লেক কনস্ট্যান্সের পথে-১

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৮/০৭/২০১২ - ৭:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইউরোপে গেলে অনেক কিছুই দেখে আসতে মন চায়, তবু সময়ের সীমাবদ্ধতার জন্য প্রায় সবকিছুই না দেখে ফিরতে হয়, কেবলমাত্র অল্প কিছু জায়গা ছাড়া। তাই যতটুকু সময় পাওয়া যায় ওইটুকুর সর্বোচ্চ ব্যবহার করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টায় কোন কমতি দিইনা। এবার ও সেরম করেই প্ল্যান দাঁড় করিয়েছিলাম। অনেকদিনের বাসনা ছিল ব্লাকফরেস্ট দেখবো। তো কিভাবে সেটা করা যায় এজন্য গুগল করা শুরু করলাম। জার্মানির ব্লাকফরেস্টের মাঝে দিয়ে ট্রেনের বেশ কিছু ট্রেইল চলে গেছে। তাই ট্রেনে চড়ে ভ্রমণ করে ব্লাকফরেস্ট দেখা ছাড়া আর তেমন কোন ভাল উপায় দেখলাম্না। ব্লাক-ফরেস্ট মূলত একটা রেক্টেঙ্গল এরিয়ার মত ১৬০ কিমি লম্বা জায়গা জুড়ে(উত্তর -দক্ষিণে) ছড়িয়ে আছে যার একমাথা কার্লসরুহে থেকে শুরু করে স্টুটগার্ড, বেসল হয়ে লেক কনস্ট্যান্সে মিশেছে। খুঁজেপেতে যেটা পেলাম, যদি অফেনবার্গ থেকে ট্রেনে চড়ে লেক কনস্ট্যান্স এর দিকে যাওয়া যায়, তাহলেই দুইটা কাজ একসাথে হয়ে যায়। একেতো ট্রেনে বসে বসে ব্লাকফরেস্টের অপার সৌন্দর্য দেখা হয়ে যাবে, তাইতে আবার লেক ও দেখা হবে। এখানে আর ও বলে রাখি এই লেকটা আবার যেই সেই লেক না। এই লেকের অবস্থান সুইজারল্যান্ড, জার্মানি আর অস্ট্রিয়ার বর্ডারে পড়েছে। তাই বোটে চড়ে লেকটায় ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ মিস করতে চাইলাম্না। বোটগুলা জেটি থেকে ছেড়ে গিয়ে এমন এক জায়গায় নিয়ে যাবে যেখানে হয়তো তিনটা দেশ তিনদিকে পড়বে। গুগল করে লেকের যেসব ছবি দেখলাম মাথা ঘুরিয়ে দেয়ার মত যথেষ্ট বলা চলে। ভেবেচিন্তে প্ল্যান করে শেষের দিকে ব্লাকফরেস্ট আর লেক কনস্ট্যান্স কে চেপেচুপে ঢুকিয়ে দিলাম বলা চলে, খুব টাইট স্কেজুয়েল। ভিসা নিতে গিয়ে ইন্টারভিউতে থাকা মহিলা আমাকে বললো তুমি কি শিউর এই স্কেজুয়েল ফলো করতে পারবা। আমি বললাম গতবছর ও আমি এমন চেপেচুপেই প্লান করেছিলাম, যাতে অল্পসময়ের জন্য হলে ও অনেক কিছু টাচ করে আসতে পারি।

P1030315

P1030307

P1030305

যাই হোক প্ল্যান হিসেবে প্রাগো থেকে সন্ধ্যের ট্রেনে আমাদের যাওয়ার কথা জার্মানির অফেনবার্গে। অনেক লম্বা সময় ধরে এই জার্নি। সন্ধ্যে ছয়টায় ছেড়ে অফেনবার্গে গিয়ে পৌঁছুবে সকাল সাতটায়। তিনটা সিটি ঘুরে ততদিনে বেশ টায়ার্ড আমি। ট্রেনে উঠে খেয়ে দেয়ে দিলাম এক লম্বা ঘুম। ঘড়িতে এলার্ম দেয়া ছিল ঠিক ঘন্টাখানিক আগেই ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিল ।
P1030304

P1030159

P1030139

P1030131

ফ্রেস হয়ে ব্যাগ গুছিয়ে নিলাম আমি আর ড্যাং। ট্রেন আমাদেরকে নামিয়ে দিয়ে চলে গেল স্টেশন ছেড়ে। আমরা অপেক্ষায় বসে আছি পরের ট্রেন ধরার জন্য যেটা কনস্ট্যান্স হয়ে যায়। ঠাণ্ডায় জমে যাচ্ছি। আকাশ বেশ মেঘলা। কে যেন প্লাটফর্মে ঘুমিয়ে আছে এই ঘোর ঠাণ্ডার মাঝে, এমন হাতপা ছড়িয়ে অসহায়ের মত এভাবে ঘুমুচ্ছে, দেখে কেমন মায়া হয় মানুষটার জন্য। ঠাণ্ডা বাতাসের অত্যাচারে গাল, মু্‌খ, হাতের খোলা জায়গাগুলা যেন নাম্ব হয়ে যাচ্ছিল, অনুভূতি ফিরে পেতে গালে হাত ঘষছি বারেবারে, আর মুখ দিয়ে গরম নিঃশ্বাস ফেলছি। কফির জন্য আনচান করছিল মন, এমন অবস্থা যে নড়তে ও মন চায়না ঠাণ্ডায়। ট্রেন ও এই এলো বলে। একজোড়া-কাপল প্লাটফর্মে বসে বসে বেশ ভালোবাসাবাসি করছে, না চাইতে ও চোখ ওদের দিকে চলে গেল, ওদের অবশ্য তাতে কোন বিকার নাই, পাবলিকের দিকে তাকানোর কোন সময় নেই তাদের, দুজনে ব্যস্ত নিজেদেরকে নিয়ে। ওদেরকে রেখে আমি ও ব্যস্ত হয়ে পরি চারিদিক দেখতে, সবকিছু কেমন বিষণ্ণ হয়ে আছে যেন, আকাশের মুখভার হল তো সবকিছুই ভীষণ প্রাণহীন। ঝকঝকে একটা রোদেলা সকাল হলে অন্যরকম হত নিশ্চয় সবকিছু, আমার ও মন খারাপ হয় এমন অন্ধকার আকাশ দেখে, মনে হচ্ছে বৃষ্টি হবে খানিক-ক্ষনবাদেই, আমার ছবি সব গেল বুঝি। ভাবতে না ভাবতেই হাল্কা ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি পরতে লাগলো। আমি মুখভার করে প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকি ট্রেনের জন্য। বৃষ্টি আমার খুব প্রিয়, কিন্তু আজকের দিনটায় এসে সব মাটি করে দিল।

P1030119

DSC02474

DSC02473

DSC02459

DSC02435

হুস করে এর মাঝেই আমাদের ট্রেন এসে প্লাটফর্মে থামল, তড়িঘড়ি করে উঠে দোতলায় গিয়ে ব্যাগ রেখে গুছিয়ে আরাম করে বসলাম। খুব বেশি মানুষজন নেই ট্রেনে। বেশ কিছু টিনেজ ছেলেপেলে উঠে বসলো হই-হুল্লোড় করতে করতে। হাল্কা বৃষ্টির ছাট এসে ট্রেনের কাঁচের জানালা ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত, ট্রেন চলতে শুরু করেছে, আমি ক্যামেরার কাভার খুলে বসি ছবি তুল্বো বলে। ভেজা জানালা গলে ছবিগুলা ভালো আসছিলনা। বিষণ্ণ প্রকৃতির ছবি ক্যমেরার লেন্সে আর ও বিষণ্ণ লাগছে যেন, তবু ও আমি চেষ্টা চালিয়ে যাই যদি কিছু ছবি ভালো আসে।
DSC02417

DSC02415

DSC02413

DSC02412

আমাদের নিয়ে ট্রেন ঝিকমিক করে ছুটে চলেছে এঁকে-বেঁকে। হুদাই আমার মন খারাপ লাগে, মনে হচ্ছে এত সুন্দর সব দৃশ্য মিস হয়ে যাচ্ছে, ক্যামেরায় ধরে রাখতে পারছিনা। এই কষ্ট পোষাতে মোবাইলের হেড-ফোন কানে দিয়ে গান শুনতে থাকি। বাংলা গান ছাড়া এই অপরূপ দৃশ্য অসম্পূর্ণ হয়ে যেত বুঝি। কষ্ট কষ্ট সুখ ব্যাপারটা কি জিনিস আমি হুট করে বুঝে ফেলি। কেমন মিশ্র একটা অনুভূতি পুরা মন জুড়ে। ছবি না তুলতে পারার শোক ভুলে আমি চোখ বড় বড় করে জানালার বাইরে তাকিয়ে থাকি, ব্লাকফরেস্টের কালচে সবুজে হারিয়ে যেতে থাকি ক্রমশ। এত সুন্দর সবজায়গা আমার চারিদিকে, কতটা ভাগ্যবান আমি ভাবতেই চোখে পানি চলে আসে। ভাগ্যিস ড্যাং তখন ঘুমিয়ে পড়েছে, চোখের পানি মুছার তাই কোন তাড়া নেই। সূর্যের আলোর অভাবে সবুজের কচি রংটাকে ঢেকে দেয় শ্যাওলা রঙ্গ। পাইন আর ফার গাছের ছড়াছড়ি ট্রেনের দুপাশে। কোথাও সরু হয়ে লেক বয়ে চলে গেছে ট্রেনের সমান্তরালে। হুট-হাট দুএকটা তাঁবু ও চোখে পড়ে যায়, বৃষ্টির ছাট ক্যাম্প-ফায়ারিং এর নেভা নেভা আগুন ধুয়ে নিয়ে ফেলছে পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া লেকে। পায়ে চলা পথে কাদার মাঝে ডেবে যাওয়া পদচিহ্ন ও চোখ এড়ায়না, কেমন বিভোর হয়ে দেখতে থাকি চারিদিক। ট্রেনে উঠা টিনেজ পোলাপানগুলা তখন হই-হুল্লোড় শেষ করে গভীর ঘুমে মগ্ন। এর মাঝেই আমার ধ্যান ভঙ্গ করে দিল চাওয়ালা। জেগে আছি দেখে আমার কাছে এসে জানতে চাইলো টি কফি চাই কিনা। একটু বিরক্ত লাগলে ও চা এর জন্য মন কেমন করছিল যেন। ২ ইউরো দিয়ে ২ টা চা কিনে আবার আরাম করে বাইরের দিকে মুখ করে বসে গেলাম।
DSC02408

DSC02405

DSC02404

DSC02399

ধোয়া-উঠা চায়ে তৃপ্তির চুমুক দিতে দিতে, গান শুনতে শুনতে আবার ফিরে যাই বাইরের ঘন কালচে ব্লাকফরেস্টে, আর একবার চেষ্টা চালাই ক্যামেরায় সবকিছু বন্দী করে রাখার। বৃষ্টির ছাট কমে এসছে তখন। কখন ও কখন ও গাছগাছড়ার ফাঁক গলে চোখ চলে যায় দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ ঘাসে-ভরা মাঠে। গুটিকয়েক কেটল আনমনে চড়ে বেড়াচ্ছে। চোখের পাতা ফেলতে ও আমার ভয় হয় পাছে কিছু মিস করে ফেলি, আমি ঠায় চোখ মেলে চেয়ে থাকি। লোকালয়, পাহাড়, লেক সব পিছনে ফেলে ট্রেন চলছে অবিরাম গতিতে। অবশেষে এসে পৌঁছলাম কনস্ট্যান্স শহরে।
DSC02383

DSC02372

DSC02370


মন্তব্য

সাইদ এর ছবি

একা একা ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। আমিও খুব টাইট স্ক্যেজুলে বিশ্বাসী লোক।
লেখা বরাবরের মতই ভাল হয়েছে।
ভাল থাকবেন।

বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ সাইদ সাথে থাকবার জন্য। একা একা ঘুরতে ভালো লাগ্লে ও ব্যাগবুগ দেখভাল করার জন্য নিদেনপক্ষে একজন না থাকলে ব্যাপক সমস্যা।

স্পর্শ এর ছবি

সবুজ ধানখেত, মেঠোপথ, পুকুর, দূরের টিলা, কুটির
একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু! দেঁতো হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

বন্দনা এর ছবি

তুই কবে থেকে কবিতা লিখতে শুরু করলি!!!!!!!!!!!!!!!!!

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

১৫, ১৬ আর ১৮ নাম্বার বেশি ভাল্লাগসে। হাসি
লেখার পরিমাণ আরেকটু বাড়াতে পারতেন।

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

বন্দনা এর ছবি

শিমুলাপু লেখা শেষ করিনি এখন ও আর একটা পর্ব লিখবো, বেশি বড় হলে নিজের কাছেই বিরক্ত লাগে পড়তে, তাই এবার দুভাগ করে লিখলাম। পরের পর্বে লেকের ছবি দেখাবো সবাইকে হাসি
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- নেন আপু।

অরফিয়াস এর ছবি

খাওয়া-দাওয়া আর ঘোরাঘুরির সকল পোস্টে তেব্র পেতিবাদ !! ওঁয়া ওঁয়া

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

বন্দনা এর ছবি

এই যে সেদিন আপনি বৃষ্টির মাঝে ঘুরে বেড়ায়ে পোস্ট দিলেন আমরা কি পেতিবাদ জানাইছি। বছরে একবার এক্টূ ঘুরে বেড়াই তাও আপ্নাগো সহ্য হয়না মন খারাপ

অরফিয়াস এর ছবি

এহহ কই ঘুরলাম? কাদা আর বৃষ্টিতে মাখামাখি হয়ে ঘরে ফিরলাম, আর যে কাজে গিয়েছিলাম তাও ঠিকঠাক হলোনা। খাইছে না না, আরও ঘুরুন, নাহলে এতো সুন্দর সুন্দর জায়গা কি করে দেখবো আমরা।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সত্যপীর এর ছবি

এই কষ্ট পোষাতে মোবাইলের হেড-ফোন কানে দিয়ে গান শুনতে থাকি। বাংলা গান ছাড়া এই অপরূপ দৃশ্য অসম্পূর্ণ হয়ে যেত বুঝি। কষ্ট কষ্ট সুখ ব্যাপারটা কি জিনিস আমি হুট করে বুঝে ফেলি।

কি গান শুনতেসিলেন কৈলেন না? আমরা ছবি দেখতে দেখতে ঐ ভাব বুঝবো ক্যামনে?

..................................................................
#Banshibir.

বন্দনা এর ছবি

গানের কথা শুইনা কই কইবেন আস্তাগফিরুল্লাহ, তা না আবার জিগান কি গান অ্যাঁ । এরম পীরগিরি করলে হবে।

এমন সময়ে মাণুষ কি গান শুনতে পারে জানেন না মিয়া, রবিবাবুর গান ছাড়া এর সাথে আর কিছু যায়না।

সত্যপীর এর ছবি

নাচাগানা ভালু পাই!

..................................................................
#Banshibir.

বন্দনা এর ছবি

নাচাগানা করা পীরসাহেব খাইছে

শাব্দিক এর ছবি

হো হো হো

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হো হো হো

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সাবেকা এর ছবি

আপনি উল্লেখ না করলেও আমি বুঝে গেছিলাম আপনি রবি বাবুর গানই শুনছিলেন হাসি

বন্দনা এর ছবি

হাসি

অমি_বন্যা এর ছবি

সবগুলো ছবিই এত সবুজ ! সুন্দর লাগলো বর্ণনা আর ছবি। চলুক

বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ অমি।

ক্রেসিডা এর ছবি

চলুক

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

বন্দনা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

জুন এর ছবি

সবাইরেই দেখি ঘুরান্তির নেশা পেয়ে গেল। হাসি ছবিগুলো দেখে একটা কথাই বার বার মনে হচ্ছিল, এলাকাটা যেন কেউ একজন ছবি তোলার জন্যই সাজিয়ে গুছিয়ে রেখেছে। সব কিছু অতিরিক্ত ফটোজেনিক। তাই বোধহয় বৃষ্টির দেয়া আবছায়াতেও ছবিগুলো হারিয়ে যায়নি খুব একটা। হাসি

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

বন্দনা এর ছবি

ঠিক বলেছেন জুন। বৃষ্টির দেয়া আবছায়াতেও ছবি হারিয়ে গেলে এই পোস্ট হয়তো লিখতে বসতাম্না।

শিশিরকণা এর ছবি

বিশ্বাস গেলাম না, সব ক্যালেন্ডারের পাতা ছিড়ে কপি করা ছবি। তালগাছটা আপনাকে দিলাম

হেব্বি চক্কর দিচ্ছ দেখি আজকাল। ইদিক আসলে খবর দিও, বাইচ্চাকালের দোস্তদের দেখা পাইলে বড় ভাল লাগে।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

বন্দনা এর ছবি

কনফারেন্সের উছিলায় ঘুরতে গেছি বেশকবার। কিন্তু সামনে আর কোন কনফারেন্স নাই , ঘোরাঘুরি ও শেষ মনে হয়। কানাডা যাওয়া হলনা এখন ও, দেখি যদি সুযোগ পাওয়া যায়, নো মিস। তখন পোস্ট দিলে কিন্তু তালগাছ আমার খাইছে

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

সব দেখি তারেকাণু!!!

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

বন্দনা এর ছবি

হুম এইবার তো ভাবছিলাম তারেক অণুর বাড়ি ঘুরে এসে পোস্টাবো, কিন্তু কপাল মন্দ ফিন এয়ারের টিকেট পাইলাম্না।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

তারেকাণুরে কি তার বাড়ি গিয়ে পাওয়া সম্ভব?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

মুস্তাফিজ এর ছবি

হ সবাই তারেকাণু হচ্ছে।

...........................
Every Picture Tells a Story

বন্দনা এর ছবি

আমি ও বড় হইয়া তারকাণু হইতে চায় দেঁতো হাসি

কৌস্তুভ এর ছবি

ওহে, সব ফটফটে সবুজ, এর নাম 'ব্ল্যাক'ফরেস্ট? ইয়ার্কি পাইছ, সিঙ্গাপুরের জঙ্গলের ছবি তুলে এনে আমাদের ব্ল্যাকফরেস্টের গপ্প শোনানো? শয়তানী হাসি

বন্দনা এর ছবি

ফটফটে সবুজ দেখিস কালচে সবুজ দেখলিনা ভাইটী, রোদ থাকলে কি যে সুন্দর হত ছবিগুলা ইস। আমার এখানে জঙ্গল নাই, এটা পুরাই শহর। এসে ঘুরে যা, এখানে এমন ছবি তুলে এনে দেখাতি পারলি পরে ধন্য হয়ে যেতাম।

বাণীব্রত এর ছবি

অবিশ্বাস্য সুন্দর সব ছবি।
লেখাও লেগেছে ভালো। চলুক

এ-রকম চমৎকার জায়গায় ঘোরার যে কী রকম অনুভূতি হতে পারে কল্পনায়ও আসছে না!
ছবি দেখে পোস্ট পড়ে যারপরনাই মুগ্ধ। হাসি

বন্দনা এর ছবি

আপনার কমেন্ট পড়ে আমি ও মুগ্ধ বাণীব্রত।
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

শাব্দিক এর ছবি

সকাল সকাল এত সবুজ দেখে মন ফুর্তিতে ভরে গেল হাসি
লেখা ভালৈসে পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ শাব্দিক।
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

S এর ছবি

হুদাই আমার মন খারাপ লাগে, মনে হচ্ছে এত সুন্দর সব দৃশ্য মিস হয়ে যাচ্ছে, ক্যামেরায় ধরে রাখতে পারছিনা।

-ঠিক এমনটাই মনে হওয়াতে আমিও এইজন্যে একসময় ছবি তোলা বাদ দিয়ে শুধু দৃশ্যগুলো দেখে গিয়েছি, কারণ আমার চোখটাও তো একটা ক্যামেরা তাই সেটাতেই নাহয় ধরে রাখলাম স্মৃতিগুলো।

খুব সুন্দর মুহুর্তগুলোতে আমার মনে সবচেয়ে কষ্টের স্মৃতিগুলো খোঁচা দেয়, মনে হয় এই সুন্দর মুহুর্তটার বিনিময়ে বোধহয় আবার সেরকম কষ্টের কোন একটা স্মৃতি অপেক্ষা করছে। একাই যেহেতু ভ্রমণ করছিলাম তাই অনেক সময় পেয়েছিলাম নিজেই নিজের সাথে কথা বলার, সেটা এই জায়গাটায় যেমন তেমনি প্যারিসের রাস্তায় একাকি হেঁটে বেড়ানোর সময়েও।

খুব ভালো লাগলো আপু বর্ণনাগুলো পড়ে, কারণ ছবিগুলো তো নিজের চোখেই দেখা। বর্ণনাগুলো পড়ে ঠিক যেন সেই ট্রেনজার্নিটাতেই চলে গেলাম। পোস্ট পুরোটা পড়া শেষে মনে হলো এখনি বোধহয় আমার ট্রেনটাও থামলো, আবার সেই 35কিমি/ঘন্টার একটা ঠান্ডা বাতাসের ঝাপটা অপেক্ষা করছে আমার জন্যে। মনমুগ্ধকর লেখা

বন্দনা এর ছবি

বাহ আপনি তো বেশ চমৎকার গুছিয়ে বলেন। লিখে ফেলেন , আপনার অভিজ্ঞতার কথা আমরা ও জেনে নেই এই ফাঁকে। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নোবেল এর ছবি

ফডুগুলা কি এডিটেড না অরিজিনাল, আফা ? যাইতে মুঞ্ছায় ঃ(

বন্দনা এর ছবি

কয়েক্টা ছবি এডিট করছিরে, বাকী মেঘযুক্ত আকাশের ছবিগুলা ধরিনাই, যদি ও ছবিগুলা বেশ গ্লুমি লাগছিল দেখতে। দেঁতো হাসি

সাবেকা এর ছবি

ছবিগুলো অসাধারণ আর লেখাও সেইরকম হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখার সাথে সাথে ছবিগুলোও বেশ ফুটে উঠেছে।তবে লেখার মাঝে মাঝে ছবিগুলো কি করে ঢোকালেন?আমি নতুন অতিথি তাই এই প্রশ্নটা করলাম।সাহায্য করলে খুশি হব।

বন্দনা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ অতিথি লেখক, আপ্নার নামটা লিখতে ভূলে গেছেন। ফ্লিকারে আপলোড করে নিয়ে, প্রতিটা ছবির উপর share বাটনে ক্লিক করে সেই লিঙ্ক এনে লেখার মাঝে পেস্ট করলেই দেখবেন ছবি চলে এসছে। বিস্তারিত এখানে পাবেন ছবি সংযুক্ত করার সেকশনে

বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ সাবেকা।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বাহ্

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

বন্দনা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- নজু ভাই।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আহা, এত্ত সবুজ! সবুজে সবুজে চোখ জুড়িয়ে গেল। বর্ণন ভাল লেগেছে।

বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ প্রৌঢ় ভাবনা। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

কড়িকাঠুরে এর ছবি

ব্ল্যাক ফরেস্ট কেন্? গ্রীন ফরেস্ট না কেন্?-
না ঐখানকার মানুষ ভাল্না- শান্তশিষ্ট-লেজবিশিষ্ট... বেবাক কিছু গুছাইয়া রাখে... খাইছে
সবাই তারেকাণু হবে...

বন্দনা এর ছবি

হুম আমি ও ভাবছিলাম ব্লাক-ফরেস্ট কেন কাঠুরেভাই।

তারেক অণু এর ছবি

চলুক
কিছু ছবিতে সবুজ কিন্তু বেশ বেশী হয়ে গেছে।

বন্দনা এর ছবি

হুম আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

উচ্ছলা এর ছবি

ভারী সুন্দর পোস্ট হাসি

বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ উচ্ছলা। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।