খোঁজ দ্যা সার্চ ফর ভায়োলিন স্কুল

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৭/০৬/২০১২ - ৮:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেশ অনেকদিন ধরেই ভায়োলিন নিয়ে মাথা একটু আউলা হয়ে আছে। ইউটিউবে বসে বসে সেড মিউজিক শুনি আর কবে এই সেড মিউজিক নিজে ভায়োলিন দিয়ে তুলতে পারবো সেই আশায় দিন গুনি। কিন্তু অকাজ নামের কাজের ঝুট-ঝামেলায় মিউজিক স্কুলের খোঁজ নিয়ে উঠতে পারিনি। তো গেল সপ্তাহে শুরু করলাম অপারেশন “খোঁজ দ্যা সার্চ ফর ভায়োলিন স্কুল"। বাসার কাছেই যে দুটা স্কুল আছে সেগুলাতে খোঁজ নিয়ে জানলাম আমার মত কামলা মানুষ যাদের উইক-এন্ড ছাড়া অন্য কোন সময় খালি নাই, তাদের জন্য এইসব স্কুলে আপাতত কোন স্লট খালি নাই। তো এরকরম খোঁজ করতে করতে একটা স্কুলে তো জিজ্ঞেসই করে ফেললো যে আমার বাচ্চার জন্য খোঁজখবর করছি কিনা, কত বয়স আমার বাচ্চার। আমি আমতা আমতা করে বললাম, “না মানে আমি আমিই সেই ধাড়ী মহিলা যে কিনা ভায়োলিন শিখতে চাই"।সেই মহিলা ও লজ্জিত, আমি ও মহাবেড়াছাড়ায় পরে গেলাম। তো যাই হোক, অপারেশন খোঁজ দ্যা সার্চ ফর ভায়োলিন স্কুল এর ফলাফল দাঁড়ালো কোন স্কুলেই স্লট খালি নাই, একটা স্কুলে স্লট খালি আছে কিন্তু শিক্ষক আবার চায়না হতে আগত, তার ইংরেজি খুব একটা যুতের না । আমাকে জিজ্ঞেস করা হোল আমি চাইনিজ পারি কিনা, আমি মাথা নাড়ি, এই ভাষাটা অনেকদিন যাবত শোনার পর ও আমার রপ্ত হয়নি, আসলে রপ্ত করার কোন ইচ্ছে ও জাগেনি কখন ও। মহিলা মনে হয় আমার কথায় একটু হতাশ হল, ছোট ছোট চোখদুটোকে আর ও ছোট করে বললো,” চাইনিজ বলা শিক্ষিকা ছাড়া অন্য কোন শিক্ষকের আপাতত কোন স্লট নাই"। পরে জানানো হবে বলে আমাকে ওয়েটিং লিস্টে রেখে বিদায় করে দিল ভদ্রমহিলা। আমি ও হতাশ বদনে বাসায় ফেরত যাই, এই জনমে বুঝি আর ভায়োলিন বাজানো হলনা মন খারাপ

এই ঘটনার পরদিনই কোন এক জাদুমন্ত্রবলে কিনা জানিনা তবে মিউজিক স্কুল থেকে ঠিক দুপুরের দিকে একটা ফোন এলো। রবিবারে ওদের একটা স্লট খালি হয়েছে , ঐ শিক্ষিকা ইংরেজি ও ভালো বলেন, আমি চাইলে ওই স্লটে ক্লাস করতে পারি। খুশিতে আমার বত্রিশ দাঁত বেরিয়ে গেল, এগাল অগাল হাসিতে বললাম, "অবশ্যই আমি এই ক্লাসে রেজিস্ট্রেশন করবো"। এরপর বললো, “তুমি কি আজকে এসে ফর্মালিটিগুলা সেরে যাবে, ভায়োলিন ও দেখে যাও, নইলে প্রথম ক্লাসটায় ভায়োলিনের অভাবে তোমার কিচ্ছু শেখা হবেনা"। আমি ও বাকুমবাকুম করতে করতে রাজী হয়ে গেলাম, আজকে অফিস থেকে ফেরার পথে স্কুলটা হয়ে যাবো বলে জানিয়ে দিলাম। এরপর ফোনটা রেখে দেবার আগে জিজ্ঞেস করলাম "আচ্ছা, ক্লাসের সময়টা যেন কখন"?? আমাকে আকাশ থেকে পাতালে নামিয়ে এনে মহিলা বলে কিনা সকাল নয়টায়!!!! আমার সাধের রবিবারের ঘুমটা শেষ। তবু ও ভায়োলিন শেখার আশায় মনের ক্ষোভ মনেই রেখে ঘুমটা সেক্রিফাইস করে আমি রাজী হয়ে গেলাম।

অফিস শেষে বাসায় ফেরার পথে মিউজিক স্কুলে চলে গেলাম। ভদ্রমহিলাকে গিয়ে বললাম, “(ধাড়ি বান্দা হাজির) এখন বল আমাকে কি কি করতে হবে"। মহিলা ফর্ম ফিল আপ করতে দিয়ে আমার সাথে গল্প জুড়ে দিল, স্কুল খুঁজে পেতে অসুবিধা হয়নিতো, কোথায় থাকি, কি করি ইত্যাদি ইত্যাদি। গল্প করতে করতে ফর্ম ফিলাপ ও শেষ হল। এটা সেটা করতে করতে ভদ্রমহিলা আমাকে হুট করে জিজ্ঞেস করে বসলো, “আচ্ছা এত কিছু থাকতে তুমি ভায়োলিন শিখতে চাইছো কেন, আমাদের-তো গিটার আছে, পিয়ানো আছে, বাঁশি আছে ওগুলা না কেন"?? আমি হেসে বললাম,” বাঁশি বাজাতে যে দম লাগে আমার ফুসফুসের সেই জোর নাই, তাই প্রথমেই ওটা বাদ। আর পিয়ানোর শব্দটা আমার কাছে কেন যেন খুব লাউড লাগে, আর সত্যি বলতে কি এত বড় একটা জিনিস বাসায় এনে রাখাটা ও ফিজিবল মনে হয়না। বাকী থাকলো গিটার, সেটা আমার কাছে মন্দ লাগেনা। তবে কিনা ইউটিউবে যখন আমি শুধুই মিউজিক শুনি, ভায়োলিনের শব্দটা আমার কাছে খুব টাচি মনে হয়েছে, ভায়োলিনের সেড টোনটা আমাকে খুব ছুঁইয়ে দেয়, খুব নাড়িয়ে দেয় ভিতরটা"। ভদ্রমহিলা বলে উঠলো,” তারমানে তুমি খুব ইমোশনাল, সেডনেস তোমার খুব প্রিয়"। মহিলার কথায় আমার ইমোশন আরো উপরে উঠে চোখের কোল হুট করে ভিজে উঠলো। আর সেই জল লুকাতে আমি চটজলদি মাথা নিচু করে ফেললাম। তারপর আস্তে আস্তে মাথা ঝাঁকিয়ে বললাম,” হুম তুমি এক্কেবারে ঠিক ধরেছো"'মনে মনে শুধালাম, আরে ইমোশনের দেখেছোটা কি শুনি। আমার চৌদ্দগুষ্টীতে সব্বাই ইমোশনাল। এত ইমোশন দেখলে মাঝেমাঝেই মনে হয় বাসায় সিনেমা চলছে নাতো । আর আমি ও মাশাল্লা-দিলে তাদের কাছ থেকে এত ইমোশন পেয়েছি যে এইটুক কথাতেই চোখে এভাবে জল আসে। একবার কি হোল শোন, স্কুলের ক্লাসটিচার শায়লা আপা ভুলে আমাকে বকে দিয়েছে আর তাতে আমার এত অভিমান হল যে শায়লা আপার সাথে ঠিকমত কথা বললাম না বেশ কদিন, বাতচিত প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিলাম, শুধু মাথা নেড়ে হা হু করে উনার কথার উত্তর করতাম। কিন্তু আমি ছিলাম ক্লাস-ক্যাপ্টেন আমার সাথে উনার কথা বলতেই হবে, তাইতে উনি কেমন কেমন করে যেন বুঝে ফেললেন আমার অভিমান হয়েছে কোন কারণে, আমি ঠিক উনার কথায় আগের মত আর সায় দিইনা। কদিন-পরি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,” কি আমার উপর খুব অভিমান হয়েছে বুঝি”, আর আমি ও পাগলী মেয়ে ভ্যাভ্যা করে কেঁদে দিয়ে বললাম, “এতদিন লাগলো আপনার সেটা বুঝতে"। আপা এইবার আমার ইমোশনের ঠেলা সামলাতে আমাকে জড়িয়ে ধরে রাখেন মেলাক্ষন। আশা করি প্রিয় পাঠক এতক্ষণে আমার ইমোশনের মাত্রা বুঝে ফেলেছেন। হুমায়ুন আহমেদের বইয়ে পড়া বুদ্ধির নিনিষ স্কেলের মত ইমোশনের যদি কোন স্কেল থাকতো, আমি নিজেকে এক্কেবারে উপরের দিককার নাম্বার দিতাম।

যাই হোক ভর্তি হয়ে যাবার পর ক্যাথরিন ভায়োলিন নিয়ে এলো আমাকে দেখাতে। আমার কোন সাইজটা লাগবে সেটা বোঝার জন্য তখন যেই টিচারের ক্লাস ছিল তার সাহায্য নেয়া হল। ভদ্র লোকের নাম সান্নী, আমার কাঁধে ভায়োলিন রেখে থুতনি তাতে চেপে ধরে মাপ ঠিক আছেনা দেখে নিল, তারপর বললো তোমার হাত দেখি(কেমন যেন ডাক্তারদের জিভ দেখির মত মনে হল), আমি ও সটান করে জিভ বের করার মত হাত এগিয়ে দিলাম। সব দেখেশুনে বললো হুম তোমার হাত ও বেশ ছোট, থ্রি-কোয়াটার ভায়োলিনই তোমার জন্য পারফেক্ট। এতদিন জানতাম থ্রি-কোয়াটার প্যান্ট হয়, ব্লাউজ বা জামার হাতা ও থ্রি-কোয়াটার হয়, কিন্তু ভায়োলিন ও যে থ্রি-কোয়াটার হয় সেটা জানা ছিলনা। যাই হোক সান্নিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে জানাতে আমি মুখে ফেনা তুলে ফেললাম। এরপর সোজা ভায়োলিন কিনে ফুরফুরে মন নিয়ে বাসায় ফিরলাম। রুমে ঢুকেই ব্যাগটা কোনমতে ছুড়ে ফেলে ভায়োলিনের উপর প্রায় ঝাঁপিয়ে পরলাম। কিন্তু হায় একি দশা আমার ভায়োলিনে কোন শব্দ বের হয়না। পড়িমরি করে আমার শেষ ভরসা ইউটিউবের দাঁড়্গ্রস্ত হলাম। ভায়োলিন ফর বিগেনার দিয়ে সার্চ করতেই সহৃদয় এক আফার একটা ভিডিও খুঁজে পেলাম, সেখানে কিভাবে প্রথম থেকে শুরু করতে হয় সব দেখানো হচ্ছে। আমি ডগমগ হয়ে ভায়োলিনের বোতে আচ্ছা-মত রেজিন মাখালাম এইবার, ভায়োলিন টিউনিং ও করলাম আমার সাধ্যমত। এইবার একটু একটু সাউন্ড বের হতে শুরু করেছে, তবে শব্দগুলা ঠিক সুমধুর বলা যাচ্ছেনা, তবে শব্দ হচ্ছে তাতেই আমি বেজায় খুশী। এইবার এই আফার পরের লিসনগুলা দেখে নিয়ে হাকল-বারী প্যানকেক বাজাতে লাগলাম। রবিবারের ক্লাসের আগেই কিছু যদি শিখে ফেলা যায় মন্দ কি। নিচে আমার সদ্যজাত ভায়োলিনের নিষ্পাপ ছবিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। দোয়া করবেন যাতে আমার ভায়োলিন শেখার যাত্রাটা শুভ হয় মানে মাঝপথেই যাতে ছেড়ে না দিই। মনে মনে আমার সাথে মিলাদের তোবারক গ্রহন করুন, সাথে বলুন আমিন। যারা দুঃখবিলাসী তাদের জন্য আমার খুব প্রিয় একটা ভায়োলিনের মিউজিক শেয়ার করছি

DSC02954


মন্তব্য

অরফিয়াস এর ছবি

আমি এইতো মাস ছয়েক হলো বেহালা কিনেছি, হোস্টেলে নিজে নিজে ওই বই আর ইউটিউব দেখে চেষ্টা করে তেমন এগোতে পারিনি, এখন দেশে এসে গুরু খুঁজছি| তবে সুর আর বাদ্যযন্ত্র সম্পর্কে যতটুকু ধারণা আছে তাতে এতটুকু বলতে পারি, বেহালাতে সুর তোলা খুবই কঠিন একটি বিষয়| আপনিও চেষ্টা করছেন আমিও করছি, দেখি কে কিরকম সুর তোলে| চোখ টিপি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

বন্দনা এর ছবি

প্রতিযোগিতা কইরেন না ভাইটী, আমি ছোট মানুষ এম্নিতে এক্টূ কম বুঝি,কম পারি ইয়ে, মানে... । দেখি স্কুলে যদি কিছু শিখতে পারি।সুর তুলতে পারলে আপনাদের সাথে শেয়ার করার আশা রাখছি।

অরফিয়াস এর ছবি

আরে প্রতিযোগিতা না, বলেন উত্সাহ। হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

অরফিয়াসের কি বাঁশি বাজানোর কথা না??

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অরফিয়াস এর ছবি

হুমমম বাঁশি বাজানোর কথাই ছিলো চোখ টিপি, কিন্তু এযুগে একটু বদলানো দরকার মনে হলো। দেঁতো হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

বন্দনা এর ছবি

বাঁশি বাজাতে মেলা দম লাগে, আমিতো বেলুনই ফু দিয়ে ফুলাতে পারিনা আর বাঁশী তো মেলা দূরের কথা।আমার প্রাক্তন ল্যাবমেট বাঁশী বাজাতো, ঐটাতে একবার ফু দিয়ে দেখছি, আমার ফুস্ফুস বড্ডো দুর্বল ইয়ে, মানে... , ফুই দিতে পারিনা ঠিকমত।

আকামের আবদুল এর ছবি

মাশাল্লা, দু'য়া করি য্যান তুমার ভায়ুলিন শিখার শনৈ শনৈ উন্নুতি হয়। আমার তো জেবনে কিছুই শেখঅ হলো না। ভাবছি এবার আম্রিকায় গেলে চ্যাষ্টা নিব নাকি শ্যাষটায়। বয়স মাত্রই ৬--!

বন্দনা এর ছবি

আপ্নার জন্য ও দোয়া দিয়ে দিলাম, আপনি ও যাতে এইবার কিছু শিখতে পারেন। হাসি
আপনার বয়স দেখে এক্টূ দ্বন্দে পরে গেলাম, আপনি কি বিলো ছয় বছর নাকি ভ্যাম্পায়ারের মত কয়েকশো বছর ঠিক বুঝলাম না অ্যাঁ

আকামের আবদুল এর ছবি

বিলো কি বলছেন ? একটু উপরেই হবে। ধরেন ৬১ পার। বাঁশি শেখার খুব শখ ছিল ছোট বেলা থেকেই, কিন্তু হয়নি!

বন্দনা এর ছবি

শুরু করে দিন ভাইয়া, এখন তো তেমন কোন প্রাফেশনাল হ্যাপা নাই নিশ্চিন্তে শিখতে পারবেন। আর শেখার তো কোন বয়স নেই।

আকামের আবদুল এর ছবি

@ বন্দনা
থ‌্যাংকু, মেনি মেনি থ‌্যাংকস।

তানিম এহসান এর ছবি

এত দুঃখবিলাসি হইলে চইলতন রেগে টং

বেহালা শুনলেই স্তব্ধ হয়ে যাই!

বন্দনা এর ছবি

এত সুন্দর একটা ভিডিও শেয়ার করলাম তাও রাগ করেন একদম ঠিকনা ভাইয়া।শিখতে পারলে আপনাকে স্তব্দ করে দিবনে যান।

অমি_বন্যা এর ছবি

দোয়া করি যেন ভায়োলিনের এক গুণী শিল্পী হতে পারেন। আমিন।

বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ অমি। হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভালো হইছে, এইবার ভালো করে শিখেন তাড়াতাড়ি।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে বইমেলায় কনসার্ট হবে
অরফিয়াস আর আপনে বাজাইবেন চোখ টিপি

সচলে কিন্তু একজন সিনিয়র ভায়োলিন বাদক আছে। অনার্য সঙ্গীত...
তাঁর পরামর্শ নিতে পারেন

আমি তাঁর কাছে ভায়োলিন শিখবো বলে ঘোষণা দিছিলাম, সে দেশ ছেড়ে পলাইছে... বুঝেন এইবার আমার দৌড়

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

বন্দনা এর ছবি

সিনিয়র বাদক থাকতে শিশু(লারনার)বাদকদের নিয়ে আপনি টানাটানি করেন এটা ঠিকনা নজু ভাই মন খারাপ । বাজানোর ডরে এরপরে বইমেলায়ই যাইতে পারুম্না দেখা গেল।
ভালু ভালু , সিনিয়র বাদক অনার্যরে তাইলে এইবার এক্টূ জ্বালানো লাগে।

উচ্ছলা এর ছবি

সফল হক আপনার চাওয়া। শুভেচ্ছা। লেখাটাও মজার হাসি
আর নেন একটা 'সেই রকম ভাল' বাদ্য শুনেন -

বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ উচ্ছালা। সবসময় আপনার মুড এত ভালো থাকে কেমনে।আমি ভায়োলিন শিখতে চাই দুঃখ দুঃখভাব জোরদার করার জন্য আর আপনি আমাকে দুমতারাক্কা বাদ্য দিলেন ইয়ে, মানে...

সত্যপীর এর ছবি

চমেতকার! এইবার বাদ্যবাজনা আপ্লোডান।

অটঃ চশমাওলা বালিশ ভালু পাইসি।

..................................................................
#Banshibir.

বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ পীরসাহেব, একটা তাবিজ দিয়ে দেন আমারে ,পীরসাহেবের দোয়া ছাড়া শুরু করলে অমঙ্গল হইতে পারে চিন্তিত । এমন তাবিজ দিবেন যাতে তাবিজের গুনে তাড়াতাড়ি শিখে ফেলতে পারি, তাইলে বাদ্যবাজনা আপ্লোড করে দিমুনে । খাইছে

সত্যপীর এর ছবি

এই দিলাম ফুঁ!

এইবার উচ্ছলা ম্যাডামের ভিড্যুর বালিকাদের মত বাজায়া ফাডায়ালান।

..................................................................
#Banshibir.

বন্দনা এর ছবি

শুধু ফুঁ তে কি হবে পীরবাবা, এক্টূ পানিপড়া নইলে একটা তাবিজ তো দেন পিলিজ লাগে আপনার।

সত্যপীর এর ছবি

পানিপড়া তাবিজ এগুলি ওলামায়ে ছু দের বাকোয়াস। আমি ওলামায়ে ফুঁ, হালাল ফুঁ দিয়া থাকি। বিফলে ফুঁয়ের বাতাস ফেরত!

..................................................................
#Banshibir.

বন্দনা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ধুসর জলছবি এর ছবি

জীবনেও কোন কিছু শিখতে চেয়ে শেষ পর্যন্ত যেতে পারিনি,মাঝপথে থেমে যাওয়া আমার বদভ্যাস। কোনও কিছুর দোষ না, আমারই কিছুদিন পর ইচ্ছে মরে যায়, কেন কে জানে ইয়ে, মানে... । ভায়োলিন শিখবো শিখবো বলে লাফিয়েছি, সেই ভায়োলিন এখন আমার ভাই বাজায়। গীটার কিনে কিছুদিন টুং টাং করে সেটাকেও ফেলে রেখেছি বহু বছর । আপনার ইচ্ছেটা শেষ পর্যন্ত থাকুক, এবং সফল হোক ,শুভকামনা রইল। হাসি

বন্দনা এর ছবি

আমার ও কিন্তু ভয় লাগছে ধুসর জলছবি, কাজের বেড়াছেড়ায় মাঝখানে না ছেড়ে দিই চিন্তিত । অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ভায়োলিন শেখার ইচ্ছা ছিল আমারও। কিন্তু ভায়োলিন বাজাইলে নাকি বাম কান ঠসা হয়ে যায়, এই কথা শুইনা ডরাইছি। আপ্নে ঠিকঠাকমত শিখেন আর আপ্লোডান।
অঃটঃ মোটামুটি মানের একটা ভায়োলিনের দাম কেমুন পড়তে পারে?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

বন্দনা এর ছবি

কবিসাহেব ঠসাটা আবার কি জিনিস অ্যাঁ । আমার কান ঠসা হইলে কি হবে, আমার কি ভয় পাওয়া উচিত নাকি বুঝতাছিনা। আমি ভায়োলিন স্কুল থেকে কিঞ্ছি, ১৬০ সিং-ডলার লাগলো। ওদের আর ও দামী ছিল কিন্তু আমি বিগেনার তাই প্রফেশনাল ভায়োলিন না কেনার জন্য ওরাই পরামর্শ দিল।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আমি কয়েকদিন আগে ভায়োলিন নিয়ে একটা আর্টিকেল পরতেছিলাম, ঠিক মনে নাই কোথায়। তা ওখানে লিখচে এরকমই, যে নিয়মিত বাজালে বাম কানের শ্রবণশক্তিতে প্রভাব পরে। লংটার্ম ইফেক্ট আরকি। সত্যি মিথ্যা জানা নাই। যাচাই করে নিয়েন।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

বন্দনা এর ছবি

আর ভয় দেখায়েননা কবিসাহেব মন খারাপ পিলিজ লাগে।

কৌস্তুভ এর ছবি

লন্ডনের এক বন্ধু বাজনায় ভালো, বাড়িতে এটাওটা আছে, এখন পিয়ানো শিখেটিখে চার্চের ওই গাব্দা অর্গানগুলো বাজানো শিখছে। তাকে বললাম, ভায়োলিন তোমার স্টাইলের সঙ্গে ভালো যায়, ওটা শেখো না কেন। সে বলল, ভায়োলিন শেখা বড়ই কঠিন, এই যেমন ধর ওতে গিটারের মত ধাপ কেটে দেওয়াও নেই...

অরফিয়াস এর ছবি

এটা ঠিক| হাতের আন্দাজ পাওয়া ঝামেলার|

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

কৌস্তুভ এর ছবি

হ্যাঁ, তার বক্তব্য ছিল, ভায়োলিনে হাতের আন্দাজ ঠিক করতে গেলে নিজের কানের নিখুঁত প্রিসিশন দরকার...

অরফিয়াস এর ছবি

হুমম, আরও কিছু হ্যাঁপা আছে, এই যেমন বো একটু এদিক সেদিক হলেই কর্কশ আওয়াজ বেরোতে থাকে, তার উপরে যন্ত্রটাকে কাঁধে বসিয়ে রাখাটাও বিশাল ঝামেলার!

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

কৌস্তুভ এর ছবি

হুমম, এইজন্যই বন্দনাদিকে বলেছিলাম, এত হ্যাপা করে ইউরোপ যখন আসছই তখন আরেকটু পশ্চিমে এসে অ্যামেচার বেহালাবাদকের বাসা ওরফে বেকার স্ট্রিটে একটা পেন্নাম ঠুকে যেও। তা কে শোনে কার কথা!

অরফিয়াস এর ছবি

দেঁতো হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

বন্দনা এর ছবি

হুম এরপর যেবার সুযোগ হবে তোরে এমন যন্ত্রনা করে আসবো যে পরেরবার আবার আসবেন এই কথাটাই আর বল্বিনা ভাইটী আমার শয়তানী হাসি । দেখি সুযোগ খুঁজতে থাকি যদি তোর ঐদিকটাতে গিয়ে একটু পেন্নাম করে আসা যায় ।

কৌস্তুভ এর ছবি

তা বটে, যদি এখানে এসে ইস্তকই মেঘের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে জল ঝরানো শুরু করো, তাহলে বিড়ম্বনায় পড়ব বইকি! খাইছে

তিথীডোর এর ছবি

খাইছে

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তারেক অণু এর ছবি

সাবাস! মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে হয়, ভেনেসা মে-র বাজানো কেমন লাগে?

বন্দনা এর ছবি

নাহ আপনার জন্য কোথাও একটু একলা চড়ে খাবো সেই উপায় নেই, সব জায়গায় আপনি আছেন অ্যাঁ
ভেনেসা মের একটা না দুটা শুনেছি, খুব বেশি শোনা হয়নি, তবে আমার জুলিয়া ফিশারের বাজানো বেশ শোনা হয়। দ্যা ফোর সিজন্স শুনেছেন, কি আশ্চর্য সবাই মনে হয় এটা খুব ভালো বাজায়, আমি এটা অনেকের বাজানোতে শুনেছি। অদ্ভুত সুন্দর এক্টা মিউজিক।

কড়িকাঠুরে এর ছবি

যারা কিছু বাজাতে পারে কেমন যেন হিংসা হয় তাদেরকে... সত্যি...
আপনি শিখুন- আপনাকেও হিংসা করবো না হয়... হাসি

বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ কড়িকাঠুরে ভাই। আমার কিন্তু পেটভর্তি হিংসা, যারা গান পার্‌ নাচ পারে, কোন বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারে, যারা আবার বেশি বেশি ঘুরে, সবাইরে আমার হিংসা হয় এখানে একজন আছে নাম বল্বোনা কিন্তু আপনার উপরের কমেন্টটা তার, তারে ও আমার মেলা হিংসা হয় খাইছে

কড়িকাঠুরে এর ছবি

সেইডা আবার কইতে হয়...
তবে উনাদের মতো কাউরে হিংসা করতেও কইলজা লাগে... একটা পিস...

অতিথি লেখক এর ছবি

বেহালায় সুর তোলা আসলেই ভীষণ কঠিন। আমি হাওয়াইয়ান গীটারে টুকটাক সুর তুলতে পারি তাই বেহালা সম্পর্কে কিঞ্চিৎ ধারণা করাই যায়। acharjee

বন্দনা এর ছবি

আমার তো কোন ইন্সট্রুমেন্ট সম্পর্কে কোন ধারনা নেই, আমি এক্কেবারে যারে বলে অ আ দিয়ে শুরু করবো, দেখি কতদূর কি হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

একাগ্রতা থাকলে একেবারেই অসম্ভব কিছু নয়।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

বাপ রে ভায়োলিন !!!

ঐটা তো শুনেছি বাজানো খুবই চাপের ব্যাপার। চিন্তিত

কতদিন পরে আপ্লোডাবেন কন। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

বন্দনা এর ছবি

আর ডর দেখায়েননা প্রদীপ্তদা, ডরে আমার কইলজার পানি শুকায়ে গেছেগা অল্রেডি। কতদিন পরে আপ্লোডামো এইটা এখন কইতে পারতেছি না, সপ্তাহে একদিন স্কুলে কতখানি শিখাবে আর আমি নিজে কতখানি কত তাড়াতাড়ি আয়ত্ত করতে পারবো সেটা এখুনি বলতে পারছিনা, তবে আমার শিখার ইচ্ছেটা অনেক আন্তরিক এটাই যা ভরসা।

রংধনুর কথা এর ছবি

শুভ কামনা রইল চলুক

বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ রংধনু, আপনাদের শুভকামনা আমার চলার পাথেয় হোক।

আশফাক আহমেদ এর ছবি

শুভকামনা। বেহালার ছবিটা চমৎকার

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

বন্দনা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আশফাক ভাই।

 মেঘলা মানুষ এর ছবি

আপনি যে লিংকটা দিয়েছেন ওইটা আমি প্রায় ৫০ বারের মত শুনেছি।
ইউটিউবে আরেকটা মেয়ের ভয়োলিন খুব ভালো লাগে ViolinTay এর।
খুব মজার ব্যাপার হল: অনেকেই কমেন্ট করে যা সে ভায়োলিনটে কে বিয়ে করতে চায়। গুগল এ ViolinTay লিখলেই প্রথম যে সার্চ সাজেশন আসে সেটা হল violintay married (!) অনেকে হয়ত যাচাই করেছে যে সে আসলেই বিবাহিত কিনা।

কিছুদিন এটা বাজিয়ে বাসার সবার কান ঝালাপালা করেছি: (গড ফাদার থিম ) youtube.com/watch?v=78MGq9asYd4

বন্দনা এর ছবি

তাই নাকি, আর ও অনেক সুন্দর সুন্দর ভিডিও আছে কিন্তু ইউটিউবে শুনে দেখতে পারেন।http://www.facebook.com/l.php?u=http%3A%2F%2Fwww.youtube.com%2Fwatch%3Fv... এটা ও শুনে দেখতে পারেন, কালকে এক ভাইয়া শুনতে দিল, এই লোক বেশ বাজায় ,মুগ্ধ হয়ে গেলাম শুনে। আপনার লিঙ্কটা শুনলাম বেশ ভালো লাগলো মেঘলা মানুষ। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

তিথীডোর এর ছবি

বেহালার ছবিটা তো চমৎকার! হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ তিথী। হাসি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

বেহালার জন্য শুভ কামনা রইল হাসি
শেখা হলে রেকর্ড করে পোস্ট করবেন সচলে হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

বন্দনা এর ছবি

তোমারেই খুঁজছিলাম মনে মনে, নজু ভাই কইলো তুমি নাকি সচলের সিনিয়র বাদক, এইবেলা কিছু টিপস ছাড় দেখি ভাই।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

একটা বই কিনতে পারেন ভারতীয় সঙ্গীতের প্রাথমিক বিষয়গুই জানার জন্যে: ছোটদের সা রে গা মা - ওস্তাদ মুনশী রইস উদ্দিন।
আরেকটা বই কিনতে পারেন বেহালা বিষয়ক প্রাথমিক কিছু বিষয় জানার জন্যে। বেহালা শিক্ষণ পদ্ধতি - আলাউদ্দীন মিয়া (ইনি আমার শিক্ষক)। এই বইটাতে অণুশীলনের জন্যে বেশ কিছু স্বরলিপি রয়েছে, বাজানোর জন্যের রয়েছে কয়েকটি রাগের স্বরলিপিও।

তবে পশ্চিমা বেহালা শিখতে চাইলে এই বই কাজে লাগবে বলে মনে হয়না।

একটা পরামর্শ: প্রথমে খুব কষ্ট হবে। আপনার তো বটেই, আপনার প্রতিবেশীদেরও! কিন্তু অণুশীলন বন্ধ করবেন না। বেহালায় সুর তোলা খুব সহজ। সেটাকে শ্রুতিমধুর করা কঠিন। যত বাজাবেন তত শ্রুতিমধুর হবে!

আর কী টিপস দেব বুঝতে পারছি না। কোন সমস্যায় পড়লে জিজ্ঞেস করতে পারেন! যতটুকু জানি সাহায্য করতে পারব। আমি যদিও খুবই কম জানি। হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

বন্দনা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ভাই, ধরে অনুশীলন্টা ধরে রাখার চেষ্টা করবো, মাঝেমাঝে হয়তো তোমাকে যন্ত্রণা করতে পারি।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

বেহালা দারুন একটা বাদ্যযন্ত্র কিন্তু আমি গিটারের প্রেমে এমনভাবে মশগুল যে আমার কাছে গিটারের তুলনায় অন্য কোনও যন্ত্রই বেশি ভালো লাগেনা। মাসখানেক আগে একদিন আমাদের বাংলার বাউল একাডেমিতে গিয়ে দেখি ওস্তাদজী বেহালা বাজাচ্ছেন। উনি আমাকে তার হাতের বেহালাটা ধরিয়ে দিয়ে বললেন দেখতে। আমি খুব ভাব নিয়ে গিটারের আন্দাজে ঘসাঘষি করতে থাকলাম কিন্তু দুই হাতের ব্যালান্স পেলাম না। খুউব কঠিন লাগলো।

আপনার বেহালা শেখা শুভ হোক। একদিন সামনাসামনি বসে শুনবো।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

বন্দনা এর ছবি

সবাই যেই হারে কঠিন কইতেছে, তাতে আমার কলিজা ভয়ে শুকায়ে যাইতেছে। বাজাতে পারলে অবশ্য শুনাবো রাতঃদা।

তাপস শর্মা এর ছবি

পুলাপান কতকিছু বাজায় মন খারাপ । আমি হালায় সেই ছুডু বেলায় তবলা বাজাইতে গিয়ে যে আঙ্গুলের মইধ্যে মাস্টর হালার বেতের বারি খাইয়া ভাগছি, এরপর আর কিছুই বাজাই নাই। ওঁয়া ওঁয়া

তয় এই যন্ত্রটার সুর ভয়ানক হৃদয় কাড়ে বন্দনা ম্যাডাম, তাত্তাড়ি শিখ্যা মিষ্টি মধুর সুর আপ্লোডান।

গীটারের শখ আছে, কিন্তু হল না আরকী...

বন্দনা এর ছবি

তাপসদা বাজনা কিন্তু একটু দুঃখ দুঃখ হবে মিষ্টী হবে কিনা এখন ও জানিনা। বাজাতে শিখলেই সচলে পোষ্ট দিব কথা পাক্কা।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

কথা কম, কাজ শুরু করুন। বাজনা শোনবার অপেক্ষায় রইলুম।
হ্যাঁ, লেখাটা ভালই লেগেছে।

বন্দনা এর ছবি

এমনে আমার জবান বন্ধ কইরা দিয়েন না পিলিজ লাগে ইয়ে, মানে... । বাজনা আগে শিখতে দেন কবির ভাই হেরপর শুনানো আশা রাখছি।

আশালতা এর ছবি

তুমি কি এনার্জি বিস্কুট খাও ?? এত ফুয়েল কইত্তে আসে ? অ্যাঁ

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

বন্দনা এর ছবি

দিদি কিছুই খাইনা, কামই করিনা, খালি আকাম করে বেড়াই, অফিসে বসে ও আজকাল ব্লগিং করী খাইছে , তাই এনার্জী বিস্কুট লাগেনা।কামের ফুয়েল আকামে ঢালি আজকাল।

নিলয় নন্দী এর ছবি

কলেজে পড়াকালীন সময়ে বংশীবাদনের রোগে ধরেছিল। অন্য কিছুর লিংক খুঁইজেন না কইলাম। খাইছে
সময়ের সাথে সাথে সেই রোগ ছেড়ে গেছে।
দোয়া করি, আপনার রোগ যেন ছেড়ে না যায়।

বন্দনা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- নীলয়দা।

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

সচলে পড়ার সাথে শোনার যোগ হচ্ছে জানতে পেরে যারপরনাই আনন্দিত বোধ করছি। অপেক্ষায় রইলাম সেই সুদিনের। (আর আমারও বিষাদের সুরই ভাল লাগে। কাজেই নিশ্চিন্তে থাকেন যে কমপক্ষে একজন শ্রোতা পেয়েই গেলেন।)

বন্দনা এর ছবি

যাক শুনে বেশ ভালো লাগছে। দেখে শিখতে পারলে ঠিকঠাকমত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।