রাখা নিয়ে। পত্রিকা পড়ার নেশা ছিল। কিন্তু পত্রিকার ঐ ইংলিশ তো আমার জন্য রীতিমত হিব্রু তখন!!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
আহা এত মিল আপনাকে চিমটি যান । আমি ইংরেজীর পত্রিকা পর্যন্ত যাইনা বাবারে, আমার পেটে এত বিদ্যা নাই রে ভাই। ইংরেজী মুভী দেখতাম সেটাই বিশাল ভাব ছিল, পত্রিকা পর্যন্ত যাবার হ্যাডম আছিলনা আমার।
ভালো, ইংরেজির একাল আর সেকাল জানলাম, পরবর্তীকালেও সেটা কাজে লাগবে কিন্তু
তানিম ভাই দোয়া করেন আর যেন পরবর্তীকাল বলে যেন কিছু না থাকে। মেলাকাল ইংরেজী পড়লাম আর না ভাই।
আফসোস আমার কোন বড় আপু ছিল না, তাই মনে হয় ইংরেজিটা ঠিক মত শিখতে পারলাম না
সবুর করেন যে বড় আপু নাই , নইলে যেইসব আইন-কানুন করে দিত, তখন জীবন ছেড়াবেড়া হয়ে যেত বুঝলেন ধূসর জলছবি । বেশী কিছু বল্বোনা আমার আপাজান আবার ব্লগ পড়বেন তাকে ও লিঙ্ক দিয়েছি আমারে তুলাধূনা করে ফেলতে পারে।
হে হে আপনিও হলিক্রসীয় বান্দা.........
জাউজ্ঞা, বুড়া বয়েসে মিডিয়া সায়েন্সে পড়তে গিয়ে প্রেজেন্টেশন নামক এক ভূত এর জন্তনায় যা নাকানি চুবানি খাইছি সে আর কহতব্য নয়। বেশীরভাগ সময়ই প্রেক্টিক্যাল কেলাসে আমার অফ প্রিরিয়ড হৈয়া যাইত। কয়েকটা বাচ্চা প্রফেসর ছিল, বয়েসের লেহাজ কইরা কিছু কইত না আরকি! তবে এখনো অংরেজীতে অজ্ঞই রইয়া গেলাম। আপচুস। দীর্ঘশ্বাস।
ডাকঘর | ছবিঘর
আর বইলেন না তাপসদা, প্রেজেন্টেশনে প্রত্যেকবার আমার যেটা হয়, কথা মনে আসেতো মুখে আসেনা, হয়তো ভাবছি একভাবে মুখে বলে দিয়েছি অন্যরকম, তখন নিজের চুল নিজের ছিড়তে মন চায়।
বাংলাই জানি না ঠিকমতো, আর আংরেজি!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মিস বন্দনা,
আপনার বন্দনা গাইতে পারলাম না। আসলে এতক্ষণ কি পড়লাম তার কোন আগা মাথা পেলাম না। লেখাটা এক্কেবারে থিমলেস, বলাচলে ফালতু - যা একজন প্রকৌশলীর কাছ থেকে আশা করা যায় না। তবে সাবলীল ভাবে লিখে গেছেন শব্দের বিন্যাসও মোটামুটি। আর দৃষ্টিকটু বানান ভুল চোখে না পড়াতে একদমে পড়ে গেছি। লেখাটা শেষ হয়েছে হঠাৎ- যদিও এখানে শেষ হবার কথা ছিল না। লেখার নামটা মনে হয় এমনই হওয়া উচিৎ- 'আমার ইংরেজী চর্চার একাল সেকাল।'
কবে ছাড়া পাইছেন?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
..................................................................
#Banshibir.
যা তা.........
ডাকঘর | ছবিঘর
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
অনেকদিন পরে কেউ আমাকে মিস বললো ভাইয়া, কিন্তু আমি মিস না মিসেস না জেনেই মিস বলাটা কি ঠিক হোল।
আপনি বোধহয় ট্যাগ খেয়াল করেনি এটা একটা ব্লগরব্লগর ,তেমন কোন গুরুর্তপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখা না, তবু আপনার ভালো লাগেনি বিধায় আপনার সময় নষ্ট করার জন্য দুঃখিত। আর প্রকৌশলীর হলেই আমি থিমলেস কিছু লিখতে পারবোনা এমন কি কোন রুলস আছে নাকি, My writing has nothing to do with my profession.আপনার এই কথায় আমার যা এক্টূ আপত্তি, সেটাই জানিয়ে গেলাম। আর এরপর থেকে কিছু লিখলে আপনাকে পাঠিয়ে দিতে পারি যদি সময় করে শিরোনাম ঠিক ঠিক করে দিতেন ভালো হত, এটা কিন্তু ঠাট্টা না আমি আসলেই খুঁজে পাইনা কি শিরোনাম দিব।
আমি তো বাংলা ইংরেজী কোনটাই ভালো জানিনা, হুদাই ভাব লইলাম পোষ্ট লিখে।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
রুহুটা কেপে উঠল,ইংরেজীর কতা হুনে।
আপনার নিজের রুহুকাঁপানো গল্প বলেন আমাদের রুহু ও একটু কাঁপুক নাহয়।
হ্যা, মেলাদিন পরে একটা রুহু কাপানো লেখা পড়লাম,আরো ঘনঘন লিখুন,ধন্যবাদ।
ভাই আপনার রুহু কাঁপানোর জন্য লিখতে হইলে আমার লাইফে এমন রুহুকাপানো কাহিনী ভুরেভুরে থাকা লাগবো, এমন বদদোয়া দিয়েন না ভাই।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ লিখা পড়ার জন্য।
রুহু কাঁপানো লেখা কি আর সবাই লিখতে পারে ভইনডি,তয় আপনে পারেন।
ওরে, ইংরেজির কথা শুনে মাই হেড ইজ লোড।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
লোড নাকি লোডেড আশাদি ?
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ওইটা 'লোড' ই রে ভাই। এইটা যে 'লোড' ই সেটা নিয়ে একটা গল্প আছে। আরেকদিন বল্বনে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
গল্পের লোভ দেখিয়ে কেটে পরার মানে কী? আপনাকে না কে কে ঠান্দিদি ডাকে? ঠানদিদিরা কি কাট মারে? কল্যাণদা, গুতানোর দায়িত্ব নেন।
আশাদি দাঁড়ায়ে যারা পাশ করে আসে তাদের মুখে একি কথা শুনি।
আমার ইংরেজি শিক্ষার সকল ক্রেডিট কার্টুন নেটওয়ার্ক এর। গ্রামার এর খেতা পুড়ায় আমি আর আমার ভাই মনের আনন্দে ইংলিশ ছুটাইতাম। আর আব্বা আম্মাকে খামাখা, " পিঠ খাউজানো", " বায়ুত্যাগ", "পেট ভুটভাট করা" এইসব জিনিসের ইংলিশ জিজ্ঞেস করে ভাব নিতাম, যে "দেখ, কত্ত ইংরেজি শিখছি, কার্টুন দেখা খুব ভাল জিনিস, পিলিজ লাগে, ডিশ এর লাইন কেটে দিও না।" এইটার ফলে যেটা সুবিধা হইছে, তা হইল ইংরেজি বলতে গেলে আমাদের মনে মনে অনুবাদ করা লাগে না, কারন তখন সোজা ইংরেজিতেই চিন্তা করতে পারি, ফলে অনেক আরামে বাতচিত চালানো যায়। এবং এখনো আমি গ্রমারের খেতা পুড়ি।
এ্যাকসেন্ট নকল করতেও আমার খুব মজা লাগে এবং নিজের অজান্তেই দেখা যায় যার সাথে কথা বলছি, তার এক্সেন্ট কপি করে ফেলছি, আমার অস্ট্রেলিয়ান সুপারভাইজান ভাবতো আমি কি সুন্দর অসি এক্সেন্টে কথা বলি, ব্রিটিশরা ভাবে ব্রিটিশ, আমাদের গাড়ির ড্রাইভার ভাবে চাপাইনবাবগঞ্জের এক্সেন্ট সে আমাকে ভালই শিখাইছে। খালি ভারতীয়দের সাথে কথা বলার সময় সাবধানে থাকি যাতে ওদের ইংরেজি এক্সেন্ট চলে না আসে, আবার ভাবতে পারে যে ভেঙ্গাইতেছি।
বিঃদ্রঃ আবার ভাইবেন না, ইংলিশ মিডিয়ামের পুলাপান হয়ে ফুটানি মারতেছি, আমিও হলিক্রস, আর ভাই গল্যাহাস।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
পেট ভুটভাট করা -এটার ইংরেজি কী??
মনে হয় রাম্বলিং স্টমাক! বললাম তো গ্রামার টামারের খেতা পুড়ি, যা মনে আসে বলে দিবেন। অন্যজনেও ইংরেজিটা জানে না এইটা আগে সিউর হয়ে নেয়া ভালো অবশ্য।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
হ, ভারতীয় উচ্চারণ ডেঞ্জারাস! ট ট ট ট ট ট
facebook
উহু! উহু! আদপের সাথে বলেন, ট্টা, ট্টী, ট্টো। ট-বর্গীয় সব শব্দে এক্সট্রা জোর দিতে হবে, যেমন আরবিতে ক-বর্গীয় উচ্চারণ করার সময় এক হাতে গলা চিপা দিয়ে ধরে সহি উচ্চারণ করতে হবে। ইতালিয়ান বলার সময় টক আচার খাওয়ার মতো শব্দ হবে
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
উত্তর হইছে । অভিধান খুইলা দেখছি ।
আয়েলটস পরীক্ষার্থি কেউ থাকলে একটা উপদেশ । লিখিত পরীক্ষায় অবশ্যই নির্দিষ্ট শব্দের বেশি লিখবেন। আমি একটা অংশে ৫ টা শব্দ কম লিখাতে পুরা ১ নম্বর কেটে রাখসিল। আবার দেয়া লাগছিল।
আপনি এইরকম অভিধান নিয়া ইজ্জত পাংচার করতে আসবেন জানলে টেরাই ও নিতাম না কি একটা ছিরিংখলার মধ্যে পড়লাম রে বাবা। ফটর ফটর ইংরাজি বুলব তার উপায়ও রাইখলেন না গো।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
এমন হুটহাট অভিধান খুললে তো ব্যাপক সমস্যারে ভাই, আমার তো জিআরই, আয়েল্টস কিছু দেয়া নাই। কখন ও দিলে আপনার উপদেশ মাথায় রাখলাম।
আরেকটা যোগ করলাম, স্পীকিং টেস্টের সময় এক্সামিনার না থামানো পর্যন্ত বকবক করতে হবে। আমি প্রতিটা প্রশ্নের টু দা পয়েন্ট (আমার ধারনা) উত্তর দিয়ে চুপ করে যাওয়াতে আধা মার্ক কম পেয়েছি (আমার টার্গেট থেকে)। আমার অভিজ্ঞ বন্ধু পরীক্ষা হয়ে যাবার মাত্র পাঁচ মিনিট পর ফোন দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছিল
আপনাকে টিপসের জন্য।
আমার মেয়েরা এইসব শব্দের বাংলা মানে জিজ্ঞেস জানতে চায়। বিশেষত বায়ুত্যাগ। এবং জানার পরে সেই শব্দটা নিয়ে দিনরাত হাসাহাসি করে যতক্ষণ পর্যন্ত ওদের মা হুংকার দিয়ে থামিয়ে দেয়। দুনিয়ার সবদেশেই মনে হয় বাচ্চাদের দুষ্টামি একই পদের।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
গ্রামারের আমি ও খেতা পুড়ি। খালি লেখার সময় একটু পাত্তা দেই আর কী। আপনি তো পুরাই ফটোকপির মেশিন দেখতেছি।
অহ আর আপনি যে হলিক্রসের সেটা আমি জানি।
ছবিতে পিছন দিয়ে থাকলে আমি চিনব কেম্নে তুমি কে? বুঝতেছি তো তুমি আমার কেলাশমেট, যেহেতু '০১ ব্যাচ।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
হাহাহা, এখানে তো কওয়া যাবেনা আফা, তয় আমি আপনার ফেসবুকে আছি, এইবার বুঝতে কষ্ট হবার কথা না।
বুয়েটে পড়তে গিয়ে ইংরেজির সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে। বুয়েটের পরীক্ষায় যেই ইংরেজি লিখতে হতো আমাদের সময়ে তার প্রচলিত নাম ছিল - টারজান ইংলিশ। অর্থাৎ টারজান যেই ইংরেজি বলে - টারজান লাভ জেইন। পাশ করে দেখি আমি নিজেও টারজান হয়ে গেছি।
মার্কিন দেশে আসার আগে টোফেল আর জিআরই দিতে দিয়ে শুদ্ধ ইংরেজি লেখার চেষ্টা শুরু করি। মার্কিন দেশেও কোর্স শুরুর আগে ইংরেজি জ্ঞান যাচাই করে নেয় - অন্তত আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে সেটা দেখেছি। সৌভাগ্যক্রমে সেই পরীক্ষাতে পাশ করাতে আর কোর্স নিতে হয় নি। কোর্সগুলোকে বলে ইএসএল, যারা নিয়েছিলেন তারা সব্বাই বলেছেন যে এতে তারা লাভবান হয়েছেন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ইংরেজি সবচেয়ে ভাল পারতাম ক্লাস নাইন-টেন এ। নোট-গ্রামার-স্পেলিং-ভোকাবুলারি-ট্রান্সলেশন সব ছিল মারাত্মক। কলেজে একদিন পড়েই ইংরেজি পরীক্ষা দেয়া যেত। টেরেন্স পিনেরো স্যার বলছিলেন ইউনিভার্সিটি-বুয়েটের লুকজনের ইংরেজি নাকি হাস্যকর, তখন বিশ্বাস করি নাই।
বুয়েটে আসলেই টার্জান ইংলিশ! বুয়েটের স্যারদের অনেকের ইংরেজি অবশ্য বেশ ভাল, আবার কারও কারও শিম্পাঞ্জি লেভেলের। "চুপার চ্যাচুরেটেড চলুশন" আর "রিচার্চ" ওলা জ্ঞানীর সংখ্যা বেশি। ইংরেজির দফারফা হয়ে গেছে ৫ বছরে। কানাডা আসার পর ভোকাবুলারি আরও কমছে। রিসার্চ পেপার লেখা ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে মোটামুটি ৫০০ শব্দের (অনেক!) ভোকাবুলারি থাকলেই চলে যায়। এখানের স্কুলে যখন পোলাপাইনের গ্রামার-স্পেলিং দেখে মেজাজ খারাপ হয়, তখন নিজেরে ইংরেজিতে ব্যাপক জ্ঞানী মনে হতো।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
"চুপার চ্যাচুরেটেড চলুশন" এর কারন মনে হয় বিশেষ একটা এলাকা
ও, সেটা জানতাম না। মনে হয়নি কখনো উনি সেই জায়গার...
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল
তবে ওভারঅল টারজান ইংলিশ ছিলো না বোধহয়।
বুয়েটের পরীক্ষায় আদৌ কি কেউ ইংরেজি লিখতো বা লিখে? ইংরেজির নামে সবাই ওইখানে যা করে তাকে বাইরের বিশ্বে বলে 'প্লেজারিজম'- মূল কোনো বই থেকে রেফারেন্স না দিয়ে হুবুহু পরীক্ষার খাতায় তুলে দেয়া। যে যত বেশি কমা, সেমি-কোলনসহ মুখস্থ তুলে দিতে পারবে, তার তত বেশি নাম্বার!
অংক বাদ দিলেন কেন?
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
বুয়েট থেকে সার্টিফিকেট দেয় যে "এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়াম অফ ইনস্ট্রাকশন ইংরেজি" - এটা নির্জলা মিথ্যা সার্টিফিকেট
বাইরের ইউনিগুলা ও জানে তাই এই সার্টিফিকেটের আসলে কোন দাম নাই।
তানভীর ভাই, পরীক্ষার হলে কি রেফারেন্স উল্লেখ করা লাগে?
বুয়েটে আমরা যখন লিখতাম দু-একটা বাংলামার্কা কোর্স ছাড়া অন্য কিছুতে কি ঐভাবে মুখস্তের কিছু ছিল, তাও আবার দাড়ি কমাসহ লিখা। বুয়েটের পোলাপান সবসময় ফাঁকিবাজ কিসিমের, পিএলের আগ ছাড়া তো সারাবছর পড়েই না। তাদের জন্য দাড়ি কমাসহ মুখস্ত করে পরীক্ষার হলে লিখে আসা এক্টূ কঠিনই বৈকি।
বিদেশে পরীক্ষার খাতায় অবশ্যই লাগে। অন্তত "According to the text" এইভাবে বলা লাগে। আর 'টেইক হোম' এক্সামে তো রেফারেন্স নিচেই দিতে হয়। আপনি অন্যখান থেকে হুবুহু মুখস্থ করা কোন কিছু নিজের বলে লিখে দিবেন- এটা কখনই গ্রহণযোগ্য না।
হে হে...জিপিএ যত বেশি, দাঁড়ি-কমাসহ মুখস্থের পরিমাণও তত বেশি। ফাঁকিবাজদের মুখস্থ লেখা যেমন কঠিন, স্যারদের খুশি করে ভালো জিপিএ পাওয়াও তেমন কঠিন। আমাদের বিভাগে বাংলা মার্কা কোর্সের সংখ্যা ছিলো বেশি, তাই পেইনও ছিলো বেশি। তবে যাদের 'বাংলা' কম, সেখানে ভালো ছাত্ররা শুঞ্ছি বাংলার পাশাপাশি অংকও মুখস্থ করে
শুধু ভালো ছাত্ররা অংক মুখস্ত করে এটা ঠিক না
একবার ফাঁকিবাজি এতই চরমে উঠে গিয়েছিল যে পরীক্ষার দুই দিন আগে প্রথমবারের মত কোর্সের অংক করতে বসেছিলাম। মোটা মাথায় যখন কোনভাবেই কিছু ঢুকছে না, তখন উপায়ান্তর না দেখে হারমোনিকসের পাঁচ পাতাওয়ালা কিছু অংক মুখস্ত করে ফেলি। কোনভাবে এফ এড়াতে পেরেছিলাম।
আপনি বলতে চান , হারমনিকসের অঙ্ক আসলে কষে সমাধান বের করা যায়, মুখস্ত করতে হয় না??
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আরে আপনি দেখি লাইনের লোক! আমি ভেবেছিলাম আমি একাই অংক মুখস্ত করা পাবলিক
তবে নিশ্চিতভাবেই স্ট্যাট ক্লাসে উদাহরন দেয়া ডাটা টেবল মুখস্ত করে পরীক্ষার খাতায় লিখে দিয়ে আসেননি। এটাও ডি।
ইস রে আমরা এই টারজান ইংরেজী কাহিনি জানতামনাতো তাসনীম ভাইয়া। তবে বুয়েটের পরীক্ষায় যেসব ইংরেজী লিখছি স্যাররা মার্কস দিসে এইটাই বেশী।
আমি নিজে ও ইংরেজীর তিনটা কোর্স করেছি আমার ইউনিতে, বেশ উপকার হয়ছে পেপার আর থিসিস লিখার সময়।
আমাদের বাচ্চারা তো এই বয়সেই ধুমসে টারজান ইংলিশ লিখে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপ্নের ইংরেজি আর আমার বাংলা! স্কুলের প্রথম বালক হওয়াতে নিজের স্কুলের সবাই আর বাইরের স্কুলের যাদের কাছে পড়তাম তারা আশা করছিলেন আমি সাম্নের দিকে দাঁড়ায়ে পাশ দিব। অতি প্রশংসা মানুষের কত ক্ষতি করে তার শিক্ষা তখন পেয়েছিলাম। নিজেরে ব্যাপক কাবিল কিছু ভাবতাম। বাংলায় ভাল ছিলাম খুবই, হাড় কঞ্জুসদের কাছ থেকেও মিনিমাম ৩২-৩৫ নিয়া আসতাম। সেই আমি লিখিত বাংলা ২য় পত্রে ২২ পাই! ৩০ পেলে দাঁড়ানো হয়ে যেত। সবাই এই নাম্বারে টাস্কি খেয়ে গেছিল। মা-বাবা খুব দুঃখ পেয়েছিলেন। যাউজ্ঞা। এখন ঐসব কথা মনে পড়লে হাসি পায়। সেইযে মাটিতে পা দিয়েছি, আশা করি আর জীবনেও নামবো না। ইন্টারেও একই কাহিনী তবে এইবার বাংলা-ইংরেজি দুইটাতেই!
এখন যেমন লাখে লাখে জিপিএ ফাইভ দেখলে খুব কষ্ট হয় ছেলেগুলোর জন্য, অনেক সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যায় নিজেদের অনেক জ্ঞানী ভাবার কারণে- অনেকেই ঝরে যাবে এখান থেকে শুধু অবহেলা-অহংকারের কারণে। পথের শেষটাই আসল...
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমার কিন্তু মাটিতে পা মেলা আগে থেকেই, লোকে কইলে ও আমার পা আকাশে উঠতোনা। তবে সব বাবামায়ের স্বপ্নই সম্ভবত আকাশচুম্বি।
এটা দেখেছি ইন্দোনেশিয়ায় এবং প্যাসিফিক দেশগুলোতে চাইনিজ মেয়েরাই বেশি 'লা' যুক্ত করে কথা বলে, যেমন, ওকে লা, নো লা, গুড লা, ইত্যাদি।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ঠিক বলেছেন রাতঃদা,সব কথার শেষে লা বলা এদের অভ্যাস, কি যে বিরক্ত লাগে শুনতে। তবে মেয়ে ছেলে নির্বিশেষে সবাই বলে।
আমার ভ্রাতা সিঙ্গাপুরে চাকরি করতে গিয়ে চৈনিক বালিকাদের সংস্পর্শে এসে এখন ইংরেজি তো বটেই, বাংলার সব কিছুর সাথেও লা বলা শুরু করছে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
খালি বালিকাদের দোষ দিবেন না দয়া করিয়া, বালকেরা ও কম যাননা।
হুহ, আপনে কি আমাদের জোকাররাণী উবাইয়ার চেয়েও ইসমার্ট ইংলিশ কইতে পারেন ?
আমাদের ক্লাসের সব মেয়েরাই ইংরেজিতে বেশি ভালো, সেই কারণে সারাজীবন ল্যাবে এদের ইংলিশ ঝাড়ি খেতে হয়েছে।
লিখা পড়তে পড়তে ভাবছিলাম, এরকম নিশ্চিন্ত নির্ভার লিখাও এত আরাম করে পড়া যেতে পারে ?
আমি ইলেকট্রিকাল ০৬, আপনার প্রায় সমাইন্যা। সদ্য গায়ে ইঞ্জিনিয়ার ট্যাগ লাগিয়ে বেকারস্য জীবন বাইছি।
[@ মুর্শেদ ভাইঃ মন্তব্য করলে গেলে ওয়ার্ড ভেরিফিকেশন করতে বলে। এই জিনিসটা একটা বিরক্তিকর পেইন। তার উপর কেমন লাগে, যখন দেখি, কোন ওয়ার্ড ভেরিফাই করতে হবে, সেইটাই উধাও ! ]
সরি। এটা একটা নোন বাগ। কিন্তু কেউ সমাধাণ করেনি। দেখি কিছু করা যায় কিনা।
সাত্যকি আমি কিন্তু ভালো ইংরেজী পারিনা, সারাজীবন ধরে চেষ্টায় সার ভাই। ইংলিশে ঝাড়ি দিতে পারা মেলা দূরের কাহিনি। আর তুমি আমার সমাইন্যা, এটা কি শুনাইলা ভাই, তোমরা যখন বুয়েটে ঢুকছো, আমরা তখন বেরিয়ে গেছি মনে হয়।
আমার একটা ছোট বোন হলিক্রসে পড়তো। সেটা অবশ্য আপনার সময়ের অনেক আগে। সেও ভালই ইংরেজী জানতো, তবে সে কোন পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলো, সেটা জানিনা।
আপনার ইংরেজী শিখন পদ্ধতি ভালোইতো।
আমি কিন্তু ইংরেজিতে ভালোনা, নইলে কি আর আজকে এই ইতিহাস রচনা করতে বসি, কি কষ্টটাই না পেয়েছি আর এখন ও পাচ্ছি।
ইংরেজী নিয়া বহুৎ হুজ্জৎ। তবে যেইটা চেষ্টা করি, সেটা হল বাংলা বলার মাঝে যেন ইংরেজী ঢুকে না যায়। আপাতত সেটা করতেই জীবন সড়গড়
কিন্তু এখনতো দেখি বাংলাদেশে বাংলা বলার মাঝে অর্ধেক ইংরেজী শব্দ না জুড়লে মান থাকেনা (ধারনা)। নাকি সঠিক বাংলা শব্দ চয়নে অক্ষম বলেই এমনটি ঘটছে ? এবং এটাই যদি সত্য হয় তাহলে বলবো, এরা না শিখলো বাংলা না পারলো ইংরেজী।
হ, ইংরেজি না মেশালে আপ্নে খ্যাত।
কিছু ইংরেজি শব্দের কিন্তু ভালো বাংলা নাই, সুতরাং চাইলে ও পুরা বাংলায় মাঝেমাঝে পুরা বাক্য গঠন করা যায়না। যেমন কদিন আগে কে যেন থিসিসের বাংলা একটা শব্দ বললো, এখন বলতে পারবোনা কারন এত কঠিন যে আমার মনে নাই।
সবই আসলে অভ্যেসের ব্যাপার। এই যেমন ধরেন আপনি যদি অধিসন্দর্ভে অভ্যস্ত হতেন, তাহলে থিসিস খটমট লাগত এখন।
হুম হুম হুম অধিসন্দর্ভ, মনে পড়ছে। অভ্যস্ততা অবশ্যই একটা বিশাল ব্যাপার।আপনার সাথে এই ব্যাপারে সহমত।
অভিসন্দর্ভ হবে মনে হয়, অধি না।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
ঠিক।
আমার বাংলার মাঝে ও ইংরেজি ঢুকে যায়, এই লেখায় ও একি কাহিনি হয়েছে। কিন্তু, আজকাল দেখি ইংরেজীর মাঝে ও বাংলা ঢুকে যাচ্ছে, পুরাই হজবরল অবস্থারে ভাই।
আপনার এই পুরনো কিন্তু মজাদার লেখাটা পড়ে স্কুল কলেজের কষ্ট করে ইংরেজি শিক্ষার দিনগুলি মনে পড়ে গেল ৷ তবে সেই কষ্টের প্রতিদান পেয়েছি ইউনিভার্সিটি জীবনে, ব্যবসায় শিক্ষার মোটকা মোটকা বই সহজেই উতরে গেছিলাম ৷ তবে স্টুপিড ছেমরা জাতীয় ঝারি আমাদের ইনস্টিটিউটর সব ছেলেদেরই শুনতে হয়েছে ৷
দক্ষিন ভারতীয় অ্যাকসেন্ট কানের পর্দায় ঠং করে একটা বাড়ি দেয়, সেই তুলনায় শ্রীলংকান অ্যাকসেন্ট অনেক সহনীয় ৷ আর আরবী অ্যাকসেন্ট শুনতে খারাপ লাগে না - অনেক কোমল উচ্চারণ ৷
জানি না এই মন্তব্য আপনার চোখে পড়বে কিনা
মরুচারী
নতুন মন্তব্য করুন